বিনিয়োগ
জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী হচ্ছে জাপান। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এছাড়া অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। জাপানও এখানে বিনিয়োগ করছে।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
সচিবালয়ে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে, তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আমরা কাজ করছি। তখন বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাপানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও দক্ষ নেগোসিয়েশনের সুবিধার্থে একটি জয়েন্ট স্টার্ডি গ্রুপ কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর এফটিএ বা পিটিএ এর মতো বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি করে উভয় দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হবে। জাপান ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সে মোতাবেক কাজ চলছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত সহজ হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ আছে এখানে, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী জাপান। জাপান-বাংলাদেশ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট(ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য করণীয় ঠিক করতে সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করছে জাপান।
এছাড়া বাংলাদেশও একই ধরনের দক্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করলে কাজ অনেক সহজ হবে। এতে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিনিধি থাকবে। যাতে করে সঠিকভাবে এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সঠিক সময়েই এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনকে লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পর্তুগালের বিনিয়োগ,বায়ু বিদ্যুতের অভিজ্ঞতা চায় বাংলাদেশ: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সম্ভাব্য বিনিয়োগ এবং সমুদ্র তীরে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা অনসন্ধানসহ নীল অর্থনীতিতে পর্তুগালের অভিজ্ঞতা চাইবে বাংলাদেশ।
শুক্রবার এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পর্তুগালের বড় আকারের ও ন্যায়সঙ্গত বিনিয়োগ বিশ্বজুড়ে বর্তমান জ্বালানি সংকট থেকে অনেকাংশে রক্ষা করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী আলম বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়নি এমন অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে উভয় দেশে দ্বিমুখী বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তৃতা সিরিজের (ইপিএলএস) অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-পর্তুগাল সম্পর্ক: গভীর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সন্ধান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে পর্তুগাল প্রজাতন্ত্রের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কো-অপারেশনের সেক্রেটারি ড. ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে ও আলোচক হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।
বাংলাদেশে কোনও পর্তুগিজ কূটনৈতিক বা কনস্যুলার মিশনের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশিরা বিশেষ করে তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিসার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা ড. আন্দ্রেকে আশ্বস্ত করেছি যে তার প্রশাসন অদূর ভবিষ্যতে সমস্যাটির একটি বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজতে কাজ করবে। যা প্রকৃতপক্ষে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বিশাল এক গুণগত পার্থক্য করবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলতে পর্তুগালের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশ।
২৭ সদস্যবিশিষ্ট ইউরোপিয় ইউনিয়নের অনেক প্রতিযোগী অগ্রাধিকার রয়েছে। তাই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থায় নির্ভরযোগ্য একটি অংশীদার থাকা বেশ সহায়ক হবে।
আলম বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য আশ্বস্তের বিষয় যে পর্তুগাল ২০২৯ সালের পরেও ইইউ বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য অনুকূল থাকবে। আমি নিশ্চিত যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের সম্পৃক্ততাকে আরও কৌশলগত দিকে নেয়ার প্রচেষ্টাকে উপলব্ধি করতে পর্তুগাল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি অনুঘটক ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি পর্তুগালকে মানবিক সহায়তা, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য তার কণ্ঠস্বর ও সমর্থন বজায় রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ পর্তুগালকে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ এজেন্ডাকে সমর্থনসহ জলবায়ু কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আমাদের মহাসাগরগুলোকে সংরক্ষণ ও রক্ষা করার বিষয়ে পর্তুগালের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা ২০২৭-২০২৮ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য পর্তুগালের আকাঙ্ক্ষাকে যথাযথভাবে বিবেচনা করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ‘ঈশ্বরদী বিমানবন্দর’ সচল করতে রাশিয়ার বিনিয়োগ চান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
উভয় দেশ ২০২৪ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা উপযুক্ত আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি করতে এখন থেকে পরিকল্পনা করতে সম্মত হয়েছি।’
তিনি বলেন যে এই বছর পর্তুগালের সঙ্গে তারা যে নতুন যাত্রা ও সম্পৃক্ততা শুরু করেছে তা আগামী বছরগুলোতে এক পরিপক্ক, প্রাণবন্ত ও বহুমাত্রিক আভ্যন্তরীণ কাজের সূচনা করবে।
বক্তারা মোটামুটি ১৬ শতক থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন।
তারা এই দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক তুলে ধরেন এবং নতুন উপায় খুঁজে বর্তমান অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার ওপর জোর দেন।
বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজায়ন, টেকসই উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামগ্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে ভারতে গেলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৮৯ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের ওপর জোর দেন।
সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য সম্পর্কমন্ত্রী এস. ইশ্বরান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণের পাশাপাশি টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
এস. ইশ্বরান বলেন, উভয় দেশকে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করতে হবে এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণের জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ এমওসি সই
তিনি আরও বলেন, দুই দেশেরই পর্যটন খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগের সহায়ক হতে চায় বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগের সহায়ক হতে চায় বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুরকে পরিষেবা বিতরণের পাশাপাশি বাণিজ্যের জন্য একটি ‘সংযোগের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের সুবিধা প্রদানকারী দেশ হওয়ার বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি আঞ্চলিক সংযোগ ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নকে সহজতর করতে আরও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ কামনা করেন।
পরিবহন মন্ত্রী এবং সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী এস ইসওয়ারান পরিশ্রমী বাংলাদেশী শ্রমিকদের এবং তাদের নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে তাদের অবদানের প্রশংসা করেন।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী আলম বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
কিভাবে উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাইজেশন ব্যবহার করে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ কাটা যায়, সে বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছেন।
আলম বাংলাদেশের উচ্চ কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনারও গুরুত্ব তুলে ধরেন। মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য ক্রমবর্ধমান উচ্চ ক্রয় ক্ষমতা উপভোগের ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর ও বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি খাত, ডেটা মাইনিং এবং বিভিন্ন উচ্চ দক্ষ ক্ষেত্র যেমন- ডিজিটাল সংযোগ এবং পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কাজ করার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যমান অনেক সম্ভাবনায় আগ্রহী। এটিকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রশংসায় ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের মেয়র
বাংলাদেশকে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহে সহায়তার আশ্বাস সৌদি আরবের
জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের ১৪তম সভা রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিয়াদের ডিজিটাল সিটিতে অবস্থিত ক্রাউন প্লাজা হোটেলে ৩০-৩১ অক্টোবরে দুই দিনব্যাপী যৌথ কমিশনের এ সভায় আশ্বাস দেয়া হয়।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান। সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন মোহাম্মাদ আবুথনাইন।
সভায় উভয় দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনে দেশ দুটি সম্মত হয়। টাস্ক ফোর্স জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের সুবিধাজনক সময়ে নিয়মিত সভা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহ ও ইষ্টার্ণ রিফাইনারি ইউনিট-২ প্রকল্পে সৌদি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সৌদি আরবকে অনুরোধ জানালে দেশটি সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
সভায় সৌদি আকওয়া পাওয়ার-এর বাংলাদেশে ১০০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার ও ৭৩০ মেগাওয়াটের গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দুদেশের নৌ পেশাজীবীদের মধ্যে নিয়োগ, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সৌদি আরবের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সৌদি পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট-এর ডেপুটি আব্দুল রহমান এম আল থুনায়েন।
আরও পড়ুন: নৌপরিবহন খাতে সৌদি বিনিয়োগের আশ্বাস
বৈঠকে এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ এবং ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার এন্ড কমার্স-এর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে এফবিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিব উল্লাহ ডন স্বাক্ষর করেন। সৌদি চেম্বার এর পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তারিক আল হায়দারী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ হতে পেশাজীবী নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি ‘এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রাম’ বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সমঝোতা হয়। এছাড়া, দুদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিজ্ঞান ও শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে কার্যকরী দ্বিপাক্ষিক সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করা হয়।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি, কৃষি, পরিবেশ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইত্যাদি বিষয়ে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট আলোচনা এবং পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। সভা শেষে একটি যৌথ কার্যবিবরনী স্বাক্ষর করা হয়।
যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ কনস্যূলেটের কর্মকর্তারা এতে যোগ দেন।
রবিবার যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের উদ্বোধনী সভায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের অকৃত্তিম ভাতৃপ্রতিম বন্ধু দেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যায়ক্রমিকভাবে পর্যালোচনা করার জন্য যৌথ কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। এটি আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করার, সহযোগিতার জন্য নতুন সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করার এবং আমাদের যৌথ লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়।
তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সচিব শরিফা খান আশা প্রকাশ করেন আগামী বছর সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশ সফর করবেন, যা দুদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া আজ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আব্দুল রহমান আল মারশেদ এর সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় সচিব বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সৌদি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এসএফডিকে অনুরোধ জানান।
যৌথ কমিশনের পরবর্তী সভা ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: বিনিয়োগ ও বড় প্রকল্পে অর্থায়ন খুঁজবে বাংলাদেশ
চলতি বছরের নভেম্বরের ২৯ ও ৩০ তারিখ জাপান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় দেশের বড় প্রকল্পে ‘বিনিয়োগ ও অর্থায়নের’ মাধ্যমে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপানের ‘শক্তিশালী সম্পৃক্ততা’ চাইবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন রবিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘জাপান যেসব এলাকায় কাজ করছে (মেগা প্রকল্প) সেগুলো দেখে আমরা খুশি।’
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ভাল বিনিয়োগকারী’ এবং তারা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ জাপানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য আরও অর্থায়ন প্রত্যাশা করে।
মোমেন বলেন, ‘মূলত জাপান অর্থায়নে সক্ষম এবং তারা সবসময় কোনও কঠিন শর্ত ছাড়াই অর্থায়ন করে। তাদের প্রযুক্তিও আছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, চাঁদপুরে শিবির কর্মী আটক
মোমেন আরও বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) তৃতীয় টার্মিনালের ব্যবস্থাপনায় জাপান ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশ আগ্রহী। ‘আমরা (সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য) দেখব এবং মূল্যায়ন করব।’
তিনি বলেন, জাপানও বন্দর সুবিধা প্রদান ও ব্যবস্থাপনায় আগ্রহী। ‘আমরা এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিইনি।’
দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর জন্য বাংলাদেশ অর্থায়ন খুঁজবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘এটা একটা সমস্যা হতে পারে, তবে এটা নির্ভর করে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর।’
তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ রেল প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি চাই। ‘এটাও একটা সমস্যা হতে পারে। এর সবই আলোচনায় আছে। এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের ‘সরাসরি ভূমিকা’ চাইবে, কারণ তাদের প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি।
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু দেখতে চান এবং তার দেশ এ লক্ষ্যে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার রাখাইন রাজ্যের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মাতৃভূমি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, জাপানি পক্ষ বাংলাদেশের কাছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে আগ্রহী, তবে বাংলাদেশের সাধারণ নীতি হচ্ছে আগে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
তিনি বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরে বলেন,‘আমরা প্রথমে আমাদের জনগণকে খাওয়াতে চাই, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা দিতে চাই। তারপর, আমরা অন্যান্য বিষয়গুলো দেখব।’
জাপান বাংলাদেশকে একটি ‘দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি’ এবং একটি ‘আকর্ষণীয়’ বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে মনে করে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশ সংযোগস্থলে অবস্থিত। জাপান একটি ‘মুক্ত ও উন্মুক্ত প্রশান্ত ভারত’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসাবেও দেখে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কোনও ধরনের ‘অবরোধ ছাড়াই সকলের জন্য ‘মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং চলাচলযোগ্য’ হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে মেট্রোরেলের আংশিক উদ্বোধনের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তারা বিষয়টি দেখবেন।
২০১৪ সালের মে মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টোকিওতে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক করেন এবং তারা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ-জাপান ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ চালু করেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে আবে ঢাকায় হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তি হয়।
মোমেন সম্প্রতি জাপান সফর করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের টোকিওতে তার রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান করে। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার
টুইটারের ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের মালিক হলে কোম্পানিটির বেশিরভাগ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন তিনি। বিষয়টি বৃহস্পতিবার মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ইলন মাস্ক যে টুইটার কিনে নেয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন, সে প্রক্রিয়ায় বেশকিছু বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমটির সাত হাজার ৫০০ কর্মীর প্রায় ৭৫ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনার কথা জানান। এ বিষয়টিকে কোম্পানিটির শুধু কঙ্কাল রেখে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। সংবাদপত্রটি কিছু নথি ও নাম না প্রকাশ করা সূত্রের উদ্ধৃতি টেনে বিষয়টি উপস্থাপন করেছে।
টুইটার এবং মাস্কের প্রতিনিধি হিসেবে অ্যাটর্নি অ্যালেক্স স্পিরোর কাছে জানতে চাওয়া হলে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
যদিও কোম্পানিটির হাতবদলে কর্মী ছাঁটাই অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। তবে মাস্কের ভাবনা টুইটারের পরিকল্পনার চেয়ে অনেক বেশি চরম। মাস্ক নিজেই পূর্বে কোম্পানির কিছু কর্মীকে বাদ দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তিনি নির্দিষ্ট সংখ্যা বলেননি, অন্তত প্রকাশ্যে নয়।
পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগবিষয়ক সংস্থা ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজ এর একজন বিশ্লেষক ড্যান আইভেস বলেন যে সহজভাবে বললে, ৭৫ শতাংশ জনবল ছাঁটাই করলে অর্থের প্রবাহ সহজতর হবে এবং এতে লাভ বৃদ্ধি পাবে। যা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের জন্য মার্কিন তহবিল চেয়েছেন ইলন মাস্ক
তবে আইভেস বলেন যে টুইটারের জনবলে এতো ঘাটতি কোম্পানিটিকে বেশ কয়েকবছর পিছিয়ে নেবে।
ইতোমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা কন্টেন্টে পরিবর্তন ও তথ্য নিরাপত্তায় বিনিয়োগ ফিরিয়ে আনলে টুইটার ও এর ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাস্ক যতটা কঠোরভাবে কমানোর পরিকল্পনা করছে এতে প্ল্যাটফর্মটি দ্রুত ক্ষতির মুখোমুখি হবে।
এপ্রিলে টুইটার কিনে নেয়ার জন্য চার হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রস্তাব দিলেও মাস্ক পরবর্তীতে মাধ্যমটিতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট না সরানোর অভিযোগ তুলে তা থেকে সরে আসে। তবে এ মাসে আবার তিনি প্রস্তাবে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক
টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
কৃষিতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন: বিশ্ব খাদ্য ফোরামে কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের কৃষি খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। উন্নত দেশ, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ইতালিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের 'বিনিয়োগ সম্মেলনের' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু কৃষিখাত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে পিছিয়ে থাকলেও এ খাতে বিপুল সম্ভাবনা আছে।
কোল্ড স্টোরেজ এবং ফসলোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি এবং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা চারটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে এসব খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের এই খাতগুলোতে বিনিয়োগের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক এবং লাভজনক।’
আরও পড়ুন: অস্ত্রব্যয়ের একটি অংশ খাদ্য উৎপাদনে দিলে, কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে ...
আলু, পেঁয়াজ, আম ও টমেটোর জন্য হিমাগার স্থাপন, সংগ্রহ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে অবিলম্বে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পেঁয়াজ, আম এবং টমেটোসহ শাকসবজি সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রযুক্তি এবং কোল্ড স্টোরেজ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ফসলগুলো তোলার পরের পর্যায়ে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। ‘সুতরাং, বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসুন।’
কৃষি খাতের রূপান্তরে বিনিয়োগ বাড়াতে ১৮-১৯ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী 'বিনিয়োগ সম্মেলনের' আয়োজন করে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশটি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে, যাদের কৃষি খাতে আরও বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।
এছাড়া বিশ্বব্যাংক, আরব ব্যাংক, ইন্টার-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ল্যাটিন আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, ব্যাংক ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন এই বিনিয়োগ উৎসাহ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিতে ইতালি যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী
বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান
ব্রুনাইকে পরবর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত ব্রুনাইয়ের অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক, ট্যুরিজম পার্ক, নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলএনজি টার্মিনালসহ পুরো দেশকে সড়ক ও রেলপথে সংযুক্ত করার প্রকল্প চলছে। বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতির চিত্র অতীতের তুলনায় অনেক ভিন্ন। এই অগ্রযাত্রায় সামিল হতে ব্রুনাইকে আহ্বান জানান তিনি। হালাল খাবার, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইসিটি, প্লাস্টিক, পেট্রোকেমিকেল, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, অবকাঠামো উন্নয়ন, পেট্রোলিয়াম, জ্বালানিখাতে দুই দেশের বাণিজ্য বিনিয়োগ সম্পর্ককে উন্নত করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিম ও গোশতের দাম কমতে পারে সরকারের নীতিগত সহায়তায়: এফবিসিসিআই
এফবিসিসিআই পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জাহাজ নির্মাণ, স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দক্ষ মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন।
এছাড়াও বৈঠকে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফিকি’র সভাপতি নাসের এজাজ। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো.আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর ও মো.হাবীব উল্ল্যাহ ডন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ব্রুনেইয়ের হালাল খাদ্যপণ্য বিপণনে দেশটির ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশের জেডইএস ট্রেডিংয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ঘানিম ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে সিইও নূর রহমান ও জেডইএস ট্রেডিংয়ের পক্ষে এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান চুক্তিতে সই করেন।
পরে গুলশানের ইউনিমার্ট লবিতে ব্রুনাইয়ের হালাল ফুডের পণ্য সামগ্রী বিক্রির জন্য একটি আউটলেটের উদ্বোধন করেন ব্রুনাই দারুসসালাম সরকারের অর্থমন্ত্রী দাতো সেরি সেটিয়া ড. আওয়াং হাজী মোহাম্মদ আমিন লিউ আবদুল্লাহ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি পাদুকা আওয়াং হাজি আহমাদদিন বিন হাজী আবদুল রহমান।
আরও পড়ুন: মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
ইফাদের বিনিয়োগে লাখো গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন হয়েছে: সারা সাভাস্তানো
জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন আন্তর্জাতিক তহবিল (ইফাদ) বিশ্বের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা হ্রাসে অল্প পরিমাণ পদক্ষেপে অগ্রগতির লক্ষ্যকে অতিক্রম করেছে। সাত দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মোট বিনিয়োগের প্রকল্পগুলোর একটি বিরল প্রভাব মূল্যায়নে এটি দেখানো হয়েছে।
ইফাদের সদ্য প্রকাশিত ২০১৯-২০২১ প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী সংস্থাটির ৪৪ মিলিয়ন বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বিগত তিন বছরের মধ্যে ৭৭ দশমিক চার মিলিয়ন গ্রামীণ মানুষের আয় কমপক্ষে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই সময়ে ইফাদের চার কোটি ৭০ লাখ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ছয় কোটি ২০ লাখ গ্রামীণ মানুষ উৎপাদনের মূল্য দ্বারা পরিমাপ করে তাদের ফসল, পশুসম্পদ এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি দেখেছে।
শুক্রবার রোম থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুযায়ী চার কোটি ৬০ লাখ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ছয় কোটি ৪০ লাখ গ্রামীণ মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রয় সুবিধা উন্নত করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
উপরন্তু, মূল্যায়ন দেখায় যে ইফাদ তিন কোটি ৮০ লাখ লোককে তাদের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। এরমধ্যে রয়েছে উন্নত কৃষি পদ্ধতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং ঋণের সুবিধা। সেইসঙ্গে তাদের আয়ের বৈচিত্র্যের জন্য জলবায়ু এবং অ-জলবায়ুগত ধাক্কা থেকে পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা দ্বারা পরিমাপ করা হয়েছে।
শুক্রবার ইফাদ-এর রিসার্চ অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ডিভিশনের ডিরেক্টর সারা সাভাস্তানো বলেন, ‘আইএফএডি-এর বিনিয়োগ লাখ লাখ গ্রামীণ নারী, পুরুষ ও শিশুদের জীবন ও জীবিকাকে কীভাবে পরিবর্তন করছে তার স্পষ্ট প্রমাণ দেখে আমরা গভীরভাবে সন্তুষ্ট।
‘অর্থনৈতিক অসুবিধা এবং উন্নয়ন বাজেটের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের প্রেক্ষাপটে এটি দাতাদের স্পষ্টভাবে দেখায় যে তাদের বিনিয়োগগুলো গ্রামীণ জনগণকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে একটি বিশাল পার্থক্য আনতে পারে।’
ইফাদ একমাত্র আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা কর্পোরেট স্তরে তার বিনিয়োগের প্রভাব পরিমাপ করে।
তহবিল পদ্ধতিগতভাবে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ প্রকল্পের নমুনার ওপর কঠোর প্রভাব মূল্যায়ন পরিচালনা করে।
প্রভাব মূল্যায়নে ইফাদ ১১-এর সময় সম্পন্ন করা ৯৬টি প্রকল্পের মধ্যে মোট ২৪টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। যা ২০১৯-২০২১ বাজেট চক্র জুড়ে ছিল।
২৫ শতাংশ মূল্যায়ন হার ইফাদের প্রভাব পরিমাপ করার জন্য নির্ধারিত ১৫ শতাংশের চেয়ে ১০ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। ৯৬টি প্রকল্পে মোট সাত দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরে।
অন্যান্য উপসংহারগুলোর মধ্যে, মূল্যায়ন গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ডিজাইনের জন্য একটি খাদ্য ব্যবস্থা পদ্ধতির গুরুত্বকে নিশ্চিত করে।
এর অর্থ হল খাদ্য ব্যবস্থার ‘মাঝারি ধারা’ কে সমর্থন করা এবং কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ, রূপান্তর এবং বিতরণে বিনিয়োগ করা যাতে ছোট আকারের উৎপাদনকারীদের মান শৃঙ্খলে সংযুক্ত করা যায়, অতিরিক্ত মূল্য তৈরি করা যায় এবং বর্ধিত উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতার সুবিধাগুলো সর্বাধিক করা যায়।
এটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ইতিবাচক ফলাফলও তুলে ধরেছে। যে নারীরা ইফাদ-এর কর্মসূচির অংশ ছিলেন তারা পরিবারের আয়ের উৎস সম্পর্কে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বাড়িয়েছে। এটি লিঙ্গ নিয়ম এবং নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপক রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের প্রথম পদক্ষেপ।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে পুষ্টির ওপর ইফাদ-এর লক্ষ্য পূরণ করা হয়নি। অন্ততপক্ষে এই কারণে যে রিপোর্টে মূল্যায়ন করা প্রকল্পগুলো ২০১৯ সালের আগে ডিজাইন করা হয়েছিল। যখন ইফাদ তার সমস্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে পুষ্টিকে মোকাবিলার জন্য পদ্ধতিগতভাবে একটি কৌশল অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেছিল।
প্রতিবেদনটি এমন ক্রিয়াকলাপগুলোকে একীভূত করার গুরুত্বকেও বোঝায় যা পুষ্টির ওপর আরও ভাল ফলাফল অর্জনের জন্য প্রকল্পগুলোতে আচরণগত পরিবর্তনকে উদ্দীপিত করে।
ইফাদ-এর প্রভাব মূল্যায়ন প্রক্রিয়া তহবিল উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যকারিতা উন্নত করার অঙ্গীকারের অংশ।
সাভাস্তানো বলেছেন, ‘ইফাদ-এ প্রতিটি ডলার গণনা করা হয় এবং আমাদের জন্য তাদের প্রতিটির সবচেয়ে কার্যকর ব্যবহার করা অপরিহার্য। বিশেষ করে এমন একটি প্রেক্ষাপটে যখন আর্থিক স্থান সংকুচিত হচ্ছে।’
‘আমাদের অতীত প্রকল্পগুলো মূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোকে আরও ভাল ডিজাইন এবং পরিচালনা করার জন্য প্রভাব মূল্যায়ন প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা ইফাদ-এর অগ্রাধিকার: আঞ্চলিক পরিচালক
খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ: ইফাদ