পাকিস্তান
পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আর ছাড় নয়, পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না। তাদের হাতে দেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ,উন্নয়ন কিছুই নিরাপদ নয়।’
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লড়াই করে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের
বিএনপির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে: কাদের
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধে ৩ সেনাসদস্য ও ২ বিদ্রোহী নিহত
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি অশান্ত প্রদেশে অভিযান পরিচালনাকারী দেশটির সেনাসদস্যদের ওপর বিদ্রোহীরা হামলা চালায়। এতে তিন সৈন্য ও দুই বিদ্রোহী নিহত হয়।
বিষয়টি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা ও সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে যে বুধবার বেলুচিস্তানের সুই জেলায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, যেখানে দেশটির প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান পাইপলাইন অবস্থিত।এই হামলার পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে পূর্বে এই ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ বন্দুকযুদ্ধে নিহত
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দুকযুদ্ধের পর পালিয়ে যাওয়া বিদ্রোহীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বেলুচিস্তানের জোব জেলার একটি নিরাপত্তা চৌকিতে পাঁচ জঙ্গি হামলায় ৯ জন সৈন্য নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সুইতে সহিংসতা শুরু হয়।
বেলুচিস্তানে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ধরনের ছোট বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর নিম্নস্তরের বিদ্রোহের দৃশ্য দেখা যায়। বেলুচ জাতীয়তাবাদীরা প্রথমে প্রাদেশিক সম্পদের একটি অংশ চেয়েছিল, তবে পরে তারা স্বাধীনতার জন্য বিদ্রোহ শুরু করে।
যদিও পাকিস্তান বলছে যে তারা বিদ্রোহ দমন করেছে, তবে প্রদেশটিতে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহরে চলমান বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের জন্য ১ হাজার ৫০০ কেজি বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মৌসুমি আম শুভেচ্ছাস্বরূপ পাছিয়েছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ইসলামাবাদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার আমগুলো ১০ জুলাই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রোটোকল কর্মকর্তার নিকট বাংলাদেশ হাইকমিশন ইসলমাবাদের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ শুভেচ্ছা উপহার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদের সঙ্গে গৃহীত হয়।
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
আরও পড়ুন: জিআই স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম
ঠাকুরগাঁওয়ে উৎপাদিত আম ইউরোপে রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন
১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
সম্পর্ক উন্নয়নে ১৯৭১ সালে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পবিত্র হজ পালনের সময় সৌদি আরবের মদিনায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে এ কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
সোমবার (৩ জুলাই) এক টুইটে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে মসজিদে নববীতে একটি আনন্দঘন সাক্ষাৎ হয়েছে। আমার ১২ বছর বয়সে আমাদের শেষ দেখা হয়েছিল। এই সাক্ষাতে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি তাকে বলেছি, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি করতে ১৯৭১ সালে যা ঘটেছিল তার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন। আমরা পবিত্র নগরীতে মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনা করেছি।’
অন্য এক টুইটে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার মক্কা, মিনা ও মদিনায় ‘ভালো আলাপ’ হয়েছে।’
টুইটে সালমান এফ রহমানকে বাল্যবন্ধু হিসেবে অভিহিত করে আরিফ আলভি বলেন, ‘দুই বন্ধুর এই সাক্ষাৎ হয়েছে ৬০ বছর পর।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
পাকিস্তান-রাশিয়া নয়া সম্পর্ক: এক দেশভিত্তিক সম্পর্ক আর নয়
সম্প্রতি পাকিস্তান ও রাশিয়া বন্ধু হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কারণগুলোও অতি সহজ।
প্রথমত- রাশিয়াকে পণ্য বিক্রি করতে হবে।
দ্বিতীয়ত- পাকিস্তানকে দ্রুত ও সস্তা পণ্য কিনতে হবে।
রাশিয়া জুনের মাঝামাঝি করাচি বন্দর দিয়ে পাকিস্তানে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করেছে। পাকিস্তানে ১ লাখ মেট্রিক টন রাশিয়ান অশোধিত তেল পাঠানোর জন্য এপ্রিল মাসে এ চুক্তিটি করা হয়েছিল।
চুক্তির রাজনীতি
বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বলয়ের বাইরেও এই চুক্তির প্রভাব রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে যা কিছু ঘটে, তার একটি ভারতীয় দিক থাকে। এটি চুক্তিটিও ভিন্ন নয়। রাশিয়া পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অংশ নয়, তবে তারা ভারতের ঘনিষ্ট।
কিছু সূত্রের তথ্যমতে, এই সম্পর্কটি (ভারত-রাশিয়া) নাকি চাপের মধ্যে আছে। এগুলো মূলত মার্কিন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সংসদীয় গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
পরিস্থিতি থেকে আরও বোঝা যাচ্ছে, আজীবনের বন্ধু বা ‘আমার বন্ধু, তোমার মিত্র’- টাইপ ভাবনার মডেলের সংস্কার চলছে; পরিবর্তন এসেছে।
সুন্দরভাবে যেটিকে ‘গ্লোবাল সাউথ’ বলা হয়, সেখানকার নেতা ও মানুষেরা এতটাই বোকা না যে তারা সবকিছু মেনে নেবে। এমনকি এখন তারা পশ্চিমসহ কোনো ব্লকের প্রতি স্থায়ী আনুগত্যে বিশ্বাস করে না।
মস্কো, পশ্চিম, বেইজিং এবং এমনকি বহিরাগত এলিয়েনও যদি এগিয়ে আসে, অনেকে তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরির জন্য আগ্রহীI আর ইউক্রেন যুদ্ধ এই প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করেছে।
রাশিয়া ও পাকিস্তান ছিল স্নায়ুযুদ্ধে একে অন্যের ঘোর শত্রু। বিশেষত ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, যখন রাশিয়া ভারতকে সমর্থন করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে।
অন্যদিকে, চীন সেসময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন বন্ধু ও মিত্রদের সন্ধানে ব্যস্ত ছিল। সেসব পুরনো কথা।
দৌড়ের ওপর কঠিন সিদ্ধান্ত
তবে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে সম্পর্ক একটু ভাল হয়েছিল, কারণ তাদের যৌথ স্বার্থ ছিল। অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদ দমন এবং তালেবানের সঙ্গে পুনর্মিলনের বিষয়।
২০২২ সালে যখন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মস্কো সফর করেন, তখন এজেন্ডার শীর্ষে ছিল তেল বা এনার্জি।
ততক্ষণে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। এতে বিশ্বজোড়া সম্পূর্ণ নতুন একটি জগাখিচুড়ি তৈরি হয়েছে এবং এর ফলাফল এখনও অস্পষ্ট।
কিন্তু পরিস্থিতি অনিশ্চিত হওয়ার কারণেই ছোট/দুর্বল দেশগুলো দৌড়ের ওপর খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে।
পাক-রাশিয়া এপ্রিলের তেল চুক্তিটিকে ‘ট্রায়াল রান’ বলা হয়েছিল, তবে স্পষ্টতই তেলের ড্রামে এর চেয়ে আরও বেশি কিছু রয়েছে।
স্পষ্টতই পাকিস্তান রাশিয়ান অপরিশোধিত দিয়ে তার ট্যাঙ্কের এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করার পরিকল্পনা করছে, যার অর্থ তারা শুধুমাত্র মধ্যেপ্রাচের তেলের ওপর নির্ভর করতে চায় না, যা বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা নতুন হিসাব-নিকাশ তৈরি করছে।
অন্যদিকে, রাশিয়াও ‘দিল’ খুলে বন্ধুত্বের বোতলে তেল ঢালছে।
এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৭৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ উর্দুতে ‘পাকিস্তান-রাশিয়া সম্পর্ক দীর্ঘজীবী হোক’- বলে তার বক্তৃতা শেষ করেন।
এ নিয়ে টলস্টয় কি ভাববেন সেটা জানা যায় নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে অর্থনীতির সব খাতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে: প্রতিবেদন
ভারতকে কি একটু চিন্তায় ফেলেছে?
রাশিয়া ও চীনের বন্ধুত্বের বিষয়টি প্রাক্তনের সঙ্গে রোম্যান্স পুনরুজ্জীবিত করার একটি ক্লাসিক উদাহরণ। একইসঙ্গে উভয়ই একসময় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ব্লকের অংশ ছিল, যা ১৯৬১ সালে ভেঙে যায়।
তবে সম্পর্কের মেরামত চলছে এবং উভয়ই অস্ত্রের বিষয় নিয়ে কথা বলছে। এটাই নয়াদিল্লিকে কিছুটা উদ্বিগ্ন করছেI সে আশঙ্কা করছে যে মস্কো তার নতুন প্রেমিক চীনকে বেশি পছন্দ করতে পারে এবং তার সঙ্গে অস্ত্র সহযোগিতা কমাতে পারেI
তবে এটি এখনও ঘটেনি, যদিও মার্কিনিরা খুব আশাবাদী যে অচিরেই এমনটা ঘটবে।
নতুন অংক, পুরনো শত্রু
ভারত বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার নয়া মাখামাখি’র ভবিষ্যত সম্পর্কে সতর্কI তবে তারা বলছে যে এটি পাকিস্তান বা ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের পুনর্বিন্যাস নয় এবং মস্কো ও ইসলামাবাদের মধ্যে সমীকরণ ইতিবাচক; তবে দীর্ঘস্থায়ী হওয়া সম্ভব নয়।
কারণ পাকিস্তানের পকেট ছিঁড়ে গেছে এবং তারা মস্কোকে বেশিদিন অর্থ দিতে পারবে না; কারণ তার (রাশিয়ার) নিজের পকেটও মেরামত করা যথেষ্ট প্রয়োজন।
তবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হতে পারে যে রাশিয়ার সঙ্গে খুব বেশি প্রণয় করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে নিয়ন্ত্রণ করে। আর পাকিস্তানের এখন তাদের ভীষণ প্রয়োজন।
সুতরাং, পশ্চিমা দেশগুলো যে তেলের দাম নির্ধারণ করেছে, পাকিস্তানকে তা মেনে চলতে হবেI না হয় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
মার্কিন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে নগদ টাকার ঘাটতির কারণে রাশিয়া আর নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী নয়, কিন্তু ভারত এই খেলায় পুরানো পাপী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ালেও ভারত এখনও রাশিয়ার সঙ্গে একটি ‘সব সময়ের বন্ধু’-মার্কা পোজ দিচ্ছে।
কারণ ভারত নিশ্চিত হতে চায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত বিয়েতে গেলে সে রাশিয়ার চেয়ে ভাল পার্টনার পাবেI তবে ভারত নিশ্চয়ই শিশু বা কিশোরীর মতো মালাবদলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে না, কারণ এতে অর্থ জড়িত; আর এটাই আসল কথা।
এখন দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশই আর কোনো সরবরাহকারী কাম সুপার পাওয়ারের সঙ্গে একচেটিয়া সম্পর্ক করার চুক্তিতে যাচ্ছে না। সব দরজা খোলা রাখতে চায় সবাইI আর এটা শুধু ভারত ও পাকিস্তানই করছে, এমন না।
বাংলাদেশ যেমন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অনুমোদিত কয়েক ডজন রুশ জাহাজ তার বন্দরে ভিড়তে বাধা দিয়েছে, অন্যদিকে আবার রাশিয়ার সঙ্গে চীনা মুদ্রায় লেনদেন অব্যাহত রেখেছে।
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: রাশিয়ার থ্রিডি-প্রিন্টেড রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ!
তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
আশঙ্কা করা হচ্ছে এই সপ্তাহের শেষের দিকে ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলে আঘাত হানবে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি এ অঞ্চলের জন্য এই বছরের প্রথম তীব্র ঘূর্ণিঝড়। তাই কর্তৃপক্ষ সব ধরনের মাছ ধরার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এবং উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করেছে।
আরব সাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ এবং ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের উপকূলরেখা বরাবর ধেয়ে আসছে।
আগামী বৃহস্পতিবার এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যানুসারে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
ঝড়ের গতিপথে থাকা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল এবং শহরগুলোতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভবত পাকিস্তানের করাচির পাশাপাশি গুজরাট রাজ্যের ভারতের দুটি বৃহত্তম বন্দর মুন্দ্রা ও কাণ্ডলাকে প্রভাবিত করবে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষীরাও প্রস্তুতিতে সহায়তা করছে।
প্যাটেল বলেন, প্রয়োজনে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্যোগের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর
পাকিস্তানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত সমন্বয় মন্ত্রী শেরি রেহমান বলেছেন, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশের সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের অবিলম্বে বিমান ও পণ্যসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
গত বছর ভয়াবহ বন্যায় ১ হাজার ৭৩৯ জন মারা যাওয়ার এবং ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হওয়ার পর থেকে বিপর্যয়ই প্রথম মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় যা পাকিস্তানে আঘাত হানার শঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আরব সাগর অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি আরও জরুরি হয়ে পড়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের আর্থ সিস্টেম সায়েন্টিস্ট রঘু মুর্তুগুড্ডে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র ইতোমধ্যেই উষ্ণ হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে আরব সাগরের তাপমাত্রা প্রায় ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২ দশমিক ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেড়েছে। এই বছরের মার্চ থেকেই তীব্র ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ফ্রিকোয়েন্সি, সময়কাল ও তীব্রতা ১৯৮২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে উষ্ণ জলবায়ুতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়বে।
২০১৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকারি প্যানেলের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ১৯৫০ সাল থেকে ভারত মহাসাগরে সমুদ্র পৃষ্ঠের উষ্ণতা সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন কাউন্সিলের সদস্য এবং ইসলামাবাদভিত্তিক সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আবিদ কাইয়ুম সুলেরি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেবল বাড়বে এবং এড়ানো যাবে না। বিশেষ করে করাচি, মুম্বাই, ঢাকা ও কলম্বোর মতো দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ উপকূলীয় শহরগুলোর জন্য আরও ভাল প্রস্তুতি এবং উন্নত নীতিমালা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে; যা জীবন ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।’
২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় তাকতাই ছিল সর্বশেষ মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়, যা একই অঞ্চলের স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল। সেই ঘূর্ণিঝড়ে ১৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং ১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শনিবার বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়ে এবং কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও ১৪৫ জন আহত হয়।
জ্যেষ্ঠ উদ্ধার কর্মকর্তা খাতের আহমেদ বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে; গাছ উপড়ে গেছে এবং বৈদ্যুতিক সঞ্চালন টাওয়ার ভেঙে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তারা আহতদের জরুরি ত্রাণ দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
গত বছর বর্ষায় বৃষ্টি ও বন্যায় পাকিস্তানে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, প্রায় ৩৩ মিলিয়ন মানুষ দুর্যোগের কারণে প্রভাবিত হয় এবং প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সরকার শুক্রবার উপস্থাপিত জাতীয় বাজেটের খসড়ায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ তৎপরতার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
পাকিস্তানে লোডশেডিং: সরকারের পক্ষে অবস্থান পাক জ্বালানি মন্ত্রীর
বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে অর্থনীতির সব খাতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে: প্রতিবেদন
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডেইলি জং এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে অর্থনীতির সব খাতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট পেশ করেছে এবং জিডিপির হার ৭.৫ শতাংশ। যেখানে পাকিস্তানের জিডিপির হার মাত্র ৩.৫ শতাংশ এবং মুদ্রাস্ফীতি ২১ শতাংশ।
দৈনিক জং হল একটি উর্দু সংবাদপত্র যার সদর দপ্তর পাকিস্তানের করাচিতে।
দৈনিক জং এর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নতুন অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের কাছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম এবং তাও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে।
স্বাধীনতার পর ৫২ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে পাকিস্তানের রপ্তানি এখনও ৩১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পাকিস্তানের ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তান মাত্র ২১.৫বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রপ্তানি ও পরিষেবা দিতে সক্ষম, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
অন্যদিকে, পাকিস্তানি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল জিও নিউজ সম্প্রতি জানিয়েছে যে পাকিস্তান তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে ভুগছে, যা দেশটির জনগণকে বিপাকে ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দুর্বল আর্থিক সংকট দেশকে গ্রাস করেছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় কম বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহের কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধসহ অনিশ্চিত বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিবেশ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
মন্ত্রণালয় তার মাসিক আউটলুক বুলেটিনে জানিয়েছে, মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৩৪-৩৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করেছে।
আরও পড়ুন: ৭১-এ গণহত্যা বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনী প্রসঙ্গে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরে
পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
জিন্নাহ হাউস হামলা মামলা: ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ৯ মে লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউসে (জিন্নাহ হাউস) হামলার বিষয়ে একটি জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম (জেআইটি) তলব করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাঞ্জাব সরকারের গঠিত জেআইটি খানকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় কিল্লা গুজ্জার পুলিশ সদর দপ্তরে তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য ডেকেছে।
সারোয়ার রোড থানায় ওই হামলার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার জেরে এই সমন জারি করা হয়েছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকাকালীন জিন্নাহ হাউসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারী হামলাকারীদের সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
লাহোর ডিআইজি (তদন্ত) কামরান আদিলের জারি করা সমন নোটিশটিতে বলা হয়েছে, ‘জেটিআই’র কাছে হস্তান্তর করা তদন্তে অংশ নেওয়ার জন্য ইমরান খানকে ডিআইজি তদন্তের অফিসে উপস্থিত হতে হবে।’
লাহোরের পুলিশ প্রধান বিলাল সিদ্দিক কামিয়ানা ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামলায় তার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জানতে ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া এফআইআর-এ আরও বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতাকর্মীর নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করায় পিটিআই’র বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলছে: ইমরান খান
লাহোরের এসএসপি (তদন্ত) ড. আনুশ মাসুদ চৌধুরী কোট লাখপত কারাগার পরিদর্শন করার পরে ইমরান খানকে তলব করা হয়েছে। যেখানে (কোট লাখপত কারাগারে) পিটিআই নেতা ড. ইয়াসমিন রশিদ এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ফ্যাশন ডিজাইনার খাদিজা শাহ রয়েছেন।
ইমরান খানের তত্ত্বাবধায়ক পাঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে পিটিআই-এর কারাবন্দী নারী সমর্থকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগের পর এই সফর করা হয়।
পিটিআই নারী রাজনৈতিক বন্দীদের ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘আমি পিটিআই নারী রাজনৈতিক বন্দীদের ধর্ষণের কথা শুনেছি।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেন নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমের বরাতে ভারতের গণমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তান ডেইলি টুইট জানিয়েছে, ‘আইকে (ইমরান খান) নো ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে।’
পাকিস্তান ডেইলি দেশটির একটি ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল, যা প্রধানত পাকিস্তানের রাজনৈতিক আপডেট সম্পর্কে রিপোর্ট করে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে মুক্তির নির্দেশ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের
তবে ইমরান খানকে নো-ফ্লাই তালিকায় যুক্ত করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন যে সরকার ৯মে সংঘটিত ঘটনার জন্য পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে।
ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খাজা আসিফ বলেন, ‘এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে অবশ্যই পর্যালোচনা চলছে।’
ডন জানায়, তিনি (খাজা আসিফ) ৯মে পাকিস্তানজুড়ে সামরিক স্থাপনায় ভাঙচুরকে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের করা পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘সমন্বিত হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে, ডন জানিয়েছে যে পুলিশ বিভাগ প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির তিনজন প্রাক্তন সদস্যসহ ২৪৫ জন পিটিআই কর্মীর নাম ফেডারেল সরকারের কাছে প্রভিশনাল ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন লিস্টে (পিএনআইএল) অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠিয়েছে, যাতে তারা দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
ডন বৃহস্পতিবার লিখেছে, রাওয়ালপিন্ডি জেলা পুলিশ তাদের ওয়ান্টেড তালিকায় প্রায় ৩১৯ জনের নাম দিয়েছে এবং ফেডারেল তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) হেফাজতে থাকা ২৪৫ জন পিটিআই কর্মীর নাম পাঠিয়েছে। বাকি ৭৪ জনকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ডন পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান মিডিয়া হাউস, যা পাকিস্তান সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো রিপোর্ট করে।
ডন জানিয়েছে, মঙ্গলবার লাহোর পুলিশ ৭৪৬ পিটিআই নেতার বিদেশ ভ্রমণে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্যে নো-ফ্লাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের অনুরোধের পরে, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এমন পিটিআই কর্মীদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯১।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে ২ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট
ডন একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছে, পিএনআইএল-এর অধীনে পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ৩০ দিনের জন্য দেশের বাইরে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মামলা পর্যালোচনা করে পুলিশ ৯ মে সহিংসতার সময় ও পরে আটক ২৪৫ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। বিমান, স্থল বা সমুদ্রপথে তাদের ভ্রমণ সীমিত করার জন্য এই নামগুলো এফআইএ-তে পাঠানো হয়েছিল।
ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, যাদেরকে পুলিশ এখনও খুঁজছে, কিন্তু এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি তাদের মধ্যে রয়েছেন- পিটিআই-এর সাবেক এমপি রশিদ হাফিজ, শেখ রশিদের ভাগ্নে; ফাইয়াজুল হাসান চোহান, যিনি আগে গ্রেপ্তার হয়ে পরে মুক্তি পেয়েছিলেন এবং উমর তানভীর বাট।
ডন জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারকে দেওয়া তথ্যানুসারে জানানো হয়েছে যে জিএইচকিউতে হামলার সঙ্গে জড়িত ৩১ জন সন্দেহভাজনকে আরএ বাজার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, পুলিশের তালিকায় ২৭ জন ওয়ান্টেড রয়েছে।
ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য এবং জিও-ফেন্সিংয়ের মাধ্যমে সহিংস বিক্ষোভে জড়িত পিটিআই সমর্থকদের চিহ্নিত করার পরে পুলিশ অস্থায়ী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছিল।
নগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিপিও) সৈয়দ খালিদ হামদানীর তত্ত্বাবধানে পুলিশের তদন্ত দল জিএইচকিউ হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ২৩ জনের শনাক্তকরণ প্যারেড সম্পন্ন হয়েছে।
ডন জানিয়েছে, ৯ মে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে, পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (এটিএ) ধারা ৭ এর অধীনে নথিভুক্ত সন্ত্রাস-সম্পর্কিত মামলাগুলোর তদন্ত করার জন্য একটি যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) গঠন করার জন্য পাঞ্জাব স্বরাষ্ট্র বিভাগকেও অনুরোধ করেছে।
এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এদিকে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে পুলিশের দুটি পৃথক দল, প্রতিটি পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে, পাঞ্জাব এবং কেপি থেকে পিটিআই নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য গঠন করা হয়েছে।
ক্যাপিটাল পুলিশ পিটিআই নেতাদের নাম পিএনআইএল এবং এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে (ইসিএল) রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও অনুরোধ করেছে, যারা ২০২২ ও ২০২৩ সালের মে মাসে সহিংসতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান