তিনি বলেন, ‘এখানে চিকিৎসার ত্রুটি নেই। সিলেটের চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। সবাইকে সচেতনতা, ধৈর্য্য ও সহমর্মিতা রাখতে হবে।’
এর আগে সিলেটে করোনা আক্রান্ত একমাত্র চিকিৎসককে ঢাকায় পাঠানো নিয়ে সিলেটে বুধবার দিনভর ছিল আলোচনা-সমালোচনা। এমন আলোচনায় উঠে এসেছে সিলেটে করোনা চিকিৎসার দৈন্যদশার বিষয়টি। এ অবস্থায় বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে আসে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সিওমেক) কর্তৃপক্ষ।
এসময় হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার ইউনুছুর রহমান বলেন, সিলেটে করোনা আক্রান্তদের সেবায় প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে বিভাগের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনামুক্ত রাখতে সেখানে আইসিইউ বিভাগে কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। তবে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সেবায় দুটি আইসিইউ ইউনিট কার্যকর আছে এবং দুদিনের মধ্যে আরো ৯টি ইউনিট পুরোপুরিভাবে চালু হবে।
সিলেটে স্থাপিত করোনা পরীক্ষা যন্ত্রে প্রথম দিনে ৯৩টি নমুনার মধ্যে কারও করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্ত চিকিৎসককে বুধবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ চিকিৎসক হোসাইন জানান, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে একটি আইসিইউ সংযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বজনরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যান।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং পরে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নেন। পরে রাত ১২ টার দিকে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়েছিল।
বুধবার দুপুরে তার আরেক দফা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হলে সিলেটের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার কুর্মিটোলার হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আক্রান্ত সিলেটের এই চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানিয়েছিলেন সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল।
গত রবিবার সিলেটে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রথম আক্রান্ত হিসেবে এই চিকিৎসককে শনাক্ত করা হয়। সেদিন রাতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর বরাত দিয়ে ওই রোগীর কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়ার তথ্য জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।