মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, বুধবার মধ্যরাতে রাবির শাহমখদুম হলের একটি কক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান শোভন এবং তরুণ কুন্ডুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরমধ্যে শোভন রাবির লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের এবং তরুণ কুন্ডু সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী।
এর আগে মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীর অভিভাবক উল্লেখ করেন, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে তার মেয়ের সাথে জাহিদের সর্ম্পক তৈরি হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজলা কমার্স কলেজের পেছনে অবস্থিত তরুণ কুণ্ডুর বোনের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জাহিদ। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করে সে।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীর বাবা গত বুধবার মতিহার থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন।
ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শেষে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে হতাশ করেছে। হতাশাগ্রস্ত হয়ে আমার মেয়ে স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলেছে।’
মতিহার থানার ওসি মাসুদ পারভেজ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও সহযোগিতা করার অপরাধে ভুক্তভোগীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত রাবির দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নগরীতে এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের দায়ে রতন আলী (৩০) নামের অপর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রতন নগরীর বাজে কাজলা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে রতনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে অভিযান চালিয়ে রতনকে গ্রেপ্তার করে চালান দেয়া হয়।
মতিহার থানার এসআই সাহাবুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরী তালাইমারী এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গত ৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এসময় রতন তাকে পেছন থেকে ধরে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে বালুঘাটে পার্কিং করে রাখা একটি ট্রাকের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পালিয়ে যায়।