ডিএনসিসি
পার্কে শিশুদের জন্য খেলার সামগ্রী সরবরাহ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
পার্ক, খেলার মাঠ ও বিনোদন স্থানগুলোতে শিশুদের জন্য আলাদা কর্ণারসহ তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘পার্কগুলোতে শিশুদের জন্য ইউরোপ থেকে আমদানি করে বিভিন্ন খেলার সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।’
শুক্রবার (১ এপ্রিল) গুলশান-২ এ ইতালি দূতাবাস পার্কে ইতালি দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে 'ভিনটেজ কার এবং বাইক শো' অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের শো শুধুমাত্র আন্তঃসীমান্ত বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করে না, বাঙালিরা যে আবেগ বহন করে তা-ও প্রদর্শন করে। এই ধরনের অনুষ্ঠান দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।’
মেয়র বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমরা আমাদের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন হারিয়ে ফেলেছি। বিশ্বের প্রতিটি দেশই তাদের ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণ করে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। এখানে প্রদর্শিত গাড়িগুলো অনেক আকর্ষণীয় গল্প ও ইতিহাস বহন করে।’
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে বসবাস করতে হবে। মোবাইল ফোনে এবং কম্পিউটারে সময় ব্যয় না করে প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন উৎসব ও মেলার আয়োজন করতে হবে। এর ফলে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: যানজট নিরসনে জোড়-বিজোড় নম্বরের ভিত্তিতে গাড়ি চলবে: মেয়র আতিক
কল্যাণপুর বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ডিএনসিসির
রাজধানীর কল্যাণপুর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র আতিকুল ইসলাম ২৭৯ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার রাজধানীর কল্যাণপুর বস্তির নতুন বাজারের কাছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কল্যাণপুরে বস্তিতে আগুন
মশক নিধনে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান শুরু
ঢাকা উত্তর সিটি করেপোরেশনে (ডিএনসিসি) বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহ ব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান আগামী ১৬ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত চলবে।
ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিযানে শুরুতে সকালে মিরপুর ৪ অঞ্চলের আওতাধীন ইব্রাহিমপুর খাল এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এই কার্যক্রমের পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে ডিএনসিসি’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, 'ডিএনসিসির মেয়রের নির্দেশনায় সপ্তাহ ব্যাপী বিশেষ এই অভিযানের লক্ষ্য হলো মশার পরিমাণ ব্যাপভাবে কমিয়ে আনা।'
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলের সকল ওয়ার্ডে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৮৯৬ জন মশককর্মী এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সকাল ও বিকাল দুইবেলাই বিশেষ এই অভিযান চলবে। তাছাড়া একজন মশককর্মী ৯০ সিসি কীটনাশক ব্যবহার করবেন। সাধারণত অন্য সময়ে একজন মশককর্মী ৬০ সিসি কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন।
আরও পড়ুন: রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী, ৪ মামলাসহ জরিমানা আদায় ডিএনসিসি’র
উল্লেখ্য, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ১০ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহ ব্যাপী 'বিশেষ মশক নিধন অভিযান' পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
মিরপুরে ডিএনসিসি’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-২ এর আওতাধীন ০৫ নং ওয়ার্ডস্থিত মিরপুর সেকশন-১১, এভিনিউ-০৪ এলাকায় রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি।
বুধবার সকালে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হকের উপস্থিতিতে অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এই উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করেন।জনগণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে উক্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ২৪টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।উল্লেখ্য, ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জনগণের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।ি
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রতিটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে: মন্ত্রী
বসিলায় ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদের পর লাউতলা খাল খননে ডিএনসিসি
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান
রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী, ৪ মামলাসহ জরিমানা আদায় ডিএনসিসি’র
ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী ও অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিয়ের দায়ে চারটি মামলায় জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের(ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় প্রায় দুই শতাধিক টং দোকান সরিয়ে এক কিলোমিটার ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়।বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন (অঞ্চল-১)।এ সময় করোনা প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসচেতনা বাড়াতে প্রায় ৫শ’ মাস্ক বিতরণ করা।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কারের নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
নগরীর প্রতিটি খাল উদ্ধার করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কারের নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরীর জলজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কার করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।সোমবার সকালে জলজট ও জলাবদ্ধতা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।তিনি বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি র্যাপিড অ্যাকশন টিম গঠন করা হবে, যারা অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা সমাধানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: ৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রেরমো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন খাল উদ্ধারে ৪২টি ডেড স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে আগে খাল থাকলেও এখন আর নেই। তাই জনগণের সহায়তায় খালগুলো উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।এসময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যথাযথ নিয়মে গাড়ি না চালালে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন রাস্তার ঝুলন্ত তার চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে অপসারণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এছাড়া নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উন্নয়ন প্রকল্পের নামে রাস্তা খনন বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওভারহেড ক্যাবল স্থানান্তর ও খনন করা রাস্তা মেরামত সংক্রান্ত এক সভায় এ নির্দেশনা দেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: রাজধানী শহরকে ভালোবাসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
তিনি বলেন, সড়ক খননকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম না মানায় নগরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নগরীর কোথাও রাস্তা খনন করা যাবে না।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ওভারহেড ক্যাবলগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভে স্থানান্তর করতে হবে এবং সড়ক খননের সঙ্গে জড়িত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করতে হবে।
আরও পড়ুন: যথাযথ নিয়মে গাড়ি না চালালে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
নগরীর প্রতিটি খাল উদ্ধার করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক না কেন জনগণের সহায়তায় জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী নগরীর প্রত্যেকটি খাল উদ্ধার করা হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খননের কাজ পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।তিনি বলেন, টানা তিনদিনের অভিযানের ফলশ্রুতিতে অস্তিত্বহীন লাউতলা খালটি এখন দৃশ্যমান, স্থানীয় জনগণসহ যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে তাদের প্রতি রইল আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।আতিকুল ইসলাম বলেন, বসিলাবাসীর স্বার্থেই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট লাউতলা খালটিকে বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করে এতে পানি প্রবাহের সৃষ্টি করা হবে।ডিএনসিসি মেয়র আবারও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। তাই ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: যথাযথ নিয়মে গাড়ি না চালালে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় ডিএনসিসির আওতাধীন খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, প্রত্যেকটি খালে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সকল খালের উভয় পাশেই নির্ধারিত সীমানার কমপক্ষে ২০ ফুট পর্যন্ত কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা।আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, সময়ের চাহিদায় নগরীর ব্যস্ততম এলাকা থেকে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলো সরিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করতে হবে।ডিএনসিসি মেয়রের উপস্থিতিতেই রাজধানী উদ্যান প্রকল্পের গেইটসহ লাউতলা খালের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।এসময় অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা-১৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর খননকাজ পুনরায় শুরু হবে: মেয়র তাপস
নির্মাণে ত্রুটির কারণেই ফ্লাইওভারে ফাটল: চসিক মেয়র
বসিলায় ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদের পর লাউতলা খাল খননে ডিএনসিসি
রাজধানীর বসিলায় ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদের পর লাউতলা খাল খনন কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ ব্যাপারে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মোহাম্মদপুরের বসিলায় অবৈধভাবে দখল হওয়া লাউতলা খালকে দখলমুক্ত করে প্রকৃত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যেই অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ট্রাক টার্মিনালটি উচ্ছেদ করেই খাল খননের কাজ শুরু করা হয়েছে।সোমবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খননের কাজ চলাকালে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।তিনি বলেন, নগরীকে জলজট এবং জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে হলে খালগুলো উদ্ধার করতেই হবে। লাউতলা খালটিকে উদ্ধারপূর্বক খনন করে বুড়িগঙ্গার সঙ্গে সংযুক্ত করে এতে পানি প্রবাহের সৃষ্টি করা হবে। নগরীর প্রত্যেকটি খালই মানচিত্র অনুযায়ী উদ্ধার করা হবে।
আরও পড়ুন: খাল দখলের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউন্সিলরশিপ থাকবে না: ডিএনসিসি মেয়রমো. আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা অবৈধভাবে খালের জায়গা দখল করে, খাল ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে স্বেচ্ছায় অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় বিনা নোটিশেই অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
মশার উপদ্রবে অতিষ্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটির বাসিন্দারা
মহামারি করোনা ভাইরাসের পর আরেক বড় সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএনসিসি)বাসিন্দারা। মশার উপদ্রবে অতিষ্ট তারা। ডিএনসিসি মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযানের কথা দাবি করলেও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছে না তাদের।
মিরপুর-৬ এলাকায় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, মশার ব্যাপক উপদ্রব আমাদেরকে হতাশ করেছে। কারণ করোনা মহামারির মধ্যেই এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বন্যার পানির সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মশার সংখ্যা বেড়ে যায়। জমে থাকা বৃষ্টির পানি মশার নিখুঁত প্রজনন ক্ষেত্র।
কিন্তু ডিএনসিসির গৃহীত পদক্ষেপগুলো অপ্রতুল বলে জানা গেছে। ডিসেম্বরের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়ও মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসী রেহাই পাচ্ছেন না।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করছে,পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই তারা নিয়েছে।
মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে না পারার কারণেই মূলত ডিএনসিসির আওতাধীন কয়েকটি এলাকায় মশা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। মশারি, কয়েল, ইলেকট্রিক ব্যাট এবং মশানাশক স্প্রে করেও এই অবস্থা থেকে প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
দীর্ঘ বর্ষার কারণে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মশার উপদ্রব আরও বেশি হয়েছে।
নগরবাসী জানায়, নগরীর বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল এমনকি চলন্ত যানবাহনসহ সর্বত্রই মশা।
মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বরাদ্দ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ডিএনসিসির বাজেট অনুসারে, এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বরাদ্দের মধ্যে কীটনাশক সংগ্রহের জন্য ৪৫ কোটি টাকা, আগাছা পরিষ্কারের জন্য তিন দশমিক ৫০ কোটি টাকা, মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিন কোটি টাকা, মশা নিয়ন্ত্রণ অভিযানে ডিএনসিসির অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের জন্য ২৭ কোটি টাকা এবং চিরুনি অভিযানের জন্য চার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য আরও ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান অভিযোগ
দক্ষিণ সিটির মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, মেরাদিয়া, গোড়ান, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকা, ফকিরাপুল, আরামবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর, মানিকনগর, বাসাবো, মুগদা, খিলগাঁও, ধোলাইখাল, কুড়িল, মীর হাজীরবাগ,শ্যামপুর, কামরাঙ্গীরচর, সূত্রাপুর, মোহাম্মদপুর,হাজারীবাগে মশার উপদ্রব বেশি।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী আকবর আলী বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হিসেবে চমৎকার হলেও মশার সমস্যায় অনেকেই সেখানে থাকতে চান না। এখানে থাকতে হলে আপনাকে সন্ধ্যায় মশারির নীচে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা এলাকায় মশার উপদ্রব রোধে ডিএনসিসির কোনো অভিযান বা কর্মসূচি আমার চোখে পড়েনি।
ভাটারা এলাকার রুহুল আমিন ইউএনবিকে বলেন, মশার আতঙ্কে আমরা খুবই আতঙ্কিত। মশা যেনো শহর দখল করে নিয়েছে। রাস্তায় স্পে করা ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষের আর কোনো কার্যক্রম দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: ‘মশার কোন বর্ডার নেই, সচেতনতার বিকল্প নেই’
বাড্ডার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, এ এলাকায় মশার উপদ্রব একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আমরা মশার কামড় এড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি, তা সাময়িক হলেও, মশার উপদ্রব আবার দেখা যেতে পারে।
শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা ফারুক রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের উচিত সারা বছরই মশা নিয়ন্ত্রণ অভিযান চালানো। মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা কোনভাবেই যথেষ্ট নয়। বাস্তবতা হলো, সিটি করপোরেশন এই সমস্যা রোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।