প্রধান বিচারপতি
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওবায়দুল হাসান।
মঙ্গলবাল (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা, সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকিও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি অবসরে যাওয়ায় সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওবায়দুল হাসান ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
তিনি ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়াশী গ্রামে ড. আখলাকুল হোসেন আহমেদ ও বেগম হোসনে আরা হোসেনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
হাসানকে ২৫ মার্চ, ২০১২ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ১১টি রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
তার স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (অর্থ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দম্পতির ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান।
ওবায়দুল হাসানের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওবায়দুল হাসান প্রাথমিকভাবে আইন বিভাগে অধ্যয়নের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা জেলা আদালতে একজন অনুশীলনকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে নথিভুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কারো দয়ায় নয়, রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল তারা এখনও বিরোধিতা করছে। সুতরাং আমরা এই ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো আমেরিকায় যাইনি। আমি ভবিষ্যতেও আর যাব না।’
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখুন: শেষ কার্যদিবসে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমি প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিচার বিভাগের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছি। আমি কখনো নিজের বা আমার পরিবারের কথা ভাবিনি।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বিদায়ী সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, “আমি সারা দেশের বিচারকদের মামলাজট নিরসনে উৎসাহিত ও নির্দেশনা দিয়েছি। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার্থে আমরা সারা দেশে আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ স্থাপন করেছি।”
তিনি বলেন, ‘মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলাজট কমাতে আমরা সুপ্রিম কোর্টে মধ্যস্থতা কেন্দ্র স্থাপন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি একজন ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব। আমি আশা করি তিনি দক্ষতার সঙ্গে বিচার বিভাগ পরিচালনা করবেন।’
আরও পড়ুন: হোম বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট অনুসারে, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা আইনজীবী সমিতির সনদ পান। তিনি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখুন: শেষ কার্যদিবসে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন। ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগ দেন।
অর্পিত সম্পত্তি আইন, হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগসহ অসংখ্য রায় দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখুন: শেষ কার্যদিবসে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে আয়োজিত এক বিদায়ী সংবর্ধনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ জনগণের মৌলিক অধিকারের রক্ষক। এটি সংবিধানের রক্ষকও বটে।
তিনি বলেন, তাই বিচারকদের সাহসী ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে বা আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ থেকে বিচ্যুত হলে রাষ্ট্র ও নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য।
তিনি বলেন, প্রকৃত অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের বিকাশ, আইনের শাসন সংরক্ষণ, সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
বিচার বিভাগ যাতে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বিচার বিভাগকে রক্ষা করা বিচারক, আইনজীবী ও রাষ্ট্রের প্রত্যেক দায়িত্বশীল নাগরিকের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা, আপনারা সবাই সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, প্রত্যেক নাগরিক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক বিভাজন রাস্তা পেরিয়ে আদালতের দিকে এলে তা বিচার বিভাগের জন্য মঙ্গলজনক নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে আইনজীবীদের মধ্যে বিভক্তি ও মতবিরোধ এবং তাদের প্রতিক্রিয়া বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যে মহান চেতনায় আমাদের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল, তার প্রতি আমাদের সবার একটি মহান জাতীয় দায়িত্ব রয়েছে। দেশের সব আইন ও সব আইনি কার্যক্রম সাংবিধানিক চেতনার প্রতিফলন করবে, আমাদের অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ শান্তি চায়, কিন্তু সম্পূর্ণ শান্তির জন্য আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’
২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি অবসরে যাচ্ছেন। তবে আজই ছিল তার শেষ কার্যদিবস। প্রথা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কোর্টরুম-১ এ বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সচিব আবদুন নূর দুলাল এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবর্ধনা দেন।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি ও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ দুর্বল হলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
নিপুণ রায়কে ৮ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
রাজধানীর ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন তার বাবা আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৯ জুলাই রাজধানীর ধোলাইখালে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় জামিনে মুক্ত
এই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় নিপুণ রায়সহ বিএনপির ৪২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
এই মামলায় নিপুণের পক্ষে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী।
গত ১ আগস্ট হাইকোর্ট এ মামলায় নিপুণ রায় চৌধুরীকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন নিপুণ রায়
বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দীর্ঘসময় ধরে মামলা বিচারাধীন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে যশোরের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি দুই দশক এবং তারও বেশি আগের বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান বিচারপতি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান। এসময় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর তিনি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে একটি জলপাইগাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
সাড়ে ১০টায় তিনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এছাড়া পিপি ইদ্রিস আলী তাকে খেজুর গাছ সম্বলিত একটি উপহার প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক, নারী ও শিশু নির্যাদন দমন-১ এর বিচারক গোলাম কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ মাইনুল হক, মুখ্য বিচারিক হাকিম ফাহমিদা জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জয়ন্তিরানী দাস, সোহানী পুষন, তাজুল ইসলাম, বেগম সুরাইয়া সাহাব, সুমি আহম্মেদ, শিমুল কুমার বিশ্বাস, জুয়েল অধিকারী, সুপ্রিম কোর্টের আপ্রিল বিভাগের রেজিস্টার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির পিএস আরিফুল ইসলাম, মারুফ আহেম্মদ।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি ১০ আগস্ট
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানির দিন ধার্যের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত বছর গত ৮ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা এই রিভিউ আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম শুনানি করেন। মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
এরপর বেশ কয়েকবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। বৃহস্পতিবারও কার্যতালিকায় ছিল। পরে আপিল বিভাগ ১০ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৯০৮ পৃষ্ঠার এই রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর
তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রায়ে যেসব অপ্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা এসেছে, তা বাতিল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণসংক্রান্ত আইন হওয়ার আগেই আপিলের রায়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে। এটিসহ মোট ৯৪টি যুক্তি তুলে ধরে রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।
সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবীর এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। শুনানি শেষে পরের বছর ৩ জুলাই তা খারিজ করেন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
ওই রায়ের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বিচারকদের জন্য একটি আচরণবিধিও ঠিক করে দেওয়া হয়।
সাত বিচারপতির ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেওয়া ৭৯৯ পৃষ্ঠার ওই রায়ে তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজের পর্যবেক্ষণের অংশে দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেন।
আপিল বিভাগের রায়ে দেওয়া কিছু পর্যবেক্ষণ তখন দেশের রাজনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ওই রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন। রাজনৈতিক অঙ্গণে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের দাবি তোলে একটি পক্ষ। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের রিভিউর জন্য সহকর্মীদের নিয়ে ১১ সদস্যের কমিটি করেন তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় পাঁচ মাস পর ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারপর কেটে গেছে সাড়ে ৫ বছরেরও বেশি সময়।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: মঈন
সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
বিচার বিভাগ দুর্বল হলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না: প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচার বিভাগ যদি দুর্বল হয় তাহলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের যে তিনটি অঙ্গ; সেই অঙ্গের একটি হলো বিচার বিভাগ। যদি জুডিশিয়ালি (বিচার বিভাগ) দুর্বল হয়, তাহলে সেই রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না। আর তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে করে পাবলিক (সাধারণ জনগণ) ন্যায়বিচার প্রার্থনায় আদালতে আসেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ন্যায় কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জনগণ যাতে সহজে স্বল্প সময় ও খরচে ন্যায় বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করছি। বিচার বিভাগকে গতিশীল করে দ্রুততম সময়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে বিচারকদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা হিসেব-নিকেশ করে দেখেছি যে ডিস্পোজালের (নিষ্পত্তি) রেট মোটামুটি ১২৫ শতাংশ করা যায় তাহলে এখন থেকে ৫-৭ বছরের মধ্যে বর্তমান যে মামলার জট রয়েছে তা আসতে আসতে কমে যাবে।
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক।
তিনি বলেন, বারের সহযোগিতা ছাড়া বেঞ্চ চলতে পারে না। আবার বেঞ্চের সহযোগিতা ছাড়া বার চলতো পারে না।
বুধবার (৩ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, আদালত পিছিয়ে থাকলে রাষ্ট্রও পিছিয়ে থাকবে। এত বাধার পরেও পদ্মা সেতু হয়েছে। সংবাদপত্রে দেখলাম বিশ্ব ব্যাংকে পদ্মা সেতুর একটি ছবি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমরা চাই জুডিশিয়ারিও এসকলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৭১ সালের পর ৭২ সালে এ দেশে ১৫২টি প্রেসিডেনশিয়াল রুল জারি হয়। এটা এত দ্রুত সম্ভব হয়েছে কারণ সেই সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
আমি চাই আপনারা পার্লামেন্টে আসুন এবং জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করুন। এই সংসদে যদি একশ’ আইনজীবী থাকত তাহলে সংসদ কত সুন্দর হত।
এছাড়া আমি আশা করব আপনারা পার্লামেন্টে যাবেন।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, আমি যখন লইয়ারদের সংস্পর্শে আসি তখন আমার মনে হয় আমি তাদেরই একজন। আমি দীর্ঘদিন এই পেশায় ছিলাম। সিনিয়র আইনজীবীদের দেখলে বা কথা বললে মনে হয় তাদের সঙ্গে যদি আরও মিশতে পারতাম আরও অনেক শিখতে পারতাম।
তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে। বিশেষ করে যারা এখানে জুনিয়র আছেন তাদের।
তিনি আরও বলেন, কোন একটি পাখা দুর্বল হলে পাখি উড়তে পারবে না। যারা আদালতের বারান্দায় ঘুরে সঠিক বিচার পায় না তাদের বিচার নিশ্চিত করা শুধু সরকারের নয়, এটা আইনজীবীদেরও দায়িত্ব।
কত মানুষ এই আদালতে ঘুরে। তারা যদি বলে দেশে আইনের বিচার নেই তাহলে আমরা কষ্ট পাবো।
তাই আসুন আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েলসহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঞ্জুরুল হাফিজ ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ।
পরে প্রধান বিচারপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার জট কমাতে বিচারক ও আইনজীবীরা একসঙ্গে চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় মেহেরপুর জজকোর্ট চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মাণাধীন ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টে গত বছর ৮২ হাজার মামলা ফাইল হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ৭৯ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ নিষ্পত্তি হয়েছে শতকরা ৯৫ ভাগ।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ের জুডিসিয়ারিতেও যে মামলা ফাইল হয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জেলাতে কেস নিষ্পত্তির যত মামলা ফাইল হয়েছে তার চেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশের ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এটা খুবই অপ্রতুল। আমরা চেষ্টা করছি, নতুন বিচারক নেওয়ার। ইতোমধ্যে ১০২ জন বিচারক নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পুলিশি তদন্তে আছেন তারা। আমরা এই বছরের মধ্যেই তাদের নিয়োগ দিতে পারবো। এছাড়া আরও ১০০ বিচারক নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা আশাবাদী যে বিচারকগণ পরিশ্রম করেই মামলাজট সুরাহা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের আদালতকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। যাতে করে সবাই একসঙ্গে মামলাজটকে রিমুভ করতে পারি।
তিনি বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে শত শত লোক বিচারের আশায় আসেন। তাদের বসার কোনো যায়গা নেই। এইসব চিন্তা ভাবনা থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতে এসে একটু স্বস্তিতে বসতে পারেন। সেটাই আজকের এই ন্যায়কুঞ্জের কনসেপ্ট।
এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল