কুপিয়ে হত্যা
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১ জনকে কুপিয়ে হত্যা
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সিংড়া শালবন এলাকায় একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত অমল দেবনাথ (৩৬) বীরগঞ্জের সাতর ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্র দেবনাথের ছেলে। তিনি পেশায় একজন হোটেল শ্রমিক।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সুব্রত কুমার সরকার জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অমল দেবনাকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হত্যাকারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি মামলা চলছিল। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি: পুলিশ
ময়মনসিংহে শশুর বাড়িতে জামাইকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত
রাজশাহীতে শিশুকে হত্যার অভিযোগ আরেক শিশুর বিরুদ্ধে
ময়মনসিংহে শশুর বাড়িতে জামাইকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত
ময়মনসিংহের ভালুকায় শশুর বাড়িতে জামাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ও এসময় তার স্ত্রী আহত হয়েছেন। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার ভান্ডাব বয়ড়াপারা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ফকরুল ইসলাম (৩৫) উপজেলার ভান্ডাব মেদুয়ারী ইউনিয়নের ফজলুল হকের ছেলে ও বয়ড়াপারা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে আকলিমা খাতুনের দ্বিতীয় স্বামী।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ভান্ডাব বয়ড়াপারা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে আকলিমা খাতুনের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলার
রানা মিয়ার সঙ্গে। নানা কারণে সে সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে। পরে তাসলিমার পরিবার তাকে আবার ফকরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেয়।বুধবার রাতে তাসলিমার দ্বিতীয় স্বামী ফকরুল শশুর বাড়ি গেলে প্রথম স্বামী রানা ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক কুপিয়ে আহত করে।
এসময় ফকরুলের আত্মচিৎকারে স্ত্রী তাসলিমা বেড়িয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালের নেয়ার পথে মৃত্যু হয় ফকরুলের।
ভালুকা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তাসলিমার প্রথম স্বামীই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠান বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার ক্যাম্পে আরও এক রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে হত্যা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্বামীর হাতে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুপুর আক্তার (২৫) নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নুর নবী খানের মেয়ে ও তার স্বামী মুসা মোল্যা (৩৫) ব্রিটিশ ট্যোবাকো সিগারেট কোম্পানিতে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন।
মুসা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেরগাতি এলাকার কাওসার মোল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার ক্যাম্পে আরও এক রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে হত্যা
জানা গেছে, অল্প বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই নুপুর তার মায়ের সঙ্গে মধ্যেরগাতির নানার বাড়িতে থাকতেন। মা পারভীন আক্তার মহিলা আওয়ামী লীগের পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি। ফারিয়া নামে নুপুর-মুসা দম্পতির ১৩ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ফারিয়া বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বছর দুই বছর ধরে নুপুর একই এলাকার রেজাউল মোল্যার ছেলে নাঈম মোল্যা ওরফে লাদেনের (২২) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। নাঈম বোয়ালমারী পৌরসভার একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কর্মরত। গত এক বছরে নুপুর আক্তার তিনবার নাঈমের সঙ্গে চলে যান এবং ফিরে আসেন। নাঈমের সঙ্গে তার বিয়েও হয় বলে এলাকাবাসী জানান।
গত ৭ অক্টোবর এ নিয়ে স্থানীয় সালিশের সিদ্ধান্তানুযায়ী তিন মাস নুপুর আক্তার নিজ বাড়িতে থাকার কথা। এসময় মুসা কিংবা নাঈম কারো সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। তিন মাস পর নুপুর তার সিদ্ধান্ত জানাবেন যে তিনি কার সঙ্গে সংসার করবেন। সে মোতাবেক স্থানীয় মাতব্বররা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন।
কিন্ত নাঈম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নানার বাড়ি মায়ের সাথে দেখা করতে এসেছে- মেয়ে ফারিয়ার এমন ফোন পেয়ে মুসা নুপুরের নানা বাড়ি যান। এ সময় নাঈম পালিয়ে গেলেও উত্তেজিত মুসা হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়ে নুপুরকে মেয়ের সামনেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে নুপুরকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকায় নেয়ার পথে ভোর ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর মৃত্যু হয় নুপুরের।
ঘটনার পর থেকে মুসা ও নাঈম উভয়েই পলাতক রয়েছেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এখনো কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাবনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশিকে কুপিয়ে হত্যা!
পাবনা সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শরিফুল ইসলাম(৩৪) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরিফুল একই গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড় নিয়ে আগে থেকেই প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল নিহত শরিফুলের। সকালে শরিফুল সেই বাঁশঝাড়ে বাঁশ কাটতে গেলে প্রতিবেশি চাচা মজনু সরদারের দুই ছেলে স্বপন ও শাহীন তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ পূর্ব থেকেই চলে আসছিল। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদেও তারা এসেছিল। কিন্তু আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমাদের পক্ষ থেকে মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালে বাঁশঝাড়ে গেলে তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ধারালো কুড়াল দিয়ে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হত্যার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
আলমডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক মাঝি (রোহিঙ্গা নেতা) জাফর আলমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারুক আহমেদ।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ আহত জাফরকে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এপিবিএন এর এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: আলমডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে মুক্তিযোদ্ধার এক সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মো. আরাফাত নামে আরেক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আলী আহম্মদ বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব: মাগুরায় মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
নিহত মো. খুরশিদ আলম (৪২) একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আহম্মদের ছেলে এবং অভিযুক্ত আরাফাত মো. বাহাদুরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় খুরশেদ আলম তার সন্তানকে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাইভেট কারে বাড়িতে ফিরছিলেন। এই সময় বাড়ির রাস্তায় প্রাইভেট কারে সঙ্গে আরাফাতের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে আরাফাত ঘর থেকে বটি এনে খুরশেদ আলমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় ফুটপাতের হকারকে কুপিয়ে হত্যা
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক যুবক। এ ব্যাপারে পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
পাবনা সদর উপজেলার চর ঘোষপুর নফসারের মোড়ে সুজন হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় হামলায় আহত হয় আরও অন্তত ১০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নফসারের মোড়ে সুজন ও তার সমর্থকদের সঙ্গে লোকজনের চুল-দাঁড়ি কাটা নিয়ে তর্ক হয়। এর আধা ঘণ্টা পর লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েক’শ লোক সুজন ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় তারা সুজন ও তার সমর্থকদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত সুজনের স্ত্রী শাহানা খাতুন বলেন, আমাদের এলাকার শেখ গোষ্ঠীর লোকজন লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, নিহত সুজন সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর গ্রামের আনিছুর রহমান মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রী ছিলেন।
এছাড়া ওই ঘটনার মূলহোতা আলাল হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন:দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে এনে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা!
পাবনায় বিরোধের জেরে সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজধানীর মুগদার মান্দা এলাকায় শনিবার ভোরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর হাতে এক নারী খুন হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত নার্গিস আক্তার (৩৪) নোয়াখালী জেলার রিকশাচালক রেজাউল হক (৪০) এর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ বলেন, নার্গিস আক্তার ও তার স্বামী রেজাউল মুগদার উত্তর মান্দায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং তাদের তিন সন্তান গ্রামেই থাকে।শুক্রবার মধ্যরাতে তার এক সন্তান তাদের মাকে ফোন করে। কিন্তু তাকে ফোন না পাওয়ায় শনিবার সকালে এক আত্মীয় বাড়িতে এসে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পান। পরে তিনি দরজা ভেঙে নার্গিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিলবোর্ড ভেঙে জবি শিক্ষার্থী আহত
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এসআই বলেন,আমরা হত্যার তদন্ত করছি। তবে এর পেছনে পারিবারিক কলহ রয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করছি।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় এক যুবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ারুল আজিম (৩৩) পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করেন। তবে তিনি মাঝে মাঝে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজ পড়তে যাবে বলে ঘর থেকে বের হন আনোয়ারুল আজিম। কয়েক ঘণ্টা পার হলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হলে গভীর রাতে বাড়ির গেটের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে গহিরা জেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
ইউপি সদস্য আরও জানান, তার মুখ, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ইবনে আনোয়ার মাসুদ বলেন, আনোয়ারুল আজিম নামের এক যুবককে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা বাড়ির গেটের সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে ‘হত্যা’
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সেলিম (৪৫) একই গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। এছাড়া তিনি একই এলাকার হুমায়ন মন্ডল (৪৪) হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব: মাগুরায় মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, সেলিম একজন ভাটা শ্রমিক। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভাটায় কাজে যাচ্ছিলেন। এই সময় প্রতিপক্ষের মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. আসলাম হোসেন (৪০), মো. রাজু আহমেদ (২৫)সহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তার চিৎকার শুনে স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, জমি সংক্রান্ত জেরে ২০২০ সালে একজন খুন হয়েছিল। সেলিম সেই মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন।