গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার আব্দুস শহীদের ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুর-১-এ আবুল কালাম রোডের সরকারি কোয়াটার এলাকায় বসবাস করেন। সেখার থেকেই মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল জেলা পিবিআই।
বুধবার বরিশাল পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা থেকে বরিশাল নদীবন্দরে আসা পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিন থেকে লাবনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে লঞ্চের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তার সাথে থাকা মনিরুজ্জামানের সন্ধানে নামে পিবিআই। মঙ্গলবার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার এবং তার কাছ থেকে লাবনীর ব্যবহৃত ওড়না ও মোবাইলসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুজ্জামান জানান, তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। লঞ্চযোগে রাতে বরিশাল যাওয়ার পথে কেবিনে তাদের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ওড়না দিয়ে পেচিয়ে লাবনীকে হত্যা করা হয়। পরে লঞ্চটি বরিশালে পৌঁছালে মনিরুজ্জামান কৌশলে পালিয়ে বাসযোগে আবার ঢাকা চলে যায়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামানের এটি তৃতীয় বিয়ে। লাবনীরও আগে বিয়ে হয়েছিল। তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার আদমপুর এলাকায়।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় নৌ পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামানকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদনও করা হতে পারে।