রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে পদ্মা নদীর ১৭ কেজি ওজনের একটি কাতলা ও সাড়ে ৬ কেজি ওজনের একটি বাছা মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৮ হাজার টাকায়।
বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সংলগ্ন সুমাইয়া মৎস্য আড়তের অন্যতম পরিচালক মো. সোহেল মোল্লা মাছ দুটি কিনে নেন।
তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া মাছ বাজারে গেলে বড় একটি কাতলা ও ঢাই মাছ দেখে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কিনে নেই। এখন কাতলা মাছটি ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির মনস্থীর করেছি। ঢাই মাছটি ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: তিস্তায় ধরা পড়ল বিশালকৃতির আইড় মাছ
বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে দেখা যায়, ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে রশি দিয়ে মাছ দুটি পানিতে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। মাছ দুটি দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন।
স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ভোরে দৌলতদিয়া ও আরিচা ঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে জেলে এরশাদ মন্ডল জাল ফেলেন। জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার আগ মুহূর্তে ঝাকি দিলে বুঝতে পারেন বড় মাছ আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তোলার পর দেখতে পারেন বড় একটি কাতলা মাছ। মাছটি নিয়ে চলে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনাল সংলগ্ন বাজারে।
ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মা নদীতে আরেক জেলের জালে বড় একটি ঢাই বা বাছা ধরা পড়েছে। মাঝে মধ্যে ছোট ঢাই মাছ ধরা পড়লেও বড় খুব একটা দেখা যায়না। এই মৌসুমে এর আগে ১১ কেজি ওজনের একটি ঢাই ধরা পড়েছিল। এরপর বড় আকৃতির মধ্যে এটি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে আগামী ৩ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ
গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল শরীফ বলেন, পদ্মা নদীতে মাঝে মধ্যে বড় কাতলা, পাঙ্গাশ, বাগাইড় জাতীয় মাছ ধরা পড়ছে। আমার জানামতে ঢাই বা বাছা মাছ এই মৌসুমে এতবড় প্রথম। নদী শুকিয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে। যে কারণে প্রায় বড় বড় মাছ জেলেদের জালে সহজে ধরা পড়ছে। দৌলতদিয়ার কুশাহাটা এলাকায় এ ধরনের মাছ সংরক্ষণে অভায়শ্রম করা দরকার। না হলে ধীরে ধীরে বংশ বিস্তার রোধ হয়ে এ ধরনের মাছ হারিয়ে যেতে পারে।