কারাগার
জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে কারাগারে দেখা হওয়ার পর জঙ্গি নেতা হয়ে ওঠেন ডাকাত
গ্রেপ্তার নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’র সশস্ত্র শাখার প্রধান এবং কাউন্সিল (শুরা) সদস্য রণবীর ডাকাতির অভিযোগে জেলে থাকাকালীন জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন এই গ্রুপের শীর্ষ নেতা হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গতকাল মাসুকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ ও বাশারকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।
রণবীরের সহযোগী বাশার বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ।
রণবীর পোস্ট অফিসে চাকরি করতেন। তিনি একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের নেতৃত্ব দেন এবং গ্রেপ্তার হন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, কারাগারে থাকাকালীন তিনি জেএমবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তির পর তিনি কারাগারে জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে থাকেন। তাদের পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল।
শুরা সদস্য রাকিবের সঙ্গে ২০১৭ সালে তিনি দেখা করেন এবং পরে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার অর্থ ও মিডিয়া শাখার প্রধান এবং একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন।
র্যাবের সদস্যরা সোমবার(২৩ জানুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্দুকযুদ্ধের পর রনবীর ও বাশারকে গ্রেপ্তার করে।
বন্দুকযুদ্ধের পর ক্যাম্পের একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ দু’জনকে আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে বয়স বাড়িয়ে শিশুকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিশুকে গ্রেপ্তার করে বয়স বেশি দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী সাকিব আলী নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি যুগীচাঁদ মসজিদ লেইন এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং পাঠানঠুলি সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তার পরিবারের দাবি, সাকিব আলীর জেএসসি পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী ছেলের বয়স ১৭ বছর ৬ মাস। কিন্তু পুলিশের মামলায় তার বয়স দেখানো হয়েছে ১৯ বছর।
সাকিব আলীর বাবা মোহাম্মদ আলী বলছেন, তার ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। ১৬ জানুয়ারি ক্রিকেট খেলার জার্সি কিনতে স্টেডিয়াম এলাকায় গিয়ে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টাকালে পুলিশ তার শার্টের কলার ধরে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: আর্জেন্টিনার জার্সিতে আনসার সদস্য শনাক্ত
পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট সাকিব পড়ালেখার খরচ জোগাতে এলাকার ‘ভাই ভাই ফার্মেসি’তে মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরিও করে বলে জানিয়েছে পরিবার।
সাকিবের মা বলেন, ‘ছেলে নিজেকে স্কুল শিক্ষার্থীর পরিচয় দিলেও পুলিশ সদস্যরা তার কথা শোনেননি। তাকে আটকের খবর পেয়ে সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত কোতোয়ালি থানায় অপেক্ষা করেও তাদেরকে বুঝাতে পারিনি। পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।’
পাঠানটুলি সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমীরণ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে সাকিব আলী। সে কোন দলের রাজনীতি করে না। তাকে আটক করলেও ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
আইনজীবী ও বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান ইউএনবিকে বলেন, প্রায় ঘটনায় দেখা যায় পুলিশ কোন শিশুকে আটকের পর তাদের বয়স বাড়িয়ে আদালতে চালান করে। অথচ শিশু অপরাধের জন্য শিশু আইন আছে। তাদের আদালতে মাধ্যমে সেইফ কাস্টডিতে পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। বয়স বেশি দেখানোর ফলে অপরারাধী শিশুকে সাধারণ হাজতির সাথে কারাগারে পাঠানো হয়, যা দুঃখজনক। সাকিব আলীর ক্ষেত্রে যদি তা ঘটে থাকে তাহলে আদালতে তার জন্মসনদ ও স্কুলে বয়স প্রমাণের কাগজপত্র দেখিয়ে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, সাকিব আলী নামে ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আটক করেছে। কোনও শিক্ষার্থী অপরাধে জড়ালে তাকে কি মামলায় আসামি করা যাবে না? প্রাথমিকভাবে ছেলেটির বয়স ১৯ হতে পারে বলে মনে হয়েছে, সেটাই এজাহারে লেখা হয়েছে। যদি বয়স ১৮ বছরের কম হয়, তাহলে তদন্ত করে শিশু আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ২৯
কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
দেশের কারাগারগুলোতে শূন্য পদে ৪৮জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ পালন না করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে ২৪ জানুয়ারি সশরীরে হাজির হয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, একাধিকবার সময় নিয়েও কারাগারের শূন্য পদে ৪৮জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়নি।
কারাগারের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের দাবিতে আইনজীবী জে আর খান রবিন হাইকোর্টে রিট করেন ২০১৯ সালে। পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুন এক আদেশে হাইকোর্ট সারা দেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
ওই নির্দেশ অনুসারে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আদালতে কারামহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন ১০ জন।
ওই প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের মধ্যে ১১২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী জে আর খান রবিন জানান, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪১টি কারা চিকিৎসকের শূন্য পদে চিকিৎসক আছেন মাত্র চারজন। যে কারণে শূন্য পদগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগে আদালতের আগের আদেশ বাস্তবায়নের অবস্থা জানানোর নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি।
এছাড়া ১৫ নভেম্বর আদালত আগের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।
আর এ বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে প্রতিবেদন দিতে মৌখিকভাবে আদেশ দেন।
ওই আদেশ অনুসারে ১৩ ডিসেম্বর কারা মহাপরিদর্শক একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬৮টি কারাগার ও একটি ২০০ শয্যার কারা হাসপাতালে বিভিন্ন স্তরের মোট ১৪১ সংখ্যক চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ রয়েছে। কারা হাসপাতালে ১৪১টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে প্রেষণে ও সংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৯৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
পরে আদালত বাকি ৩৮টি শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের আদেশ ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়নের আদেশ দেন। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন না করায় মঙ্গলবার ডিজিকে তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
রিতা দেওয়ানের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
বগুড়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বগুড়ায় কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মৃত সুমন ইসলাম (২৬) বগুড়ার ধুনটের এলাঙ্গী গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বগুড়ার জেল সুপার মনির আহম্মেদ কয়েদীর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে সুমন বগুড়া কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় চিকিৎসার জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেল সুপার আরও জানান, সুমন ধুনট থানায় দায়ের হওয়া মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন। তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ হাজতির মৃত্যু
নাটোরে বিএনপির ১৯ নেতাকর্মী কারাগারে
নাটোরে বিস্ফোরক আইনে যুবলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ ২৬ বিএনপি নেতাকর্মী নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীনের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানায়।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
শুনানি শেষে বিচারক সাতজনের জামিন মঞ্জুর করে ১৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলী আজগর খান।
বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আগে ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর রাতে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা রবিউল প্রামানিক।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: ২ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বুশরা
নওগাঁয় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
ফারদিন হত্যা: ২ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার দুই মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যুতে বুশরার যোগসূত্র নেই, আদালতকে অবহিত করবে ডিবি: হারুন
তিনি জানান, আদালতের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে বুশরাকে দুপুর ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কারামুক্তির পর আমাতুল্লাহ বুশরাকে তার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম নিয়ে যান বলেও জানান তিনি।
এর আগে, রবিবার (৮ জানুয়ারি) পরশের বাবার দায়ের করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক তেহসিন ইফতেখার।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজ হওয়ার প্রায় তিন দিন পর গত বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারদিনের বন্ধু বুশরা ও অজ্ঞাত এক আসামি তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। বুশরা ও ফারদিন ৪ বছর ধরে পরিচিত ছিলেন।
ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) দায়ের করার দুদিন পর গত ১০ নভেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বুশরাকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যু: জামিন পেলেন বুশরা
ফারদিন নূরের মৃত্যু: বুশরার জামিন আবেদনের আদেশ রবিবার
বিস্ফোরক মামলা: বিএনপির সভাপতিসহ বিএনপির ৯ নেতা কারাগারে
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নয় নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদের আদালতের ওই নয়জন উপস্থিত হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
তবে বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি চৌধুরী টিপু ও দপ্তর সম্পাদক শাহিন হোসেন, উপজেলার কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর ফারুক, বালুভরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ হোসেন, মিঠাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রুস্তম আলী এবং বদলগাছী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি দুলাল মোহরী।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় বদলগাছী উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের শোক র্যালিতে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ছানাউল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে বদলগাছী থানায় মামলা করেন।
ওই দিন রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
বুধবার দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে ওই মামলার নয় আসামি হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ৬০ জন শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা পারিবারিক সূত্রে জানতে পারলাম, তিনি অসুস্থ ও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া আমরা মির্জা ফখরুলের সুস্থতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুলের মুক্তি দাবি জানিয়ে তারা বলেন, মির্জা ফখরুল এ দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে রাজনীতি করছেন।
এছাড়া আমরা দেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য তার মুক্তি দাবি করছি।
দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন-অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক সাইদুর রহমান ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও আব্বাসসহ ৭জনের জামিনের আবেদন
মির্জা ফখরুলকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ নেতাকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাঁচ নেতা হলেন- বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচবি খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন খান।
তাদের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
১৩ ডিসেম্বর বিএনপির নেতাদের কারাগারে প্রথম শ্রেণির সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের পূর্বে ৭ ডিসেম্বর বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষের পর ওই দিনই বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় এ্যানী ও সালামসহ বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। একই সঙ্গে কারাগারে ডিভিশন দিতে বলেন। কিন্তু তারপরও কারাকতৃর্পক্ষ আদেশ না মানায় হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
এরপর ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কারাগারে ‘অমানবিক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, কারাগারে আমাদের দলের শীর্ষ নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে তাদের ডিভিশন দেয়া হয়নি।
প্রিন্স বলেন, এমনকি তাদের দলের অসুস্থ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালামকে ডিভিশন দেয়া হয়নি।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠাতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘জেলে তাদের (গ্রেপ্তার দলের নেতাদের) কাছে প্রয়োজনীয় পোশাক পৌঁছানো যাচ্ছে না। বন্দিদের পরিবার বারবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জেলগেটে নিয়ে গেলেও কারা কর্তৃপক্ষ সেগুলো ফেরত দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন:কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
প্রিন্স আরও অভিযোগ করেছেন যে বেশিরভাগ কারাবন্দি নেতাদের এখন তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে জেলে গেলেও তাদের সঙ্গে কুখ্যাত খুনি ও অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে, যা জেলবিধি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি এমন জঘন্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জেলকোড অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দাবি জানান।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরদিন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকেও গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন:১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ