বন বিভাগ
হাতি হত্যা: ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একটি বিপন্ন এশিয়ান হাতি হত্যার ঘটনায় জেলায় প্রথমবারের মতো চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগ।
মামলার আসামিরা হলেন, জেলার মালাকোচা এলাকার কৃষক আমেজ উদ্দিন, তার ভাই সোমেজ উদ্দিন, মো. আশরাফুল ও মো. শাহজালাল।
বৃহস্পতিবার বালিজুরী রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তিনি বাদী হয়ে শ্রীবরদী আদালতে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দায়েরের পর শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৬ ধারায় তফসিল-১ লঙ্ঘনের জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আদালত চার আসামিকে তলব করে মামলার শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
৯ নভেম্বর, উপজেলার সোনাঝুরী টিলায় স্থানীয় কৃষকদের সবজি চাষের জমির আশেপাশে বসানো বিদ্যুতায়িত জিআই তারে আটকে খাবার খুঁজতে আসা একটি হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, জমিগুলো আসলে বন বিভাগের মালিকানাধীন এবং কৃষকরা সেখানে অবৈধভাবে চাষাবাদ করছেন। তিনি বলেন, বনের জমি দখল করে কৃষিকাজ বৃদ্ধির কারণে এলাকায় বন্য হাতি আসতে শুরু করেছে।
জেলার হাতি প্রশিক্ষক দলের আদনান আসিফ জানান, গত ২০ থেকে ৩০ বছরে শেরপুরের গারো পার্বত্য অঞ্চলের বিশাল এলাকা ছোট হয়ে গেছে।পাহাড়ি এলাকায় মানব হানাদারদের কারণে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে গেছে এবং অবশিষ্ট কয়েকটি হাতির খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
বন কর্মকর্তাদের মতে, গত দুই দশকে শেরপুর জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৩০টি বন্য এশিয়ান হাতি মারা গেছে।
তাদের মধ্যে অনেকে গুলি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, কিংবা বিষক্রিয়ায় মারা গেছে এবং কেউ কেউ বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা: কক্সবাজারে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুল কুড়িগ্রাম বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর
কুড়িগ্রাম পৌরসভার নিমবাগান এলাকা থেকে একটি বিলুপ্ত প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করা পর সেটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরার উদ্যোগে উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুলটিকে বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুলটিকে নিরাপদ কোন জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে। আবাসস্থল ও খাদ্য সংকটের কারণে গন্ধগোকুলসহ বিলুপ্ত প্রজাতির বন্য প্রাণি এখন মহাসংকটে রয়েছে।
এসময় বন কর্মকর্তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উৎপল কুমার রায়, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কান মো. শাহরিয়ার, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিমবাগান এলাকায় এক ব্যক্তিকে খাঁচায় করে গন্ধগোকুলটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিউটিরত অবস্থায় সদর থানা পুলিশের একটি টিম লোকটিকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তিনি খাঁচা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গন্ধগোকুলটিকে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি সীমান্তের মালাকাকোচা এলাকা থেকে মঙ্গলবার একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বনের ভেতর স্থানীয় কৃষক আমীর আলীর বাড়ির চারপাশে পাতা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ওই বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। হাতির মৃত্যুর পর ওই কৃষক হাতির শরীর থেকে বিদ্যুতের তার খুলে ফেলেন বলেও জানান তারা।
খবর পেয়ে বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাতির প্রাথমিক সুরতহাল পরীক্ষা শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। মৃত হাতিটি পুরুষ এবং বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর হতে পারে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে হাতিটি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। তবে চূড়ান্ত তথ্য ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে বিশাল আকৃতির একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন খুড়িয়াখালী গ্রাম থেকে ২০ ফুট দীর্ঘ ও ৪০ কেজি ওজনের ওই অজগরটি উদ্ধার করে। পরে শুক্রবার সকালে অজগরটি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।
শরণখোলা উপজেলা ওয়াইল্ড টিমের সমন্বয়কারী আলম হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে তারা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের জামাল গাজীর ঘরের পাশ থেকে বিশাল আকৃতির ওই অজগরটি উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় অক্ষত অবস্থায় অজগরটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।
এদিকে সুন্দরবন থেকে একের পর এক অজগর লোকালয়ে চলে আসায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত এক বছরে সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে প্রায় ১০০টি অজগর উদ্ধর করা হয় বলে জানায় বন বিভাগ।
বন সংলগ্ন গ্রামের জামাল গাজী,আলম হোসেন, ডালিম আকনসহ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, প্রায়ই সুন্দরবন ছেড়ে নদী-খাল পাড়ি দিয়ে অজগরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি লোকালয়ে আসছে। বিশাল আকৃতির ওই অজগরটি ঘরের পাশে ছিল। রাতে হঠাৎ করে তারা ঘরের পাশে ওই অজগরটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এত বড় অজগর আগে তারা দেখেননি বলেও জানান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটন: সেবা কার্যক্রম উন্নত করতে অটোমেশনের দিকে নজর
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বিশাল ওই অজগরটি ভোলা নদী পাড়ি দিয়ে লোকালয়ে আসে। খুড়িয়াখালী গ্রাম থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে ওই অজগরটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
ডিএফও মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরও জানান, এক বছরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জ সংলগ্ন লোকালয় থেকে প্রায় ১০০টি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায়ই নদী-খাল পাড়ি দিয়ে অজগর লোকালয়ে আসছে।
ডিএফও মনে করেন, সুন্দরবনে অন্যান্য বন্যপ্রাণির সঙ্গে অজগরের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মাঝে মধ্যে অজগর এবং হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে আসছে। এ সময় বন্যপ্রাণি লোকালয়ে এলে না হত্যা করে বন বিভাগকে খবর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
সাত মাসেও আলোর মুখ দেখেনি ‘সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প’
বন বিভাগের অনুমতির আগেই ২০০ গাছ কেটে ফেলল সিসিক
সিলেটে সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য প্রায় ২০০ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার এই গাছগুলো কেটেছে খোদ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত সিসিকের কর্মীরা উপশহরের সড়কের পাশের দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলে। আর কেটে ফেলা গাছগুলো টুকরো করে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। কেটে ফেলা গাছ ইতোমধ্যে বিক্রিও করা হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ট্রাকে করে সেগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে গাছ কেটে অধিকাংশ বিক্রি করে ট্রাকে করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র গাছ কেনাবেচায় কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে। খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে কেনাবেচার সত্যতা পেয়েছে।
বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া আফতাব চৌধুরী উপশহর এলাকারই বাসিন্দা। এই সড়কের পাশের গাছগুলো তিনিই রোপন করেছিলেন। আফতাব চৌধুরী বলেন, ‘এই গাছগুলোর অধিকাংশ আমার হাতে লাগানো। কোনো বাছবিচার ছাড়াই নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। যেখানে ৫০টির মত গাছ কাটা প্রয়োজন সেখানে ২০০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এই ২০০টি গাছ একেকটি এক লাখ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার মতো।’
পড়ুন: দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখছে ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল’ পালন
সিসিকের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেন নির্মাণ ও রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। শাহজালাল উপশহর এলাকার সি ব্লকের ২১, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর রাস্তায় সম্প্রতি ড্রেন ও রাস্তা বড় করার কাজ শুরু হয়। ওই এলাকার রাস্তার দুই পাশে রেইনট্রিসহ নানা প্রজাতির এসব গাছ ১৯৯০ সালের দিকে লাগানো হয়েছিল।
বন বিভাগের বিধিমালায় আছে, ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা সরকারি জমি থেকে গাছ কাটার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। এরপর তদন্ত করে গাছ কাটার যৌক্তিকতা পাওয়া গেলে গাছের দরদাম নির্ধারণ ও পরবর্তী আরও গাছ লাগানোর শর্তে গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়া বন বিভাগের মাধ্যমে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানা যায়, ড্রেন নির্মাণে উপশহর এলাকার কিছু গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করে সিসিক। তবে বন বিভাগ এখনও গাছ কাটার অনুমতি দেয়নি। অনুমতি পাওয়ার আগেই কেটে ফেলা হয়েছে ২০০ গাছ।
বন বিভাগের সিলেট শহর রেঞ্জের রেঞ্জার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘উপশহরে রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ করতে কিছু গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে ১৭ অক্টোবর বন বিভাগকে একটি চিঠি দেয় সিটি করপোরেশন। পরদিন আমাদের কর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখেন গাছ কাটা হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ঠিক কী পরিমাণ গাছ কাটা হয়েছে এবং কাটা গাছগুলো কোথায় নেয়া হয়েছে, তা আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
শ্রমিকরা না বুঝেই গাছ কেটে ফেলেছে জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘ওইখানে ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক সম্প্রসারণ হবে। এজন্য কিছু গাছ কাটা প্রয়োজন। গাছ কাটার জন্য আমরা বন বিভাগকে চিঠিও দিয়েছি। তবে অনুমতি পাওয়ার আগেই সিটি করপোরেশনের কিছু লোক গাছ কেটে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে দায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সিটি করপোরেশন গাছ রক্ষায় খুবই আন্তরিক দাবি করে তিনি বলেন, ‘উপশহরে গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। আর যাতে অকারণে কোনো গাছ কাটা না হয়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াব।’
পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে মুরাদনগরের ‘মৃৎশিল্প’
‘ফাতেমা’ জাতের ধানে বিঘায় ৫০ মণ ফলন
সীতকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো আরও ৩টি মৃত ডলফিন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে তিনটি স্ত্রী প্রজাতির মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। এসব ডলফিনের পেটের দিকের অংশ পচে গিয়েছিল।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে জেলেরা উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা সাগর উপকূলে মৃত তিনটি ডলফিন দেখতে পেয়ে বিষয়টি বন বিভাগকে জানায়।
উপকূলীয় বন বিভাগের সীতাকুণ্ড রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, তারা সন্ধ্যায় বিষয়টি জেনেছেন। অন্ধকার নেমে আসায় মৃত ডলফিনগুলো উদ্ধার করতে পারেননি।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সেখানে লোক পাঠিয়ে ডলফিনগুলোকে মাটিচাপা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, তিনটি মৃত ডলফিন উপকূলে ভেসে আসার খবর পেয়েছি। ডলফিনগুলো কেন কীভাবে মারা গেল তার কারণ জানতে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যাব। তবে বিবরণ শুনে তার মনে হয়েছে, উজানে কোথাও জালে আটকা পড়ে ডলফিনগুলো মারা যেতে পারে। সেখান থেকে মৃত অবস্থায় সীতাকুণ্ডের উপকূলে ভেসে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ আগস্ট উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর উপকূলেও একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। এনিয়ে সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের সাগর উপকুলে মোট ৪টি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। ধারণা করা হচ্ছে উজানে কোথাও জালে আটকা পড়ে ডলফিনগুলো মারা যেতে পারে। সেখান থেকে মৃত অবস্থায় সীতাকুণ্ডের উপকূলে ভেসে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
বোয়ালখালীর খালে ভাসছে মৃত ডলফিন
সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূল থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর সাগর উপকূলে কেওড়া বনে কাজ করার সময় বনকর্মীরা মৃত ডলফিনটি দেখতে পায়।
সাড়ে ৬ ফুট লম্বা ও ২ মন ওজনের মৃত ডলফিনটি উদ্ধারের পর সংরক্ষিত উপকূলীয় বনে মাটিচাপা দেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুনঃ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
উপকূলীয় বন বিভাগের বগাচতর বিট কার্যালয়ের বিট কর্মকর্তা এইচ এম জলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ শুক্রবার সকালে বগাচতর সাগর উপকূলে সাগর থেকে মৃত অবস্থায় ভেসে আসে ডলফিনটি। ধারণা করা হচ্ছে, ডলফিনটি পাঁচ থেকে সাত দিন আগে সাগরে মারা যেতে পারে। পরে পানিতে ভেসে উপকূলে চলে আসে। ওই এলাকায় বনায়নের কাজ করার সময় বন বিভাগের কর্মীরা মৃত ডলফিনটি দেখতে পায়।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালখালীর খালে ভাসছে মৃত ডলফিন
তিনি বলেন, সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি গঙ্গা নদীর। ঠিক কী কারণে এর মৃত্যু হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না। এ প্রজাতির ডলফিনগুলো সাধারণত মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের মাছ ধরার জালে আটকে ডলফিনটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আবার বয়সের কারণেও এরা অনেক সময় মারা যায়। জোয়ারের পানিতে ভেসে মৃত ডলফিন তীরে চলে আসে।
সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে: ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ধানসাগর ক্যাম্প এলাকায় লাগা আগুন তিন ঘণ্টা চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বাগেরহাটে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ যুবক আটক
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংসহ এক যুবককে আটক করেছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন জনপদে বাঘ আতঙ্ক
সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন জনপদে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতার সাথে চলাফেরা করছেন গ্রামবাসী। বিশেষ করে রাতে তারা বিনা কারণে বাইরে থাকছেন না, এমনকি তাদের ধারণা যে কোনো সময় বাঘ জনপদে ঢুকে মানুষ অথবা অন্যান্য পোষা প্রাণিদের ওপর হানা দিতে পারে।