বৃহস্পতিবার পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শামসুল আলামীন এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:যৌতুকের দাবিতে মারধরের দায়ে যশোরে পুলিশের এসআইয়ের কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত সোহেল রানা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ওয়াদুদ হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কনস্টেবল নং ২৯৫৪৬। মামলার বাদী সোহেল রানার স্ত্রী জালেকা খাতুন একই উপজেলার দারামুদা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট গর্ভজাত শিশু সন্তানসহ স্ত্রী জালেকা খাতুনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন সোহেল। এরপর বাবার বাড়িতে থাকলেও স্ত্রী-সন্তানের কোনো খোঁজ নেননি তিনি। ওই বছরের ৭ অক্টোবর জালেকা খাতুনকে নিয়ে তার স্বজনরা সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে তাকে মেনে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সোহেল ৫ লাখ টাকা না দিলে জালেকাকে গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য নির্যাতন, বিবাহ বার্ষিকীতেই মৃত্যু গৃহবধূর
পরে ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি জালেকা খাতুন বাদী হয়ে পাবনা আমলী আদালত-৩ এ একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাঁথিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা পারভীনকে নির্দেশ দেন। তিনি ওই বছরের ১৪ মার্চ তারিখে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন যার স্মারক নং ২৮।
অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে একই বছরের ১২ এপ্রিল আসামি সোহেল রানার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এরপর সমনে হাজির হয়ে আদালত থেকে জামিন নেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল।
দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার মামলায় রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার সময় আসামি সোহেল রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিজুল হক।