করোনায় মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ২২, শনাক্ত ৫৭৫
বরিশাল বিভাগে একদিনে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগে নতুন করে ৫৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ হাজার ৬৮৪ জনে।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গেলো ২৪ ঘন্টায় বিভাগের মধ্যে বরগুনায় দুজন ও ঝালকাঠির একজনসহ মোট তিনজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১৪ মৃত্যু
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২২ হাজার ৬৮৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৩৮ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২১৬ জন নিয়ে মোট ৯ হাজার ৬১২ জন। এর মধ্যে পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৪৯ জন নিয়ে মোট ২৮৯২ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩৭ জন সহ মোট ২,২৯৩, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৯৪ জন নিয়ে মোট ৩,১৯৭, বরগুনা জেলায় নতুন ৬৬ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১,৯০৩ ও ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১১৩ শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৭৮৭ জন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৫ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১২ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৩০৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ৭৭ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২৩০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
ঠাকুরগাঁওয়ে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১০১, মৃত্যু ২
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। গত কয়েকদিন প্রায় দেড়শ বা তারও বেশি সংখ্যক রোগী করোনা পজিটিভ হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা কমে ১০১ জনে নেমে এসেছে।
জেলায় একদিনে আরও দুজন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৫ জনে। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮০ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২৩ জনের। রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় নতুন করে ১০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ মৃত্যু
সিভিল সার্জন জানান, নতুন শনাক্তের মধ্যে সদরের ৬৬ জন, বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জের ছয় জন করে, রাণীশংকৈলে ১৪ ও হরিপুরে ৯ জন রয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৬৮০ জন, এর মধ্যে ২ হাজার ৯৫৫ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
এদিকে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৯টি মামলায় বিভিন্ন জনকে মোট ১৯ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রবিবার কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ জন বাস শ্রমিকের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল, পীরগঞ্জ, হরিপুর উপজেলায় বিভিন্ন কর্মহীন মানুষের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুমল্লিায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩৬ জনে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করে ৪৫১ জন শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের শতকরা হার ৪১ দশমিক ০৭ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাদের বয়স ৬০ থেকে ৮৫ বছরের মধ্যে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৩৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ৩৬০, মৃত্যু ৫
তিনি জানান, জেলায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১৭১ জনই সিটি করপোরেশনের। এ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৫৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৭ জন।
বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ ৭১০ শনাক্ত
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ ৭১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২২হাজার ১০৯ জন।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে পিরোজপুরে দুজন, পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ঝালকাঠিতে একজন করে মারা গেছেন। এনিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত২২ হাজার ১০৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৬৪ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯৪
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২১১ জন নিয়ে মোট ৯ হাজার ৩৯৬ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৫৭ জন নিয়ে মোট ২৮৪৩ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩৫ জনসহ মোট ২২৫৬ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১৬০ জন নিয়ে মোট ৩১০৩ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৫৭ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৮৩৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১৯০ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৭৪ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ৫৯৬ জনের মধ্যে ৩০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে চার জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৯৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ৬৮ জনের করোনা ও ২৩০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে শনাক্তের হার ৬২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনেই ১৪ জন মারা গেলেন। এ পর্যন্ত জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭১ জনে। এ সময়ে নতুন করে আরও ৭০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫ হাজার ৮ জনে।
রবিবার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, নগরীর ৯টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৭০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাতজন ও উপজেলাগুলোতে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ৩৬০, মৃত্যু ৫
নগরীর নয়টি ল্যাবের মধ্যে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের ১০৬ ও উপজেলার ৭০ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ১১০ ও উপজেলার ৩২ জনের শরীরে এই জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এই দিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৬টি নমুনার মধ্যে তিন জনের পজিটিভ এসেছে।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষা করা ৪৯টি নমুনায় নগরের ৩৩ ও উপজেলার তিনটি নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের পরপরই ফলাফল প্রদানকারী এন্টিজেন টেস্টে ৬৬৮ জনের মধ্যে ২২৪ জন জীবাণুবাহক বলে জানানো হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৬১ জন ও উপজেলার ১৬৩ জন।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে রয়েছে রেকর্ডসংখ্যক ৪১৬ জন এবং উপজেলাগুলোতে ২৯৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ ৫৪ জন, হাটহাজারীর ৪৮, মিরসরাইয়ে ৩৩, রাউজানে ১৯, ফটিকছড়ির ২৩, বোয়ালখালীর ১১, রাঙ্গুনিয়ার ১৮, চন্দনাইশে ২৯, সন্দ্বীপে ১৬, সাতকানিয়ার ১৫, পটিয়ার ১৪, বাঁশখালীর আট, লোহাগাড়ায় চার ও আনোয়ারায় একজন রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৬৫ হাজার ৮ জন। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের বাসিন্দা ৫০ হাজার ১৩৪ এবং ১৪ উপজেলার ১৪ হাজার ৮৭৪ জন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৭
এদিকে, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নগরীর ৪০টিসহ মোট ৫৩টি, আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৯টি নমুনায় চট্টগ্রাম নগরের ১৮ ও উপজেলার তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অপরদিকে, বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৯টি নমুনার মধ্যে উপজেলার ছয়টিসহ ৩২টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে।
কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় করোনায় প্রতিদিনই শনাক্ত এবং মৃত্যুর নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জন মারা গেছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯৪
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। জেলার একমাত্র ২০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে বেশ কিছুদিন কোন শয্যা ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে না। শয্যা সংকটের কারণে বারান্দার মেঝেতে রোগীদের ঠাঁই হয়েছে। সেখানেও পা ফেলার কোন জায়গা নেই। আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ২৮৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৮৭ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৯৮ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, আয়া, ক্লিনারসহ জনবল ও জায়গার সংকট দেখা দিচ্ছে। এতো রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার মত সামর্থ্য এই হাসপাতালের নেই। অসংখ্য রোগীকে তারা সাপোর্ট দিতে পারছেন না। রোগীদের যে ধরনের চিকিৎসা সেবার দরকার তার ব্যবস্থা এখানে নেই। গত এক সপ্তাহে জেলায় প্রায় দুই হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, গত মাস থেকে করোনার ভয়াবহ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এটি একটি নিরূপায় পরিস্থিতি, সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
অপরদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৮৯ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ ভাগ। এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১০ হাজার ৬০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন। মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১০ জনে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৭
নতুন শনাক্তের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৭ জন, দৌলতপুরের ১৮, কুমারখালীর ১৭, ভেড়ামারার ৩৭, মিরপুরের তিন ও খোকসা উপজেলার চার জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৭ হাজার ২৮৩ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৮ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ১০৩ জন
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৭
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১৩ জনে। একই সময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১৫৭ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৯ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় নতুন করে ১৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯৯ জনের। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সদর উপজেলাতেই প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে সদরে ৭৬ জন, বালিয়াডাঙ্গীর ১৯, পীরগঞ্জের ১৯, রাণীশংকৈলে ৩০ ও হরিপুরে ১৩ জন। পীরগঞ্জে একজন ও রাণীশংকৈল একজন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৫ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ৩৬০, মৃত্যু ৫
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, শনিবার ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৭টি মামলায় বিভিন্ন জনকে মোট ১০ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯৪
এদিকে, শনিবার করোনা মহামারি মোকাবিলায় ঠাকুরগাঁও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব শরিফা খান ঠাকুরগাঁও জেলার করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে অনলাইনে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রণ করেন। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ সময় অংশগ্রহণ করেন।
বরিশাল বিভাগে একদিনে ২৮৪ জনের করোনা শনাক্ত
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ হাজার ৩৯৯ জন।
একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনা ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৯ ও করোনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে পিরোজপুর জেলায় ৫ ও বরিশালের চার জনসহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে ৩৪৪ জন করোনায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
আরও পড়ুন: ১০ দিনে রামেকের করোনা ইউনিটে মৃত্যু ১৭১
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২১ হাজার ৩৯৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৯৪ জন। বরিশাল বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার ২ হাজার ৭৮৬ জন, ভোলার ২ হাজার ২২১, পিরোজপুরের ২ হাজার ৯৪৩ জন, বরগুনায় ১ হাজার ৭৮০ ও ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১৯ জন শনাক্ত নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৮৪ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৯ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৮৮ জনের মধ্যে ২২ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৮ মৃত্যু
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৯ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ২৩ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ২৮৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২১১ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯৯ জন করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। যার মধ্যে শনাক্তের হার ৬৫ দশমিক ৮২ শতাংশ ।
১০ দিনে রামেকের করোনা ইউনিটে মৃত্যু ১৭১
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি মাসের ১০ দিনে হাসপাতালটিতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যায় ১ জুলাই ২২ জন এবং সবচেয়ে কম ৪ জুলাই ১২ জন। চলতি মাসে করোনা ইউনিটে মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর ৮৮ জন রয়েছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, একদিনে মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর সাতজন, নাটোরের চার, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও জয়পুরহাটের একজন করে রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জন ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে আটজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় ২৭ মৃত্যু
শামীম ইয়াজদানী জানান, নতুন মৃতদের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। এদের মধ্যে পাঁচ জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৫০ বছর বয়সের দুজন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১১ জন। শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪৫৪ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৫২২ জন। এদের মধ্যে আইউসিইউতে চিকিৎসাধীন ১৯ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে একদিনে সর্বোচ্চ ২২ মৃত্যু
শামীম ইয়াজদানী জানান, টানা পাঁচদিন কমার পর রাজশাহীতে আবারও করোনাভাইরাস শনাক্তের হার বেড়েছে। শুক্রবার দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৩৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ছিল ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৮ মৃত্যু
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৫ ও উপসর্গ নিয়ে তিন জন মারা গেছেন।
এর আগের শুক্রবার আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণ গেল ইবি শিক্ষার্থীর
জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৯২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৯২ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ১০০ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। হাসপাতালে এখন করোনা রোগীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৮৯টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ হাজার ৬০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন। এনিয়ে মারা গেছেন ৩১০ জন।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৭৬ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৭ জন, দৌলতপুরের ১৮, কুমারখালীর ১৭, ভেড়ামারার ৩৭, মিরপুরের তিন ও খোকসা উপজেলায় চার জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৭ হাজার ২৮৩ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার তিন হাসপাতালে করোনায় ১৫ মৃত্যু
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৮ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ১০৩ জন।