কারাগার
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্পাদকসহ ৬ নেতা কারাগারে
সিরাজগঞ্জ জেলা বিনএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৬ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ মে) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন আবেদন করলে বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বরাত, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আহমেদ নির্লোভ, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সোহেল ও নোমান।
সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে মোটরসাইকেল পোড়ানোসহ নাশকতার মামলায় ৪৬ আসামি মঙ্গলবার আদালতে জামিন আবেদন করেন। এর মধ্যে বিচারক ৬ জনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ও বাকিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাশকতা মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
তিনি আরও বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে একটি ও পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলায় বিএনপির ১৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩’শ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
দায়ের করা ওই মামলায় মঙ্গলবার বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানো হলো। এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৬ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিএনপি ও এলডিপির ২৬ নেতাকর্মী কারাগারে
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী কারাগারে
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্ত্রীদের ‘অপপ্রচার’ ফের কারাগারে নেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
এসময়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন অসুস্থ… আজকে না বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। আপনারা জানেন একবার তাকে চার মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছে এবং তখনও আপনাদেরকে বার বার করে বলেছি যে, তিনি খুব জটিল কিছু রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে আছে লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, হৃদরোগের সংক্রান্ত জটিলতা, তার ডায়বেটিক জটিলতা আছে… এই বিষয়গুলো সবাই জানেন।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘এরপরেও যদি তারা এই সমস্ত কথাবার্তা বলে, অপপ্রচার করে…. এই কথা বলার অর্থই হচ্ছে তারা আবারও কোনো গভীর চক্রান্ত করছে। যে চক্রান্তের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে তারা আবার কারাগারে নিতে পারে কিনা, পরিকল্পনা-চক্রান্ত করছে কিনা সেটা আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বার বার করে বলেছি যে, তার চিকিৎসা পাওয়া একটা মৌলিক অধিকার। এজন্য ডাক্তারা বলেছেন, তার মেডিকেল বোর্ড বলেছেন যে, তাকে উন্নত চিকিতসার জন্য বাইরে বিদেশে পাঠানো দরকার। বাংলাদেশে তার সেই উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘ কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার সে বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। উপরন্তু এই ধরনের (অপপ্রচার) কথাবার্তা বলে অমানবিক আচরণ করছেন তারা আমাদের দেশনেত্রীর সঙ্গে এবং জনগণের সঙ্গে একটা তামাশা করছেন।’
৭৭ বছর বয়েসী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ নানা রোগে ভুগছেন। অসুস্থতার মধ্যে গুলশানে ‘ফিরোজা‘য় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছিল। গত ২০ এপ্রিল তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে এভারকেয়ারে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ডিএসএ বাতিল ও এই আইনের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
গতকাল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ এই সংবাদ সম্মেলনে জানান বিএনপি মহাসচিব।
‘অত্যবশ্যকীয় পরিষেবা বিল: জনগণের স্বার্থবিরোধী’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে গতকাল স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটি নানা কারণে বিতর্কিত, অগণতান্ত্রিক, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের স্বার্থবিরোধী, একতরফা, নির্যাতনমূলক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট বরখেলাপ। এই আইনটি প্রণয়নে কোনো পর্যায়ই অংশীজনের মতামত নেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, প্রস্তাবিত বিলটি শুধু শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ ও অধিকারকেই ক্ষুন্ন করবে না, এটি সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জনগণের সংবিধান সম্মত প্রতিবাদের অধিকারের পরিপন্থি। বিএনপি প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের পরিধি শুধু বিস্তৃত নয়, অসীম। সরকার ইচ্ছা করলেই যেকোনো শিল্প, প্রতিষ্ঠা, পেশা ও সেবাকে এই আইনের আওতায় এনে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করে তা অমান্য করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বানাতে পারবে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই প্রস্তাবিত আইনকে প্রচলিত শ্রম আইনের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করে শ্রমজীবী জনগণ যা কিছু অধিকার অর্জন করেছিলো তা এই আইন দিয়ে নাকচ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আইএলও কনভেনশন নং ৮৭ ও ৯৮ অনুসমর্থন করেছে। যেখানে ধর্মঘটের অধিকারকে সংগঠিত হওয়ার অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত বিলে দেশের বিপুল সংখ্যক শিল্প, প্রতিষ্ঠান ও সেবা খাতকে ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা’ চিহ্নিত করে শ্রমজীবী মানুষের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো তাদের সংগঠিত হওয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহুমদ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
খুলনায় নাশকতা মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনার ডুমুরিয়া থানার একটি নাশকতা মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানসহ ৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে তারা খুলনার জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির জন্য হাজির হয়েছিলেন। বিচারক মীর শফিকুল আলম ৮ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যান্য আসামিরা হলেন- শেখ ফরহাদ হোসেন, মোল্লা আকবর হোসাইন সৈকত, আবদুর রব আকুঞ্জী, শাহীনুর রহমান, মোল্লা মশিউর রহমান ও শাহনেওয়াজ শেখ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমরেজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিএনপি ও এলডিপির ২৬ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, ডুমুরিয়া থানার একটি নাশকতা মামলায় বিএনপি’র ১৭ জন নেতাকর্মী হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ ৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, ডুমুরিয়া উপজেলা আহ্বায়ক মোল্লা মফিজুর রহমানসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানার এস আই তারেক রাইয়ান বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগ করেন তিনি। মামলায় মোট ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
গ্রেপ্তারের সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহযোগী প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন।
জেলগেটে রিজভীকে স্বাগত জানান দলের শতাধিক নেতা-কর্মী ও কয়েকজন স্বজন।
শাহেদ বলেন, রিজভী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের বহুল আলোচিত সমাবেশের তিন দিন আগে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে রিজভীসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিজভীর আইনজীবীরা জানান, রিজভীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা ৫০টি মামলায় জামিন পাওয়ায় রিজভীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো রিজভীকে
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কুমিল্লায় বিএনপি ও এলডিপির ২৬ নেতাকর্মী কারাগারে
কুমিল্লার চান্দিনায় বিএনপির পদযাত্রায় ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়’ বিএনপির সভাপতিসহ বিএনপি ও এলডিপির ২৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন তাদেরকে কারাগারে পাঠান।
তাদের মধ্যে ১৮ জন বিএনপি ও আটজন এলডিপি নেতাকর্মী।
আটকরা হলেন- চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ, উপজেলা যুবদল সভাপতি মাওলানা আবুল খায়ের, পৌর যুবদল সভাপতি হাজী নুরুল ইসলাম মুন্সি, উপজেলা বিএনপি দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল চান্দিনা উপজেলা শাখার সভাপতি রাজিব ভূইয়া ও গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সাক্কুসহ ২৬ জন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর
জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চান্দিনার কুটুম্বপুর এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১৬০ জন অজ্ঞাতামা আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় তারা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে কুমিল্লা জেলা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ছয় সপ্তাহ শেষে মঙ্গলবার কুমিল্লা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন বিএনপি ও এলডিপি নেতাকর্মীরা। এ সময় জজ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইনজীবী আতিকুল আলম সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশক্রমে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছি। কিন্তু আদালত নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রকৃতপক্ষে ওই ঘটনার সঙ্গে তারা কেউ জড়িত ছিল না।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী কারাগারে
বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চুয়াডাঙ্গার বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. জিয়া হায়দার জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ এর সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
জেল হাজতে যাওয়া ১৭ জন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়কসহ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মী রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের দশমী গ্রামের ফুটবল মাঠে বেশ কয়েকজন মিলে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য জড়ো হন। তারা বিস্ফোরক দ্রব্য বোমা ও সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্য অবস্থান করছিল। এ সময় দামুড়হুদা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও লাঠিসহ আটক করে।
পরে দামুড়হুদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোয়াদ বিন মোবারক বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় ১৭ আসামি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পায়।
এছাড়া সোমবার (২৭ মার্চ) জামিনের মেয়াদ শেষ হলে মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ নেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ এর সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে আইনজীবী আহসানুল হক চৌধুরীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন আরজু।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আসগর স্বপন আসামির জামিন আবেদনে বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের শুনানি শেষে আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৬ জানুযারি একই আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দেয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গত বছরের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন।
তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআইয়ের পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ট্রাইব্যুনালে গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে প্রথম স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তখন তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় বাসায় প্রায় নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন। তখন তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে পুনরায় বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে সফল হয়।
আসামি তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। সামাজিক নির্ভরতা এবং একাকিত্বের অবসান ঘটাতে নতুন সংসার শুরু করতে চান বাদী। তিনি আসামিকে ভালবেসে ফেলেন এবং বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেন।
২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান গর্ভে আসার পর আসামি বিভিন্ন ছলছাতুরীর মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাদী দৃঢ়তার জন্য বাচ্চা নষ্ট করতে পারেনি। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আসামির আচার-আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। আসামি বাদীর বাসায় আসা কমিয়ে দেন। ইতোমধ্যে বাদীর নামে ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার কথা বলে তার বাবার কাছ থেকে নেয়া ১০ লাখ টাকা ও জমা আট লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বিক্রি করে আসামিকে টাকা দিলেও সে কোনো ফ্ল্যাট কিনে দেননি। টাকাও ফেরত দেননি।
একপর্যায়ে বাদীর বাসায় আসা বন্ধ করে দেন আসামি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামির প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। সে ঘরে কন্যাসন্তান আছে এবং স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন আসামি।
আরও জানা যায়, আসামি বাদীর কাছে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে প্রতারণা করা হয়েছে। এরপর আসামি কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন।
একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে সরাসরি অস্বীকার করেন। মামলার তদন্তে বাদীর কন্যাসন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়।
সেখানে কন্যাসন্তান বাদীর গর্ভজাত এবং বিবাদীর জন্মদাতা বাবা বলে প্রতিবেদন উঠে আসে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: চট্টগ্রামের ৩ সার্ভেয়ার কারাগারে
কাশিমপুর কারাগারে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: চট্টগ্রামের ৩ সার্ভেয়ার কারাগারে
চট্টগ্রামের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার এক কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় তিন সার্ভেয়ারকে সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- রাঙ্গুনিয়া ভূমি অফিসের মো. মজিবুর রহমান (৪০), মো. আমানতুল মাওলা (৩৬) ও আশীষ চৌধুরী (৫০)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আউটার রিং রোড প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে উত্তর পতেঙ্গা এলাকায় মোট শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আসামিরা তাদের পদ ব্যবহার করে জমি অধিগ্রহণের জন্য এক কোটি ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরে চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক জাফর আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
চট্টগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে বয়স বাড়িয়ে শিশুকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ
কাশিমপুর কারাগারে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বহুল আলোচিত ডা. নাজনীন ও তার গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ওই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আমিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর
ডা. নাজনীন ও তার গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আমিনুল ইসলাম (৪২) নওগাঁর পত্নীতলা থানার আকবরপুর গ্রামের চাঁন মোহাম্মদ মণ্ডলের ছেলে।
আমিরুল জানান, ২০০৫ সালে ঢাকার ল্যাব এইডের চিকিৎসক নাজনীন আক্তার ও তার গৃহপরিচারিকা পারুলকে হত্যায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় আমিনুল ইসলামকে ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় জোড়া হত্যার মামলা ছিল।
কারাগারে রায় কার্যকরের সময় গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান, জেলা এডিএম হুমায়ুন কবির, জিএমপি'র এডিসি রেজোয়ান আহম্মেদ, সদর জোনের এসি ফাহিম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
শফিউদ্দিন হত্যা: কুমিল্লা কারাগারে ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনায় পুলিশের দায়ের করা নাশকতা সহিংসতার তিন মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন সহ ৬৬ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ জানুয়ারী) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে খুলনার প্রতিটি থানায় পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হযরানিূলক নাশকতা সহিংসতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা করে। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবনচরা থানার এই তিন মামলায় অন্য যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মহানগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসারউদ্দিন, কাজী শফিকুল ইসলাম, মাসুদ খান বাদল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ, সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দল সদর থানা আহবায়ক খায়রুজ্জামান সজীব, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ সুমন, বিএনপি নেতা জালু মিয়া, ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শহিদ খান, নাসিম আহমেদ প্রমুখ।
শুনানীকালে আদালতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ, গাজী আব্দুল বারী, এস আর ফারুক, মাসুদ হোসেন রনি, মোমরেজুল ইসলাম, আখতার জাহান রুকু, মশিউর রহমান নান্নু, তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষারসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আদেশ ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
তারা মিথ্যা বানোয়াট রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন ও স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার দেশব্যাপী সমাবেশ করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল