কারাগার
দুদকের মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে
চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ ডা. বেগম জেবুননেছার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী সিভিল সার্জন থাকাকালে একটি এমআরআই মেশিনের বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা হলেও চট্টগ্রাম জেনালের হাসপাতাল সেটি কিনে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায়। একইভাবে চারটি কালার ডপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এই মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
তিনি জানান, এভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি দাম দেখিয়ে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এ দুর্নীতি হয়েছিল বলে মামলার এজাহারে লেখা রয়েছে। ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পাশাপাশি ওই সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
২৩ লাখ টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার কারাগারে
কুষ্টিয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
কুষ্টিয়ায় চলন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় আশারাফুল ইসলাম নামের এক ট্রেনে যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মনজের আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় রেলওয়ে পুলিশ পাথর ছোড়ার পরপরই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে পোড়াদহ জিআরপি থানায় নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
তিনি জানান, আটক ওই যুবকের নাম সুমন আলী (২৪)। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে পোড়াদহ জিআরপি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর সুমন নিজেকে মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে দাবি করলেও পুলিশ বলছে তার আচার-আচরণে এ রকম কোন লক্ষণ ধরা পড়েনি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অভিযুক্ত যুবক সুমন একজন ভবঘুরে। যেহেতু সে একটি গুরুতর অন্যায় করেছে এবং ওই ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন সেই সাথে তার নিক্ষেপ করা পাথরে ট্রেনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে সে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পরবর্তীতে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ লাখ টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার কারাগারে
ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
ফরিদপুর জেলা কারাগার: ৯১৪ বন্দির জন্য একজন ফার্মাসিস্ট, নেই চিকিৎসক
ফরিদপুর জেলা কারাগারে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক না থাকায় পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না বন্দিরা। অসুস্থ বন্দিদের জন্য ডায়াগনস্টিক পরীক্ষারও কোন ব্যবস্থা নেই। প্রাচীন এই কারাগারে বিপুল সংখ্যক বন্দিদের জন্য টিনসেডে ঘরের একটি কক্ষ রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে, যদিও তা ব্যবহারের অনুপযোগী।
১৮২৫ সালে ৩৪ একর জায়গা নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র মূল সড়কের ( মুজিব সড়ক) ঝিলটুলী এলাকাতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কারাগার। ৯ একর জায়গা বন্দিদের থাকার ব্যবস্থার স্থাপনা নির্মিত হয়েছে, অন্য ২৫ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে পুকুর, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসনের ইমারত।
ফরিদপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানিয়েছেন, প্রাচীন এই বন্দিশালায় ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪২০ জন। বর্তমানে ৮৯৭ জন পুরুষ, ১৭ নারী বন্দি অবস্থান করছেন, যদিও প্রতিদিন বন্দি কম-বেশি আপডাউন করে। এখানে একটি পদ রয়েছে সহকারি সার্জন, সেটি এক যুগের বেশি সময়ে শূন্য রয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দিদের কেউ অসুস্থ হলে আমরা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। এছাড়াও জেলা সিভিল সার্জন অফিস একজন চিকিৎসককে প্রেষনে দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি মাঝে মধ্যে আছেন। এর বাইরে আমাদের একজন সিনিয়র ফার্মাসিস্ট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে জনবল রয়েছে তাতে বন্দি রোগী একজনকে বাইরের হাসপাতালে প্রেরণ করলে তার পেছনে তিন জন ফোর্স দিতে হয়। এতে অন্য কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
ফরিদপুরের কারাগারের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্ট আশরাফুল আলম জানান, কম করে হলেও কারাগারে বন্দিদের জন্য দুই থেকে তিন জন চিকিৎসক দরকার। এছাড়াও অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য পৃথক একটি হাসপাতাল পাশাপাশি তিন থেকে চার জন সেবিকা ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার দরকার।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে বিভিন্ন রোগ নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে এক হাজার ৫০ বন্দি, বর্তমানে দুইজন বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও গত এক মাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এক বন্দি।
জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জানান, শুধু ফরিদপুর কারাগারে বন্দী নয় পার্শ্ববর্তী অন্য জেলার কারাগার থেকে অসুস্থ বন্দি আসেন এখানে। তাদের কারাবিধি নিয়মানুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য কারারক্ষীদের প্রহরায় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফরিদপুর কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, ফরিদপুরের কারাগারের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বন্দি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বন্দিদের নানাবিধ সমস্যা হয় এটা সত্য।
তিনি বলেন, কারাগারের বন্দিদের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাসমূহ নিশ্চত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিতে হবে।
ফরিদপুর কারাগারের বন্দিদের চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল প্রসঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিসি) অতুল সরকার বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একজন চিকিৎসককে কারাগারে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত কারাগার পরিদর্শন করা হয়, বন্দিদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেয়া হয়। বড় কোন সমস্যা সৃষ্টিহলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
পড়ুন: চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
অরক্ষিত রেলক্রসিং: ফেনীতে ৭ মাসে ৯ জনের মৃত্যু
২৫০ বছর ধরে ‘কারাগার’-এ চঞ্চল চৌধুরী
সিনেমা বা ওটিটির পর্দা, দুই অঙ্গনেই তরুপের তাস এখন চঞ্চল চৌধুরী। ‘আয়নাবাজি’র পর ‘হাওয়া’ নিয়ে বড়পর্দার মধ্যমণি এখন তিনি। এই সিনেমার আলোচনা যখন চলমান এরমধ্যে নতুন অবয়ব নিয়ে সামনে এলেন তিনি।
ভারতের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’ এর পর্দায় ১৯ আগস্ট মুক্তি পাবে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকীর পরিচালনায় এই সিরিজে রহস্যময় এক কয়েদীর চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চলকে।
‘কারাগার’ সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর লুক প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই আলোচনা শুরু। এরপরই প্রকাশ পেল ট্রেলার। ‘তাকদীর’ এর পর এই সিরিজ দিয়েও নতুন এক রহস্যের গল্প বলবেন পরিচালক। সেটি ট্রেলারে ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
ট্রেলারে দেখা যায়, আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলে ৩২৫ জন কয়েদী। একদিন হেড-কাউন্টের সময় দেখা গেল একজন অতিরিক্ত কয়েদী। তাকে পাওয়া গেল ৫০ বছর ধরে বন্ধ এক সেলে। কিন্তু সেখানে ব্যক্তিটি কীভাবে এলো!
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
পরবর্তীতে জানা যায় ২৫০ বছর ধরে জেলখানায় বন্দি তিনি। খুন করেছেন মীরজাফরকে। বর্তমান নিয়ে সবজান্তা এই কয়েদীর তথ্যে বিস্মিত হন সকলে।
‘কারাগার’ প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটা কাজের ভিন্নতা থাকে। তবে চ্যালেঞ্জের জায়গা থেকে কারাগার আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি সিরিজ। এখানে চরিত্রটি আমাকে ভীষণ টেনেছে। ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তোলার জন্য সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা ছিল। মূল কথা, আমি চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি। ওজন কমানো, মেকআপের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করা, কস্টিউম; সব কিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য বেশ পরিশ্রম হয়েছে। এখন দর্শকরা কীভাবে নেবেন সেটি মুক্তির পর বোঝা যাবে।’
অন্যদিকে পরিচালক শাওকী বলেন, ‘কারাগার নিয়ে প্রায় প্রায় দেড় বছর আগে কাজ শুরু করি। এখন পর্যন্ত আমাদের সবচেয়ে বড় স্ক্রিপ্টের কাজ এটা। এতে রহস্য আছে, ইতিহাস ও নাটকীয়তা আছে। সিরিজটির সঙ্গে থাকা সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সবার পরিশ্রমে কাজটি সুন্দরভাবে হয়েছে।’
‘কারাগার’-এ আরও অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ্, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন কারাগারে
২০১২ সালের বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার তাকে পঞ্চগড় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে আদালতে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলী আদালত-৫ এর বিচারক আলরাম কাজী তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে আলাউদ্দিনকে হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ‘আত্মগোপন’ করেন। পুলিশের নথিতে ‘পলাতক’ আলাউদ্দিন তাঁর স্ত্রীসহ গত ৭ জুলাই ঈদের ছুটিতে বগুড়ার মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে আলাউদ্দিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দিবাগত রাতে আটোয়ারী থানায় আনা হয়। পরে শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার এজাহারে ৪ নম্বর আসামি ছিলেন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এ মামলার রায়ে আলাউদ্দিনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ কারণে গ্রেপ্তার আলাউদ্দিনকে আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পরিবহন শ্রমিককে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ
২৩ লাখ টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার কারাগারে
ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৩ লাখ টাকাসহ আটক কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দীন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসনের অভিযোগে তাকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয়। সরকারি কর্মচারী বিধিমতে সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
পুলিশ কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন আরও বলেন, ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকাসহ সার্ভেয়ার আতিককে সদর থানায় সোপর্দ করে জেলা প্রশাসন। সরকারি কর্মচারী বিধিমতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজের একটি অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। নিয়ম মতে, দুদকই সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের ঘটনায় মামলা করবে।
অন্যদিকে, আতিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, থানায় ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে তা শুরু হয়েছে। তিনি কীভাবে, কোথা থেকে এত টাকা পেলেন এবং তা ঢাকায় কেন নিয়ে গেছেন এসব বিষয় উদঘাটন করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাগভর্তি ২০ লাখ ‘ঘুষের টাকা’ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান আটক হন। পরে বিমানবন্দর থেকেই তাকে কক্সবাজারে ফেরত পাঠালে শুক্রবার রাতে কক্সবাজার মডেল থানায় তাকে সোপর্দ করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ কারাগারে
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আতিকুর রহমান শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। তার ব্যাগ স্ক্যান করলে ব্যাগের ভেতর বিপুল পরিমাণ টাকার স্তূপ দেখা যায়। তাকে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্যরা ব্যাগসহ আটক করে বিশেষ কক্ষে বসিয়ে রাখেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর রহস্যজনকভাবে সকাল পৌনে ১০টার বেসরকারি একটি বিমানের ফ্লাইটে চেপে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন তিনি। ঘণ্টাখানেক পর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে তল্লাশিতে ব্যাগে টাকা পাওয়া যায়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করেন।
পরে আতিকুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বিকাল সাড়ে চারটার আরেকটি ফ্লাইটে তাকে কক্সবাজারে ফেরত পাঠানো হয়। বিমানবন্দর থেকে আতিকুর রহমানকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গতঃ কক্সবাজারে সরকারের তিন লাখ কোটি টাকার ৭২টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের জন্য প্রচুর পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। অধিগ্রহণ কাজে সহযোগিতা করা সার্ভেয়ারদের মাঝে এর আগেও বেশ কয়েকজন নগদ কোটি টাকাসহ দুদকের হাতে গ্রেপ্তার হন।
ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় সাত বছরের শিশুকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরে রবিবার পুলিশ শিশু নির্যাতনের দায়ে দাদিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সোমবার বিকালে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত শিশু তানিশার বাবা মো. হারুন হাওলাদার এবং মা মনোয়ারা বেগম। প্রায় ছয় বছর আগে তানিশার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন। মা মনোয়ারা বেগমেরও অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। সেই থেকে তানিশা তার নানার বাড়িতে বসবাস করত। সম্প্রতি তানিশাকে তার দাদার বাড়িতে আনা হয়। গত ২৩ জুন সকালে উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের বড়পাতা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে একটি মোবাইল ফোন হারায়। ওই ফোন তানিশা চুরি করেছে এমন অভিযোগ তুলে দাদি সোনিয়া বেগম তানিশাকে অমানবিক নির্যাতন করেন। স্থানীয় এক কিশোর মোবাইল ফোনে নির্যাতনের একটি ভিডিও করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী নির্যাতন মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
গোপন স্থান থেকে সু চিকে কারাগারে স্থানান্তর
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে বুধবার গোপন স্থান থেকে রাজধানীর একটি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তার মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত আইনি কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কারাগারে নতুন একটি বিশেষ আদালতে তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর শুনানি হবে।
২০২১ সালে সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে ১ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির সামরিক সরকার। প্রথমে থাকে তার নিজ বাসভবনের রাখা হলেও পরে থাকে নেপিডোর একটি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে অন্তত ৯২০ জন নিহত
একটি বিশেষ আদালতে দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগে তাকে সাজা দিয়েছে জান্তা সরকার। ১১ টি দুর্নীতি মামলার অভিযোগে প্রত্যেকটির জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করতে হতে পারে তার।
অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি আমদানি ও রাখার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে এবং করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য ইতোমধ্যেই তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
চলমান দুর্নীতির মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতি এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যার কারণে কয়েক হাজার লোককে বাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রেজাউল করিম (৫০) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ছাবানিয়া গ্রামের জোহাকের ছেলে। তিনি ২০২০ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলার আসামি হিসাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতি হিসেবে ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, হাজতি রেজাউল করিম সোমবার সকালে বুকে ব্যথা নিয়ে অসুস্থতার কথা জানায়। তাকে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে কারাগারের হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থা গুরুত্বর হলে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সকাল ৯টার দিকে রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর রেজাউলের মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে বলেও জানান জেল সুপার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রেজাউল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারের হাজতির সঙ্গে বাদীর বিয়ে!
নারায়ণগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাসেল মিয়া (৩৫) ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার আ. মান্নান মিয়ার ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মাহবুব আলম জানান, দুদিন আগে ফতুল্লা থানার একটি মাদক মামলায় রাসেলকে আদালত কারাগারে পাঠান। যেদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সেদিনই তিনি অসুস্থ ছিলেন। মাদকাসক্তের কারণে শ্বাসকষ্টও বেড়ে গিয়েছিল। এজন্য তাকে কারাগারের হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। শনিবার সকালে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারের হাজতির সঙ্গে বাদীর বিয়ে!
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু