যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভাইকে হত্যার অপরাধে চার ভাই ও এক বোনসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের খালিশাখালি গ্রামের গ্রামের মতিউর রহমানের চার ছেলে নজরুল (৩৮), খোকন (৪০), সাত্তার (৩৫) ও বকুল (৪৮) এবং মেয়ে চম্পা আক্তার (৩৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
বাকি দুই আসামি হচ্ছে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন এবং মকু'র ছেলে মো. সৈয়দ (৫০)। আসামিরা সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি নজরুল বিচার চলাকালে জামিনে গিয়ে পলাতক হয়।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি দিলিপ কুমার ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর বাড়ির সীমানায় গাছকাটা নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রিটন মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তার ভাই-বোনেরা। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন।
২০১৭ সালে ১৯ অক্টোবর মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁর পোরশার ইলাম গ্রামের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পলাতক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থী নানীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ সোমবার বেলা ১২টায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকার সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার নারীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
অপর আরেকটি ঘটনায় জেলার পত্নীতলার কাশিপুর এলাকার এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের কাজল মালীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুপুর ১২টায় এক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, পত্নীতলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী ২০২০ সালের ২৭ মার্চ ধর্ষণের শিকার হন।
এই অভিযোগে প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আদালতে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট শেষ হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
আসামি পক্ষে আইনজীবী সোমেন্দ্রনাথ কুন্ডু মামলা পরিচালনা করেন। জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মোশাররফ হোসেন প্রকাশ লিটন (২৫), মো. আকবর হোসেন প্রকাশ (২৮) ওরফে হাত কাটা আকবর, মো. সুমন (৩০), মো. নুরুল আবছার প্রকাশ স্বপন (৩২) ও আবুল বশর ওরফে বশর (৪৭)।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও নুরুল আবছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আবুল বশর ও সুমনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জিকো বড়ুয়া জানান, ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপ উপজেলার রহমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সকালে স্কুলে যায়। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা স্কুল ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন দুপুরের দিকে ওই ছাত্রীর বাড়ির পশ্চিম পাশে জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাহামুদুল হক হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হাসানাতের আদালত এ রায় দেন। রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন কলিম উল্লাহর ছেলে আব্দুল মালেক।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা এলাকার মৃত ইয়াকুব মিয্ঞার ছেলে শামসুল ইসলাম ও তার ভাই সৈয়দ আহম্মেদ।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- একই এলাকার মৃত ইয়াকুম মিয্ঞার ছেলে আইয়ুব আলী, আইয়ুব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম, মো. ইউসুফের ছেলে আজম বাদশা ও আলমগীর, বেলায়েত আলীর তিন ছেলে জসিম উদ্দীন আবুল কাশেম ও নাজিম উদ্দীন এবং একই থানার পদুয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার আব্দুল হাকীমের ছেলে নুরুল আলম।
রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজিম উদ্দীন।
ঘটনার বিবরণে আদালত সূত্রে জানা যায়, ২২ বছর আগে ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড রাজঘাটা এলাকায় ভুক্তভোগী মাহামুদুল হককে মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা।
৫ নভেম্বর মাহামুদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় মাহামুদুল হকের ভাই আলী আহমেদ বাদী হয়ে ১১ নভেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে এজাহারভুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০০৬ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ। মামলায় বিচার চলাকালে ২ জন আসামির মৃত্যু হয়।
মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
দিনাজপুর কারাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির হাসপাতালে মৃত্যু
সাঈদ আলী (৫৯) নামে দিনাজপুর জেলা কারাগারের এক কয়েদির জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন।
বুধবার (২ আগস্ট) ভোরে গুরুত্বর অসুস্হ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে ভোর ৫টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ভোর সাড়ে ৫ টায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
সাঈদ আলী দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গড়পিংলাই গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। গত বছরের ২৩ মে থেকে সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।
জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্রোধের বশবতি হয়ে গত ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট রাতে হুমাযুন কবীর নামে একজন মুদি দোকানিকে অপহরণ করে হত্যা করেন তিনি।
জেলা কারাগারের জেলার এ. কে. মাসুম জানান, যাবজ্জীবন সাজাভোগী কয়েদি সাঈদ আলী কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুত্বর অসুস্হ অবস্থায় কারা হাসপাতাল থেকে ভোর ৫টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ভোর সাড়ে ৫ টায় মারা গেছে সে।
তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্হান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
বাগেরহাট কারাগারের হাজতির মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
সামছুল হক (৫৫) নামে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) এক কয়েদির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন এবং তার বাবার নাম মঙ্গল খান।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যুদ্ধাপরাধী হাজতির মৃত্যু
মঙ্গলবার দিবাগত (২ আগস্ট) রাত ২টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারারক্ষীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক ও কারারক্ষীদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারাগারে ওই কয়েদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি জানান, তখন কারা চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে আসে কারারক্ষীরা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
যশোর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির (৩৮৯১/ এ) মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে তার মৃত্যু হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি তোরাব আলী শেখ (৫৬) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খড়িবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, মাগুরা জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলায় তোরাবকে ২০০৫ সালের ৩০ জানুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
তিনি জানান, এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন তোরাব। ২০২০ সালে ১৬ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার রাত ১টা ২৫ মিনিটে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে ওই রাতেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে যাওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আসিফ মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ২ কয়েদির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় স্ত্রীসহ ২ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পী (৩৩) হত্যা মামলায় স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৭) ও হুমায়ুন রশিদ (২৮) নামে দুইজনেক ফাঁসি এবং অপর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আসামি জাকির হোসেন ওরফে মোল্লা জাকিরকে (৩৫) খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী রাশেদা বেগম কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকার মণ্ডল পাড়ার জাকির হোসেনের মেয়ে এবং হুমায়ুন রশিদ পটিয়া থানার শোভনদণ্ডী এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে।
রায় ঘোষণার আগে আসামি আল আমিন ও পারভেজকে কারাগার থেকে আদালত হাজির করানো হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাদেরকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত তিন আসামি হলেন- আল আমিন (২৮), আকবর হোসেন ওরফে রুবেল ওরফে সাদ্দাম (২৩) এবং মো. পারভেজ ওরফে আলী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ বলেন, পাঁচজন আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদা বেগম, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিন ও আকবর হোসেন পলাতক রয়েছে।
রায়ের সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হুমায়ুন রশিদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো.পারভেজ আলী এবং খালাস পাওয়া জাকির মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
পরে হুমায়ুন রশিদ ও মো.পারভেজ আলীকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, রায়ে দুই আসামিকে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। বাকি আসামি তিন আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাপ্পী ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম বারের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তার গ্রামের বাড়ি বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৌমুহনী এলাকায়। তার বাবার নাম আলী আহমেদ। মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন বাপ্পী। হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত তিনি অবিবাহিত ছিলেন বলে জানতেন আত্মীয়-স্বজনরা।
২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর নগরের চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডে বড় মিয়া মসজিদের সামনে একটি ভবনের নিচতলার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার হাত-পা ও মুখ টেপ দিয়ে মোড়ানো এবং স্পর্শকাতর অঙ্গ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার পর বাপ্পীর বাবা আলী আহমেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ: ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে বাপ্পী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। আইনজীবীদের আন্দোলনের মুখে টানা অভিযান চালিয়ে ঘটনার দুদিন পর ২৭ নভেম্বর কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে রাশেদা বেগমসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট অধিগ্রহণ করে পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। এরপর তিনি তদন্ত করে বের করেন হত্যার নেপথ্যের কাহিনি।
যে বাড়ি থেকে বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সে বাড়ির কেয়ারটেকার ওই সময়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে ওই নারী (রাশেদা) তার স্বামীসহ থাকবেন বলে বাসা ভাড়া নেন। ঘটনার রাতে ওই বাসায় থাকতে যান বাপ্পি। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তদন্তকারীরা জানান, দেলোয়ার নামে এক ইয়াবা পাচারকারীর স্ত্রী ছিলেন রাশেদা বেগম। স্বামীর মামলার সূত্র ধরে আইনজীবী বাপ্পীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ বলেন, বাপ্পি হত্যা মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। আদালত সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে দুজনের মৃত্যুদণ্ড, তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজন আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে, যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
নিহত মামুনুর রশিদ চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে এবং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম ও কাউছার ওরফে ছোট কাউছার।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।
রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় অপরাধী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদের শত্রুতা ছিল।
‘জিসান বাহিনী’ মামুনকে তাদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিত।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জিসানের মৃত্যু হয়। জিসানের মৃত্যুর পর জিসানের ছোট ভাই তুহিন ‘জিসান বাহিনীর’ নেতৃত্ব দিতেন।
জিসান বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করেন মামুন।
শত্রুতার জেরে ২০১৮ সালের ১৮ কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
নথিপত্র ও সাক্ষী যাচাই-বাছাই করে আদালত দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ইয়াবা পাচার মামলায় ট্রাকচালক ও তার সহকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সরওয়ার আলমের আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চালক মো. মাসুম মিয়া ও সহকারী মো. আলম হোসেন।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাস টার্মিনাল এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হয়।
সে সময় ট্রাকের কেবিনের সিলিং থেকে লুকিয়ে রাখা ২৪টি প্যাকেট থেকে মোট ৪৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পটিয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় কুমার বাদী হয়ে মামলা করেন।
চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, ৪৮ হাজার ইয়াবা জব্দের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের ২ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন যে পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড