রাষ্ট্রপতি
মামলাজট কমাতে প্রয়োজনীয় সব করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
দেশের আদালতে মামলাজট কমাতে সরকার প্রয়োজনীয় সব করবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আদালতের মামলার জট কমাতে পৃথিবীতে যেসব পদ্ধতি আছে, যা যা অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা তাই করবো।’রবিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের ৪৩ ও ৪৪তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।রাষ্ট্রপতি যখনই মনে করবেন তখনই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রধান চালিকাশক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ এই ইনস্টিটিউটে একই সঙ্গে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে ৭০ জন অংশ নিতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংলাপে গেলে বিএনপির জন্যই ভালো: আইনমন্ত্রীএর আগে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচার বিভাগের জন্য জেলায় জেলায় সুউচ্চ অবকাঠামো নির্মাণ করছে; বিচারকদের দেশীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান ও ভারতে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে; নজিরবিহীনভাবে বিচারকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। গাড়ি সুবিধা দিয়েছে। এসব কিছু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে সময়মত ন্যায়বিচার করা ও জনগণের প্রত্যাশা মিটানো।তিনি বলেন, মামলাজট কমানো এখন বিচারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষুণি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে ভবিষ্যতে তা আরও জটিল হয়ে দাঁড়াবে।বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সরকার আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারে না: আইনমন্ত্রী
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের চার বিচারপতির মধ্যে তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
শপথ নেয়া তিন বিচারপতি হলেন-বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। এর আগে আজ সকালে হাইকোর্ট বিভাগের চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চারজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
শপথ গ্রহণের পর আপিল বিভাগের এক নম্বর আদালত কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এই তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আদালত কক্ষে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসানের অনুপস্থিতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি তার সাথে কথা বলেছি। তিনি সুস্থ হয়ে পরে শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
হাইকোর্টের চার জন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রবিবার (৯ জানিয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ার কর্তৃক স্বাক্ষরিত জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন-বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি এফ.আর. এম নাজমুল আহাসান, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
ইসি নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বিএনপি
বিএনপি নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘চলমান সংলাপ অর্থহীন মহড়ায় পরিণত হবে, কারণ এটি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য সরকারের নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে করা হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নারী মঞ্চ ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আবারও ক্ষমতায় বসতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা করছেন...তবে ইতোমধ্যেই অনেক রাজনৈতিক দল এই আলোচনা বয়কট করে স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে যে এই আলোচনায় কোনো ফল হবে না বলেই সবাই মনে করছে।
এসময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির বর্তমান সংলাপ অর্থহীন, কারণ নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে বিশ্বাসযোগ্য ভোট নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ এবং দেশের রাজনৈতিক ‘সংকট’ কাটিয়ে উঠতে সরকারকে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য একটি নিরপেক্ষ ইসি গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, এটাই আমাদের স্পষ্ট কথা এবং এটাই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়।
গত ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যেই দেশের নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দলকে বঙ্গভবনে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
তবে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি-রব) আলোচনায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, আমি সকল রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাতে চাই। আসুন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি এবং জনগণের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।
দারিদ্র্যসীমার অবনতি
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সারাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অথচ ক্ষমতাসীনরা বিপুল অর্থ উপার্জন করে ধনী হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন তার শাসনামলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার এই ১৩ বছরের শাসনামলে সাধারণ মানুষ দরিদ্র হয়েছে এবং দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে।
এসময় বিএনপি নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে চার কোটি মানুষ বেকার এবং নয় কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সুযোগ - সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ উপার্জন করছেন মন্তব্য করে তিনি জানান, তারা এখন তাদের অবৈধ পথে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
গণমানুষের দাবি
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসাকে দেশের গণমানুষের দাবি আখ্যায়িত করে ফখরুল বলেন, সরকারকে এই দাবি মেনে নিতেই হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার গণদাবি অস্বীকার করলে সরকারকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করছি আমরা। সারাদেশে অনেক সমাবেশ করেছি আমরা এবং সেসব কর্মসূচি থেকে লাখ লাখ মানুষ তার (খালেদা জিয়ার) মুক্তির স্লোগান দিয়েছে।
এসময় খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে: বিএনপি
ইসি নিয়ে সংলাপে অংশ নেবে না জেএসডি
‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে চলমান সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমাধান নয়। সঙ্গত কারণেই জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সংলাপে অংশ নিচ্ছে না।’
রব বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপর নয়, 'জাতীয় সরকার' গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সংলাপ হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের চেতনা ও সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব না করায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের এবং পুরনো মামলায় আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে। তাই শুধু নির্বাচন কমিশন গঠনই নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ের বৈঠক
সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা ছিল জেএসডি (রব)।
জ্যেষ্ঠ এই নেতার অভিযোগ, ‘নির্বাচন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পক্ষপাতমূলক আচরণের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
জাসদ সভাপতি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অপসারণ চেয়ে ২০১৯ সালে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
দলীয় সরকারের অধীনে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা পেশ করেছি। ’
গত ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যেই বঙ্গভবনে ২৮টি দলকে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
এর আগে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আলোচনায় না আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সংলাপ বর্জন করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না: গণ ফ্রন্ট
ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ের বৈঠক
নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রথমে অংশ নেয় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
দলের চেয়ারম্যান মাওলানা এ.এ. মান্নান ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
পরে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়।
বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটারদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এজন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
আলোচনাকালে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ তাদের প্রস্তাবনা পেশ করে। ইসলামি ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা নিশ্চিত করারও প্রস্তাব দেন।
তারা নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত করার প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে চলমান আলোচনায় অংশ নিয়ে তিন দফা সুপারিশ পেশ করেন গণফোরাম ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ।
রবিবার বিকেলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় অংশ নেয়।
বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়াই এই আলোচনার লক্ষ্য।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের অনুকরণীয় এমন কিছু করা দরকার, যা থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।
আলোচনাকালে গণফোরামের প্রতিনিধিদল নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ কয়েকটি প্রস্তাব দেয়। তারা আশা করেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির চলমান এ সংলাপ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে দ্রুত আইন প্রণয়নের প্রস্তাব নাকচ আইনমন্ত্রীর
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ্য বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী বেগম রাশিদা খানম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সাবেক প্রধান বিচারপতিগণ, আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, সাক্ষাৎকালে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাকেও ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
করোনাকালে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে রাষ্ট্রপতির প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। আমি মনে করি, এখন যারা আপিল বিভাগে আছেন তারা সবাই এ পদের জন্য যোগ্য।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার আওতায় ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া হয়েছে তা তত্ত্ববধায়ক সরকার করেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী কিছু শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন তার মুক্তির আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে এবং আবার আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী মুক্তি পেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় তার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তার আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এবং নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তিনি সেখানে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি