যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে এক যুবককে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-শৈলকূপার দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের ছানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম পাভেল; ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা শেখপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আলো; খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়ার জয়নাল আবেদিনের ছেলে আসলাম;আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে ইমরান; হাবিবুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম এবং পবহাটি এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে রাসেল।
এ মামলার অপর আসামি মাসুম, রিহাদ ও জামানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে পাভেল, আলো ও রাসেল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া ফিরোজ নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামের যুবক রহমত উল্যাহ ওরফে খোকনকে জনৈক ব্যক্তি মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরদিন সকালে ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের চাচা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০০৯ সালে ব্যবসায়ী সিরাজুল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহাদত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলাম। এদের মধ্যে শহীদুল পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
কোর্ট ইন্সপেক্টর ঝুটন চন্দ্র বর্মণ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিরারুল ইসলাম ২০০৭ সালে জোসনা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর জোসনা পার্শ্ববর্তী এলাকার শহীদুলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছিল। এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে কাঠাল গাছে সিরাজুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সিরাজুলের ছেলে বাদি হয়ে জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলামকে আসামি উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভালুকা থানায় মামলা করলে তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতে সরকারি পক্ষে আইনজীবী শেখ আবুল হাসেম মামলাটি পরিচালনা করেছেন।
বাদিপক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল খায়েরকে ৩০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। বুধবার (৩ মে) দিনগত রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী র্যাব-৭ এর কোম্পানী কমান্ডার মো. সাদেকুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামি খায়ের ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ বলভপুর গ্রামের অলি আহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি পরিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
জানা যায়, আসামি খায়ের ১৯৯৩ সালে নিজ ভাইকে কুপিয়ে হত্যার পর থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম পাল্টিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
র্যাব জানায়, ১৯৯৩ সালের ২৭ জুন বল্লভপুরের নিজ বাড়িতে জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বড় ভাই আবু তাহেরকে কুপিয়ে হত্যা করে আবুল খায়ের ও আবদুল কাদের। এ ঘটনায় নিহতের বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন।
পরে ওই মামলায় আদালত দুই সহোদর আবুল খায়ের ও আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের নাম পাল্টিয়ে বসবাস শুরু করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আবুল খায়ের নিজের নাম মিজান দাবি করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার সংবাদ সম্মেলনে জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত র্যাব আবুল খায়েরকে নজরদারিতে ও আবদুল কাদেরকে গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। বুধবার রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি নিজের নাম আবুল খায়ের বলে স্বীকার করেন। একইসঙ্গে তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে নাম পাল্টিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফেনীস্থ র্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল হাসান সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
পলাশবাড়ি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
২০০২ সালে হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪ জনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪৪ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সাতক্ষীরার আদালত।
আসামিদের মধ্যে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুল কাদের বাচ্চু ও রঞ্জুকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং হাবিউল ইসলাম হাবিব, আবদুল কাদের বাচ্চু, রঞ্জু ও রিপনকে বিস্ফোরক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ সময় দু’টি মামলায় বাকি ৪৪ আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ মোট ৩৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন। মোট ৫০ জন আসামির মধ্যে ইতোমধ্যেই দু’জন মারা গেছেন এবং ১৩ জন পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাডভোকেট. শম্ভুনাথ সিং, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন, অপরদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল ও অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মাগুরায় ফেরার সময় হামলার শিকার হয়।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় শেখ হাসিনা তুলনামূলকভাবে অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেলেও, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হামলার আরেকটি মামলায় বিএনপি নেতা ও অন্যান্য আসামিদের চার থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে লন্ডন প্রবাসী এক ব্যক্তির মা ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার আমতইল গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তালেব মিয়া (১৮) এবং বানিয়াচং উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের জাকারিয়া আহমদ শুভ (২০)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার পৃথক রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩মে রাত ১১টায় নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সুদুল্লাপুর গ্রামের প্রবাসী রাজা মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী মালা বেগম (৫০) ও তার পুত্রবধূ রুবি বেগমকে (২২) হত্যা করে পালিয়ে যায় দণ্ডপ্রাপ্তরা। নিহত রুবি বেগমের ভাই নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ তদন্ত করে একই বছরের ১১ আগস্ট আদালতে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এদিকে, আদালত ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন দণ্ডপ্রাপ্তদের বয়স কম হওয়ায় জোড়া খুনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলো না
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারি নোমান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের রায়কালী গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী খাঁ পাড়া গ্রামের আকরাম সাখিদার, মুক্তার হোসেন, এনজার হোসেন ও এনামুল হক।
এ মামলায় পাঁচজন অভিযুক্ত হলেও বিচার চলাকালীন সময়ে হাবেজ উদ্দীন নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে এ মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০০৭ সালের ১৭ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টার দিকে আসামিদের অতর্কিত হামলায় কৃষক মোয়াজ্জেমসহ ওই গ্রামের কয়েকজন আহত হন। পরে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসক মোয়াজ্জেমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন আক্কেলপুর থানায় পাঁজজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর ৫ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পিপি এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নন্দকিশোর আগরওয়ালা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে সেনা সদস্যকে লাঠিপেটা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
জয়পুরহাটে কিডনি কেনাবেচা চক্রের ৯ সদস্য আটক
মজুত বিরোধী নতুন আইন অনুমোদন মন্ত্রিসভায়, অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব
প্রস্তাবিত আইনে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে মন্ত্রিসভা ‘খাদ্য পণ্যের উৎপাদন, সঞ্চয়, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
সোমবার রাজধানীর সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
খসড়া আইনে প্রধানত ধান, চাল, গম, আটা ও ভুট্টার মতো খাদ্যশস্য উৎপাদন, সঞ্চয়, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিপণন ও বিতরণ সংক্রান্ত অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইনটি দুটি পুরানো আইনের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে- খাদ্য (বিশেষ আদালত) আইন, ১৯৫৬ এবং খাদ্যশস্য সরবরাহ (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯।’
মানসম্পন্ন দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড আইন, ২০২৩-এর খসড়াও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড থাকবে, যার চেয়ারম্যান থাকবেন এবং ১৯ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি বোর্ড পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, বোর্ডের প্রধান কাজ হবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, চিকিৎসা সেবা এবং মানসম্পন্ন দুধের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গৃহপালিত পশু পালনে পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা।
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০১৬ সালে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং শিশু আইনে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সোহাগ (২৯) ও সাগর (২৭)। এদের দুইজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আটকাদেশ প্রাপ্তের নাম রনি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার ঢুলিয়া গ্রামে জলসার মেলা থেকে ১০ বছরের শিশুকণ্যাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে সোহাগ, সাগর ও রনি নামে তিনজন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক সোহগ ও সাগরকে যাবজ্জীবন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর আসামি রনিকে শিশু আইনে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ১৫ বছর আগে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
গ্রেপ্তার মো. রতন (৩৮) নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুস সাহেদের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৪ জেলায় হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার দুপরে র্যাব-১৪ এর মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া এই আসামিকে শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, সোহাগপুর গ্রামে ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তোয়াজ্জেম নামের এক কৃষক। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে গলায় কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত তোয়াজ্জেমের ছেলে আরিফ হাসান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ছয় জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
মাদারীপুরে রাজিব হত্যা: ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
মাদারীপুরে রাজীব নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
এ সময় আদালতে ২২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায়ে চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে এবং বাকি তিন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। পথে পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কয়েকজন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেন।
এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সময় পথেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনার তিনদিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড