কারাগার
বাগেরহাট কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারে কামাল হোসেন মিজান (৪৩) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৫ জন, মৃত্যু নেই
হাজতি কামাল হোসেন বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের মোকলেছ হোসেনের ছেলে।
২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে আলমসাধু উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারের সুপার শংকর কুমার মজুমদার জানান, কামাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখানে রাত সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে কামাল হোসেনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০
নওগাঁয় কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
নওগাঁ জেলা কারাগারে মতিবুল ইসলাম (৬০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে অসুস্থ হলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মতিবুল ইসলাম নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর এলাকার পলিপাড়া মহল্লার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২০৭
তিনি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নওগাঁর জেল সুপার নজরুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরকসহ ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা ছিল মতিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ২৭ নভেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিনি অসুস্থ হলে ১৪ ডিসেম্বর থেকে কারা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের বালুর স্তুপে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে বেশি অসুস্থ হলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তানজিমুল হক জানান, সকালের দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মতিবুল ইসলামকে। কিছু বাদেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঘরের উপর গাছ পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধী দলের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের দমন করতে কারাগারের ভেতরে ও বাইরে নানাভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। কারাবন্দিদের ওপর অবর্ণনীয় ও নৃশংস নির্যাতন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে হত্যা করা হচ্ছে। অসুস্থ বন্দিদের হাসপাতালে না পাঠিয়ে হাত-পায়ে শিকল দিয়ে কারাগারে রেখে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপির কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের দিন-রাত কারাগারে দমবন্ধ কক্ষে আটকে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে... বন্দিদের মৃত্যুর পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে গল্প তৈরি করছে।’
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কারা হেফাজতে মৃত্যুর দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কারা কর্মকর্তারা এড়াতে পারবেন না। প্রতিটি মৃত্যু ও হত্যার জন্য তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের সাম্প্রতিক ‘Full prison and false charges: Bangladesh opposition faces pre-election crackdown' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সরকার কীভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম ও কারারুদ্ধ করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪৩ হাজারেরও কম বন্দি রাখার সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে এসব কারাগারে প্রায় ৮৮ হাজার বন্দি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলদার সরকার পুরো দেশকে নরকে পরিণত করেছে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। বাড়ির বাইরে কোথাও মানুষের নিরাপত্তা নেই। দেশের মানুষ অজানা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, কারাগারগুলো মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে এবং কারাগারগুলো হিটলারের গ্যাস চেম্বারের মতো শেখ হাসিনার গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৬৮টি কারাগারের প্রতিটিই টর্চার সেলের মতো, যেখানে রাজনৈতিক বন্দিরা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ভয় পায়। সুস্থ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় নির্যাতন করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে এবং লাশের মতো বের করে আনা হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, এ বছর বিএনপি নেতা-কর্মীসহ প্রায় ১০০ জন কারাগারে মারা গেছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল ও চালের দাম নিয়ে দেশে নৈরাজ্য চলছে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সব নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী পণ্যের দাম নির্ধারণ করছেন। সরকারের যদি জনগণের ভোটের প্রয়োজন হতো, তাহলে তারা বাজারের নিয়ন্ত্রণ তার দলের ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দিত না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
বিএনপির বন্দী নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন এবং সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করতে বিএনপির সকল বন্দীদের সব ধরনের সাধারণ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য বর্তমান আইজি প্রিজন মৌখিকভাবে সব কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শবিবার (৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, আইজি প্রিজন কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও অধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত করে সারা দেশের কারাগারগুলোকে হিটলারের গ্যাস চেম্বার ও কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, 'নির্যাতনের কারণে কারাগারে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন বিপাকে পড়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
রিজভী দাবি করেন, কারাবন্দি বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারের ভেতরের কক্ষ থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে, তাদের জন্য জামাকাপড় দিতে এবং ফোনে কথা বলতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কারাগারগুলো এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ হওয়ায় কারাগারগুলো এখন প্রকৃত সামাজিক অপরাধীদের জায়গা নয়। সুতরাং, তিনি সেখানে ফ্যাসিবাদের নিপীড়নের সমস্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন। জেলখানায় তিনি (শেখ হাসিনা) তার আদর্শে অনুপ্রাণিত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চান বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তারের আগে বাইরে যেমন হয়রানি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হন, কারাগারেও তারা তেমনি নির্যাতিত হন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
রিজভী বলেন,‘কারাগারের ভেতরে ভয়াবহ নিপীড়ন চলছে। এই নিপীড়ন নজিরবিহীন। এই নিপীড়ন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা আমাদের দলের বন্দীদের বিরুদ্ধে এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
তিনি বন্দীদের উপর এ ধরনের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে বন্দীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রাক্কালে শাহবাগ থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের তাড়িয়ে দেয়া এবং জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশে বাধা দেয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপির জেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘জোরপূর্বক গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা নিজেদের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। গুম, ক্রসফায়ার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এই সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এমনভাবে টিকিয়ে রাখতে চায়, যাতে তার অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে না পারে।’
রিজভী দাবি করেন, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ১৭৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের ২০ হাজার ৬৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মূল নেতৃত্ব তাদের দলের নেতাদের বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি করে রেখেছে। যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি করলে এখন কোনো নির্বাচন করা যায় না। সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন; এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনও করা যায় না। আর তাদের সিদ্ধান্ত হয় সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে; যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে বিএনপি নামক এই কারাগার থেকে অনেকেই বের হয়ে এসেছেন।
মন্ত্রী বলেন,‘আজকে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাই স্বীকার করেন, আসলে এই সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন আকাশের দিকে আর পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি কিছু হয়। এভাবে একটি দল টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি আজকে আবার হরতাল ডেকেছে এবং আরও না কি কর্মসূচি দেবে। কিন্তু এই হরতালে জনগণের কোনো সাড়া নেই এবং মূল নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কেউ একমত নয়। নির্বাচনী আমেজ ও ডামাডোলে বিএনপির সব কর্মসূচি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারা একটি হাস্যকর দলে পরিণত হয়েছে। আমি আশা করব বিএনপি এই অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন টিআইবি নির্বাচনের দিন দেখতে পাবে। টিআইবির প্রতি প্রশ্ন, ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে সহিংসতা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে এমন কি পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হলো, নার্সদের অপদস্ত করা হলো, অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানো হলো, জীবন্ত মানুষকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, এ নিয়ে টিআইবির কী বিবৃতি, কী বক্তব্য?
হাছান মাহমুদ বলেন, কাউকে ঘুষি মারলে, ধাওয়া করলে টিআইবি বিবৃতি দেয়; আর এত চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে আপনাদের জোরালো কোনো বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে টিআইবি আসলে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, টিআইবি যদি মনে করে একটি দল অংশগ্রহণ না করলে সেটি অংশগ্রহণমূলক নয়, তাহলে সেটি টিআইবির চিন্তার বা বোঝার দৈন্য। আজকে দেশে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। আর গণতন্ত্রে দল নয়, গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণ হচ্ছে মুখ্য।
এ সময় সাংবাদিকরা ‘পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তার কার এজেন্ট’- প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তিনি কার এজেন্ট আমি জানি না, আপনারা খুঁজে বের করুন। তবে এক বছরে যতবার তিনি বিদেশ গেছেন এবং বিদেশ যাত্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তা থেকে প্রশ্ন আসে একজন শ্রমিক নেতার এত টাকা কোথা থেকে আসে, এতবার বিদেশ যাত্রারই বা কেন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি পেছাল
কারাগারে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় জামিন আবেদনের উপর শুনানি হয়নি। আগামী ২২ নভেম্বর জামিন শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে জামিন শুনানির শুরুতেই মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
এ সময় মির্জা ফখরুলের পক্ষে অর্ধশতাধিক আইনজীবী এর প্রতিবাদ করেন।
তারা বলেন, জামিন শুনানিতে পিপির কোনো প্রয়োজন নেই। আদালতে কোনো বিবিধ মামলার শুনানিতে পিপির উপস্থিতির প্রয়োজন পড়েনি। তারা আদালতের কাছে জামিন শুনানির জন্য প্রকাশ্যে তারিখ চান।
তারা আরও বলেন, আদালত পরে তারিখ জানাবেন বললে এ সময় কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। কবে পিপি শুনানি করতে পারবেন জানার জন্য ফোন করা হলে উনার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এরপর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে আদালতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রকাশ্যে জামিন শুনানির তারিখ ঘোষণা ছাড়া এজলাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দিনের অন্য মামলা শুনানি করতে বাধা দেন আইনজীবীরা।
এমতাবস্থায় ৩টা ১৪ মিনিটে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এজলাস থেকে নেমে যান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন- আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. মোহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, ওমর ফারুক ফারুকী, ইকবাল হোসেন, হযরত আলী, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।
গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
জামিন শুনানির জন্য সোমবার তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত।
২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
১৪ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি ছাত্রী খাদিজা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জামিন পেয়ে কাশিমপুর নারী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
গ্রেপ্তারের চৌদ্দ মাসেরও বেশি সময় পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হলো।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, 'আমরা খুব ভোরে এখানে এসেছি। খাদিজা সকাল ৯টায় কারাগার থেকে বের হন। তার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আজ। এই কারণে, আমরা এখানে খুব তাড়াতাড়ি এসেছি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জামিন পান খাদিজা। রবিবার সন্ধ্যায় জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।
রবিবার দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মুক্তির অনুমতি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই ফিরে আসতে হয় তার স্বজনদের।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) দুই মামলায় ২০২০ সালে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় 'সরকারবিরোধী প্রচারণা চালানো ও বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার' অভিযোগে দুটি মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিলবোর্ড ভেঙে জবি শিক্ষার্থী আহত
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দায়ের হওয়া দুটি মামলার অভিযোগও একই রকম ছিল।
২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, খাদিজা ও দেলোয়ার দেশের বৈধ প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর প্রচারণা চালানোর ষড়যন্ত্র করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিভাজন সৃষ্টি করে তাদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন ৪ মাসের জন্য স্থগিত
খাদিজার আইনজীবী জানান, ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সময় খাদিজার বয়স ছিল ১৭ বছর। কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও খাদিজার জামিন আবেদন বারবার নাকচ করে দেয় ঢাকার একটি আদালত।
এ মামলায় চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খাদিজাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
ওই বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগ দুই মামলায় খাদিজাতুল কুবরার জামিন চার মাসের জন্য স্থগিত করেন।
শুনানিতে খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া যুক্তি দেন, খাদিজা তার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওতে যে সব মতামত দিয়েছেন তার জন্য খাদিজা দায়বদ্ধ নন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন
সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৭ নেতা-কর্মী কারাগারে
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির প্রাক্কালে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ নভেম্বর) পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার (১২ নভেম্বর) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির একজন, যুবদলের একজন এবং ছাত্রদলের পাঁচজন নেতা রয়েছেন।
এছাড়া, শনিবার সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আবিদ আহমদ, জেলা ছাত্রদল নেতা মীর মো. রিয়াজ, মো. সাকিব, ইয়ামিন আহমদ ও রনি আহমদ এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. ইসলাম উদ্দীন।
আরও পড়ুন: নৌকায় অনবরত সিল মারা সেই আজাদ কারাগারে
জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
নৌকায় অনবরত সিল মারা সেই আজাদ কারাগারে
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ব্যালটে নৌকা প্রতীকে অনবরত সিল মারার ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক বেলায়েত হোসেন শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের জিআরও মো. শরীফ উল্যাহ শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
জিআরও মো. শরীফ উল্যাহ বলেন, ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ আজাদকে আদালতে সোপর্দ করে। এতে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এসব বিষয়ে জেলা পুলিশ ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলামকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভোরে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদের বাড়ি থেকে ‘পুলিশ’ পরিচয় আজাদকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।
শুরু থেকেই আজাদ পুলিশের কাছে ছিল বলে তার বড় ভাই যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন দাবি করে আসছিলেন।
আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ও দিঘলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তিনি সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, শুক্রবার ভোরে আজাদ আমাদের বাড়ি আসে। তাকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না।
৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন চলাকালীন দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজাদ ব্যালট বইয়ে নৌকায় মার্কায় অনবরত সিল মারেন।
এ ঘটনার ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় ৫৭ সেকেন্ডে আজাদ নৌকা প্রতীকের ব্যালটে ৪৩টি সিল মারেন। এনিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গেজেট প্রকাশ স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পৃথকভাবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ইসিসহ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী কারাগারে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী কারাগারে
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবু আনসার আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আলতাফ হোসেনের পক্ষে জামিন আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
এর আগে রবিবার সকালে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: টঙ্গী থেকে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে র্যাব
মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক