গত তিন বছর ধরে শিশু শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করা কথার শখ হয় উন্নতমানের একটি ‘চেঞ্জার হারমোনিয়াম’ কেনার। আর তাই গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করে যে সম্মানী পেয়েছে তা জমিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা হয়েছে।
কিন্তু এই ছোট শিশু শিল্পী তার পুরো টাকা নিয়ে এগিয়ে এলেন করোনা মোকাবেলায় আর্তমানবতার সেবায়। নিজের জমানো টাকা জমা দিলেন করোনা মোকাবেলায় মানবিক সহায়তার ফান্ডে।
রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের হাতে ৫ হাজার টাকা তুলে দেয়া সে।
এসময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, কথার বাবা কৈলাশ কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।
কথা জানায়, জীবনে বেঁচে থাকলে হয়তো পরে শখের হারমোনিয়াম কিনতে পারবে। কিন্তু এই মুহুর্তে শখের হারমোনিয়ামের চেয়ে মানবিক সহায়তা বেশি প্রয়োজন।তাই করোনার প্রভাবে যেসব মানুষ অসহায় অবস্থায় রয়েছে তাদের সহায়তায় জমানো টাকা জেলা প্রশাসনের ফান্ডে জমা দিয়েছেন।
সেবার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছে কথা। আর এই ভালো কাজের জন্য তার বাবা কৈলাশ কর্মকার ও মা মানিকগঞ্জ জেলা হাসপতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স দীপা রানী কর্মকার তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বলে কথা জানায়।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ছোট শিশু কথার এই মানবিক সহায়তা প্রদান অন্যদেরও অনুপ্রানিত করবে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের মানবিক গুনাবলী অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
‘আর্তমানবতার সেবায় সমাজের বিত্তবানরাও এগিয়ে এলে করোনা সংকট মোকাবেলা সহজতর হবে,’ যোগ করেন তিনি।