হামলা
বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিরোধী দল বিএনপি সারাদেশে বড় ধরনের হামলা-নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশে জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় মনে হলেও বিএনপি ছদ্মবেশে সক্রিয়। গোয়েন্দাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই গণতন্ত্র মুক্ত হওয়ায় বিএনপির আর গণতন্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের জন্য বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
আ.লীগ নেতা বলেন, তার দল জনগণের জানমাল রক্ষায় রাজপথে থাকবে এবং নির্বাচন পর্যন্ত তাদের গণপ্রচার ও শান্তি সমাবেশ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তার দলের সংঘর্ষের কোনো ইচ্ছা নেই বলে আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না।
অন্যদিকে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দয়া করে কোনও পাল্টা কর্মসূচি রাখবেন না এবং বাধা দেবেন না। এ কারণে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় আওয়ামী লীগ ও সরকারকে নিতে হবে।’
এর আগে সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পদ্মা সেতুসহ সব সেতুতে শুধু রাষ্ট্রপতিকে টোল অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বিনিময়ের জন্য জনগণের কাজ করে না আ.লীগ: প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের হামলায় ২ যুবক খুন
চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় দুই যুবক খুন হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মুজাহিদ (৩২) ও মো. দুদু মিয়া (৩৮)।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের চার নাম্বার ওয়ার্ডের এজাহার মিয়া ফকিরের বাড়িতে পূর্ব শক্রুতার জেরে সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে মুজাহিদ ও তার ভাইসহ ছয়জন আহত হয়। তাদের মধ্যে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাহিদ। নিহত মুজাহিদ ওই এলাকার মোহাম্মদ হারুনের ছেলে।
সরফভাটা ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল মোনাফ বলেন, পূর্ব শক্রতার জেরে এজাহার মিয়া ফকির বাড়ির দিদারের সঙ্গে এক ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে ওই বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকজন সন্ত্রাসী । এসময় দিদারকে গুলি করতে গেলে তার ছোট ভাই মুজাহিদের গায়ে গুলি লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করলে আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
চমেক হাসপাতালের দায়িত্বরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, রাঙ্গুনিয়া থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুজাহিদ নামে এক যুবককে নিয়ে আসা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও ছয়জন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে জেলার বাঁশখালীতে কোম্পানির টাকা তুলে ফেরার পথে দৃবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে মো. দুদু মিয়া (৩৮) নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌন ৮টার দিকে গন্ডামারা ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত দুদু মিয়া রংপুর জেলার মিটাপুর উপজেলার বীরামপুর ইউনিয়নের মৃত হযরত আলী ছেলে। তিনি কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির সেলস অফিসার (ফিল্ড) পদে বাঁশখালী উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায় মঙ্গলবার রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গন্ডামারা বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে কোম্পানির টাকা সংগ্রহ করে চাম্বল বাজারে নিজ বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভ্যানচালক খুন
পুলিশের ওপর হামলাকারী জামায়াত কর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজধানীর মালিবাগে শুক্রবার পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধীকে রেহাই দেয়া হবে না।
শনিবার রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেহেতু তারা অনুমতি ছাড়াই মিছিল বের করে এবং পুলিশের ওপর হামলা করে, ডিএমপি ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সিনিয়র অফিসার সহ অনেক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
গোয়েন্দা নজরদারির ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা খবর পেয়েছি তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে মিছিল করবে। রামপুরার আবুল হোটেলে মিছিল শুরু করে মৌচাক-মালিবাগে আসলে পুলিশ বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শনিবার পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।
মামলা গুলোর মধ্যে রমনা, শাহজাহানপুর ও রামপুরা থানায় একটি করে এবং খিলগাঁও থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএমপি সদর দফতরের সূত্র জানায়, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবীর কুমার বাদী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৯১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এসআই মো. হায়াত আলী খান বাদী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৭৩ জন নেতাকর্মী এবং ৮০০ থেকে ৯০০ অজ্ঞাতনামা আসামি করে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রামপুরা থানায় এসআই মারুফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রায় ৬৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মোট ১৪৮ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
পাঁচটি মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ বলছেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিছিল বের করতে গেলে রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ১০ পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের সদস্যসহ কয়েক ডজন লোক আহত হয়।
এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
নরসিংদীতে আনসার সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনতাই
নরসিংদী পৌরসভার বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ক্যাম্পের কাছে মঙ্গলবার ভোরে দুই আনসার সদস্যের ওপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় একদল ডাকাত।
বাংলাদেশ আনসারের জেলা কমান্ড্যান্ট তানজিনা বিনতে এরশাদ জানান, বোরো বাজার এলাকায় আনসার ক্যাম্পের সামনে টহল দেয়ার সময় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চার আনসার সদস্যের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
তিনি আরও জানান, ‘ডাকাতরা দুই আনসার সদস্যকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তারা তাদের দখল থেকে দুটি বন্দুক এবং ১০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নিয়েছে।’
আনসার ক্যাম্পে দায়িত্বরত চার সদস্য হলেন- মো. আনোয়ারুল হক, জাফর ইকবাল, রাশেদ হোসেন ও আতিক হোসেন।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম জানান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্য ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নরসিংদী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, আনসার সদস্যদের কেউ আহত হয়নি। বাজার এলাকায় অন্য কোথাও ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং আমরা অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছিনতাইকারী চক্রের ৩১ সদস্য আটক: র্যাব
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
পুলিশের ওপর হামলা, জামায়াতের ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরে ১০ দফা দাবি আদায়ে ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ মিছিল থেকে ১৩ জন আসামিকে আটক করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
পরে যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন শিবির কর্মীকে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জামায়াতের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে দলটির ১৩ জন নামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ছয় জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে চাঁদপুর জেলা জামায়াতের ব্যানারে শহরের শপথ চত্বর এলাকা থেকে গণমিছিল বের হয়।
শহর প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী।
তবে পুলিশের দাবি মিছিল শেষে জামায়াত ও শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে ও ককটেল বিস্ফোরণ করে।
এ সময় সদর থানার ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করায় উল্টো বাদী গ্রেপ্তার
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত
নড়াইলে বিজয় দিবসে শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারধর, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
আহতদের মধ্যে একজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাত ভেঙ্গে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হবে।
বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতি বছরের মতো ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে শিল্পকলায় স্মৃতিসৌধে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গেলে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আমাদের বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে পাঁচ থেকে ছয় জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় আমাদের ফুলের বেদি ভেঙ্গে ফেলে ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, মাহমুদুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২
নড়াইলে গলায় কলসি বাঁধা অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার
লোহাগড়ায় কুপিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত বিচ্ছিন্নের অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়ায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়কের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে শরীর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের উত্তর পাড়া শিকদার বাড়ি মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আকবর হোসেন লিপন (৪৩) উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। তিনি মল্লিকপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিয়ে না দেয়ায় ছোট ভাইয়ের দায়ের কোপে বড় ভাইয়ের হাত বিচ্ছিন্ন!
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , রবিবার রাতে মঙ্গলহাটা গ্রামের মধ্যপাড়া বিল্লালের চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে উত্তপাড়া শিকদার বাড়ি মসজিদের কাছে আসলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে লিপন মেম্বারকে গুরুতর আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলে তার কব্জি ও কনুইের মাঝ থেকে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় তার দুই-পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ বেলাল বলেন, লিপনের ডান হাত শরীর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লিপনের মা স্বরুপজান অভিযোগ করে বলেন, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মল্লিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সঙ্গে লিপনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ইউপি নির্বাচনে লিপন মেম্বার, মোস্তফা কামালের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে দু’জনেই পরাজিত হলেও লিপন মোস্তফা চেয়ে বেশি ভোট পায়। তখন থেকে বিরোধ আরও জোরালো হয়। এর জের ধরে মোস্তফা শিকদার ও তার লোকজন আমার ছেলে লিপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। লিপনের ওপর হামলার শেষে হামলাকারীরা লিপন সমর্থিত চন্নু মোল্যা, মান্নান মোল্যা ও পিরু মোল্যার বাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীর বিচ্ছিন্ন হাতটি উদ্ধার করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জনিনি, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্রাম্য আধিপত্যের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে দা দিয়ে কুপিয়ে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন, গ্রেপ্তার ২
লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
বরগুনায় ৩ আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক ২
বরগুনা সদরের ঢলুয়া এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন তিন আলোকচিত্র সাংবাদিক। পরে আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসময় তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করা হয়। এদিকে হামলার ওই ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ঢলুয়া সরকারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিকরা হলেন-ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান আরিফুল ইসলাম রুবেল (২৪), এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান শাহজালাল (২২) ও মোহনা টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মো. সুজন (২৩)।
এসময় ঘটনাস্থলের অদূরে অবস্থান করায় হামলার হাত থেকে বেঁচে যান ডিবিসির প্রতিবেদক মালেক মিঠু।
আহত ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ঢলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান ডিবিসির প্রতিবেদক মালেক মিঠুসহ ওই সাংবাদিকরা। পরে রিপোর্টের জন্য ছবি নিয়ে ফেরার পথে স্কুলের ভেতর থেকে কয়েকজন লোক তেড়ে এসে তাদের ওপর চড়াও হন। এসময় পিছন পিছন আরও লোক এসে হামলা করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির র্যালি ‘মিডিয়া কার্ডে’ খালেদা-তারেকের ছবি ব্যবহারে সাংবাদিকদের সমালোচনা
ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় শিক্ষার্থী খুনের অভিযোগ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক কলেজ শিক্ষার্থী খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত মো. পাবেল (১৯) ওই উপজেলার গুণবতী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। সে ফেনী মহিপাল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা।
ওসি জানান, পাবেল নিজ বাড়ি গুণবতী থেকে পাশের আলকরা ইউনিয়নে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে স্থানীয় কিশোরদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাডমিন্টন খেলতে যায়। এসময় একদল কিশোর নিজেরা খেলবে বলে পাবেল ও তার সঙ্গীদের মাঠ থেকে উঠে যেতে বলে
ওইসময় কিশোরদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা পাবেলকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। কিশোর গ্যাংয়ের ৭/৮ জন প্রত্যেকেই পাবেলকে আঘাত করে তারা পালিয়ে যায়, তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৯ থেকে ২০ হবে বলে ধারণা পুলিশের।
এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দুজন আহত হয়েছেন।
ওসি জানান, বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা পাবেলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। জড়িত সবাই স্থানীয় কিশোর।
ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মডেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।