তারা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলায় পাকুরিয়া ইউনিয়নের তারাগড় গ্রামের যুবক আব্দুর রশিদ (২৫), শাহাব উদ্দীন পাখি (২৮) ও বাপ্পী মিয়া (২০)।
রবিবার বিকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ধর্ষণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বলেন, চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের কার হয়েছে। মামলার এজাহার নাম থাকায় ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি নজু মিয়াকে (২০) গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছে। সেখানে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর সদরের তারাগড় গ্রামের কিশোরীটি ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। করোনার কারণে সে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকে তার প্রতিবেশী কয়েকজন বখাটে যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। শনিবার রাত ৮টার দিকে বাড়ির গেট লাগানোর সময় এলাকার যুবক নজু ও তার সহযোগী রশিদ, বাপ্পি, পাখি কিশোরীর চোখ বেঁধে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। বখাটেরা তাকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের একটি নির্জনস্থানে নিয়ে কিশোরীটিকে প্রথমে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে অন্যদের সহযোগিতায় নজু মিয়া কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রশিদ, পাখি ও বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ‘ইতোমধ্যে ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিকেও শিগগিরই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’