কারাগার
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কারাগারে প্রথম শ্রেণির সুবিধা চেয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চে আবেদনটি জমা দেয়া হয়।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী আবেদনটি করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাস পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করে মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট আলী বলেন, ‘এটা খুবই জরুরি বিষয়। সাবেক দুই মন্ত্রীকে কারাগারে ডিভিশন দেয়া হয়নি।’
পরে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন বেঞ্চ।
শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সোমবার ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া বাকি রেখে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
বাগেরহাট কারাগারের হাজতির মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারের এক বৃদ্ধ হাজতি মারা গেছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ রাজিয়া নাসের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
মৃত হাজতির নাম মো. সেলিম ফরাজী (৭০)। তার বাড়ি বাগেরহাট শহরের হরিণখানা এলাকায়।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক এসএম কামরুল হুদা জানান, বাগেরহাট সদর থানায় দায়েরকৃত একটি চুরি মামলায় ২১ নভেম্বর সেলিম ফরাজী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে আসেন। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে তিনি অসুস্থ ছিল।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সে কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা শেখ রাজিয়া নাসের জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম জানান, আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে ওই হাজাতি আসামির লাশ তার পারিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
শেরপুরে বিএনপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ পুলিশসহ আহত ২১, আটক ১৬
শেরপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে দলটির সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। এতে ছয় পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকালে শহরের রঘুনাথবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সংঘর্ষের পর আতঙ্কে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
বিএনপি ও পুলিশ সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত এবং শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা তাঁতীদলের সমাবেশ শেষে ১৫ নেতাকর্মীকে আটকের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার পথে রঘুনাথবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এসময় বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে।
সংঘর্ষে ছয় পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে বিএনপির প্রায় ১০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
পুলিশের দাবি, বিএনপির মিছিল থেকে কোনরকম উসকানি ছাড়াই পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানিয়েছেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২২ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আমাতুল্লাহ বুশরাকে কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহ তার জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।
বুশরাকে আদালতে হাজির করে মামলার ও গোয়েন্দার (ডিবি) তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার অনুমতি চান পুলিশ পরিদর্শক মজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: বুয়েটের ফারদিন হত্যার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গত ১০ নভেম্বর ঢাকার বনশ্রী বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিন রানা ওই দিনই রামপুরা থানায় তার ছেলে হত্যার ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ ময়নাতদন্ত করে ৮ নভেম্বর জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী বুশরা গ্রেপ্তার
রিমান্ড শেষে কারাগারে বাবুল আক্তার
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে
জানা যায়, শুক্রবার একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১০ নভেম্বর বাবুল আক্তারের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অন্য তিন আসামি হলো-বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া এবং সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: নিজের মামলায় ফের জামিন না মঞ্জুর বাবুল আক্তারের
স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুল আক্তারকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে
চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও সিইও মামুন-উর-রশিদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার আসামীর আইনজীবী মামুন-উর-রশিদ এর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করেন। মামলায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয়ে কথিত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী (এনজিও) প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এসওডি ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা প্রদান ও পরে কোনো ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ না করে ঋণের অর্থ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
অন্য আসামিরা হলেন-সচেতন সাহায্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মিসেস জেসমিন রশিদ, সভাপতি মিসেস হাসনা হেনা, সাধারণ সম্পাদক মিসেস নাছরিন আক্তার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড প্রগতি সরণী শাখার সাবেক ম্যানেজার বর্তমানে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড নিকুঞ্জ শাখার ভিপি ও ম্যানেজার শোয়াইব মাহমুদ তুহিন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড প্রগতি সরণী শাখা এক্সিকিউটিভ অফিসার, বর্তমানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান-১ শাখার শেখ মোহাম্মদ মুনসুরুল করিম, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের এডিশনাল এমডি মো. তারিকুল আজম, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অব এআরসিডি মো. আমিনুল ইসলাম।
নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার আর কারাগারে পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার ঢাকার জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে সাব-রেজিস্ট্রারদের প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আনিসুল আরও বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৪০১ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দুটি শর্তে পরিবর্তন করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
আরও পড়ুন: আবেদন করলেই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
গত ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ায় সরকার।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সরকার।
দুই দুর্নীতির মামলায় বেশ কয়েকবার শর্তসাপেক্ষে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত পাঁচ বছরের সাজা দিলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে তিনি দ্বিতীয় দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন। তার চিকিৎসার তদারকি করছে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
দেশকে অন্ধকারে রেখেছিল জিয়া ও এরশাদ: আইনমন্ত্রী
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার আসামি জকোরিয়ার কারাগারে মৃত্যু!
চট্টগ্রামের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মৌলভী জকোরিয়া (৫৩) কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার রাতে চট্টগ্রাম কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত মৌলভী জকোরিয়া উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১-ইস্ট, ব্লক ডি/৮-এর বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে (এফসিএন নম্বর ১৪৭৯৬৭)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
চট্টগ্রাম কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে কারাগারে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁকে কয়েক দিন আগে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির মৃত্যু
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্তরা আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের সপ্তাহ খানেক আগে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে পৃথিবীকে সরিয়ে দেয়ার ফতোয়া দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান মৌলিভী জকোরিয়া। চলতি বছর ৫ মার্চ মহিবুল্লাহকে হত্যার ফতোয়া দেয়ার অভিযোগে উখিয়ার লম্বাশিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ১৪ এপিবিএন।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরির মদদদাতাদের একজন শীর্ষ পরামর্শক হিসেবে জকোরিয়াকে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার আসামিদের বিচার শুরু হয়েছে। এর আগে ১৩ জুন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ী কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামির মৃত্যু
মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় ভূমিকা ছিল তার। ঘটনার পর ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্য থেকে ছয় জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সাড়ে আট মাস তদন্তের পর ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট আদালতের ডকেট শাখায় জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্তরা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এরপর তার ভাই হাবিবুল্লাহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তিনি হামলাকারী কয়েকজনকে চেনার কথা সাংবাদিকদের জানালেও সে সময় মামলায় আসামির তালিকায় কারও নাম দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু
মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআর, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের নইমুদ্দিন (৬৫) নামে এক অসুস্থ হাজতির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঢামেক হাসপাতালেরপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, রাতে হঠাৎ মইনুদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এখানে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও ফেনী কারাগারে বন্দি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের কক্ষে ফেনী থানার ওসি কর্তৃক তল্লাশির অভিযোগ তুলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।
সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগমের আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে এই আবেদন করেন তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
তবে কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)নিজাম উদ্দিন।
বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, তাকে (বাবুলকে) মানসিক চাপে রাখতেই এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে। কারাগারের অভ্যন্তরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রবেশ করে কিভাবে একজন হাজতির কক্ষে তল্লাশি চালান তা বিস্ময়কর।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: নিজের মামলায় ফের জামিন না মঞ্জুর বাবুল আক্তারের
তিনি জানান, বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ফেনী কারাগারে প্রবেশ করেন। কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি করেন। কারাগারে তার প্রবেশের চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরা যাচাই করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। জেল কোড অনুসারে থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না। জেল কোড অনুসারে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ আরও বলেন, এই ঘটনার তদন্ত ও বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের সুপারকে নির্দেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।
আদালত শুনানি শেষে আদেশ দিবেন।
এদিকে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন মুঠোফোনে ইউএনবিকে বলেন, আমি হলফ করে বলতে পারি আমি বাবুল আক্তরের কক্ষ তল্লাশি করতে যাইনি। এটা আমার এখতিয়ারেও পড়ে না। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কারাগারে গিয়ে কোন কোন আসামির কক্ষ আমি তল্লাশি করতে পারি না।
তবে তিনি জানান, অন্য একটা মামলার বিষয়ে গতকাল তিনি ফেনী কারাগারের জেল সুপারের অফিসে গিয়েছিলেন, সেটা বাবুল আক্তরের বিষয় ছিল না।
আরও পড়ুন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুল আক্তারকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট