জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে সিলেট থেকে পাঠানো রিপোর্টে লাখাই উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের ১ জন নার্স ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আজমিরিগঞ্জে বাড়িতে আসা একজন নারী গার্মেন্ট শ্রমিক করোনা আক্রান্ত বলে জানানো হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত হবিগঞ্জ থেকে মোট ২০৩ জনের নমুনা সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার সিলেট থেকে পাঠানো রিপোর্টে লাখাই হেলথ কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক ও একজন নার্সসহ মোট ১০ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। গত ১০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মাইক্রোবাস চালক মোফাজ্জল হবিগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হন।
সিভিল সার্জন জানান, করোনা আক্রান্ত ১২ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত লাখাই হেলথ কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তার বাসভবনেই আইসোলেশনে রয়েছেন। ওই হাসপাতালে ডাক্তার ও দুই নার্স করোনা পজেটিভ হওযায় গত মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সকল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আগামী শনিবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।