মৃত একরামুল ইসলামের (৪৫) বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার কাঠালিয়ায়।তিনি পৌর সদরের উত্তর বাজারের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভার উত্তর বাজারে ভূইঁয়া টাওয়ার নামের একটি ভবনের ব্যাচেলর বাসায় থাকতেন একরাম। গত ২ জুন থেকে সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও খাচ্ছিলেন। আজ সকাল ১০টার দিকে একই ফ্ল্যাটের অন্য দুজন তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গেলে অচেতন অবস্থায় মুখে ফেনা দেখতে পান।
পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। করোনা পরীক্ষার জন্য লাশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। চার দিনেও জ্বর না কমাতে আজ করোনা পরীক্ষার নমুনা দেয়ার কথা ছিল একরামের।
সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ জানান, নিহতের মুখে ফেনা ছিল। এ কারণে প্রাথমিকভাবে স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি যেহেতু জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিলেন তাই করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স) সুমন বনিকসহ ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ঘোষিত করোনা পরীক্ষার ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় জানান, শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে মোট ৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, আক্রান্তদের মধ্যে দুজন সীতাকুণ্ড মডেল থানার সদস্য। এদের মধ্যে একজন ওসি ইন্টেলিজেন্স সুমন বণিক রয়েছেন।