মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বানিয়াবহ গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৯ জুন এক যুবক খুনের শিকার হয়। ওই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আসামি পক্ষের ১৮ বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারগুলো এখন ভিটে ছাড়া হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৯ জুন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন মাহফুজার মোল্লা। এরপর মামলা হয়। পুলিশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
বাকি পলাতক আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আসামিদের বাড়িুগলো পুরুষশুণ্য হয়ে পড়লে ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যান মহিলারা। এই সুযোগ নিয়ে তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও ঘরগুলো গায়েব করে দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
মামলার আসামি কদম আলীর স্ত্রী পারভীন বেগম বলেন, ‘আমার বাড়িতে চারটি পাকা ও হাফ পাকা ঘর ছিল। বাদীর লোকজন এই হত্যার পর বিভিন্ন সময়ে আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার প্রায় ১৭ লাখ টাকার বেশি সম্পদ চুরি ও ক্ষতি করেছে। এ নিয়ে আমি ১৮ জুলাই মোকাম মাগুরার বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেছি।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, হত্যা মামলার একজন আসামি নায়েব আলীর স্ত্রী সেলিনা বেগমও একই আদালতে একটি ভাঙচুর মামলা করেন। মামলার ৩৮ দিনের মাথায় পারভীন বেগমের এখন ঘর বলতে কিছুই নেই। ঘরের জায়গায় এখন কিছুই নেই।
একই অবস্থা সবুজ মোল্লারও। তার শুধু ঘরের মাটির ডোয়া ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি।
স্থানীয় সালেহা বেগম জানান, কিছু অসৎ লোক রাত গভীর হলেই আসামিদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায়।
জামিনে বের হয়ে আসা হত্যা মামলার আসামি হোসেন মোল্লার অভিযোগ, গত কয়েকদিনে মুজিব মোল্লা, নাজির মোল্লা, আউয়াল মোল্লা, আকবর মোল্লাসহ মামলার কয়েকজন আসামির বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রায়ই ভাঙচুর করা হচ্ছে। বাড়িঘর গায়েব করে দিচ্ছে। তারা ভিটে থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: মধুখালীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের পিলার ভাঙচুর
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, নতুন করে ভাঙচুরের কোনও সত্যতা পাইনি। পুরনো ভাঙচুরের মামলা তদন্ততাধীস আছে। এছাড়া কয়েকটি আসামির পরিবারকে তাদের বাড়িতে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি অভিযোগ পাই তবে, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯জুন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন মাহফুজার মোল্লা। এরপর মাহফুজার মোল্লার বাবা আফসার মোল্লা বাদী হয়ে গত ৩০ জুন ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৭ জন আসামি জেলে আছে। এক জন জামিন পেয়েছেন। পলাতক রয়েছে তিন জন।