যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পারিবারিক কলহের জের ধরে আব্দুল আলীম নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় দুই ভাইসহ ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার কড়ই-কাদিরপুর গ্রামের আমিনুর ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস ও আব্দুল হান্নান, আনোয়ার, দুদু এবং ঘুটু আলম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৭ মার্চ সদর উপজেলার হিচমী ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীম (৬২) রাতে পার্শ্ববর্তী কড়ই কাদিরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মৌলভীর পুকুর পাহারা দিতে যান। পরদিন সকালে পুকুর পাড়ের পাশে ধানখেতের ভেতরে হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসলেমা বেগম ২০০৯ সালের ৮মার্চ বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক খলিল তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের সালের ২২ জুলাই আদালতে ছয়জনের নামে অভিযোগপত্র দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে একই শাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত স্ত্রী পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী ডলি বেগম, মৃত নিগমা উড়াওয়ের ছেলে সুরেন উড়াও, ধলু মণ্ডলের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এবং দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফিরাজ উদ্দীনের ছেলে কাফা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার মঠপাড়া গ্রামের ফয়েজের ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ডলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবুল হোসেন তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। সেসময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল।
অন্যদিকে, ডলি মামলার তিন আসামির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই অবৈধ সম্পর্ক দেখে পরিকল্পনা মোতাবেক ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আসামীরা শ্বাসরোধে আবুলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরের দিন তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় (২৯ সেপ্টেম্বর) নিহতের বাবা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলার পর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত এক উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দীন প্রামানিক (৪২) ও মানিক দাস (৩৫) নামে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্য এক ধারায় উল্লেখিত ২ আসামিকে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মামলায় অপর আসামি মাসুদ রানাকে (২৮) অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
হেলাল উদ্দীন প্রামানিক নওগাঁ জেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত জগি প্রামানিকের ছেলে এবং মানিক দাস ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মন্ডলাদাম গ্রামের মৃত বাদল দাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুন ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের সাধারণ ডায়েরি নং-১৮৫ এর প্রেক্ষিতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় পীরগঞ্জ থানার সেনুয়া বাজারে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে ডিবি পুলিশের টিম জানতে পারে যে, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পুরাতন ডাক বাংলোর আঙ্গিনায় ৩ জন লোক মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা) বিক্রির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ডিবি পুলিশের টিমটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই হেলাল উদ্দীন প্রমানিককে (৪২) নীল রংয়ের পলিথিন ব্যাগ ধরে রাখা অবস্থায় আটক করা হয়।
পরে নীল রংয়ের ব্যাগটি থেকে মোট ৫ হাজার পিস ও অপর আসামি মানিক দাসের দেহ তল্লাশি করে ৩ হাজার পিস ইয়াবা মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে হেলাল উদ্দীন প্রামানিকের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ির শয়ন ঘরের খাটের নিচ থেকে ২ কেজি গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই ডিবি পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) রুপ কুমার সরকার বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন বিচারান্তে অবশেষে মামলার প্রথম আসামি তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার এসআই হেলাল উদ্দীন প্রামানিক ও মামলার দ্বিতীয় আসামি মানিক দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করে আদালত।
মামলার রায় প্রদানের সময় মানিক দাস পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৩ নং আসামি মো. মাসুদ রানাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ছিলেন ঠাকুরগাঁও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায়। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিজ উদ্দিনসহ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
গোপনে বিয়ে করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামে আমিনুল ইসলাম আরিফ (২৩) নামে যুবককে হত্যায় দায়ের করা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: শার্শায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
রায়ের সময় আসামি ওমর শরীফ পলাতক ছিলেন। বাকী তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. ইউনুছের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪০), ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামের হাজী আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ওমর শরীফ (২০), একই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের গাজী বাড়ীর ইমান হকের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫) ও মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার হাসাইল এলাকার মো. হাফিজ উদ্দিন শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।
হত্যার শিকার আমিনুল ইসলাম আরিফ লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের মহাদেবপুর গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম আরিফ লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা হলেও রাজধানীর খিলগাঁও থানার উত্তর গোরান সিপাহীবাগে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাকার বাসিন্দা জনৈক ইউনুছের মেয়ে পিংকিকে গোপনে আদালতে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই ঘটনা উভয় পরিবারে জানাজানি হলে পিংকির মা সাহিদা বেগম স্থানীয় ভাড়া করার লোকজন দিয়ে আরিফকে তুলে নিয়ে গোপন আস্তানায় রাখেন। আরিফ বিষয়টি তার আপন খালা নিলা বেগমকে জানায়।
নিলা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাহিদা বেগমকে পান। সাহিদা বেগমকে বুঝিয়ে সেখান থেকে আরিফকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে উভয় পরিবারে শত্রুতা চলতে থাকে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিংকির পরিবার অর্থাৎ সাহিদা বেগম, নাছিমা বেগম ও নাছির পরামর্শ করে পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালের ৪ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ওমর শরীফ, কামরুল ও সাইফুল আরিফদের বাসায় গিয়ে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাবে বলে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
কিন্তু চট্টগ্রাম না নিয়ে তারা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামে ওমর শরীফের বাড়িতে এনে আরিফের গলায়, বুকে, তলপেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করেন এবং বাড়ির পুকুরে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করেন।
আরিফকে পরিকল্পিত হত্যার পরের দিন ৫ মে ভোর আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে আসামি ওমর শরীফ আরিফের মা মনোয়ারা বেগমকে জানায় আরিফ মারা গেছে।
এই ঘটনার সত্যতা জানতে আরিফের মা ওমর শরীফের গোরানস্থ বাসায় তার পিতার মোবাইল দিয়ে শরীফকে ফোন দেয়। শরীফ জানায় সে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।
বিষয়টি জানতে পেরে আরিফের আপন চাচা মো. তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী আত্মীয় স্বজন নিয়ে ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে আসেন এবং তার ভাতিজার লাশ দেখতে পান।
এই ঘটনায় ওইদিনই তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী বাদী হয়ে পিংকির মা সাহিদা বেগম, ওমর শরীফ, কামরুল হাসান, সাইফুল ইসলাম, নাছিমা বেগম ও নাছিরকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হোসেন সরকারকে।
তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি ওমর শরীফ পলাতক ছিলেন। বাকী তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ দুই বন্দির মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সোমবার (১৯ জুন) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা: রাস্তায় লাফিয়ে পড়া সেই নারী পোশাককর্মীর মৃত্যু
মারা যাওয়া আসামিরা হলেন- মৃত লোকমান আলীর ছেলে আতাউর রহমান (৭০) ও আব্দুর রহিমের ছেলে জুয়েল (২৮)।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায় কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রবিবার রাত ৮টার দিকে ওই দুই বন্দিকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আতাউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারারক্ষী মো. নয়ন কাজী জানান, বিচারাধীন জুয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে মারা যান।
পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপারেশন থিয়েটারে রোগীর মৃত্যু, চিকিৎসককে মারধর
রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
নাটোরের নলডাঙ্গায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০ বছর আগের একটি ধর্ষণ মামলায় দুলাল মিয়া নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: শার্শায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
এসপিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট নলডাঙ্গা উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে দর্জির কাজ শেখানোর কথা বলে অপহরণ করে পাশের তেঘর গ্রামের দুলাল মিয়া।
এরপর তাকে ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার এ রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
শার্শায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
শার্শায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল হামিদ মোড়ল শার্শা উপজেলার খাজুরা পশ্চিমপাড়ার মৃত জয়নুদ্দীন মোড়লের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছর ২৮ জুন আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শার্শা থানার এসআই এসএম আজিজুর রহমান।
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার এ মামলার রায়ে আসামিকে সাজা দিয়েছেন আদালত। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯ জানুয়ারি বিকালের দিকে আব্দুল হামিদের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগমের ঝগড়া হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হামিদ ঘরে থাকা দা দিয়ে আমেনার গলায় ও বাম হাতে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করেন।
তাৎক্ষণিক আমেনাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মাকে হত্যার অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলে বিল্লাল হোসেন মোড়ল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটের ওসমানীনগরে আবদাল মিয়া (২৪) নামের এক মাইক্রোবাসচালককে হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩১ মে) সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার কাগজপুর গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, কানাইঘাটের ঝিংগাবাড়ি এলাকার রহমত উল্ল্যার ছেলে মো. দুলাল মিয়া ও সিলেটের বালাগঞ্জ জামালপুরের তোরাব আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে আলীউর রহমান লিখন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, পেনাল কোডের ২০১ ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৭৯ ধারায় তিন আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবকে হত্যা মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত বলেন, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ওসমানীনগরের কাগজপুর গ্রামের কবীর মিয়ার ছেলে আবদাল মিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে পরিকল্পিতভাবে দণ্ডিত আসামি ডালিম মিয়া তাকে গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নেন। তার মাইক্রোবাসটি (লাইটেস) বিক্রির জন্য বের করে আনলেও সেটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়।
আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর দীর্ঘ শুনানিতে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোতাহির আলী ও সৈয়দ তারেক আহমদ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর আহসান সাকিব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে পিরোজপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের খলিল মোল্লার ছেলে দুলাল মোল্লা (৪০), একই এলাকার ওহাব আলী শেখের ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে সায়েদ শেখ (৩৩), শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ শেখ (৩৬) এবং আলম শেখের ছেলে বেল্লাল শেখ (৩০)।
নিহত তানভীর আহসান সাকিব (১৭) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবীর বাদল।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও পিপি অ্যাডভোকেট ফারুক সরদার জানান, ২০১৭ সালের ৬ মে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের একপাই জজুভোলা এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর আহসান সাকিবের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবিক মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত সাকিবের মা দেলোয়ারা বেগম বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকতা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামি আনিস শেখ ও হাফিজুল শেখকে খালাস দেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তজিমদ্দিন হত্যা মামলার ২৬ বছর পর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দীর্ঘ ২৬ বছর পর দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি হলো- চিরিরবন্দরের দক্ষিণ শুকদেবপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের দুই ছেলে আফজাল হোসেন ও আব্দুল লতিফ এবং উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের কাচুয়া শাহের ছেলে শামসুল হক।
এদিকে কাফী নামে আরেক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল জানান, ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই বিকালে তজিমউদ্দিন বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের দুইদিন পর চিরিরবন্দরের দামুয়া পুকুরের কাচুরিপানার ভিতর থেকে তজিমুদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনার পর চিরিরবন্দর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী আরজিনা। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।
২৬ বছল ধরে মামলা চলাকালে তথ্য প্রমাণাদি এবং ১৯ জনের স্বাক্ষ্য বিবেচনায় দোষী প্রমাণিত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার