বজ্রপাত
দেশের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার হাড়িসোনা গ্রামে এবং বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রাজারামপুর হাসিনা গার্লস স্কুল মাঠে বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার হাড়িসোনা গ্রামের খাজেম আলীর স্ত্রী জামিলা খাতুন (৫৯) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রাজারামপুরের মৌলভী পাড়া মহল্লার সেরাজুল ইসলামের ছেলে সাদ(১৪)।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক জানান, শনিবার দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে পাশের বাড়ি থেকে ওষুধ নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন জামিলা। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, মাঠে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় কিশোর সাদের। পরে স্থানীয়রা ওই কিশোরকে মাঠ থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মাগুরায় এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ মৃত্যু ২
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু
বজ্রপাতে মাগুরায় এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ মৃত্যু ২
মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ও কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে শুক্রবার বজ্রপাতেক এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ দুজন নিহত এবং চার জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- সদরের রাঘবদাইড় ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জাপুর গ্রামের দুলাল বিশ্বাসের মেয়ে ও দক্ষিণ মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী মাফুজা খাতুন এবং কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের নতুনগ্রাম এলাকার দিনমজুর রামানান্দ (৪৮)।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে দক্ষিণ মির্জাপুর গ্রামের মাফুজা খাতুন বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশে মাঠে গরু আনতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
এদিকে, একই সময় নতুনগ্রাম এলাকায় পাট খেতে কাজ করা সময়ে বজ্রপাতের রামানান্দ মারা যান। এই সময় তার সঙ্গে থাকা সহযোগী আরও চার শ্রমিক আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানানা, কৃষি কাজের জন্য গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার বাসিন্দা রামানন্দসহ অন্যান্য কয়েক দিনমজুর শ্রমিকরা কিছুদিন এলাকায় অবস্থান করছেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির হোসেন জানান, নতুনগ্রাম এলাকায় বজ্রপাতের ঘটনায় এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এঘটনায় মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশে বজ্রপাত
বজ্রপাত বাংলাদেশের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে, প্রতি বছর এই কারণে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বজ্রপাতে ৩ কৃষকের মৃত্যু
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগের চেয়ে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে অন্তত ২১৬ জন মানুষ মারা যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
সিলেটে বজ্রপাতে নিহত ২
সিলেট সদর উপজেলায় বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পুরান কালারুকা এলাকার ফাটাবিলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জালালাবাদ ইউনিয়নের পুরান কালারুকার মৃত ছইদুল্লাহের ছেলে সিরাজ উদ্দিন (৫৫) ও মৃত ওয়ারিছ উল্লাহ’র ছেলে নওশদা মিয়া (৪৫)।
আহতরা হলেন-একই গ্রামের মৃত হারিছ মিয়ার ছেলে ফজর আলী (৬৬) ও মৃত জহুর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম নজই (৪২)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ ইসহাক।
তিনি জানান, হতাহতরা রাতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে ফাটাবিল হাওরে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে দুজন মারা যান। আহত হন আরও দুজন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে আহত ১৯
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু
বন্যা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১
দেশের অধিকাংশ জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকলেও শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট জেলায় আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বন্যায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত দুজনই বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
মোট মৃতদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৯৪ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে নয়জন মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৬৭ জন, ময়মনসিংহে ৪১ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন।
বন্যা কবলিত ৭০টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ৩৩টি, রংপুর বিভাগে ১৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে আরেকটি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
সুনামগঞ্জে নামছে বন্যার পানি
মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে আহত ১৯
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর এলাকায় বজ্রপাতে ১৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাগীর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-আব্দুল লতিফ (৬০), ইসমাইল (১৫), আলমগীর (৫৫), আরিফ (২৯), ওয়াসিম (২০), আজিজুল হাকিম (৩৫), মোকলেস (৬২), রাজ্জাক (৫০), শামীম (৩৫) ফাহিম (১৭), জাহিদুল (৪০), সজিব (২০), রাজিব (২০), ফারুক (৩০), শিবু মিয়া (২০), বিপ্লব হোসেন (২০), রইজ উদ্দিন (১৮), লুৎফর রহমান (৩৫), বাদশা মিয়া (৫০)। তাদের বাড়ি জেলার সদর, সাটুরিয়া ও সিংগাইরের বিভিন্ন গ্রামে।
বজ্রপাতে আহত ১৯ জনের মধ্যে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসাপাতালে ভর্তি আছেন ১৮ জন।
আহত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদশীদের সূত্রে জানা গেছে, বিকালে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ফুটবল খেলা হচ্ছিল। খেলা দেখতে স্থানীয়রাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাঠে জড়ো হয় বহু লোক। সাড়ে ৪ টার দিকে হঠাৎ বিকট বজ্রপাতের শব্দ হয়। এসময় জাগীর ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের একটি কড়ই গাছের ওপর বাজ পড়ে। এতে গাছটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় বজ্রপাতে অনেকই আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শামীমা আক্তার বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় ১৮ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে আহতদের মধ্যে তিনজনের শরীরে বিভিন্নস্থানে ঝলসে গেছে। ভর্তি রোগীদেরকে হাটা চলা করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২
বন্যা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৮ জনে পৌঁছেছে
দেশের অধিকাংশ জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকলেও বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণা ও হবিগঞ্জে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বন্যায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা ১১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহতদের সবাই বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
মোট মৃতদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৯১ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে নয়জন মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৬৪ জন, ময়মনসিংহে ৪১ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন।
বন্যা কবলিত ৭০টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ৩৩টি, রংপুর বিভাগে ১৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নামছে বন্যার পানি
বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বন্যায় আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১১২
দেশের অধিকাংশ জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে আরও দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে।
নিহতদের সবাই বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
মোট মৃতদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৮৫ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে ৯ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্যায় ১৪০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৫৯ জন, ময়মনসিংহে ৪০ জন, রংপুরে ১২ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজন মারা গেছেন।
বন্যা কবলিত ৭০টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগের ৩৩টি, রংপুর বিভাগের ১৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের মুগরাইন হাওরে চাঁই পেতে মাছ শিকার করার সময় জ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত মানিক মিয়া (২৮), মিয়াশা মিয়া (৩০) উপজেলা সদর ইউনিয়নের জানিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ভোরে তারা দু’জন বাড়ির পাশে হাওরে মাছ ধরছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তারা মারা যান। পরে স্থানীয়রা তাদের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পড়ুন: বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
বন্যায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জে বন্যায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্য অনুসারে, মৃতদের মধ্যে দুজন পানিতে ডুবে এবং একজন বজ্রপাতে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পানি কমছে
মৃত ৯৫ জনের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ৬৮ জন, বজ্রপাতে ১৫, সাপের কামড়ে দুই, ডায়রিয়ায় এক এবং অন্যান্য কারণে ৯ জন মারা গেছেন।
১৭ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব বড় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
তবে ব্রহ্মপুত্র নদ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, অন্যদিকে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় এসব নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে পাউবোর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় বন্যায় ২৪ মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এর তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১৭ মে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮।
অধিদপ্তরের মতে, ২৪ ঘণ্টায় শুধু সিলেট বিভাগেই ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ২০ জন, বজ্রপাতে দুজন এবং ডায়রিয়ায় একজন মারা গেছেন।
মোট ১৮৫ বন্যাকবলিত উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ২৯টি, রংপুর বিভাগে ১৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যার কারণে মোট ৮৭২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে দুই হাজার ছয়টি মেডিকেল টিম বন্যাকবলিত মানুষদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুশিয়ারার আগ্রাসী রূপ: পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিহত ১
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের