বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টায় পটুয়াখালী লঞ্চঘাট থেকে খানিক দূরে লঞ্চে বসেই এ আদেশ প্রদান করেন।
নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় জানান, জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে রাতে লঞ্চঘাটে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ঘাটসংলগ্ন মাঝনদীতে নোঙ্গর করা সুন্দরবন-১৪লঞ্চটি দেখতে পেয়ে ট্রলারযোগে সেখানে হাজির হন। পরে খোঁজ খবর নিয়ে লঞ্চের স্টাঢফদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, লঞ্চটি বিনা অনুমতিতে এবং বিধিবহির্ভুতভাবে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে আসে। পরে ঘাট সংলগ্ন কিছুদূরে মাঝনদীতে নোঙ্গর করে রাখে।
তিনি জানান, আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতে ঢাকা ফেরত যাত্রী বা লোকদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকায় ওই লঞ্চের সকল স্টাফদের লঞ্চেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
পটুয়াখালী নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, লঞ্চটি পটুয়াখালী আসছে এখবর পেয়ে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সাথে অভিযানে অংশ গ্রহণ করি। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি লঞ্চটি বিনা অনুমতিতে ঢাকার সদরঘাটের পাশ থেকে পটুয়াখালী আসছে।
তিনি জানান, লঞ্চটি ঘাটে বা নদীর পাড়ে নোঙ্গর না করে ১৪ দিন মাঝনদীতে নোঙ্গর করে থাকতে হবে। পাশাপাশি ওই লঞ্চের সুপারভাইজার ইউনুসসহ মোট ৩৬ জন স্টাফকে লঞ্চেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
লঞ্চের সুপারভাইজার ইউনুস লঞ্চ থেকে ট্রলারযোগে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি।