হামলা
ঝিনাইদহে নির্বাচনের পর ৫০টি বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ, আহত ১০
ঝিনাইদহে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া এসব বাড়িঘরে লুটপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও সুরাপাড়া গ্রামে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে সতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণার পর সদরের ওই তিনটি গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই জের ধরে সোমবার সকালে মহুলের সমর্থক পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনের অনুসারীরা পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির সমর্থক জেলা যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়িসহ তার অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও শুরাপাড়া গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং বাধা দেওয়ায় তাদের হামলায় আহত হয় অন্তত ১০ জন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টসহ আহত ৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কাউতলীর স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকালে শহরের টেংকের পাড় থেকে জেলা ছাত্রলীগের একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের কুমারশীল মোড়, হাসপাতাল রোড, কোর্ট রোড, টি. এ রোড এলাকা হয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় যায়। এসময় মিছিল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর (কাঁচি) মার্কার কেন্দ্রীয় নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়।
এসময় তারা অফিসে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে অফিসে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে কলাপসিবল গেইট ও শাটার লাগিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সখোপাড়া গ্রামে হামলায় কাঁচি প্রতীকের প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম।
গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সাফিনুর নাহার, যোগীপাড়া ইউনিয়নের নারী সদস্য ও মহিলা লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইশরাত জাহান বিউটি, কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক এমপির ভাতিজি পাপিয়া জাহান, শারমিন আক্তার এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক শাহজাহান আলী।
এদের মধ্যে সাফিনুর নাহার, বিউটি ও শাহজাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৪ আসনে সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল, জরিমানা
পুলিশ ও আহতরা জানান, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কাঁচি প্রতীকের প্রচার চালাতে দুইটি সিএনজি নিয়ে সখোপাড়া গ্রামে যান ৬ জন নারী। তাদের সঙ্গে সেখানে যোগ দেন আরও কয়েকজন নারী। এ সময় তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থক খোরশেদ আলমের সামনে নারীদের মধ্যে কাঁচি প্রতীকের প্রচারপত্র বিলি করছিলেন।
তারা আরও জানান, এ সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সাফিনুরের উপর হামলা করে। এ সময় বিউটি ঘটনা ভিডিও করতে গেলে তার ওপরও হামলা চালিয়েছে। নারী ও পুরুষ মিলে তাদের পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে সিএনজি চালক তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
সাফিনুর নাহার অভিযোগ করেন, ‘খোরশেদ আলম গিয়ে আমাদের বলে- তোরা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করছিস কেন? এ এলাকায় নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকের ভোট চাওয়া যাবে না। আমি তার কথার প্রতিবাদ করলে প্রথমে খোরশেদ আলমসহ তার পরিবারের সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি ও কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক অভিযোগ করেন, ‘নৌকার প্রার্থীর ক্যাডার বাহিনী প্রতিনিয়ত কাঁচির সমর্থকদের ওপর হামলা, মারধর করে যাচ্ছে।’
এ ঘটনার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার চান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
কুমিল্লার দেবিদ্বারে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে জরিমানা করলে তার সমর্থকরা হামলা করে বলে জানা গেছে।
ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, উপজেলার পৌরসভার ভিংলাবাড়িতে রাত ৮টার পর মাইক ব্যবহার করে নির্বাচনী সভা করছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) আবুল কালাম আজাদ ও তার সমর্থকরা। এসময় দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল ইসলাম আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৪ আসনে সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল, জরিমানা
এতে সভার নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলার চেষ্টা করেন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার রায়হানুল ইসলামের অফিস সহকারী মো. আলাদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল ইসলামকে একাধিক ফোন করলেও রিসিভ করেননি।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া জানান, 'জরিমানার ঘটনায় হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এমন অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, 'আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে জরিমানা করায় হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম। তিনি এখন সুস্থ আছেন। মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
নাটোর-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হামলার অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কচুগাড়ি গ্রামে নাটোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ শোভনের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৩০) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৭টি মোটরসাইকেল। হামলার জন্য নৌকার সমর্থকদের দায়ী করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বরাইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শোভনের ব্যক্তিগত সহকারী ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের সাবক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ওই এলাকায় একটি ইসলামী জলসায় গণসংযোগ শেষে শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কচুগাড়ি এলাকায় নৌকার শ্লোগান দিয়ে হাতুড়ি, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আচমকা তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।’
ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে বলে জানান বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব।
আরও পড়ুন: নাটোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর
রাজশাহী-১ আসনে কাঁচি প্রতীককে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী
নোয়াখালী-৩ আসন: আ. লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরনের সমর্থকদের হামলায় দুই সাংবাদিকসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের ১২ কর্মী আহতের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের মাইজদী-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের গাবুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ ট্রাক মার্কার গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে গাবুয়া বাজারে পৌঁছালে নৌকা সমর্থিত মামুনুর রশিদ কিরনের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় এটিএন বাংলার গাড়িসহ গণসংযোগের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ
হামলায় এটিএন বাংলার রিপোর্টার মো. নাজিবুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন এইচ এম এহসান স্বজনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হুমায়ুন কবির, মো. রাশেদ, রায়হান, তোফাজ্জল হোসেন, ফররুখ আহমেদ, ইফাজ, রিপন, ইসমাইল, প্রান্ত, রুবেল ও আপন। তাদেরকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ বলেন, ‘আমরা একলাশপুরের তুলাবাড়ি এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে দেখা করে চৌমুহনী ফেরার পথে গাবুয়া বাজারে পৌঁছলে নৌকা মার্কার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই সাংবাদিকসহ আমার ১০ জন কর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: নৌকার দুটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
এটিএন বাংলার সাংবাদিক মো. নাজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তাদের গাড়িবহরে একদল লোক হামলা করে। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে তার লোকজন পার করে দিলে হামলাকারীরা আমাদের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে আমাদের গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।’
সংবাদ পেয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান রাজিব, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব।’
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: ড. মোমেন
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন দুঃখজনক। তারা মনে করছে নির্বাচনে এলে তারা ভোট পাবে না। বিএনপি ভুল পথে চলছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন এসব কথা বলেন।
সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকালে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালান।
এরপর তেরো রতন ও গোটাটিকর শিল্প এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভোট চান।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশ, বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমরা এখন আত্মনির্ভরশীল। সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ আফগানিস্তান নয়, কাজেই দু-একটি দেশের হুমকি-ধমকিতে কোনো লাভ হবে না।
প্রচারের সময় ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, আফসর আহমদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাসুম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. আব্দুল ওয়াহিদ, মো. আবুর কামাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সাজেদা পারভীন, সৈয়দা রাবেয়া ইসলাম, সুলতানা বেগম, ওয়ার্ড সভাপতি জাভেদ আহমদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হোসেন আহমদ, তারেক আহমদ, সুয়েব আহমদসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
রংপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ জন সমর্থক আহত
রংপুরের মিঠাপুকুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার জায়গীরহাট বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ট্রাক মার্কার সমর্থকরা জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এসময়
ট্রাক ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের জনসভায় আগমনকে কেন্দ্র করে ট্রাক মার্কার প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারের সমর্থকরা উপজেলা শঠিবাড়ী বন্দরে একত্রিত হয়। সেখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
অনুষ্ঠার শেষে জায়গীর ও রাণীপুকুর এলাকার ট্রাক মার্কার সমর্থকরা একটি অটোতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে নৌকা মার্কার সমর্থকরা ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে প্রায় ১০জন আহত হন।
আহতরা হলেন- সাইদুল ইসলাম (৪৫), শাহিন মিয়া (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), আব্দুল মালেক (৩৫) জমারেজ মিয়া (৪০), জাহজাহান মাস্টার (৫০)। তবে বাকী কয়েকজনের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আহতদের চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনার পর ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে এসে প্রতিবাদ ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা লাটি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রাক মার্কার সমর্থকদের ওপর আবারও হামলা চালানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
হামলায় আহত সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে আসা মাত্র নৌকা মার্কার কিছু সমর্থক আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে তারা।
ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, আমার সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় নৌকার সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে এসে এর প্রতিবাদ করেছি।
এ বিষয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী রাশেক রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩ আসনের (সদর) ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সমর্থকদের ২ জন আহত হয়েছেন। এদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
ফরিদপুর সদর আসনের নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামীম হক বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে তার সমর্থকদের উপর হামলা করে আসছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের কর্মীরা। আজ (সোমবার) রাত ৯ টার দিকে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আমার কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
স্থানীয় নৌকার কর্মী মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের কর্মীরা ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে পোস্টার লাগাচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে কিছু লোক আসে। এ সময় আমাদের কর্মীরা নৌকার পোস্টার লাগাচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই মাইক্রো ও মোটরসাইকেল থেকে লোকজন নেমে নৌকার কর্মী সমর্থকদের মারধোর করে। এ সময় দৌড়ে অনেকে পালিয়ে যায় এবং ২ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে কামরুল মোল্যা ও সেলিম শেখের অবস্থা গুরতর। তাদের প্রথমে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।’
আরও পড়ুন: অর্থের কাছে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার নতজানু হয়ে গেছেন: কাজী জাফর উল্যাহ
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার অহিমুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ‘২ জন এসেছিল, তাদের অবস্থা গুরতর। একজনের মাথায় আঘাত রয়েছে, অপরজনের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এই বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী সমন্বয়কারী মো. শোয়েবুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা পুরোপুরি একটা সাজানো নাটক। গত কয়েকদিন ধরে ওই ইউনিয়নে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগও দেওয়া আছে। সেইসব ঘটনাকে আড়াল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলার নাটক সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে নৌকার প্রার্থী।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আব্দুল গফ্ফার হোসেন বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে আমারা হাসপাতাল ও ঈশান গোপালপুরের পুলিশ পাঠিয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-২ আসন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে অর্থদণ্ড
হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
নির্বাচনী প্রচারে নেমে ফের নৌকার সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন বগুড়া-৪ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কাহালু বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় হিরো আলমের সঙ্গে থাকা দুই সমর্থক মোর্শেদুল রবি ও আব্দুস সালাম আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রবিবার রাত ৮টায় বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন হিরো আলম।।
এসময় তিনি বলেন, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
হিরো আলম এবার বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে গত শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পাঁচপীর এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থকসহ তিনি কাহালু বাজারে আসেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মাছ ব্যবসায়ী রমজান তাদের প্রচারে বাধা দেন। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতিলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। তার সমর্থকদের উপরও হামলা চালানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, শনিবার নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমাকে এত ভয় কেন? আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বারবার (নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের সমর্থকেরা) আমার উপর হামলা চালাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, হামলার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লার দুইজন সমর্থকও ছিলেন, তবে তাদের পরিচয় জানি না। এসব হামলা করে লাভ হবে না। প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন। তবে আমার কোনো সমর্থককে মারধর করবেন না।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, শেষদিন পর্যন্ত মাঠে থাকব। হিরো আলমকে হত্যা না করা পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরানো যাবে না। দুই দিনের হামলার ঘটনা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাব।
এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, 'কাহালুতে আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। তাই কারো সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর প্রশ্নই আসে না। এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এর দায় সংগঠন নেবে না।’
কাহালু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, 'হামলার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল