রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, সাক্ষাৎকালে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাকেও ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
করোনাকালে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে রাষ্ট্রপতির প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। আমি মনে করি, এখন যারা আপিল বিভাগে আছেন তারা সবাই এ পদের জন্য যোগ্য।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার আওতায় ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া হয়েছে তা তত্ত্ববধায়ক সরকার করেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী কিছু শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন তার মুক্তির আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে এবং আবার আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী মুক্তি পেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় তার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তার আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এবং নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তিনি সেখানে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সংলাপে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে বঙ্গভবন থেকে সংলাপে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার আগেই দলটি এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে।
এর আগে ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলে তাদের স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, তাদের নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন ইসি গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপ, সময়ের অপচয় মাত্র বলে মনে করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
এ ধরনের সংলাপের পূর্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। তাই, অর্থহীন কোনো সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না।
গত ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন ইসি গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন।
আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ বলেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, এটি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য ডাক দিয়েছেন। এই সংলাপ অর্থহীন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
এ সময় সরকারের পদত্যাগসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচনকালীন সরকারটা কে থাকবে? সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
তিনি বলেন, এ ধরনের সংলাপ আগেও হয়েছিল এবং সরকার ২০১৪ সালে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, যখন ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের ভোটের আগের রাতে ভোট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জনগণবিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনও তিনি হাসপাতালের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম, খুন, হত্যা অপহরণ এই সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের আইন আছে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আগামী বছরের শুরুতে জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে ইসি গঠনের বিষয়ে চলমান সংলাপে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে এ প্রস্তাবসহ ছয়টি প্রস্তাব করে দলটি।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণের প্রস্তাব দেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার ব্যাপারে তারা মতামত দেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
প্রতিনিধি দলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য। রাজনীতিতে গুণগত মান নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে সঠিক জনমত গড়ে তুলতে হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং এদের মধ্যে ৯টির জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে।
এই দলগুলো হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু সদিচ্ছা ব্যক্ত করাই যথেষ্ট নয়। ঘরে বসে না থেকে মাঠে নেমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।’
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের সাথে আলোচনায় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
আলোচনায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এ ব্যাপারে কার্যকর অবদান রাখতে পারে।
খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালীকরণ, নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
তারা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেটের সংস্থান, জনশক্তি নিয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সুশীল সমাজকেও চায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে তরিকত ফেডারেশনের নেতারা এ দাবি জানান।
বিকালে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেয়।
বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই এ আলোচনার মূল লক্ষ্য। রাষ্ট্রপতি আশা করেন পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে। রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
আলোচনাকালে তরিকত ফেডারেশনের প্রতিনিধিদল স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। এছাড়া তারা আইন প্রণয়নের অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটি গঠন, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নির্বাচন কমিশনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী ও তাদের পরিবারবর্গের কাউকে নিয়োগ না দেয়ারও প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রহসন ছাড়া কিছুই না: বিএনপি
রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, রবিবার বিকাল ৪টায় দলটি সংলাপে অংশ নেয় এবং তাদের প্রস্তাব পেশ করেন।
ন্যাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আহভি আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সন্ধ্যায় এ আলোচনায় অংশ নেয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
ন্যাপের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই এ আলোচনার মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাসদ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
এ সময় রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন,পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে।
সংলাপে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে ন্যাপ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো- সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন; দক্ষ, সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচন কমিশনকে একটি জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
আলোচনার এই উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় দলটি।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান ও কাজী সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আহমেদ খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পার্থ সরোথী চক্রবর্তী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য (কৃষি) অনিল চক্রবর্তী।
রবিবার সংলাপে যোগ দেয়ার জন্য বঙ্গভবনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (বাসদ) আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে দলটি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: বিএনপি এখনও আমন্ত্রণ পায়নি
বঙ্গভবনের প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও খেলাফত মজলিশ সোমবার যথাক্রমে বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনায় অংশ নেবে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির।
এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও ইসলামী ঐক্যজোট ২৯ ডিসেম্বর, গণফোরাম ও বিকাল্প ধারা ২ জানুয়ারি, গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ৩ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং এদের মধ্যে ৯টির জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে।
এই দলগুলো হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠিত হবে: রাষ্ট্রপতি
ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রহসন ছাড়া কিছুই না: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে বিএনপি প্রহসন বলে অভিহিত করেছে। কারণ তারা মনে করে এটি দেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখবে না।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই সংলাপ মোটেও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘একজন পাগলও বিশ্বাস করে না, যে সরকার- তার প্রতিপক্ষকে নির্বাচনে যেতে দেয় না এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয় না- সেই সরকার একটি নিরপেক্ষ ইসি গঠন করবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করবে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু তারা প্রহসনের জন্য সংলাপ করছে। এই সংলাপ প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়,এটা জাতির সঙ্গেও তামাশা।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে সরকার সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি পুনর্গঠন করছে, দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এমনটা দেখানোর জন্য সরকার এই সংলাপের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রিজভী বলেন, আলোচনার উদ্দেশ্য হলো আওয়ামী লীগপন্থী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা যা নুরুল হুদা ও রকিবউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন সরকারের মতো সরকারের অধীনে থাকবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনসান আলম আক্কাসের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী রিজভীকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ২০ ডিসেম্বর সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রথম আলোচনার মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন।
বিএনপির নেতারা ইসি নিয়ে সংলাপের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করলেও গত ২২ ডিসেম্বর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাদের দল এখনো সংলাপে যোগদান বা বয়কটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আরও পড়ুন: উস্কানি মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
তিনি বলেন, বঙ্গভবন থেকে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণপত্র পেলেই দলের স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।
আলোচনার পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন তাকে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিরোধিতা করলেও বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপির স্বাগত জানানো উচিত মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যত কথাই বলুক না কেন আমি আশা করব বিএনপি এই সংলাপে অংশগ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ শুরু করেছেন এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করা এবং শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যেই করেছেন। আমি আশা করব বিএনপি যত কথাই বলুক না কেন এই সংলাপে অংশগ্রহণ করবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব’ প্রামাণ্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপিসহ সবার স্বাগত জানানো উচিত। ভারতে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কোনো সংলাপ হয় না। অনেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে বহুবছর ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছে, সেখানেও নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কোনো সংলাপ হয় না। বাংলাদেশে যে সংলাপ হচ্ছে এটিকে ইতিবাচক হিসাবে স্বাগত জানানো প্রয়োজন ছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতবারও রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেটি যে সঠিকভাবে গঠিত হয়েছিল, সেটির প্রমাণ হচ্ছে মাহবুব তালুকদার, যিনি নির্বাচন কমিশনের অনেক বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। অনেকে বলেন তিনি বিএনপি বা বিরোধীদের পক্ষ হয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যাদের দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে তারা অন্য দেশকে সবক দেয়ার অধিকার রাখে কি: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, উনিও সংলাপের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে স্থান পেয়েছেন। এতেই প্রমাণ হয় সংলাপ কার্যকর।
মন্ত্রী বলেন, এবারও রাষ্ট্রপতি সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছেন, এজন্য সংলাপ শুরু করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে সংহত করার জন্যই এটি করা হচ্ছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি তোলা হয়েছে। আর সেই সরকার গঠন হলে তারপর ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। তবে সেই ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশনের কোনো রূপরেখা দেয়া হয়নি।
ছাগল খুঁজতে সার্চ কমিটি করা হয়’ বলে বিএনপি নেতাদের দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন নিজেরা বিশেষ কোনো প্রাণির মতো আরচণ করে, তখন তারা অন্যকেও সেই একই প্রাণির মতো মনে করে, বিষয়টি ঠিক সেরকম।
তিনি বলেন, আমি আশা করব বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করবে। সব কিছুতে না বলার যে রাজনীতি বিএনপি অনুসরণ করছে সেটি থেকে সরে আসবে। তাদের কোনো আপত্তি থাকলেও সেটিও সংলাপে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রপতিকে বলে আসতে পারেন, সেটিই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি।
তারা যে কথাগুলো রাজপথে বলছেন সে কথাগুলোও তো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বলে আসতে পারেন। সেটিই একটি রাজনৈতিক দলের কাজ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: মানুষ রক্ষায় নেয়া পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত: কপ২৬ বিষয়ক সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী
র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘অগ্রহণযোগ্য’: তথ্যমন্ত্রী