চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার মাদরাসা থেকে হেফাজত নেতা মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তিনি হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক ছিলেন এবং হেফাজতের আরেক আলোচিত নেতা মুফতি ইজহারের ছেলে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে হেফজতের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হলেও রাতে এ ব্যাপারে র্যাবের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে হেফাজতের আহ্বায়কের প্রেস সচিব ইনামুল হাসান ফারুকী জানান, রাত ১২টার দিকে মুফতি হারুন ইজহারকে ওই মাদরাসা থেকে র্যাবের একটি টিম গ্রেপ্তার করে।
হারুন ইজহারের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ওসমান বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাবের কয়েককটি গাড়ি এসে মাদরাসা (জমিয়াতুল-উলুম-আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা, লালখান বাজার) ঘেরাও করে শায়খকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হেফাজতের তাণ্ডব: ৩ মামলায় বাবু নগরী ও মীর হেলালসহ আসামি ৩ হাজার
জানা গেছে, হারুন ইজহারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় সংশ্লিষ্টাতাসহ পূর্বের কয়েকটি নাশকতার ঘটনার ইন্দনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ, শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের ঘটনাসহ সর্বমোট ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
লালখান বাজার মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং দুই মাদরাসাছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগও করেন।
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ২০ দলীয় জোটভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি মুফতি ইজহারের (হারুন ইজহারের বাবা) পরিচালিত লালখান বাজার মাদরাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশ ওই মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং ১৮ বোতেল এসিড উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় তিনি (হারুন ইজহার) গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। এ ঘটনায় তিনটি ও হেফাজতের নাশকতার ৮ মামলাসহ মোট ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চের সময় সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায়ও তিনি আসামি।