শাবিপ্রবি
শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সব হলের শিক্ষার্থীদের সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমান প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা স্বাস্থ্যগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে উপাচার্যকে মুক্ত করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৩০
বৃহস্পতিবার থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরে যান তারা।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়।
তিন দাবি আদায় এবং চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলম।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ
শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাত দিনের সময় চান। কিন্তু তিন দফা দাবি না মানায় শিক্ষার্থীরা বর্ধিত সময় দিতে রাজি হননি।
এক পর্যায়ে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করেন।
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৩০
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে উপাচার্যকে মুক্ত করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, রবিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যকে মুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম,শিক্ষক সমিতির নেতারা, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করলেও তারা রাজি হননি।
এ সময় কোষাধ্যক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বলেন, ভেতরে অবরুদ্ধ থাকায় উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে বাসায় নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ
পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ উপাচার্যকে মুক্ত করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীর বাগ বিতণ্ডা বাঁধে এবং এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করলে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ২৫ মিনিট উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে তালা ভেঙ্গে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের (উত্তর বিভাগ) উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, উপাচার্যকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে পুলিশের ১০ সদস্য রয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ কমিটির পদত্যাগসহ তিন দাবি আদায় এবং চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন।
পরে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলম।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাত দিনের সময় চান। কিন্তু তিন দফা দাবি না মানায় শিক্ষার্থীরা বর্ধিত সময় দিতে রাজি হননি।
এর আগে বৃহস্পতিবার মাঝরাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ এবং হল প্রাধ্যক্ষ দলের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে গোলচত্বর এলাকায় পাল্টা অবস্থান নেয়। তারা ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করলে শাহারিয়ার আবেদীন, মাইনুল ইসলাম রাশু, ইয়াসির সরকার, রুপেল চাকমা, নাফিস হাসান ও অন্তিক আহত হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন: শাবিপ্রবি উপাচার্য
শাবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ
তিন দফা দাবি আদায়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করেছে।
রবিবার বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি শিক্ষা ভবনে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিসহ তিন দফা দাবি আদায় এবং ছাত্রীদের চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
পরে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে গোল চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলম।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে সাত দিনের সময় চান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি না মানার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বর্ধিত সময় দিতে রাজি হননি।
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় গোলচত্বরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। এসময় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নেয়। তারা ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে। এতে শাহারিয়ার আবেদীন, মাইনুল ইসলাম রাশু, ইয়াসির সরকার, রুপেল চাকমা, নাফিস হাসান ও অন্তিক আহত হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন: শাবিপ্রবি উপাচার্য
হামলার সময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরে যায় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পরেও শিক্ষার্থীরা ফের সংঘঠিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতারা।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন: শাবিপ্রবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন। আমরা চাইবোনা কোনো শিক্ষার্থী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক। তাদের সকল ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্তা সংস্থা ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো শিক্ষার্থীর অধিকার খর্ব না হয় সে বিষয়ে আমাদের নজর আছে। আমি শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানাই যে তারা তাদের সমস্যার কথা আমার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। আমরা সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো সিদ্ধান্তই শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বাইরে যাবেনা। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী বান্ধব হবে।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
নারী শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আবাসিক হল নিয়ে যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে এর আগে আমাকে জানানো হয়নি। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান রাখবো তোমরা আবেগ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিবেনা। উপাচার্যের জায়গা থেকে তোমাদের সকল সুযোগ-সুবিধায় আমি পাশে আছি। ইতোমধ্যে আবাসিক হলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা কনক খানকে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়া প্রভোস্ট অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্যই কাজ করবেন। আমরা সকলেই তোমাদের পাশে আছি।
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ইতোমধ্যে নতুন করে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ১১টি বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সকলকেই এই বিধি-নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্তও হয়েছে। সবাইকে বলবো সবসময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়ম-নীতিগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার মাঝরাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে হল প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও হলের সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ এবং হল প্রাধ্যক্ষ দলের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন তারা। পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, হলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন ছাত্রীরা। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার সঙ্গে কথা বলতে ফোন করলে ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
ওই হলের এক ছাত্রী বলেন, তারা বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘কীসের জরুরি? কেউ তো আর মারা যায়নি।’
শাবিপ্রবিতে ২৩ শিক্ষককে বিশেষ সম্মাননা
শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২৩ জন শিক্ষককে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেয়া হয়।শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুসম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবদান ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের অবদান অনেক। তাদের অবদানের ফলেই আজকে আমাদের এই অবস্থান। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সদরুউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ড. জাফর ইকবালসহ তাদের দক্ষতা ও সঠিক কর্মপরিকল্পনার কারণেই শুরুতে শাবিপ্রবির ভিত্তিটা সুন্দরভাবে তৈরি হয়েছে।তিনি বলেন, আমার এখানে আসার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম। শিক্ষা, গবেষণা ও কর্মক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেক সুনাম রয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করে সরকারের কাছ থেকে মেগা প্রকল্পের বাজেট নিয়ে এসেছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের মধ্যে অন্যতম সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয় হবে শাবিপ্রবি। দূর হবে অনেক সংকট। শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ সবদিক থেকে শাবিপ্রবি হবে রোল মডেল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ১৪ জন শিক্ষক।তারা হলেন- অধ্যাপক ড. মিরাজ উদ্দিন মন্ডল, অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমাদ উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক নাজমুল আসহাব, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রেজাই করিম খন্দকার, অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক, অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস, অধ্যাপক ড. এম হাবিবুল আহসান, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আতী উল্লাহ ও অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস।এছাড়া বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন ৯ জন শিক্ষক।তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সদরুউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক, অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, অধ্যাপক ড. বজলুল মুবিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. গৌরাঙ্গ দেব রায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমএ রকীব, অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও অধ্যাপক ড. মাকসুদুল বারী।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থীঅনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ও মরনোত্তর সম্মাননা পাওয়া শিক্ষকদের পক্ষে তাদের স্বজনরা স্মারক গ্রহণ করেন।শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাসের সভাপত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- শাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিলেট নর্থ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক উদ্দিন ও সোনালী ব্যাংকের জিএম জামান উদ্দিন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যৌথভাবে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহিবুল আলম।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর এনআইডি নেই তাদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় এ কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।রবিবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, করোনাকালীন সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্যক্রম থেমে থাকেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। যারা এনআইডি ছাড়া টিকা নিয়েছে তাদের এনআইডির তথ্য দ্রুত জমা দিতে হবে। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের এনআইডি প্রদানে আমাদের এই উদ্যোগ। নির্বাচন কমিশনসহ সংশিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।উদ্বোধনকালে শাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবির, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শুকুর মাহমুদ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমদাদুল হক, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
কাউনের চালের তৈরি নুডলস নিয়ন্ত্রণ করবে ডায়াবেটিস: শাবিপ্রবির গবেষণা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবির ২২ শিক্ষক
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’ খাতের ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশেষ গবেষণা অনুদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পাঁচ বিভাগের ২২ জন শিক্ষক।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। মনোনীত শিক্ষকরা তাদের প্রকল্প অনুযায়ী সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন। এবছর ৬৩৮টি গবেষণা প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে নির্বাচিত এক হাজার ২৭৬ জন গবেষকের তালিকাও বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, জীববিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ইন্টার ডিসিপ্লিনারি, পদার্থবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল ও ফলিত বিজ্ঞান এই ছয় ক্যাটাগরিতে প্রতিটি গবেষণার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা করে পাবেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: স্বল্প মূল্যের ইলেক্ট্রনিক ব্রেইল ডিভাইস উদ্ভাবন শাবিপ্রবির ৬ শিক্ষার্থীর
শাবিপ্রবি থেকে ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান, অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী অধ্যাপক মো. হাম্মাদুল হক।
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ, অধ্যাপক ড. রওশন আরা, সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিমেষ সরকার ও সহকারী অধ্যাপক এএসএম সায়েম।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. মো. তামেজ উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক মো. শফিউল হোসেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান।
এছাড়া রসায়ন বিভাগ থেকে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসনাত, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম নিজাম উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক মাসুম তালুকদার, অধ্যাপক ড. আহমেদ জালাল ফরিদ উস সামাদ, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান, সহযোগী অধ্যাপক বেলাল আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন ও রামকৃষ্ণ সাহা মনোনীত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বা গবেষণারত এমএস, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে আমরা অনেক কিছুই অর্জন করেছি: শাবিপ্রবি উপাচার্য
দেশভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়: শাবিপ্রবি উপাচার্য
৫০ বছরে আমরা অনেক কিছুই অর্জন করেছি: শাবিপ্রবি উপাচার্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আজকে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হলো। এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য অনন্য গৌরব উজ্জ্বল একটি দিন। এই পঞ্চাশ বছরে আমরা অর্জন করেছি অনেক কিছুই। আমাদের আর পিছু ফিরে তাকানোর সময় নেই। এখন সময় শুধু এগিয়ে যাওয়ার।’বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি শেষে এসব কথা বলেন উপাচার্য।বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বিশ্বিবিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য। পতাকা উত্তোলন শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং সকাল সাড়ে ৮টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ডিন’স ফোরাম, বিভিন্ন হল প্রশাসন, কর্মকর্তা সমিতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
আরও পড়ুন: দেশভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়: শাবিপ্রবি উপাচার্যদিনটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে চিত্রাষ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন উপাচার্য। তারপর সকাল সাড়ে ১১টায় হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিকাল ৩টায় মুক্তমঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শেষ হয়।কর্মসূচিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, দপ্তর প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা: শাবিপ্রবি উপাচার্য
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবি প্রশাসনের পদক্ষেপ