মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের পিপি গাজী আব্দুর রহমান।
সাজাপ্রাপ্ত মুক্তি খাতুন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ছোট মহারাজপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ছোট মহারাজপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে ২০১৭ সালে একই গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর মেয়ে মুক্তি খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে মাহমুদুল্লাহ ওরফে মাহিম ওরফে বেলাল নামের এক শিশুর জন্ম নেয়। ২০২০ সালে শিশুটির বয়স ৯ মাস হয়। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল রাতে আব্দুল্লাহ ধান কাটার কাজে নওগাঁ চলে যায়। এরপর বাড়ির সবাই তারাবির নামাজ পড়ার জন্য আব্দুল্লাহর বড় চাচা সোনা উল্লাহর বাড়ি যায়। তারাবিহ নামাজ পড়া শেষে আব্দুল্লাহর মা ও বোন বাড়িতে এসে শিশুর গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। শিশুটির হাত ও মুখ টেপ দিয়ে আটকানো ছিল। এ সময় শিশুটির মা মুক্তি খাতুন পলাতক ছিল।
আরও পড়ুন: ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটে মাদরাসা সুপারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ওই রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজ সন্তানকে মুখে টেপ লাগিয়ে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এ মামলার তদন্ত শেষে মুক্তির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।