বাংলাদেশি
দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
দক্ষিণ সুদানে মঙ্গলবার অপহৃত এক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক মো. আশেকুর রহমান, দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশনে (ইউএনএমআইএসএস) ব্যক্তিগত পুলিশ কর্মকর্তা (আইপিও) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক(মিডিয়া) মো. মঞ্জুর রহমানের সই করা একটি পুলিশ মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আশেকুরকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিয়ে টহল দেওয়ার সময় একটি স্থানীয় অপহরণকারী দল তাকে অপহরণ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং এখন অন্যান্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মালিতে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় মার্কিন দূতাবাসের দুঃখ প্রকাশ
মালিতে আইইডি বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় এক কর্মচারীকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি
নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মচারী শনিবার এক অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হন। সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
‘বৈশাখী রেস্তোরাঁ’র ভেতর থেকে নজরদারি করা ভিডিওতে কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত রেস্তোরাঁটিতে শিশুসহ লোকজনকে দেখা যায়, যারা খাবারের জন্য বসে অপেক্ষা করছিলেন। একজন বন্দুকধারী গুলি চালানোর পর তারা রেস্তোরাঁ থেকে ছুটে পালিয়ে যান।
রেস্তোরাঁর মালিক আবু তাহের সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমাদের রেস্তোরাঁর ভেতরে অনেক গ্রাহক ছিল। প্রথমবার গুলি ছোঁড়ার পর সে কিছুটা সরে যায়, তারপর সে আমার কাউন্টারের পেছনে গিয়ে আমার একজন কর্মচারীকে গুলি করে।’
তাহেরের মতে, মাস্ক ও লাল হুডযুক্ত সোয়েটশার্ট পরা বন্দুকধারী তিনটি গুলি ছুঁড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (হামলাকারী) কিছু বলেননি, এসে শুধু গুলি করে পালিয়ে যান।’
তার ছোঁড়া তিনটি গুলির মধ্যে একটি রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীর উরুর উপরের অংশে লাগে।
পুলিশ বলছে, বন্দুকধারী দৌঁড়ে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে সুপারমার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১০
যদিও হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে, তবে সূত্র জানায়, এই সপ্তাহের শুরুতে ওই বন্দুকধারী দোকানের একজন কর্মচারীর সঙ্গে তর্ক করেছিল।
অন্যদিকে, ভাঙা কাঁচ, বুলেটের ছিদ্র এবং অর্ধ-খাওয়া খাবার ফেলে পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর জন্য একটি ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটি ওই রেস্তোরাঁর মালিকের ব্যবসাতেও প্রভাব ফেলবে।
তাহের সিবিএসকে বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভীত। আপনারা জানেন, আমার ব্যবসাটি খুব ছোট।’
তিনি আরও বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে একটি ছোট ব্যবসা চালাতে আমি সত্যিই ভয় পাই। আসলে এটি (নিউইয়র্ক সিটি) নিরাপদ নয়। আমরা নিরাপদ নই। আমাদের জীবন নিরাপদ নয়।’
বৈশাখী রেস্তোরাঁ ৩৬নং এভিনিউ ও ২৯নং স্ট্রিটের পাশের অ্যাস্টোরিয়া পাড়ায় অবস্থিত। এর আগে সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবারের জন্য দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এটির সম্পর্কে ফিচার প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে সেবামূলক পরিষেবার জন্য রেস্তোরাঁটি ‘স্পেশাল কংগ্রেসনাল রিকগনিশন’ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে রেলস্টেশনে ৫ জন গুলিবিদ্ধ
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য হটলাইন
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য বা অনুসন্ধানের জন্য একটি হটলাইন খোলা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।
আরও তথ্য জানার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে +৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ (হোয়াটসঅ্যাপ) নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ওড়িশার ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর সুধাংশু সারঙ্গি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছে: ডেপুটি হাইকমিশন
তিনি বলেন, আহত ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছে: ডেপুটি হাইকমিশন
ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন দেশটিতে শনিবারের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি যাত্রীর সামান্য আহত হওয়ার খবর পেয়েছে। একজন কূটনীতিক ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আহত বাংলাদেশিদের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, হাইকমিশনের একটি দল দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
ভারতে গত রাতে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ২৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনায় এক ডজনেরও বগির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন আরও শতাধিক মানুষ।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৫০ কিশোর-কিশোরী
আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে এবং ভালো কাজের আশায় অবৈধ পথে ভারত গিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরল ৫০ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সন্ধ্যায় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহাবুবুর রহমান প্রমূখ।
ফেরতআসাদের মধ্যে কিশোর ২৮ জন ও কিশোরী ২২ জন। তাদের মধ্যে ৪৬ জনের বয়স ৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে এবং বাকি চারজনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা তারা।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৫ বাংলাদেশি
ফিরে আসারা জানায়, তারা বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছে। দুই দেশের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরেছে। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে তিনটি এনজিও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যাবে।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার কাউন্সিলর তুসিতা চাকমা ওই কিশোর কিশোরীদের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায়, আবার কেউ আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে তারা ভারতে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর আজ তারা দেশে ফিরে এসেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবীব বলেন, পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্তের অবৈধপথে ভারতের কলকাতার বিভিন্ন শহর এলাকায় গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশার কাজ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। পরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়। সাজা শেষ হলে তাদের ছাড়িয়ে সে দেশের একটি বেসরকারি এনজিও নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ৩২ মাস কারাভোগ শেষে ভারত ফিরলেন আফফান
১ কোটি ৪৯ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি ১৭৬টি দেশে কাজ করে
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় জানান, বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১ কোটি ৪৯ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিগত ১২ বছরে মোট ৮১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২ জন কর্মীকে পেশাদার, দক্ষ, আধা-দক্ষ এবং স্বল্প-দক্ষ ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৭৩টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিকেন্দ্রীকরণ বা সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
একই সময়ে প্রায় ১০ লাখ নারী শ্রমিক বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।
কামাল বলেন, ‘আমরা নতুন শ্রম বাজারের জন্য আমাদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছি। এরই মধ্যে মূল গন্তব্যের বাইরে পোল্যান্ড, সেশেলস, আলবেনিয়া, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, উজবেকিস্তান, বসনিয়া হার্জেগোভিনা ও কম্বোডিয়ার মতো দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হয়েছে’।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৩-২৪: সাংস্কৃতিক খাতে ৬৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য তরুণ ও নারীদের প্রস্তুত করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
চীনের প্রেসিডেন্ট শি বাংলাদেশি শিশু আলিফা চিনের চিঠির জবাব দিয়েছেন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি বাংলাদেশি শিশু আলিফা চিনকে চিঠি লিখে তাকে ব্যাপক পড়াশোনা করতে, তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছেন।
চিঠিতে চীনের গল্পটি শেয়ার করে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি ভাল উদাহরণ উল্লেখ করে শি বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই চীনা ও বাংলাদেশিরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ভালো বন্ধু, যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান হাজার বছরেরও বেশি পুরনো।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ৬০০ বছরেরও বেশি আগে, মিং রাজবংশের একজন চীনা নেভিগেটর ঝেং হে দু’বার বাংলাদেশে এসেছিলেন, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বীজ বপন করেছিল।
শি বলেন, ৬০০ বছরেরও বেশি সময় পর চীনের নৌবাহিনীর একটি হাসপাতালের জাহাজ ‘দ্য পিস আর্ক’ এর একটি বন্ধুত্ব ও মানবিক যাত্রার সময় একজন চীনা মহিলা সামরিক ডাক্তার চিনের মাকে একটি বিপজ্জনক সময় অতিক্রম করতে এবং চট্টগ্রামে তাকে জন্ম দিতে সাহায্য করেছিলেন।
আর চিনের বাবা তার নাম রেখেছেন চীনের বাংলাদেশি শব্দ অনুসারে। এটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী গল্প।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চিন বড় হয়ে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বার্তাবাহক হতে চান জেনে তিনি খুবই আনন্দিত এবং সে ভবিষ্যতে চীনের একটি মেডিকেল স্কুলে পড়তে চান যাতে তিনি তার ‘চীনা মায়ের’ মতো জীবন বাঁচাতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বিআরআই’র আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও চীন
চিন তার তারুণ্যের সর্বোত্তম ব্যবহার করবে এবং তার স্বপ্নকে বাস্তব করতে কঠোর অধ্যয়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করে শি বলেন যে ততক্ষণে তিনি তার পরিবারকে ফিরিয়ে দিতে, সমাজে অবদান রাখতে এবং তার দেশের সেবা করতে সক্ষম হবেন।
যেহেতু বিশ্ব শিশু দিবস আসছে, শি বলেছেন তিনি চিনের সুস্বাস্থ্য, একটি সুখী পরিবার এবং স্কুলের প্রতিটি সাফল্য কামনা করেন।
চিন যখন ২০১০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তার মা গুরুতর হৃদরোগের কারণে একটি প্রসবকালীন জটিলতার শিকার হন। সেই সময়, ‘দ্যা পিস আর্ক’ সফরকারী হাসপাতালের জাহাজটির সাহায্য পায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক ডাক্তারদেরকে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। অবশেষে মা ও মেয়ে নিরাপদ হন।
কৃতজ্ঞতা জানাতে বাবা শিশুটির নাম রাখেন ‘চিন’, যার বাংলা অর্থ ‘চীন’।
আরও পড়ুন: চীনের জিডিআই নিয়ে এখনই কিছু বলার নেই: শাহরিয়ার আলম
মালিতে আইইডি বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
মালিতে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।
রবিবার মালির স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ফরমড পুলিশ ইউনিট (বিএএনএফপিইউ-২) এর অধীনে একটি টহল দলের একটি মোটরশেড গুন্ডাম-টোংকা-নিয়াফুংকে হাইওয়ের পাহাড়ের পাশে দুর্গম মরুভূমির রাস্তায় পৌঁছালে বিস্ফোরণটি ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যায় এখানে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণটি হয়েছে মালির টিমবুকটু অঞ্চলের গুন্ডাম সুপার ক্যাম্প থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে।
এই ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বহনকারী সাজোয়া বাহিনীর যানটিও(এপিসি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর আহত তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করেনি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে আইইডি বিস্ফোরণে ৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
টহল দলটি মালিতে জাতিসংঘের বহুমাত্রিক সমন্বিত স্থিতিশীলতা মিশনের অংশ ছিল(এমআইএনইউএসএমএ)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টহলরত শান্তিরক্ষীরা রাস্তার মাঝখানে একটি সন্দেহজনক গর্ত দেখতে পান। তারা কৌশলে গর্ত অতিক্রম করার সময় আইইডি বিস্ফোরিত হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ শান্তিরক্ষীদের বুদ্ধিমত্তা এবং উচ্চ-স্তরের বিস্ফোরণ প্রতিরোধে এপিসিটি’র সক্ষমতার কারণে তারা আরও বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে।
এটাও উল্লেখ্য যে এমআইএনইউএসএমএ কর্তৃপক্ষ বিএনএনএফপিইউ-২, এমআইএনইউএসএমএ এবং মালির সদস্যদের অত্যন্ত প্রশংসা করেছে কারণ তারা অত্যন্ত পেশাদারিত্ব এবং সতর্কতার সঙ্গে তাদের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে।
মালির এই অঞ্চলে আইইডি বিস্ফোরণ সাধারণ ঘটনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রসারে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ‘সাহস ও নিষ্ঠার’ প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে,‘আজ আমরা সাহসী বাংলাদেশি এবং জাতিসংঘের প্রতিটি শান্তিরক্ষীকে সম্মান জানাই যারা সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। তাদের সাহস এবং নিষ্ঠা একটি পার্থক্য তৈরি করে।’
আন্তর্জাতিক ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস’ উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস এ মন্তব্য করেছে।
২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী।
১৯৪৮ সাল থেকে, ২০ লাখেরও বেশি ইউনিফর্মধারী এবং বেসামরিক কর্মী সারা বিশ্বে জাতিসংঘের ফিল্ড মিশনে কাজ করেছেন।
সোমবার পালিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবসে তাদের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জীবন উৎসর্গকারী ৫ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে জাতিসংঘের সম্মাননা
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে 'গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস' গঠন
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
ভারতে দুই বছর সাজা কাটানোর পর দেশে ফিরেছেন ১০ বাংলাদেশি যুবক।
বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফিরেছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত যুবকরা হলেন-আরিফ মোল্লা (২৩), কোরবান আলী (২৫), পান্নু মোল্লা (২৮), সোলাইমান (২০), শরিফ (২৪), সাইফুল ইসলাম (১৯), ইয়াছিন শেখ (২৫), নজিবুল ইসলাম (২০), সুমন্ত মন্ডল (১৮) ও সোহেল হাওলাদার (২১)।
আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি যুবক
এরা রাজবাড়ি, বগুড়া, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ১০ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তারা নিজ উদ্যোগে বাড়ি ফিরে যাবেন।
জাস্টিস এন্ড কেয়ারের ফিল্ড অফিসার রোকেয়া পারভিন বলেন, ফেরত যারা এসেছে তারা ভালো কাজের আশায় ভারতের চেন্নাই গিয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সময় তারা পুলিশের হাতে আটক হয়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ তাদের জেলহাজতে পাঠায়। আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেয়। সাজার মেয়াদ শেষে ত্রিজি নামে একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশি নারী