বজ্রপাত
মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু ২
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে সিংগাইর উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নের শিবপুর কালেন্দি চকে গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান তারা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, সিংগাইরের শিবপুর গ্রামের শাহিন মিয়া (৪২) এবং মো. রুবেল হোসেন (৪০)।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)তদন্ত শেখ মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, বিকেল ৪টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাত হচ্ছিল। ওই সময় শাহিন ও রুবেল ধান খেতে ঘাস কাটছিল। বিকট শব্দে বজ্রপাতের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।
বগুড়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
বগুড়ার শাজাহানপুরে বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের আগড়া পাঁচ বাড়িয়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- আগড়া পাঁচ বাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৮) ও একই গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে রাকিবুল হোসেন ওরফে রাকিব (২৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নান্নু খান জানান, শহিদুল ও রাকিব তাদের বাড়ির কাছে নিজের জমিতে মরিচের চারা রোপণ করছিলেন। এমন সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে জমিতে কাজ করা অবস্থায় তারা মারা যান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, আহত ৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোমস্তাপুরে বজ্রপাতের দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতের এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন, ওই ইউনিয়নের বড়দাদপুর স্কুলপাড়া এলাকার এমরানের ছেলে ইয়াসিন (১৪) ও শেরপুর কোঠাডাঙ্গা এলাকার মৃত ঝাড়িয়া ওরাওয়ের ছেলে বিদয় ওরাও (৫২)।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বজ্রপাতে কিশোরসহ নিহত ৪
পার্বতীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, বৃহস্পতিবার ইয়াসিন তার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সুবইল মাঠে ধান খেতে কাজ করছিলেন। সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে ইয়াসিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অন্যদিকে প্রায় একই সময়ে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটা দূরে সোনাবার এলাকায় খেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে বিদয় ওরাও মারা যান।
আরও পড়ুন:জয়পুরহাটে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, আহত ৪
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেরপুরে বজ্রপাতে কিশোরসহ নিহত ৪
শেরপুরে বজ্রপাতে দুই কিশোরসহ চার জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চার জন। বুধবার দুপুরে ভারী বর্ষণের সময় সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া, শ্রীবরদীর গোসাইপুর, ঝিনাইগাতির মালিঝিকান্দা (ইছামারি) এবং নকলার লাভা গ্রামে পৃথক এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মোস্তফা মিয়া (৪০), নকলার বদিউজ্জামানের ছেলে কৃষক আজিজুল হক (৩৫), ঝিনাইগাতির পাইকুড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আরমান মিয়া (১২) এবং ওই উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারি গ্রামে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কিশোর রাসেল (১৪)।
আহতরা হলেন, কৃষ্ণপুর গ্রামের জোসনা আলীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৪) ও ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫) এবং নকলার লাভা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বাবু মিয়া ও মোক্তার হোসেনের ছেলে হুমায়ুন ওরফে ফকির।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে রোপা-আমনের খেতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে মোস্তফা মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় আবু সাঈদ ও বদু মিয়া আহত হন। এর মধ্যে বদু মিয়া শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং আবু সাঈদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে নকলার লাভা গ্রামেও রোপা-আমনের খেতে কাজ করার সময় কৃষক আজিজুল হক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহত হন বাবু মিয়া ও হুমায়ুন।
একই সময়ে শ্রীবরদীর গোসাইপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আরমান রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।
এছাড়া এদিন ঝিনাইগাতির মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারি গ্রামে বজ্রপাতে কিশোর রাসেল মারা যায়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের সময় করণীয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে নিহত ১৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে ১৭ জন বরযাত্রী নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষীণ পাঁকা এলাকায় পদ্মা নদীর তেলিখাড়ি ঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন টকি (৩০), লেচন (৪০), সাইদুর (৩৫), সজিব (১৭), জামিলা (৭০), সাহাবুল (৩০), মানাম (৩৫), বেলি (৩৫), শরিফুল (৪০), বাবলু (২৫), মৌসুমি (২৫), টিপু সুলতান (৪৫)। তারা সবাই সদর উপজেলার নারায়নপুর এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ জয়পুরহাটে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, আহত ৪
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলিমনগর ঘাট এলাকা থেকে সকালে একটি নৌকাযোগে প্রায় ৩০ জন বরযাত্রী শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বিশরশিয়া এলাকায় বিয়ে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে। শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁকা এলাকায় পদ্মা নদীর তেলিখাড়ি ঘাট এলাকায় পৌঁছে নৌকা থেকে নেমে বৃষ্টির সময় তারা ঘাটের ছাউনিতে আশ্রয় নেয়। দুপুর ১২টার দিকে ছাউনির পাশে বজ্রপাত ঘটে। এসময় ১৭ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। নিহতরে মধ্যে ৫ জন নারী।
তিনি জানান, নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জন সদর উপজেলার ও একজন শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষক মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নুর নাহার নাসু জানান, ১১ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আর বর্তমানে ১০ জন এখানে ভর্তি রয়েছে। একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
জয়পুরহাটে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, আহত ৪
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী রতনপুর-সালুয়া মাঠে আমন ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত ও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষক মৃত্যু
নিহত দুলাল হোসেন (৫৯) উপজেলার রতনপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে ও মোফাজ্জল হোসেন (৫২) একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, রতনপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক আমন ধান রোপনের কাজ করতে পার্শ্ববর্তী রতনপুর-সালুয়া মাঠে যান। হঠাৎ বৃষ্টিপাত ও বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হলে তারা ধান ক্ষেত থেকে মাঠের মধ্যে থাকা একটি গভীর নলকূপের সেচ ঘরের ভেতরে চার জন আর বাইরের বারান্দায় গিয়ে দুজন দাঁড়ায়। এসময় হঠাৎ সেখানে বজ্রপাত হলে ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। এতে ঘরের ভেতরে থাকা চার কৃষকও গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে নিহত ১
খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত সেখানে ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান।
মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষক মৃত্যু
মাগুরা সদর উপজেলায় বজ্রপাতে মোহাম্মদ আলী শেখ নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে নিহত ১
উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে রবিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। মৃত মোহাম্মদ আলী শেখ (৩৬) ওই গ্রামের আব্দুল গণি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, বৃষ্টির মধ্যে অন্য কৃষকদের সাথে বাড়ির পাশের বিলে পাট কাটছিলেন মোহাম্মদ আলী শেখ। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে মোহাম্মদ শেখ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যায়। পরে আহত মোহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে নিহত ১
পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে নিহত এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পরিবার ও প্রতিবেশীরা।পঞ্চগড় সদর এলাকায় বসবাস করা নিহত ওই যুবকের নাম রাজিউল ইসলাম (২৪)। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ির অদূরে সিম ক্ষেত থেকে তার মৃত লাশ খুঁজে পায়। বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবার ও স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ভারতীয় নাগরিক আটক
তার বাড়ি জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাইকানিপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে। হাড়িভাসা বাজারের একটি চায়ের দোকানে সে শ্রমিকেরও কাজ করতো। হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সায়েদ নুরে আলম জানান, রাজিউল সকালে একাই সিম ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিল। শনিবার সকাল ১০টায় হালকা বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতের ফলে ঝলসে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পাওয়া গেল বিরল প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপ
সন্ধ্যা অবধি সে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবার ও স্থানীয়রা খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাতে তার বড় ভাই ইদ্রিস আলী ও প্রতিবেশি তারা মিয়া সিম ক্ষেতে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লালমনিরহাটে বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বজ্রপাতে আবু হানিফ (৩৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নে এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
মৃত আবু হানিফ ওই এলাকার জমসের আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ খুলনার কয়রায় বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করছিল আবু হানিফসহ ৪ জন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আবু হানিফের মৃত্যু ঘটে। ওই বজ্রপাতে রমজান আলী ও সুরমানসহ তিনজন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভারতে বজ্রপাতে নিহত ৬০
ভারতের উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানে কয়েক ডজন বজ্রপাতের ঘটনায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে সোমবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাত আঘাত হানার ফলে উত্তর প্রদেশে ৪০ এবং পশ্চিম রাজস্থানে ২০ জন মারা যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় শিশু ও নারীসহ সর্বোচ্চ ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার কয়রায় বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
শোকাহত পরিবারগুলোকে রাজ্য সরকারে পক্ষ থেকে কমপক্ষে দুই লাখ করে রুপি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাজস্থানের একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরেই নিহত হয়েছেন ১১ জন।
আমের প্যালেসের সামনে সেলফি তোলার সময় বজ্রপাত আঘাত হানলে তারা মারা যান বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে টুইটে বলা হয়, ‘রাজস্থানের কয়েকটি এলাকায় বজ্রপাতে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলোত এবং রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
গহলোত টুইটে লিখেন, ‘কোটা, ধলপুর, জালাওয়ার, জয়পুর এবং বরণে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ভারতে বজ্রপাতে প্রতি বছর ২ হাজারেরও বেশি লোক মারা যায়।