তিনি গত ২৯ মে রাতে সদর হাসপাতালে মারা যান। এরপর তার দাফন নিয়ে চলে নানা নাটকীয়তা।
মৃত রানি (২৩) সদর উপজেলার সহিদুর রহমানের মেয়ে ও আউলিয়াপুরের মো. আকবরের স্ত্রী।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রানি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মনে করে তার স্বামী গা ঢাকা দেন। এমনকি বাবা-মাও খোঁজ নেননি। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও লাশ নিতে রাজি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান দক্ষিণ বটিনার গোরস্থানে লাশ দাফনের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে ইউএনও একজন ইউপি সদস্যের জমিতে লাশ দাফনের নির্দেশ দিলে এখানেও এলাকাবাসী বাধা দেয়। শেষে বাধ্য হয়ে ওই জমিতে পুলিশ পাহারায় দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ থেকে রিপোর্ট পাওয়া যায় যে রানি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না।
ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হোক বা না হোক, মৃত ব্যক্তির প্রতি এ অমানবিকতা মেনে নেয়া যায় না। মৃত ব্যক্তির প্রতি মানবিক হওয়া ও লাশ দাফনে সবার সহযোগিতা করা প্রয়োজন।’