কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায় সমিতির নেতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পাহাড়ের একটি সশস্ত্র গ্রুপ আমাদের কাছে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই গ্রুপ ছাড়াও আরও মোট চার গ্রুপ প্রায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বুধবার পর্যন্ত ছিল এ চাঁদা দেয়ার শেষ সময়। এ সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় তারা বুধবার বিকেলে আমাদের জেলেদের মোবাইলের মাধ্যমে বলে দিয়েছে যে তোমরা আর হ্রদে জাল মারতে পারবা না।’
জসিম উদ্দিন জানান, কাপ্তাইয়ের মাছ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মাঝি বলেন, ‘আমাদের সওদাগরদের কাছে উপরের পার্টি (সন্ত্রাসী গ্রুপ) চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়াই এমন অবস্থা। আমার মাধ্যমে দেড় শতাধিক শ্রমিক দেশের বিভিন্ন স্থান হতে কাপ্তাই উপজেলায় কাজ করতে এসেছেন। এখন যেহেতু মাছ ধরা বন্ধ করতে হচ্ছে তাই এদের সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় দেখছি না।’
মৎস্য শ্রমিক মো. আলাউদ্দিন, নাদির মিয়া, তোফাজ্জল, জয়নাল আবেদীনসহ অনেকেই জানান, গত তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ও লকডাউনের প্রভাবে কষ্টে কেটেছে তাদের দিন। এখন চাঁদার দাবিতে আবার মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ‘আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।’
এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, ‘চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসীদের কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর আমাকে এ বিষয়ে কেউ কিছু অবহিত করেননি।’
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েদ কাউছার ও কাপ্তাই থানার ওসি নাসির উদ্দীনের জানান, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করতে আসেননি। যদি কেউ অভিযোগ করে তা হলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।