বিশ্ব
ইউনাইটেডে বিশ্ব হার্ট দিবস পালন
‘ইউজ হার্ট ফর এভরি হার্ট’- এই শ্লোগান নিয়ে এবার পালিত হলো বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২২। এ উপলক্ষ্যে ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড এ হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয় ও দেশের সকল হৃদরোগীদের সুস্থতা কামনা করে দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে সকালে, চিকিৎসক, নার্স অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ইউনাইটেড হসপিটাল, এম এ রশীদ হসপিটাল - জামালপুর এবং মেডিক্স - ধানমন্ডিতে র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালি শেষে আগত রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য হৃদরোগ বিষয়ক স্বাস্থ্য বুথ উদ্বোধন করা হয়। ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস ডা. মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ইউনাইটেড হসপিটালের হৃদরোগ বিভাগের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন এন্ড ডাইরেক্টর কার্ডিয়াক সেন্টার ও স্বনামধন্য হৃদরোগ সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কায়সার নাসরুল্লাহ খান, ডা. ফাতেমা বেগম, ডা. রেয়ান আনিস, ডা. এ এম শফিক এবং সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ও কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাইদুর রহমান, ডা. রেজাউল হাসান এবং ডা. আবুল কালাম মহিউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত
এ সময় ডা. মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইউনাইটেড কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টার হৃদরোগ চিকিৎসায় দেশ সেরা। ১৬ বছর ধরে প্রাইভেট হেলথ সেক্টরে আমরা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আসছি। যার প্রকৃত উদাহরণ হৃদরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা। এখন আমাদের দেশের বেশিরভাগ হৃদরোগী আমাদের দেশেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বাংলাদেশে ইউনাইটেড হসপিটালেই প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট, একমো, ট্রান্সক্যাথেটার এওর্টিক ভাল্ভ ইমপ্লান্ট পদ্ধতির চিকিৎসাসহ অনেক সফলতার গল্প তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্য সেবাকে কি কি উপায়ে আরও সাশ্রয়ী করা যায়। এরই অংশ হিসেবে আমরা ঘোষণা করছি মাত্র ৯৫ হাজার টাকার পিটিসিএ (স্টেন্টিং) প্যাকেজ এবং ২০ হাজার টাকার এনজিওগ্রাম প্যাকেজ। এছাড়া ইউনাইটেড হসপিটালে বর্তমান ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এখন থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকায় ওপেন হার্ট সার্জারি করা যাবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য কার্ডিয়াক সার্জন এবং ইউনাইটেড কার্ডিয়াক সেন্টার এর ডিরেক্টর ডা. জাহাঙ্গীর কবির হার্ট চিকিৎসায় সাশ্রয়ী এই প্যাকেজগুলোর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন- ইউনাইটেড কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টারের হৃদরোগ বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট ও স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এন এ এম মোমেনুজ্জামান এর উত্তরসূরি ডা. সামসুন নাহার, ডা. আফরীদ জাহান, ডা. তুনাজ্জিনা আফরিন হার্টের এই অপারেশনগুলো করবেন।
আরও পড়ুন: ইউনাইটেড এর ১৬ বছর পূর্তিতে সাশ্রয়ী কার্ডিয়াক প্যাকেজের উদ্বোধন
উল্লেখ্য ডা. জাহাঙ্গীর কবির এরই মধ্যে ২৫ হাজারেরই বেশি হার্ট সার্জারি করেছেন। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ৪২ বছর বয়সী এক নারীর হৃদযন্ত্রে মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট করেছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড সপ্তাহব্যাপী সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার মধ্যে বিভিন্ন ক্লাবে ও কর্পোরেট হাউসে সচেতনতামূলক সেমিনার কার্যক্রম, অনলাইন ও ফেসবুক লাইভ ওয়েবিনার এবং বিভিন্ন টেলিভিশনে আলোচনা সভায় ইউনাইটেড কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টারের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের উপস্থিতি ও পরামর্শ প্রদান।
আরও পড়ুন: ইউনাইটেড হসপিটালে হেপাটাইটিস দিবস পালিত
২০০ পরিবেশবাদী কর্মী নিহত ২০২১ সালে: প্রতিবেদন
২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ জন পরিবেশ ও ভূমি প্রতিরক্ষাকর্মী নিহত হয়েছে। এরমধ্যে মেক্সিকোতেই ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা গ্লোবাল উইটনেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে সবচেয়ে মারাত্মক দেশের অবস্থানে নেমে এসেছে দেশটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী লাতিন আমেরিকায় তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এরমধ্যে কলম্বিয়া, ব্রাজিল এবং নিকারাগুয়াতেও মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
মেক্সিকোর জন্য নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির এটি ছিল টানা তৃতীয় বছর যেখানে ২০২০ সালে নিহত হয়েছিল ৩০ জন কর্মী।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘এই অপরাধগুলোর বেশিরভাগই এমন জায়গায় ঘটে যেগুলো নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে এবং অনেক উপায়ে সবচেয়ে কম ক্ষমতার অধিকারীদের ওপর আঘাত করা হয়।’
আরও পড়ুন: সাভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬ বছরের কিশোর নিহত
গ্লোবাল উইটনেস তার প্রতিবেদনটিকে একটি ভিত্তিরেখা ধরে উল্লেখ করে ‘হত্যার বিষয়ে আমাদের তথ্য একটি অবমূল্যায়ন হতে পারে, এই কারণে যে অনেক হত্যার প্রতিবেদন করা হয়নি, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল এবং বিশেষ দেশগুলোর।’
ক্ষতিগ্রস্তরা সম্পদ শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারা গেছে। খনন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিশ্বব্যাপী ২৭ জনের মৃত্যু হয়, যা অন্য যে কোনো সেক্টরের জন্য সবচেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, খনন সংক্রান্ত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ১৫টিই মেক্সিকোতে সংঘটিত হয়েছে।
২০২১ সালের এপ্রিলে পশ্চিম মেক্সিকো রাজ্য জালিস্কোতে, হোসে সান্তোস আইজ্যাক শ্যাভেজকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি স্থানীয় অফিসের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন এবং দীর্ঘকাল ধরে চলমান খনি তার প্রচারণার মূল বিষয় ছিল। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে, তাকে তার গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, যেটিকে একটি পাহাড় থেকে ফেলে দেয়া হয়েছিল এবং তার শরীরে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অস্ত্রধারীরা তাকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে তার নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: নিহত বেড়ে ৬৯
দক্ষিণ-পশ্চিম কলম্বিয়ার আদিবাসী গভর্নর সান্দ্রা লিলিয়ানা পেনা চকু, যিনি ক্যালডোনো ককাতে কোকা ফসল নির্মূলের জন্য লড়াই করেছিলেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তাকে তার বাড়ির কাছে সশস্ত্র লোকরা হত্যা করেছিল। তার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, বেসরকারি সংস্থা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার।
সামগ্রিকভাবে কলম্বিয়ায় পরিবেশ কর্মীদের হত্যার সংখ্যা ২০২১ সালে ৩৩-এ নেমে এসেছে যা আগের বছর ছিল ৬৫। ফিলিপাইন ২০২১ সালেও এমন কম হত্যাকাণ্ড দেখেছিল, ২০২০ সালে ৩০টি থেকে নেমে এসেছে ১৯টিতে।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো’র তথ্যমতে আটজনকে ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ভিতরে হত্যা করা হয়েছিল।
ধারণা করা হয়, এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ১০০ জন ভারী সশস্ত্র প্রাক্তন সদস্যের হামলায় নভেম্বরে কনজারভেশন পার্ক রেঞ্জার চিফ ব্রিগেডিয়ার এতিয়েন মুতাজিমিজা কন্যারুচিনিয়া (৪৮) নিহত হন। তারা কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের বুকিমা গ্রামের কাছে একটি টহল পোস্টে আক্রমণ করেছিল।
ভিরুঙ্গা পার্ক বিশ্বের শেষ কিছু পর্বতীয় গরিলাদের আবাসস্থল, কিন্তু সশস্ত্র দল যেমন ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস ফর দ্য লিবারেশন অর রুয়ান্ডা, যার ফরাসি সংক্ষিপ্ত নাম এফডিএলআর নামে পরিচিত। মাই-মাই এবং এম২৩ পূর্ব কঙ্গোর প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত লড়াই করে।
গ্লোবাল উইটনেস সরকারগুলোকে অ্যাক্টিভিস্টদের সুরক্ষা দিতে আইন প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এবং আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে অবহিত সম্মতি প্রয়োজন। পাশাপাশি সংস্থাগুলোকে তাদের বিশ্বব্যাপী ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে এবং ভূমি রক্ষাকারীদের ওপর আক্রমণের জন্য সহনশীলতা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।
গ্লোবাল উইটনেস-এর সিইও মাইক ডেভিস প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘কর্মী এবং সম্প্রদায়গুলো পরিবেশগত পতনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার প্রথম ধাপ হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেইসঙ্গে এটি প্রতিরোধের প্রচারাভিযানে অগ্রগামী’।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৮, আহত ২৫
অসংক্রামক রোগে প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী ১ জনের মৃত্যু: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী একজন অসংক্রামক রোগে (এনসিডি) মারা যায়। তাদের বেশিরভাগই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর (এলএমআইসি)।
বুধবার প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে এই ৮৬ শতাংশ অকাল মৃত্যুর জন্য এলএমআইসি দায়ী। যদি মানুষ প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও যত্নের সুযোগ পায় তাহলে বেশিরভাগই এড়ানো বা বিলম্বিত হতে পারে।
শতাব্দীর সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এই রোগগুলো একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেগুলো উপেক্ষা করা হয় এবং কম অর্থায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও প্রতিবেদন অনুসারে ‘অদৃশ্য সংখ্যা: অসংক্রামক রোগের প্রকৃত মাত্রা এবং সেগুলো সম্পর্কে কী করতে হবে।’ তা তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়
অসংক্রামক রোগ প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী একজন মানুষ মারা যায় বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তাদের মধ্যে প্রধান হল কার্ডিওভাসকুলার রোগ, যেমন হৃদরোগ এবং স্ট্রোক; ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের অসুস্থতা।
মাত্র কয়েকটি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এনসিডি থেকে অকাল মৃত্যু এক তৃতীয়াংশ হ্রাস করতে বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে রয়েছে।এতে দেখা যায় যে বিশ্ব এই রোগগুলোর প্রকৃত মাত্রার প্রতি মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এনসিডি’র কারণে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি দশ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়, যা বিশ্বব্যাপী সমস্ত মৃত্যুর ৭৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তথ্যগুলো একটি পরিষ্কার চিত্র ফুটে তোলে। সমস্যা হলো যে বিশ্ব এটির দিকে নজর দিচ্ছে না। যদিও মানুষ সহজাতভাবে বুঝতে পারে কেন এনসিডিগুলো ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ… তবুও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের ফলাফলের এই বোঝাপড়াটি জাতীয়ভাবে বা বিশ্বব্যাপী পর্যাপ্ত পদক্ষেপে রূপান্তরিত হয়নি।
‘এই নিষ্ক্রিয়তা আংশিকভাবে বুঝতে ব্যর্থতার কারণে স্বাস্থ্য, ইক্যুইটি এবং অর্থনীতিতে এনসিডি উচ্চমাত্রার রুপ নিচ্ছে।
কার্ডিওভাসকুলার রোগে (হৃদরোগ এবং স্ট্রোক) অন্য যেকোনো রোগের তুলনায় বেশি মারা যায়। বছরে তিনজনের মধ্যে একজন বা প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এনসিডি।
গবেষকরা বলেছেন, ‘হাইপারটেনশনে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ লোক এলএমআইসি-তে বাস করে, কিন্তু উচ্চ
রক্তচাপ আছে এমন প্রায় অর্ধেক লোকও জানে না যে তাদের এটি আছে’।
আরও পড়ুন: মহামারি শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাসে মৃত্যু সর্বনিম্ন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
২০২২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী শহর কোনগুলো?
জানতে চান বিশ্বের কোন কোন শহরে শীর্ষ ধনীরা বসবাস করেন? কোন শহরে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং কত সংখ্যক মিলিয়নিয়ার বসবাস করেন? ২০২২ সালে সর্বাধিক মিলিয়নিয়ারসহ শীর্ষ ১০টি ধনী শহরের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি ‘হেনলি গ্লোবাল সিটিজেনস’ এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া মিলিয়নিয়ারদের ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব এবং সেইসঙ্গে বৈশ্বিক সম্পদ নিয়ে কাজ করা গোয়েন্দা সংস্থা নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথের দেয়া তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৪র্থ
২০২২ সালে কোন শহরে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি আছে?
হেনলি গ্লোবাল সিটিজেনসের রিপোর্ট অনুসারে, নিউইয়র্ক তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ মিলিয়নিয়ার নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। নিউইয়র্কে মাল্টি-মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৭০ এবং দেশটিতে ৫৯ জন বিলিয়নেয়ার আছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ধনী শহরের অর্ধেকই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
২০২২ সালে শীর্ষ ১০টি ধনী শহর
১. নিউইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
২. টোকিও, জাপান (তিন লাখ চার হাজার ৯০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৩. সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়া, ইউএসএ (দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৪. লন্ডন, যুক্তরাজ্য (দুই লাখ ৭২ হাজার ৪০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৫. সিঙ্গাপুর (দুই লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৬. লস এঞ্জেলেস মালিবু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (এক লাখ ৯২ হাজার ৪০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৭. শিকাগো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এক লাখ ৬০ হাজার ১০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৮. হিউস্টন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এক লাখ ৩২ হাজার ৬০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
৯. বেইজিং, চীন (এক লাখ ৩১ হাজার ৫০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
১০. সাংহাই, চীন (এক লাখ ৩০ হাজার ১০০ জন মিলিয়নিয়ার)।
এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যগুলো সম্পদ গোয়েন্দা সংস্থা নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ সরবরাহ করেছে। যা বর্তমানে একমাত্র স্বাধীন গবেষণা সংস্থা, যা নিয়মিতভাবে জাতীয় সীমানা ও শহরগুলোর নাগরিকদের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করে। প্রতিবেদনে শুধুমাত্র প্রতিটি শহরের আবাসিক নাগরিকদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং সম্পদের পরিমাণ মার্কিন ডলারে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও ‘মধ্যম’
অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় ঢাকা ২৯তম
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৪র্থ
বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বাতাসের মান ১৬০। এরমধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
তালিকায় পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং চীনের উহান যথাক্রমে ১৮০, ১৬৯ ও ১৬১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষ তিনটি স্থানে রয়েছে।
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বায়ুর মান ১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ‘অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, এর মান ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে এটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ' বলা হয় এবং মান ৩০১ থেকে ৪০০ থাকলে ‘বিপজ্জনক' বলে বিবেচিত হয়। কারণ এ ধরনের বায়ু সাধারণ মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) এর মতে, বায়ু দূষণের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক সাত মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ফলে মৃত্যুহার বৃদ্ধি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে শিশুদের জন্য সাড়ে ৫৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করবে যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বলেছেন, সকল শিশুর জন্য ১২ বছরের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করাই যুক্তরাজ্যের দারিদ্র্য মোকাবিলা, লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও সংঘাত কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়নের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে, আমরা শিশুদের; বিশেষ করে মেয়েদের ও প্রান্তিক শিশুদের শিক্ষার উন্নতির জন্য আগামী আট বছরে ৫৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত বিনিয়োগ করব।’
ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, তিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করেন যে খেলাধুলা একটি শিশুর শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা মেয়েদের ফুটবল দলের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।’
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন
তিনি বৃহস্পতিবার মেয়েদের ফুটবল দলের জন্য একটি বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যারা শিগগিরই কাতারে অনুষ্ঠিত স্ট্রিট চাইল্ড ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
এই দলটি এমন শিশুদের নিয়ে গঠিত, যাদের সবাইকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এবং তারা এখন ঢাকার স্থানীয় শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা (এলইইডিও) পিস হোমে বসবাস করছে।
এলইইডিও হলো ২০০০ সালে গঠিত একটি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা। এলইইডিও এর লক্ষ্য শিক্ষা, আশ্রয়কেন্দ্র ও জীবনধারা সহায়তার ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্বল পথশিশুদের রক্ষা করা এবং তাদের মূলধারার সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী এসব তরুণ অতিথিরা তাদের রাস্তায় থাকার সময়ের গল্পগুলো ভাগ করে নেন এবং অন্যান্য অসহায় শিশুদের ভবিষ্যত উন্নত করতে অতিথিদের কাছে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে রাজি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড় আকলিমা খাতুন ও হালিমা আক্তারের সঙ্গে দেখা করার এবং তাদের আসন্ন বড় এই ম্যাচ সম্পর্কে পেশাদার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে তারা উচ্ছ্বসিত।
এসময় তারা তাদের ফুটবলের দক্ষতা দেখায় এবং ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি ‘কিপি-আপপি’ প্রতিযোগিতার জন্য চ্যালেঞ্জ জানায়!
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম প্রমুখ।
এলইইডিও-এর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, রাস্তার বিপদ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত শিশুদের রক্ষা করার জন্য তাদের সবাইকে একসঙ্গে তাদের আওয়াজ তুলতে হবে যাতে তারা একটি উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, ইএনসিআরসি অনুসারে সকল শিশুরই মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। ‘আমি ব্রিটিশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এলইইডিও-এর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তায় ৫ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিল যুক্তরাজ্য
ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং একইসঙ্গে স্বাস্থ্য গবেষণায় আরও জোরালোভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার ভুটানের পারো শহরে শুরু হওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত পাঁচদিনব্যাপী সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিওনাল অর্গানাইজেশনের (এসইএআরও ) আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পাঁচদিনব্যাপী এই আঞ্চলিক সভায় সদস্য দেশগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কৌশল অন্যদেশে কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে কার্যকরভাবে ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
দেশগুলো ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ করবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সভার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
আরও পড়ুন:অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় এসইএআরও ভুক্ত ১০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের মধ্যে আটটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় প্রথম দিনের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
সভায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা ও সার্বিক পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
তারা হচ্ছেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, উপ-সচিব খন্দকার জাকির হোসেন, উপ-সচিব মোহাম্মদ শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মেখালা সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আরাফাতুর রহমান।
আরও পড়ুন:দেশে প্রতিদিন যক্ষায় ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গঠনে এগিয়ে আসতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেছেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিবছর হাজার হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে, এতে প্রতিবছরই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিয়ানমার যেহেতু এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে তার সঙ্গে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত নোয়েলিন হেজার সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে বলপূর্বক ব্যস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনার সময় প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। আলোচনায় ব্যস্তুচ্যুত এ সকল মিয়ানমার নাগরিককে সহায়তা দানে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে এ সকল নাগরিকদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিস্কাশন ইত্যাদি বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সমর্থনে আইনি পদক্ষেপ
প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যাতে হাতে-কলমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদেরকে কারিগরি ও অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দুত বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা যেন মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদে নাগরিক অধিকারসহ তাঁদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সেলক্ষ্যে আসিয়ানসহ তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে আসার আগে তিনি মিয়ানমার ভ্রমণ করেন এবং এ সকল নাগরিকদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্যস্তুচ্যুত এ সকল মিয়ানমার নাগরিকরা যেন যথাযথ যাচাইকরণের মাধ্যমে তাঁদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সেলক্ষ্যে অবশ্যই সর্ব্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যেতে হবে। তাঁর এ সফরের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সঠিক তথ্য প্রদান এবং দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যেমে সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দ্রুত টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্ব ‘পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে: জাতিসংঘ মহাসচিব
ইউক্রেনের যুদ্ধ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক হুমকি এবং অন্যান্য অনেকগুলো কারণের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিব সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, ‘মানব জাতি পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে।’
আন্তোনিও গুতেরেস পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং একটি পরমাণু অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব অর্জনের লক্ষ্যে দীর্ঘ বিলম্বিত এনপিটি রিভিউ’ সম্মেলনের উদ্বোধনী ব্ক্তব্যে এই ভয়ানক সতর্কবাণী দিয়েছেন।
পাঁচ বছর অন্তর ‘পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ সংক্রান্ত চুক্তি বা অ-প্রফ্লফ্রেশন চুক্তি (এনপিটি) রিভিউ’ সম্মেলনে ঐতিহাসিক এই চুক্তির অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধের পাশাপাশি এই চুক্তির আওতায় পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও তরান্বিত করা হয়। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে নির্ধারিত সময়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হয় নি। বাধ্য হয়ে সম্মেলনের দিনক্ষণ ২০২২ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে হয়েছিল।
ক্রমবর্ধমান পরমাণু হুমকি ও পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রধান এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতারা এনপিটি সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে এ চুক্তির অগ্রগতি ও বাস্তবায়নের জন্য নেয়া ভবিষ্যতের পদক্ষেপ সম্পর্কে পর্যালোচনা করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তার সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে; ইরান তার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিটি গ্রহণ করতে ‘হয় অনিচ্ছুক বা অক্ষম’ এবং রাশিয়া ‘ইউক্রেনে বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র দেখিয়ে আস্ফালন করছে।’
আরও পড়ুন: কাউকে পেছনে না ফেলে ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী তৈরির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বলা সতর্কবাণীর কথা উল্লেখ করেন। যেখানে পুতিন বলেন, ‘আপনারা কখনও চিন্তাও করেননি এমন পরিণতি’ ঘটবে।’
পুতিন জোর দিয়ে বলেন,তার দেশ ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু শক্তিগুলোর মধ্যে একটি।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, পুতিনের এই ধরনের কথা ১৯৯৪ সালে সোভিয়েত যুগের পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করার সময় ইউক্রেনকে দেয়া তার সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার আশ্বাসের পরিপন্থী।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ২০১৫ সালে শেষ এনপিটি সম্মেলনের পর থেকে বিশ্বে বিভক্তি আরও বেড়েছে।
কিশিদা আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি ‘বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক রাশিয়াকে ১৯৯৪ সালে ইউক্রেনকে দেয়া আশ্বাস ‘নিষ্ঠুরভাবে লঙ্ঘন’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, দুর্বল প্রতিবেশিকে আক্রমণের পর থেকে মস্কোর ‘বেপরোয়া পরমাণু হুমকি ’ ‘এনপিটির পাঁচ দশকে অর্জন করা সমস্ত কিছুকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।’
সোমবার এনপিটি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে এর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিনকেও পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে সতর্কতার কথা বলতে দেখা যায়।
পুতিন বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে পারমাণবিক যুদ্ধে কোনোদিন জয়লাভ করা যায় না এবং কখনই এই লড়াই করা উচিত নয় এবং আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সকল সদস্যের জন্য সমান ও অবিচ্ছেদ্য সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাবো।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পুতিন বলেন, তার দেশ এনপিটি’র ‘প্রতিটি অক্ষর ও চেতনা মেনে চলে’ এবং তিনি আশা করেন যে সব পক্ষই তাদের প্রতিশ্রুতি কঠোরভাবে মেনে চলবে। এবং বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এই সম্মেলনে ‘গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গিকার’ করবে।
সম্প্রতি ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়া জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করেছে এবং এটিকে ইউক্রেনীয়দের ওপর আক্রমণের জন্য একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন,‘তারা (রাশিয়া) জেনেশুনেই এটা করছে। তারা জানে ইউক্রেন এখানে পাল্টা গুলি ছুঁড়তে পারবে না, কারণ তাদের (ইউক্রেনের সেনারা) আঘাত দুর্ঘটনাক্রমে তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকা পারমাণবিক চুল্লিতে আঘাত করতে পারে।’
যদিও এনপিটি-তে রাশিয়ার প্রতিনিধিদল সোমবার রাতে একটি বিবৃতি জারি করে ব্লিঙ্কেনের এই যুক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
বিবৃতিতে তারা জানায়, রাশিয়া জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টকে একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে না এবং শুধুমাত্র ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেখানে সীমিত সংখ্যক সার্ভিসম্যান আছে।’
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, ইউক্রেনের সংঘাত ‘এত গুরুতর যে একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘর্ষ বা দুর্ঘটনার ভীতি আবার ভয়ঙ্কর করে জাগিয়ে তুলেছে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক প্ল্যান্টে ‘পরিস্থিতি দিন দিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে’।
এছাড়াও তিনি আইএইএ’র সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একটি দল নিয়ে ওই প্ল্যান্টে তাকে পরিদর্শনে যেতে সাহায্য করার জন্য সব দেশকে অনুরোধ করেন।
গুতেরেস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হলে জড়ো হওয়া অনেক মন্ত্রী, কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের বলেন, ‘কোল্ড ওয়ারের পর থেকে সর্বোচ্চ পরমাণু সংকটের সময়ে মাসব্যাপী পর্যালোচনা এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সম্মেলনটি ‘কিছু নির্দিষ্ট বিপর্যয় এড়াতে ও মানবতাকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দারুণ সুযোগ।’
গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।’ বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৩ হাজার পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এবং ‘মিথ্যা নিরাপত্তা’ চাওয়ার অজুহাতে অস্ত্রধারী এসব দেশ ‘ধ্বংসকারী এসব অস্ত্রের’ জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় বহুমুখী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে: জাতিসংঘ
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩৫ তম
বায়ুর গুণমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে রয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ৫৩ রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এখন ৩৫ তম।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে বাতাসের গুণমান গ্রহণযোগ্য, তবে কিছু মানুষের জন্য 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
চিলির সান্তিয়াগো, পাকিস্তানের লাহোর এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ যথাক্রমে ১৬০, ১৪৪ ও ১৩৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে মোটামুটি উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল ‘ইট ভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলো’।
শীতের আগমনের সাথে সাথে নির্মাণ কাজ, রাস্তা, ইটভাটা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও জটিল রোগ সৃষ্টির কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান করে নিয়েছে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তির হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বায়ুর গুণমান সূচকে ঢাকার স্কোর ৬০
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর