করোনা স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা অমান্য করে যাত্রী নেয়ার প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের চার জনকে মারধর করে বাস শ্রমিকরা। এসময়ে ওই পরিবারের ৭ বছরের এক শিশুকে বাসের জানালা থেকে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার চারজন হলেন, মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ সিকদারের ছেলে শামীম সিকদার (২৭)। তার মা হাসনুর বেগম (৫৫), ভাগনে বৌ কারিমা ও কারিমার ৭ বছরের মেয়ে মুনিয়া।
শামীম সিকদার জানান, নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড কালিজিরায় বসবাস করলেও তার মূল বাড়ি মঠবাড়িয়ায়। শুক্রবার মঠবাড়িয়া যাচ্ছিলেন তারা।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ সময়ে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়ায় ভাড়া দেড়শ টাকা। কিন্তু করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচল করায় সরকার নির্ধারিত ২৪০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়। আমরা চারজনই ২৪০ টাকা করে টিকেট নিয়ে সিটে বসেছি। নিয়ম হচ্ছে, এক সিট খালি রাখা। কিন্তু ওই বাসটির সুপারভাইজার এক সিটতো ফাঁকা রাখছেই না বরঞ্চ আরও যাত্রী তুলছিল দাঁড় করিয়ে নেয়ার জন্য। আমি প্রতিবাদ করলে বাসের সুপারভাইজার, হেলপারসহ বাসস্ট্যান্ডের ১৫-২০ জন শ্রমিক মিলে আমাকে মারধর করে। আমাকে বাঁচাতে গেলে শ্রমকিরা আমার মা, ভাগনে বৌ কারিমাকে মারধর করে। এমন কি আমার ভাগনের সাত বছরের মেয়ে মুনিয়াকে জানালা থেকে ছুড়ে নিচে ফেলে দেয়।’
রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, যাত্রীর সাথে তর্কাতর্কি বাসস্ট্যান্ডে হলেও তাদের ওই বাসের শ্রমিকরা মারধর করেছে স্ট্যান্ডের বাইরের সড়কে।
তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটিয়েছে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির শ্রমিকরা। তাদের কাছে বরিশালবাসী একধরনের জিম্মি। এই ঘটনার বিষয়ে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির নেতাদের জানাতে পারবো, কিন্তু কোন ব্যবস্থা নিতে পারবো না। ব্যবস্থা নিতে গেলে ঝালকাঠি মালিক সমিতি রূপাতলী থেকে বাস সরিয়ে নিয়ে ঝালকাঠীর কালিজিরায় স্ট্যান্ড করে। সেই সাথে ঝালকাঠিতে ঢুকতে বাঁধা দেয়া হয় বরিশালের বাস।
এ বিষয়ে রূপাতলী বাস মালিক সমিতির লাইন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন শামীম বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি এবং মারধরের শিকার যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
তবে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।