বিয়ে
বিয়ের ৬ মাসের মাথায় লাশ হল মিনা!
বিয়ের ৬ মাসের মাথায় লাশ হলো চট্টগ্রামের রাউজানের মোজাহেদা মিনা (১৮) । মঙ্গলবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ির শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুর পক্ষের দাবি, মিনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।অন্যদিকে তার বাবার দাবি, স্বামীর বোনদের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ ছিল মিনা। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ মাস আগে উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই গ্রামের চাঁদের দিঘির পাড় এলাকার মোহাম্মদ হারুনের সঙ্গে মিনার বিয়ে হয়। একই উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন মাঝিপাড়ার শিক্ষক নুরুল হুদার মেয়ে মিনা।বাবা নুরুল হুদা জানান, ছয় মাস আগে তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। স্বামীর পরিবারের আসার পর থেকে স্বামীর ছয় বোনের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট ছিল তার মেয়ে। অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যা করা করেছে।পূর্ব গুজরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: দোকানের বারান্দায় ঝুলছিল তরুণের লাশ!
হোটেল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার
বিয়ের ৩ মাসের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা বালিয়াডাঙ্গীয় বিয়ের তিন মাসের মাথায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার মাহাতবস্তি গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কলেজছাত্রী তাজমীন আক্তার বিথি পাড়িয়া ইউনিয়নের রায়মহল গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হকের মেয়ে এবং একই এলাকার মামুনের স্ত্রী।
আর পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যুবকের লাশ উদ্ধার
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, উপজেলার মাহাতবস্তি গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মামুনের (২৪) সঙ্গে একই উপজেলার রায়মহল গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হকের কলেজপড়ুয়া মেয়ে তাজমীন আক্তার বিথির পারিবারিকভাবে তিন মাস আগে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মামুনের পরিবারের সঙ্গে বিথির বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকতো।
সোমবার বিকালে মামুনের শয়নঘরের সিলিংয়েরে সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বিথীকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশ।
ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ও তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশেষে বিয়ে করলেন জেনিফার লোপেজ ও বেন
লাস ভেগাস ড্রাইভ-থ্রু চ্যাপেলে শনিবার রাতে গাঁটছড়া বেধেঁছেন জনপ্রিয় হলিউড তারকা জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেক।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অগণিত ট্যাবলয়েড কভারের শিরোনামে ছিলেন তারা।
লোপেজ ভক্তদের জন্য রবিবার তার নিউজলেটারে ‘আমরা এটি করেছি’ শিরোনামে তাদের বিয়ের ঘোষণা করেছেন। লোপেজ প্রাথমিকভাবে এপ্রিলে তাদের বাগদান জনসমক্ষে প্রকাশ করেছিলেন।
জেনিফার লিন অ্যাফ্লেক স্বাক্ষরিত একটি বার্তায় লোপেজ লিখেছেন,‘ভালোবাসা সুন্দর, ভালবাসা কল্যাণকর।’
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন এসআই টুটুল
২০০২ সালে গিগলি সিনেমার সেটে প্রথম দেখা হয় জেনিফার ও বেনের।
৫২ বছরের লোপেজ ও ৪৯ বয়সী অ্যাফ্লেক ২০০০ এর শুরু থেকে ডেট করে বাগদান সম্পন্ন করলেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি।
অ্যাফ্লেক ২০০৫ সালে জেনিফার গার্নারকে বিয়ে করেন। সেখানে তাদের তিন সন্তান থাকলেও ২০১৮ সালে তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেন।
অন্যদিকে এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন লোপেজ।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
বিয়ে করলেন এসআই টুটুল
নতুন সংসার বেঁধেছেন সঙ্গীতশিল্পী এসআই টুটুল। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শারমিন সিরাজ সোনিয়া। আরটিভির একটি রিয়্যালিটি শো থেকে দুজনের পরিচয়ের শুরু।বিয়ের খবরটি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন এসআই টুটুলের ঘনিষ্ঠজন সঙ্গীত পরিচালক ও লেখক তানভীর তারেক। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমে নতুন দম্পতির ছবি প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের সঙ্গে ডিভোর্স ও নতুন বিয়ে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেয়া এক বক্তব্যে এসআই টুটুল বলেন, ‘তানিয়া ও আমি সেপারেট ছিলাম ৫ বছর। গতবছর আমাদের অফিসিয়াল ডিভোর্স হয়। এরপর নিউইয়র্কে কনসার্টসহ নানান কাজেই আমার যাতায়াত। সেখানে আরটিভির বাংলা গায়েন থেকেই সোনিয়ার সঙ্গে পরিচয়। দুইজনই যেহেতু আমরা সিঙ্গেল এবং ম্যাচিউরড তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।’অন্যদিকে নতুন জীবন শুরু করা নিয়ে সোনিয়া বলেন, আমি ১২ বছর ধরে সিঙ্গেল। টুটুলের সঙ্গে পরিচয় মূলত আরটিভির একটি রিয়েলিটিতে কাজ করতে গিয়ে। আমি নিজেও জীবন সঙ্গী খুঁজছিলাম। তাই টুটুল যখন বললো, আমার সঙ্গে বাকি জীবন থাকতে পারবে। তখন আমি তুমি থেকে আমরা হওয়া। মুসলিম রীতিতে আমাদের আক্দ হয়েছে শুধু। খুব জলদিই এখানে (আমেরিকা) ও বাংলাদেশের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিকতা করবো। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’প্রসঙ্গত, উপস্থাপক হিসেবে একাধিক চ্যানেলে কাজ করেছেন শারমিনা সিরাজ সোনিয়া। এক সময় যুক্তরাষ্টে পাড়ি দেন। আর সেখানেই এখন স্থায়ী বসবার করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
কন্যার ছবি প্রকাশ্যে আনলেন তিশা
উড়ন্ত বিমানে মাঝ আকাশে বিয়ে!
কানাডা প্রবাসী দুই ভ্রমণপিয়াসু ঠিক করেছেন দেশে ফিরে বিয়ে করবেন। তবে একটু ভিন্নভাবে, উড়ন্ত বিমানে বিয়ে করবেন তারা। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিবার (২৯ মে) ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে বিয়ে করলেন তারা।
পাত্রের নাম খায়রুল হাসান ও পাত্রীর নাম সাউদা বিনতে সানজিদা। বিমানে বিয়ে পড়ানোর কাজীসহ দুই পরিবারের ১৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন মাঝ আকাশের বিয়েতে।
সোমবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিমানের পাবলিক রিলেশন অফিসার তাহেরা খন্দকার।
তিনি বলেন, হ্যাঁ, রবিবার ঢাকা থেকে সিলেটগামী বিমানে বিয়ের আয়োজন ছিল। বিষয়টি আমরা বিস্তারিত জানাবো গণমাধ্যমকে।
আরও পড়ুন: বিয়ের দাওয়াত না দেয়ায় হামলার অভিযোগ
জানা গেছে, রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর নিয়মিত ফ্লাইট বিজি ৬০৩-তে করে ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে বিয়ে হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে এটিই প্রথম বিমানে বিয়ের ঘটনা।
মাঝ আকাশে বিমানে বিয়ে সম্পর্কে পাত্র খায়রুল হাসান বলেন, জীবনের এই স্মরণীয় মুহূর্তটাকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আসলে কানাডায় থেকে বাংলাদেশের রোড ট্রিপ খুব মিস করি। ঢাকা এসে ঘুরেছি। এখন বাকি সময়টাও ঘুরে বেড়াবো।
জানা যায়, ঢাকা থেকে বিমান আকাশে উড্ডয়নের পরপরই বিয়ে পড়ান কাজী ওমর ফারুক। আর এতে দোয়ায় শরীক হন পুরো বিমানের সব যাত্রী।
বিমানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে অনুমতি নেয়া হয় একমাস আগে।
আরও পড়ুন: যে কারণে ফণিভূষণের বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল
বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান
বিয়ের দাওয়াত না দেয়ায় হামলার অভিযোগ
কুষ্টিয়ার খোকসায় ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেয়ায় বড় ভাইযের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতের ইব্রাহীম আলী (৩২) একই এলাকার ওসমান আলী ছেলে।
তার অভিযোগ, রোজার ঈদের একদিন পর তার ছোট ভাই সম্রাটের বিয়ে হয়। এ উপলক্ষে বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় কয়েকজনকে দাওয়াত না দেয়ায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে দ্বিতীয় দফায় শনিবার হামলা চালায়। প্রথম দফায় হামলার ঘটনায় ইব্রাহীম খোকসা থানায় একটি জিডি করেন। এ কারণে হামলাকারীদের দ্বিতীয় বার হামলা করে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশিদের বাড়িতে বিএসএফ’র হামলার অভিযোগ
ইব্রাহীমের দাবি, তিনি পেশায় একজন ক্লিনিকের কর্মচারী। বিকালে তিনি বাড়ি থেকে কাজের উদ্যেশে বেরিয়ে ছিলেন। হামলাকারীদের বাড়ির সামনে পৌঁছানোর পর তারা হাতুড়ি ও কাঠের বাটাম দিয়ে তার ওপর হামলা করে। বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এব্যাপারে শোমসপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সদস্য (মেম্বার) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ইব্রাহীমের ছোট ভাই সম্রাটের বয়স সর্বোচ্চ ১৩ বছর হবে। তার সঙ্গে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ইব্রাহীমের লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও মারধর করে। এ ঘটনার পর প্রায় দিন দশেক ইব্রাহীমারা আত্ম গোপনে ছিল। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তারা গ্রামে ফিরে আসে। এরপর প্রতিপক্ষের লোকেরা হামলা করেছে বলে শুনেছি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
প্রথম হামলা ঘটনার মধ্যস্থতাকারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার করে তাকে পাওয়া যায়নি।
যে কারণে ফণিভূষণের বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল
৬৭ বছর বয়সে ফের বিয়ের পিড়িতে বসলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক কমিশনার ফণিভূষণ মজুমদার তাপু।
সোমবার রাতে উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলে সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে সাত পাকে ঘুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
শেষ বয়সের বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতুহলের শেষ ছিলনা। ফেসবুকে ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, ফণিভূষণ মজুমদার তাপু দুই ছেলে এক কন্যা সন্তানের জনক।
গত বছর করোনায় তাঁর স্ত্রী আলো রানী মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর দেড় বছর পর ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের আবদার রাখতে নতুন করে বিয়ের পিড়িতে বসলেন, এমনটাই জানান, ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
কনে শিউলি রানী কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা। কনের বয়স ৪০। কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রাম থেকে গাড়ি বহর নিয়ে উপজেলার সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দিরে দু’জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও আত্মীয় স্বজনরা বিয়েতে অংশগ্রহণ করেন।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে বাড়ি ফিরেন ফণিভূষণ মজুমদার তাপু।
বৃদ্ধ বয়সে মাঝারি বয়সের কনেকে বিয়ে করে নিয়ে আসলে নব বধূকে এক নজর দেখতে এলাকার শত শত আবাল বৃদ্ধ বণিতা ভিড় জমাচ্ছেন আজও।
এদিকে বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এ প্রসঙ্গে তাপু বলেন, গত বছর আমার প্রথম স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আমি একাকিত্ব জীবন অতিবাহিত করছিলাম। এ জন্যেই মূলত পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
তাঁর এক নাতি অর্ঘ মজুমদার বলেন, ঠাকুরমা’র মৃত্যুতে আমরা ভাই-বোন একা হয়ে পড়ি, ঘর ফাঁকা ফাঁকা। মা ও বাবা চিকিৎসক হওয়ায় তারা সব সময় ব্যস্ত থাকেন। দাদা ফার্মেসি নিয়ে বাজারে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। আমাদের খেলার সাথী নতুন ঠাকুমাকে পেয়ে আমরা মহা খুশি।
আরও পড়ুন: ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড: দাবি কুমিল্লার আ.লীগ নেতার
এসআই স্বামী-এএসপি স্ত্রীর ছবি ভাইরাল
ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে ফের আলোচনায় উপজেলা চেয়ারম্যান
ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেহেদী। বিষয়টি তিনি বিভিন্ন সময় অস্বীকার করলেও সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে বিয়ের সময়ের একটি দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।
সাঈদ মেহেদী কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর তাহমিনা আক্তার মিনা (২২) মৌতলা ইউনিয়নের আব্দুল মাজেদের মেয়ে। বর্তমানে তিনি খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বামী কারাগারে
জানা গেছে, চেয়ারম্যান সাইদ দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম ঘরের ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে তহমিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিয়ের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, সরকারি কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী অবস্থান করছেন। তাকে চার বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে ওই তরুণী। এখন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানকে সাপ উপহার দিয়ে ধরা!
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবার বিয়ে করেছেন এমন খবর আমার জানা নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।
বলিউড: অবশেষে গাঁটছড়া বাঁধলেন রণবীর, আলিয়া!
বলিউডের হার্টথ্রব অভিনেতা রণবীর কাপুর এবং অভিনেত্রী আলিয়া ভাট এখন স্বামী-স্ত্রী। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ডেট করার পরে বৃহস্পতিবার ৩৯ বছর বয়সী রণবীর এবং ২৯ বছর বয়সী আলিয়া ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকা বান্দ্রায় রণবীরের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে গাঁটছড়া বাঁধেন।
বিয়ের পর এই দম্পতি ফটোসেশনের জন্য বেরিয়েছিলেন যেখানে তাদের ভক্ত ও পাপারাজ্জিরা এই দুই তারকাকে এক ঝলক দেখার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলেন। রণবীর আলিয়াকে কোলে করে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যান।
ফটোসেশনের কিছুক্ষণ আগে আলিয়া তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আজ আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের দ্বারা ঘেরা বাড়িতে ... আমাদের প্রিয় জায়গা– বারান্দায় যেখানে আমরা আমাদের সম্পর্কের শেষ পাঁচ বছর কাটিয়েছি -- আমরা বিয়ে করেছি।’
‘আমাদের পিছনে ইতোমধ্যেই অনেক কিছু আছে, আমরা একসঙ্গে আরও স্মৃতি তৈরি করার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারি না... স্মৃতি যা ভালবাসা, হাসি, নীরবতা, সিনেমার রাত, খুঁনশুটি , ওয়াইন আনন্দ, চাইনিজ খাওয়ায় পূর্ণ। সকল কিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’
অভিনেতা ঋষি কাপুর এবং নীতু সিং-এর ছেলে এবং প্রবীণ অভিনেতা-পরিচালক রাজ কাপুরের নাতি রণবীর ২০০৭ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালির ট্র্যাজিক রোম্যান্স 'সাওয়ারিয়া' দিয়ে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন, একটি বাণিজ্যিক ব্যর্থতা।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল গাঁটছড়া বাঁধবেন রণবীর ও আলিয়া
রণবীর ২০০৯ সালে 'ওয়েক আপ সিড', রোমান্টিক কমেডি 'আজব প্রেম কি গজব কাহানি' এবং নাটক 'রকেট সিং: সেলসম্যান অব দ্য ইয়ার'-এ অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা রণবীর বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাকেও সহায়তা করে থাকেন।
অন্যদিকে, আলিয়া চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট এবং অভিনেত্রী সোনি রাজদানের মেয়ে। তিনি ১৯৯৯ সালের থ্রিলার 'সংঘর্ষ'-এর মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসাবে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসাবে তার অভিষেক হয়েছিল ২০১২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহরের 'স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার' দিয়ে।
রোড ড্রামা 'হাইওয়ে'-তে অপহরণের শিকার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০১৪ সালে আলিয়া সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন।
কারাগারেই ভুক্তভোগীকে বিয়ে করলেন ধর্ষণ মামলার আসামি
ধর্ষণ মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে থাকা এক আসামির সঙ্গে সেফ হোমে থাকা হাজতির বিয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কারাবন্দি রায়পাড়ার রফিকুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে একই এলাকার সুখমনির বিয়ে হয়।
খুলনা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ফখরউদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনায় উভয়ের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সময় বর-কনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান
কারাগার সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ, হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল মিস কেস নং-৬৯৯৯/২০২২-এর নির্দেশনা মোতাবেক ভুক্তভোগী সুখমনি এবং হাজতি বন্দি মো. রফিকুল ইসলাম বাবু কারাগারে থাকা অবস্থায় বিয়ের কাজ সম্পন্নের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে কারাগারের অফিস কক্ষে খুলনা জেলা বিবাহ রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন করা হয়।
খুলনা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। আসামি খুলনার কারাগারেই ছিল। সুখমনিও কারাগারের হাজতি। তবে সে নিরাপত্তা হেফাজতের হওয়ায় তাকে বাগেরহাট সেফ হোমে রাখা হয়েছিল। বিয়ের জন্য দুই দিন আগে সুখমনিকে এখানে আনা হয়।
তিনি জানান, হাইকোর্টের অনুমতি ও দুই পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ওই কিশোরীর বাল্যবিয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল হক বলেন, ‘বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী আদালতের অনুমতি ও উভয়ের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় এ ধরনের বিয়ে দেয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘ছেলেটি ছিল ওই বাড়ির কেয়ারটেকার। আর মেয়েটিকে ওই বাড়িতে কাজ করতো। ঘটনার সময় মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্তা ছিল। এ কারণে মেয়েটির অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার আবেদন জানালে আদালত তা আমলে নেন। এ কারণে মেয়েটি বাগেরহাট সেফ হোমে ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর খুলনা থানার মামলায় হাজতি বন্দি মো. রফিকুল ইসলাম বাবু ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে খুলনা জেলা কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।
পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে, সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত