বজ্রপাত
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে বাচ্চু মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো কৃষকের
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির মধ্যেই কৃষক বাচ্চু মিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠ থেকে গরু আনতে যান। সেখানে বজ্রপাত হলে তিনি আহত হন।
তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেরে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
যশোরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের
ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো কৃষকের
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে ইছাহাক খলিফা (৬০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ধানের জমিতে বীজ রোপণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পৃথক বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ জনের
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোনাবালিয়া ইউনিয়নে ধানের বীজ রোপণ করছিলেন ইসাহাক। বিকালে বজ্রপাতের আঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন, ইছাহাক খলিফা বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এলাকার লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
যশোরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের
রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
দুই দিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত শুরু হয়েছে।
এতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় থাকা ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে সতর্কবার্তা জারি করেছে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
এদিকে প্রশাসনের টিম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে সশরীরে এবং মাইকিং করে এ সতর্কবার্তা প্রচার করছে।
টানা বর্ষণের কারণে এ নির্দেশনা জারি করেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়াসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের মাইকিং করে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য পরিস্থিতি এড়াতে ও জানমালের ক্ষতি রক্ষায় শহরের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন জেলা প্রশাসনের সদস্যরা।
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙ্গামাটির ঝুঁকিপূর্ণ বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ হাসানসহ প্রশাসনের লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি শহরের ৯ ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় সোমবার (২৪ জুলাই) বজ্রপাতে চকিরপাশা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, নাজমিন নাহার, সুমাইয়া, রোকসানা, আফরোজা, নির্মা, আলী রাজ, ফারজানা ও সানজিদা।
মাদরাসার সুপার মানিক মিয়ার বরাত দিয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হিল জামান জানান, বিকালে বৃষ্টির মধ্যে তাদের টিনশেড শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা অবস্থায় মাদরাসার ৯ জন ছাত্র বজ্রপাতে আহত হয়।
পরে তাদের চিকিৎসার জন্য রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
কুড়িগ্রামে বন্যায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
যশোরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের
যশোরের চৌগাছায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বেড় গোবিন্দপুর বাওড় সংলগ্ন খেতে ঘাস কাটার সময় বজ্রপাতে আমিনুর রহমানের (৪৫) মৃত্যু হয়।
আমিনুর উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের নুর বক্সের ছেলে।
আমিনুর রহমানের ভাই কামারুল ইসলাম জানান, আমিনুর কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বেড় গোবিন্দপুর বাওড় সংলগ্ন খেতে ছেলে ইয়াছিন আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে ঘাস কাটতে যান আমিনুর। ঘাস কাটার এক পর্যায়ে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে ইয়াছিন আরাফাত ঘাস নিয়ে বাড়িতে চলে আসে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
দুপুর ১টার দিকে মাঠে বজ্রপাত হওয়ার পর জয়নাল আবেদিন ওরফে ঠান্ডু নামে এক ব্যক্তি দেখতে পান পিঠের কিছু অংশ ঝলসানো অবস্থায় আমিনুর পড়ে আছেন। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন আমিনুর মারা গেছেন।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ৩
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
দেশে বজ্রপাতে রবিবার ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইউএনবির ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, জেলার হালুয়াঘাটে বজ্রপাতে এক হাঁস খামারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বিলডোরা মোজাকান্দা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. ইন্তাজ আলী (৭০) ওই গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হালখাতার মাইক টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, নিহত ইন্তাজ আলীর একটি হাঁসের খামার আছে। সকালে বাড়ির পাশে পতিত কৃষি জমিতে হাঁস চড়াতে যান তিনি। এ সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, জেলার রৌমারী উপজেলায় বাড়ির পাশের বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর দুইটার দিকে বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শুকুর আলী (৩৫) রৌমারী উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নের তিনতলী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দুপুরের দিকে শুকুর আলী বাড়ির পাশের বিলে মাছ ধরতে গেলে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। এসময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছিল।
অন্যদিকে ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, রাজশাহীর পবায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নওহাটা পৌরসভার পাকুড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয় (১৭) মহানগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের বড় বনগ্রাম শেখপাড়া এলাকার জিয়ারুলের ছেলে।
জয়ের চাচাতো দুলাভাই পাকুড়িয়া গ্রামের জিয়ারুল জানান, তার চাচাতো শ্যালক জয় ও তার বন্ধু সিয়াম সকালে এখানে ঈদের দাওয়াতে বেড়াতে এসেছিল। দুপুরের খাবার শেষে জয় ও সিয়াম বাড়ি থেকে বের হয়ে নওহাটা পৌরসভার পাকুড়িয়া ব্রিজের পাশে যায়। এর কিছুক্ষণ পর কোনোরকম বৃষ্টি ছাড়াই হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে জয় ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং সিয়াম আহত হয়। এদিকে সিয়ামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজশাহীর বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত হবে কী না সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিবারের সদস্যরা লাশ নিতে চাইলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হবে।
তবে এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আরেক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত জহুর আলী (৫০) ওই গ্রামের করিম সওদাগরের ছেলে এবং ছলিম উদ্দিন (৩৭) একই এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে। এবং আহতের নাম রেজাউল। তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস বজ্রপাতে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউএনও সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, হতাহতরা সবাই পেশায় কৃষক। শনিবার দুপুরের দিকে প্রচন্ড বৃষ্টির সঙ্গে খুব জোরে বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে তারা মাঠের কাজ রেখে আইলচারা ইউনিয়নের সিঁদুরঘাট এলাকার তালতলা বাজারের চায়ের দোকানের পাশে একটি টিনের চালার নিচে আশ্রয় নেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই জহুর ও ছলিমের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রেজাউল নামের আরেক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, আহত রেজাউল বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার আলমসাদরপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র শাকিল আহমেদ (১৮) মিরপুর উপজেলার নওদাপাড়া ও মহদীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আহত নাঈম হোসেন দৌলতপুর উপজেলার গাছের দাউড় এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৩টার দিকে আলমাসাদরুপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জুবাইয়া ফারজানা জানান, স্থানীয়রা তাদের মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে পৌঁছালে তরিকুলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শাকিল ও নাঈমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই বজ্রপাতে শাকিল আহম্মেদের মৃত্যু হয়। আর আহত নাইম বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে ক্রসবার-৩ এলাকায় ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্র মাহবুবুর রহমানের (২২) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন।
নিহত মাহবুবুর রহমান পৌর এলাকার কল্যাণী মহল্লার আব্দুল আজিজের ছেলে এবং স্থানীয় ডিগ্রি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে ওই কলেজ ছাত্র বন্ধুদের সঙ্গে উল্লেখিত এলাকায় ফুটবল খেলছিল। এ সময় ভারী বৃষ্টি ও মেঘের তর্জন গর্জন শুরু হয় এবং বজ্রপাতে ওই কলেজ ছাত্রসহ ৪ জন আহত হয়।
তাদেরকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ৩ জনকে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক সপ্তাহ আগে মাহবুবুর রহমানের মা মারা যান। এদিকে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার ব্যাপক শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
নওগাঁর রাণীনগরের বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের জালালাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই ভাই হলো- সামিউল ইসলাম (১০) ও রিফাত হোসেন (৩)। তারা উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের জালালাবাদ এলাকার লাভলু ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ২ ছাত্রীর মৃত্যু
লাভলু ফকিরের দুই পুত্র সন্তান ছাড়া আর কোন সন্তান নেই।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার দুই ভাই নিজ বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তারা গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
পরে লাশ দুইটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন বলেন, খবর পেয়ে সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে মৃত্যুর কারনে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া ওই পরিবারকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণলয়ের জিআর ফান্ড থেকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের মাধ্যমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে (জনপ্রতি) আর্থিক সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু