করোনা আক্রান্ত
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বৃদ্ধির মধ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৫৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৮ জন।
আমেরিকায় এখন পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫১ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ২৮ লাখ ২ হাজার ৫০৫ জন এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ ১১ হাজার ২৩০ জন।
এদিকে ব্রাজিলে এই পর্যন্ত দুই কোটি ৮১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৪৪ হাজার ১৯৫ জনের।
পড়ুন: দেশে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ১৫০ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৪ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৩০৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৬৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও সাত হাজার ৪৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পড়ুন: ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ৪২ কোটি ১৩ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ক্রমাগত বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ কোটি ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ কোটি ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৮ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ১০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৮ জন।
আরও পড়ুন: ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৩৫ হাজারের নিচে নামল
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার ২৩৫ জন এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৯০৫ জন।
এদিকে ব্রাজিলে এই পর্যন্ত দুই কোটি ৮০ লাখ ৭২ হাজার ২৩৮ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৪৩ হাজার ৩৪০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৫৮৪ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৩১ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১৫৪ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ৪০ কোটি ৮৪ লাখ ছাড়াল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৭৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৯৮৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক আট শতাংশ।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণ সাড়ে ৪১ কোটি ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার ৭২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৮০ লাখ ৩৬ হাজার ৩৫২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৮ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৪০ হাজার ৭৬ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪৬৮ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৯৪৩ সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯ হাজার ৩৫৮ জনে।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও চার হাজার ৭৪৬ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮৭২ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১০২ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৪১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ তিন হাজার ৩০৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
পড়ুন: করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ৪০ কোটি ৫৬ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা সংক্রমণ সাড়ে ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ কোটি ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ২৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে নয় লাখ ১৫ হাজার ৩৪৯ জন।
ইউরোপের দেশ রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৯৭২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে তিন লাখ ৩১ হাজার ৩০০ জন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬০ জন এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৫২০ জন।
পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ৪১ মৃত্যু
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও সাত হাজার ২৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৪৪ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৫ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৮৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৪৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।
পড়ুন: ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ’র জরিপ
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা পৌনে ৫৮ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ কোটি ২৮ লাখ ২৮ হাজার ১৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে নয় লাখ ১২ হাজার ২০৮ জন।
ইউরোপের দেশ রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার ৬৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে তিন লাখ ৩০ হাজার ৬০৯ জন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ৯৭৬ জন এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ২৭৯ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ৩৩, শনাক্ত ৮,০৬১
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে আরও আট হাজার ৬১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭০৩ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৭৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ হাজার ৭২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৬০ লাখ ডোজ টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
করোনাকালে ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে: বিজিএমইএ
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৫৭ লাখের কাছাকাছি
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৩ হাজার ৫৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৩৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে নয় লাখ ৫ হাজার ৫২১ জন।
রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২৭ লাখ ৮২ হাজার ৭৯১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে তিন লাখ ২৯ হাজার ২৬৪ জন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার ১৪ জন এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ দুই হাজার ৮৭৪ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও নয় হাজার ৩৬৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬২৭ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৯০১ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও নয় হাজার ৫০৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষ টিকার পরিপূর্ণ ডোজ পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ৬ হাজার ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৭ লাখ ৩২ হাজার ৪৮১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৯০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে নয় লাখ দুই হাজার ১৮২ জন।
রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে তিন লাখ ২৮ হাজার ১৪।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ৬৬৪ জন এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ এক হাজার ১১৪ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৩৬ মৃত্যু
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও আট হাজার ৩৫৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৬০ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও সাত হাজার ১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ০৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি: বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৭ লাখ ছুঁইছুঁই
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ১৭ হাজার ৯১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯৭ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৯৪ হাজার ২১১ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৯ হাজার ৩০১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৭৪৫ জন।
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৫ জন এবং মারা গেছে চার লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৫ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ৩৬ মৃত্যু, শনাক্ত ১২ হাজার ১৯৩
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১২ হাজার ১৯৩ জন। এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪৬১ জনে। এর আগে মঙ্গলবার করোনায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৩০৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জনে পৌঁছেছে। এসময় শনাক্তের হার ২৭.৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও চার হাজার ২০৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: উত্তরা ইপিজেডে ৬ চীনা নাগরিকসহ ৬৬ জন করোনা আক্রান্ত!
করোনার ঊর্ধ্বগতি আরও ২ সপ্তাহ চলবে: আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৮ কোটি ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৫৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৯০ হাজার ৫১৬ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৮ হাজার ৩৫৬ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮১ জন।
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৯ জন এবং মারা গেছে চার লাখ ৯৬ হাজার ২৪২ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩ হাজার ১৫৪
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে। মহামারি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩ হাজার ১৫৪ জন। এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪২৫ জনে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জনে পৌঁছেছে। এসময় শনাক্তের হার ২৯.১৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৭২১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জাস্টিন ট্রুডো করোনায় আক্রান্ত
সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনার ঊর্ধ্বগতি আরও ২ সপ্তাহ চলবে: আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
করোনার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধরন ওমিক্রন বাংলাদেশে বর্তমানে পুরোদমে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন করছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও দুই সপ্তাহ দেশে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে।
তারা বলছেন, করোনা শনাক্তের হার আগামী মাসের শেষের দিকে দ্রুত কমার আগ পর্যন্ত মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
সরকারি তথ্য মতে, গেল কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে করোনার শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনায় আক্রান্ত অনেক মানুষ পরীক্ষা না করায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও শনাক্তের হার সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল, ডা. বে-নাজির আহমেদ, ডা. মুশতাক হোসেন ও এম এইচ চৌধুরী লেনিন করোনার সংক্রমণ কমাতে সরকারকে বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় বাধ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন।
চূড়ার দিকে যাচ্ছে করোনা
হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. লেনিন বলেন, ‘দেশে করোনা শনাক্ত চূড়ার দিকে যাচ্ছে। এজন্য করোনা শনাক্ত ক্রমাগত বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনার তৃতীয় ঢেউ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের দিকে হ্রাস পাওয়ার ধাপ শুরু হতে পারে। তবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে- এর ওপর নির্ভর করে এটি দ্রুত বা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহার করে দেশে দুই লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু আমি জানি না, কেন এ ধরনের পরীক্ষা দেশে এখনও এত কম। অনেক মানুষ করোনা পরীক্ষা বাইরে থেকে যাচ্ছেন এবং আমরা সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র পাচ্ছি না।’
ডা. লেলিন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির আংশিক চিত্র পাওয়ায় আমাদের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাঝে মাঝে সঠিক পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।’
করোনা সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. ফয়সাল বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা যাবে। আগামী মাসের শেষের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’
তবে তিনি বলেন, ‘অনেক আক্রান্ত মানুষই পরীক্ষা করান না। তাই সরকারি হিসাবে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিফলিত হয় না। সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্তের খুব ক্ষুদ্র অংশ রেকর্ড করা হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত এক বা দুই লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঝুঁকিতে গ্রামীণ মানুষ
ডা. ফয়সাল বলেন, ‘ভাইরাসটির সংক্রমণ এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় বাড়তে থাকবে। ‘এই ভাইরাস কাউকে ছাড়বে না। এটা উদ্বেগের যে গ্রামীণ এলাকার অনেক মানুষ এখনও করোনার টিকা নেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষার করার বিষয়ে গ্রামীণ এলাকার মানুষ খুব কম সচেতন। অধিকাংশ জেলায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চললেও আমরা করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র পাব না।’
এই বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ করা যাবে না। আমাদের এখন রোগী ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দেয়া উচিত। গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ মানুষ টিকা না নেয়ায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা উচিত।’
তিনি বলেন, যারা এখনও টিকার এক ডোজও নেয়নি তারা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ‘তাই তাদের খুব সতর্ক থাকা উচিত। এছাড়া বয়স্ক মানুষ ও যাদের একাধিক রোগ রয়েছে তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া উচিত। কেননা তাদের মধ্যে মৃত্যু হার বেশি।’
পড়ুন: করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩ হাজার ৫০১
বিধিনিষেধ শুধু কাগজে
ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) পরামর্শক ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ভয়ানকভাবে বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধির প্রতি মানুষের এখনও চরম অনীহা।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আইন প্রয়োগে সরকারও মনে হয় অনিচ্ছুক। যদি এটা চলতে থাকে, আমি মনে করি, বর্তমান ঢেউ আমাদের অনুমানের চেয়ে আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।’
ডা. ফয়সাল বলেন, ‘অধিকাংশ সরকারি বিধিনিষেধ শুধু কাগজেই আছে। কেননা সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অভিযান নেই। মানুষ এখনও মাস্ক পরতে এবং জনসমাগম এড়াতে অনিচ্ছুক।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড সংক্রমণ কমাতে সরকারের উচিত সব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব টার্গেট জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে টিকাদান কর্মসূচি আরও বাড়ানো উচিত।’
সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞা ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিক না। অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, বিভিন্ন নির্বাচন, সব সামাজিক সভা চলছে এবং দোকানপাটও খোলা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মৃত্যু হারও খুব কম হলেও প্রতিটি জীবনেরই মূল্য আছে। ‘জীবন বাঁচাতে এবং মানুষকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা নেয়া উচিত।’
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘অন্তত আরও তিন সপ্তাহ মানুষকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া উচিত না এবং যে কোনো ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়া। স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনা চলা উচিত এবং মাস্ক ছাড়া বাইরে বের না হওয়া।’
অঅরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: বাগেরহাটে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এপ্রিলে আসতে পারে আরেক ঢেউ
ডা. বে-নাজির মনে করেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে নিয়ন্ত্রণে এসে পড়তে পারে। দেশে আরেকটি ঢেউ পরে আবার আঘাত হানতে পারে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এপ্রিলে আবার করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় এর আগের দুই বছর এপ্রিলে করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে।’
তিনি এও বলেন, ‘মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস খুব শিগগিরই বিদায় নেবে না। কেননা আরও বিপজ্জনক ধরন যে কোনো সময় আবির্ভূত হতে পারে। ভাইরাসটিকে সঙ্গে নিয়েই কীভাবে বাঁচা যায়-তা আমাদের শিখতে হবে।’