যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে উপজাতি এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মো. রফিক নামে এক মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রফিক (৩৮) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার পূর্ব সোনাই গ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর স্পেশাল পিপি এমএ নাসের চৌধুরী বলেন, মামলাটিতে আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নে পূর্ব সোনাই এলাকার ওই (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) তরুণীর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে মো. রফিক মুদির দোকান করতেন। সেখান থেকে তরুণী বিভিন্ন সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনার জন্য আসা-যাওয়া করতেন। ২০১৭ সালে ২৬ মার্চ থেকে অনুমানিক ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সকালে দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গেলে দোকানে কোন লোকজন না থাকায় তরুণীকে মুখ চেপে ধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। দোকানের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে আসামি। তরুণীকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলে এবং গোপন রাখলে তরুণীকে বিয়ে করবে বলেও আশ্বাস দেয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে দোকানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একসময় গিয়ে তরুণী মানসিকভাবে বিমর্ষ ও মন খারাপ করার কারণ জিজ্ঞেস করে মা। তরুণীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে একপর্যায়ে সে জানায় বাড়ির পাশের মুদির দোকানি মো. রফিক ধর্ষণ করেছে। তখন তরুণী পাঁচ থেকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এই ঘটনায় তরুণীর জেঠাতো ভাই বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট ভুজপুর থানায় মামলা করেন।
এই মামলায় আদালত আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যা মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
নিহত লিপা খাতুন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বৃত্তিরপোল গ্রামের ফজলু মণ্ডলের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নানিকে হত্যার দায়ে নাতির যাবজ্জীবন
দণ্ডিত ঠান্ডু মণ্ডল একই গ্রামের বাবর আলী মণ্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লিপা খাতুনকে মুখে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার প্রাক্তন স্বামী ঠান্ডু মণ্ডুল। এ ঘটনায় ঠান্ডুকে প্রধান আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন লিপার বাবা ফজলু মণ্ডল।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার প্রধান আসামি ঠান্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজার টেকনাফে কৃষক আব্দুল করিম হত্যা মামলায় একই পরিবারের তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজনকে ৫০ হাজার টাকা ও অপর দুইজনকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ এর বিচারক নিশাত সুলতানা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী গ্রামের মো. মকবুলের ছেলে মঞ্জুর, মঞ্জুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন ও তাদের ছেলে মো. ফোরকান।
মামলার প্রধান আসামি ফোরকান পলাতক রয়েছেন। অন্য দুজন আদালতে হাজির ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নানিকে হত্যার দায়ে নাতির যাবজ্জীবন
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় টেকনাফের বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী বইল্যাছড়া এলাকায় আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলা করা হয়। পরদিন তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা করেন নিহত আব্দুল করিমের স্ত্রী খোরশিদা বেগম। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। তার আগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিমুল মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম (৪) মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের দায়ে ৮ রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে নানিকে হত্যার দায়ে নাতির যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জ শহরে নানিকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলায় তার নাতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত সিয়াম শেখ (২৩) সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াধানগড়া উত্তরপাড়ার রফিকুল ইসলাম সেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বরাতে আদালতের এপিপি ওয়াছ করনী লকেট জানান, ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিয়াম শেখ সদর উপজেলার ক্ষুদ্র শিয়ালকোল গ্রামে নানির বাড়ি যায়। এ সময় নানি ওয়াজেদা খাতুনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে বৃদ্ধা নানিকে কুড়াল দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে পালিয়ে যায় সিয়াম। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইউসুফ আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত চলাকালে সিয়াম আদালতে জবানবন্দিও দেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে এবং তদন্ত চলাকালে সিয়াম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
শুনানি ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখিত রায় দেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল: হত্যা মামলার ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের দায়ে ৮ রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৯৯৯-এ কল: হত্যা মামলার ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মামলার ২৬ বছর পর ধরা পড়লেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেয়ার পর রাউজান থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার সুলতান আহাম্মদ (৮৩) উপজেলার পশ্চিম গহিরা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে রজু করা হত্যা মামলার আসামি তিনি। এতদিন তিনি নানাভাবে পালিয়ে ছিলেন।
মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবার (৯৯৯) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে রাউজানের নোয়াপাড়া লাম বাজার থেকে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। কলটি কনস্টেবল জয় বিশ্বাস রিসিভ করেন। জয় তাৎক্ষণিকভাবে রাউজান থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
সংবাদ পেয়ে রাউজান থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়।
পরে রাউজান থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এএসআই সুজন ৯৯৯-কে জানান, রাউজান থানায় ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে রজু করা হত্যা মামলায় যাবজ্জীনবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুলতান আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
ময়মনসিংহে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় রফিজ উদ্দিন হত্যা মামলায় একব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্তা সরকার আসামির উপস্থিতিকে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত শামসুদ্দিন (৫৫) মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে।
প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি সঞ্জিব সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহত রফিজ উদ্দিন ও আসামি শামসুদ্দিন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশি।
ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১০ মে রফিজ উদ্দিন আসামি প্রতিবেশী শামসুদ্দিনের বাড়ির সামনে তুচ্ছ ঘটনায় রফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শামসুদ্দিন লোহার শাবল দিয়ে রফিজ উদ্দিনের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করে। এতে রফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে শামসুদ্দিন শাবল নিয়ে পালাতে চাইলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ঘটনার পর ওই দিন শামসুদ্দিনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকে শামসুদ্দিন কারাগারেই ছিলেন। মামলার সাত বছর পর আসামির উপস্থিতিতে আদালত শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাঁজা দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বগুড়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ১১ বছর পর হায়দার আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ডিস ব্যবসায়ী হত্যায় ১২ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত হায়দার আলী বগুড়ার গাবতলীর পদ্মপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালের ২৭ মে রাতে। হায়দার আলী ভুক্তভোগী শিশুটিকে পড়া দেখিয়ে দিতেন।
কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, ৭ আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার রাজিতপুর গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর দুই ছেলে ফিরোজ ও দেলবার।
ফিরোজের ছেলে সবুজ, দেলবারের ছেলে মিজান, একই গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে হোসেন আলী, একই উপজেলার গজনবীপুর গ্রামের আফিউদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার সিরামপুর গ্রামের রফিউদ্দিনের ছেলে হেলাল।
আসামিদের অনুপস্থিতিতেই আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার আসামি গোলাম সরোয়ার ও রুবেল রানাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিঠু শেখকে ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় ডিস ব্যবসায়ী হত্যায় ১২ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় ডিস ব্যবসায়ী রঞ্জু হত্যা মামলায় ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এ সময় পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন-বগুড়া সদর উপজেলার বানদীঘি এলাকার বানদীঘি গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো. জিন্নাহ, নিশিন্দারা এলাকার মিলনের পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে ঝোপগাড়ীর মাহফুজার রহমান, বগুড়া সদরের ঝোপগাড়ি এলাকার আকবার আলীর ছেলে আজগর আলী।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
বাকিরা পলাতক। তারা হলেন- বানদীঘি এলাকার রাজু শেখ, রিপন শেখ, রিজু শেখ, রাবু শেখ, আইনুল ইসলাম, খয়বর আলী ও বড় কুমিরার একরাম হোসেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নাছিমুল করিম হলি জানান, মামলার আসামিদের সঙ্গে নিহত রঞ্জুর দীর্ঘদিনের পূর্ব শত্রুতা ছিল। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়। মামলায় ১৩ জন আসামি ছিল। এর মধ্যে বাদল শেখ নামে এক আসামি মামলা চলাকালে মারা যান। আর বাকি সাতজন পলাতক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় বিচারক ১২ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আর পলাতক আসামিরা গ্রেপ্তার হলে বা আত্মসমর্পণের পর থেকে তাদের সাজার মেয়াদ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় গলা কেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার জমি নিয়ে বিরোধে আবু রায়হান হত্যা মামলায় বাবা ও ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রাশেদ তালুকদার এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়ির মালিককে হত্যা: ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-মুক্তাগাছার কাসেমপুরের হরিপুরের কেরামত আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (৫৮) ও দুলাল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমেদ ফরহাদ (৩০)।
আদালতে বাবা দুলাল মিয়া উপস্থিত থাকলেও ছেলে তানভীর আহমেদ ফরহাদ পলাতক রয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি মুক্তাগাছার হরিপুর গ্রামের জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে খুন হন আবু রায়হান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মুক্তাগাছার কাসেমপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের দুলাল মিয়া ও ফয়জুর রহমানের সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে জমির আইল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ফয়জুর রহমান ও তার ছেলে আবু রায়হানকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এসময় মারত্মক আহতাবস্থায় আবু রায়হানকে উদ্ধার করে প্রথমে মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেয়ার পথে ঐ দিনই আবু রায়হান মারা যায়।
পরদিন নিহতের বাবা ফয়জুর রহমান বাদী হয়ে ছয়জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্তে দুই জনের সম্পৃক্ততা পায়।
মামলাটিতে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন আদালত।
আদালতে সরকারি পক্ষে আইনজীবী সঞ্জীব সরকার ও আসামি পক্ষে এ এইচ এম খালেকুজ্জামান মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন