রাষ্ট্রপতি
একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বুধবার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ১৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি ভার্চুয়ালি বঙ্গবন থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে যেমন বেড়েছে, তেমনি এর অবকাঠামো ও শিক্ষা কার্যক্রমের পরিধিও বেড়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধার জন্য প্রতিযোগিতাকেও আন্তর্জাতিকীকরণ করা হয়েছে। তাই একজন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, কারিকুলাম ও পাঠদান নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও বিশ্বমানের বিবেচনা করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উচ্চ আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। এছাড়া দেশ ও জনগণ তাদের শিক্ষিত করার জন্য বিনিয়োগ করে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের পরিবার, দেশ ও জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সম্প্রসারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখে। তবে শিক্ষা ও গবেষণার মানই প্রধান সূচক।
এসময় রাষ্ট্রপতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা ও যোগ্যতা বিবেচনায় রেখে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ যাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আজ শুরু হচ্ছে ঢাবির ১৬ দিনব্যাপী শতবর্ষ উদযাপন
১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করা দেশের প্রাচীনতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী এই প্রতিষ্ঠান শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে।
করোনা মহামারিরর কারণে উদযাপনটি পাঁচ মাস বিলম্বিত হয়েছে। আজ বুধবার থেকে ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ বই, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইট উন্মোচন করেন।
উদযাপনের উদ্বোধনী দিনে শতবর্ষ উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র এবং একটি থিম গানও প্রকাশ করা হয় এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের একটি শুভেচ্ছা বার্তাও অনুষ্ঠান উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.আখতারুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বক্তব্য দেন।
৩ ডিসেম্বর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের নেতৃত্বে দলছুট ব্যান্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শাহাদাত আলীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী অংশ নেবেন।
১২ ডিসেম্বর সকালে অপরাজেয় বাংলা প্রাঙ্গণ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় মহান বিজয় দিবসে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘লেজার শো’ এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ১৬ দিনব্যাপী এই উৎসব।
আজ শুরু হচ্ছে ঢাবির ১৬ দিনব্যাপী শতবর্ষ উদযাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার শতবার্ষিকী উদযাপন ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে ১৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হচ্ছে।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত দেশের প্রাচীনতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উদযাপন অনুষ্ঠান পাঁচ মাস বিলম্বিত হয়।
আজ ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে জমকালো উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে। এই উদযাপন দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকেও চিহ্নিত করবে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন জাতীয় সংসদের ড. স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শতবর্ষ পূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বই, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: ঢাবির আবাসিক হলের ক্যান্টিনের দেয়াল ধসে আহত ২
উদ্বোধনী দিনে শতবর্ষ উপলক্ষে তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও শতবর্ষের থিম সং পরিবেশন করা হবে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান।
৩ ডিসেম্বর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের নেতৃত্বে দলছুট ব্যান্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।
৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শাহাদাত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী অংশ নেবেন।
১২ ডিসেম্বর সকালে অপরাজেয় বাংলা প্রাঙ্গণ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় মহান বিজয় দিবসে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘লেজার শো’ এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ১৬ দিনব্যাপী এই উৎসব।
পড়ুন: ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯.৮৭ শতাংশ
নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেল জেলখানায়!
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িকতা ও অগণতান্ত্রিক চর্চার বিরুদ্ধে শক্তিশালী জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের দুই দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর গৌরবময় অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন সক্রিয়ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা দমনের লক্ষ্যে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি দেশে স্বস্তি এনেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সনদ এবং সততা কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক সমন্বয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একটি যোগ্যতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্যে সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৪ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের খসড়া সোমবার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিবেন। মন্ত্রিসভায় আজ সেটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ নভেম্বর সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২১ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি রবিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথকভাবে সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এসময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। পরে সেখানে পরিদর্শক বইয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া সবসময় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছেন: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছানোর পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাকে স্বাগত জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান শেষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনী প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখল বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ চালায় এবং এর মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে দিনটি উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য যথেষ্ট করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল বাধার সম্মুখীন হবে না: প্রধানমন্ত্রী
২৪ নভেম্বর সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামী ২৪ নভেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে স্মারক ভাষণ দিবেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর সংসদে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদের আমন্ত্রণে ২৪ নভেম্বর বিকাল ৩টায় স্মারক ভাষণ দেয়ার জন্য তার সদয় সম্মতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বছরজুড়ে জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শিরীন শারমিন বলেন, উদযাপনের অংশ হিসেবে সংসদে দুই দিনব্যাপী বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৪ নভেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত সংসদের ১৫তম অধিবেশন মুলতবি করেছেন স্পিকার।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরবেন বৃহস্পতিবার
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরবেন বৃহস্পতিবার
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থেকে সাত দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরবেন।
রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গী নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর তেজগাঁও হেলিপ্যাডে বিমান বাংলাদেশের একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।
সফরকালে রাষ্ট্রপতি মিঠামইনে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্বোধন, কিছু উন্নয়নমূলক প্রজেক্টের অগ্রগতি পরিদর্শন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি তামিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চার তলা বহুমুখী একটি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এর আগে তাঁর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
সফরের ষষ্ঠ দিন সন্ধ্যায় জেলা সার্কিট হাউজে কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেন আবদুল হামিদ।
একই দিন বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
সফরকালে সাংসদ রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা রাষ্ট্রপতির সাথে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার রাতে এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, হাসান আজিজুল হকের মৃত্যু দেশের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে হাসান আজিজুল হকের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পড়ুন: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মারা গেছেন
এদিকে, এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসান আজিজুল হক তাঁর সাহিত্যকর্ম ও সৃজনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সোমবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা বিহাসে নিজের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন হাসান আজিজুল হক । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ভ্যানচালকের মৃত্যু, আটক ৩
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করবেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়াও ভুটানের কাছ থেকে উচ্চ পর্যায়ের অংশগ্রহণ আশা করছে বাংলাদেশ।
এটি হবে ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতির প্রথম বাংলাদেশ সফর। তিনি ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই শপথ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।
আগামী মাসে দুটি মেগা ইভেন্টে বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে কাজ করতে যাচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়সহ যথাক্রমে ৬ ও ১৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালিত হবে।
২৬ থেকে ২৭ মার্চ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এই সফরটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্ধ শতাব্দীর অংশীদারিত্বের প্রতীক যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শক্তিশালী, পরিপক্ক ও বিকশিত করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাইকেল র্যালি বাংলাদেশে
৭ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাত দিনের সফরের প্রথম দিনে শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় তার পৈতৃক গ্রাম কামালপুরে পৌঁছেছেন।
প্রায় দুই বছর আগে দেশে কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর জেলা পরিষদের নতুন ডাক বাংলোতে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়।
এছাড়াও এদিন তিনি উপজেলার ‘গোরা উতরা’ নামের স্থানীয় একটি সেতু পরিদর্শন করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৬৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি হাওরের এলাকাগুলোকে কিশোরগঞ্জ সদরের সাথে সংযুক্ত করবে এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
সাত দিনের সফর শেষে রাষ্ট্রপতি আগামী ১৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে ফিরবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি