বিয়ে
বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে ‘চাঁদের জমি’ উপহার দিলেন স্বামী
বিয়ে বার্ষিকী আরও স্মরণীয় করে রাখতে খুলনায় স্ত্রীকে চাঁদে এক একর জমি কিনে উপহার দিয়েছেন স্বামী।
বৃহস্পতিবার ওই দম্পতির ষষ্ঠ বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রী ইসরাত টুম্পার হাতে জমির দলিল তুলে দেন স্বামী এমডি অসীম।
ওই দম্পতি খুলনা মহানগরীর মর্ডান মোড় এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। স্বামীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়, পেশায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের খুলনা বিভাগের প্রতিনিধি। আর স্ত্রীর বাবার বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামে, পেশায় চিকিৎসক। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৪ সন্তানের মা হলেন লাক্সমিয়া
স্বামী অসীম বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে স্পেশাল কিছু উপহার দিব। গত বছর জানতে পারলাম ভারতের এক ব্যক্তি বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছেন। এরপর আমাদের বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদের জমি কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
তিনি বলেন, 'গত ২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে ৪৫ ডলারের বিনিময়ে এ জমি কিনেছি। জমি কেনার পর আমাদের একটি বিক্রয় চুক্তিনামা, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও পাঠিয়েছে সংস্থাটি৷'
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছে কাশফুলের খোঁজে: গন্তব্য যখন শরতের শ্বেতশুভ্র স্বর্গ
স্ত্রী ইসরাত টুম্পা বলেন, ‘চাঁদের দেশে এক টুকরো জমি উপহার পেয়ে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। গত বছর ভারতের একটি ঘটনা দেখে আমার স্বামী ইচ্ছা পোষণ করেছিল। এবার বিয়ে বার্ষিকীতে সে আমাকে সত্যিই সারপ্রাইজ গিফট দিতে পেরেছে। উপহারটি পাওয়ার পর আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন স্বপ্নে চাঁদে চলে গেছি।’
উল্লেখ্য, চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’-ই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি। যার বাংলা অর্থ ‘চন্দ্র দূতাবাস’। তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম একর প্রতি ২৪.৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দুই হাজার ১৪২ টাকা থেকে ৪২ হাজার ৬৫২ টাকা।
অবশেষে মিলল নিখোঁজ বরের সন্ধান
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা মিতাপাড়া গ্রামে নিখোঁজ বর ফুলবাবু চন্দ্র বর্মনের সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তার বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর-কনের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও এই বিয়েতে ছেলে ও তার পরিবার রাজি ছিল না। কিন্তু মেয়ে পক্ষের চাপের কারণে বিয়ে ঠিক হয়। তবে বিয়ের দিন বর আত্মগোপন করে। পরে বিভিন্ন মহলের চাপে বরকে হাজির করা হয় ও বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ি থেকে বর উধাও: অপহরণ নাকি আত্মগোপন!
ওই গ্রামের প্রভাত চন্দ্র বর্মনের ছেলে ফুলবাবু চন্দ্র বর্মনের দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুর গ্রামের দালালপাড়া এলাকার হরি বর্মনের মেয়ে প্রতিমা রানী শেফালীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ অবস্থায় ১৫ দিন আগে শেফালী বিয়ের দাবিতে ফুলবাবুর বাড়িতে অনশন শুরু করে। পরে উভয় পরিবারের লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে উভয়ের হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়ে বিদায় আনুষ্ঠানের দিন ধার্য করে ও কার্ড ছাপানো হয়। এতে বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ, শুক্রবার বরযাত্রি ও শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে পণ্ড
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবাবু বিয়ের বাজার করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। বিয়ের দিন শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বরকে খুঁজে না পেয়ে কনে শেফালীর পরিবারের লোকজন কনেকে ফুলবাবুর বাড়িতে দিয়ে আসেন। এ অবস্থায় অবশেষে গত রবিবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও সোমবার বৌভাত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বিয়ে বাড়ি থেকে বর উধাও: অপহরণ নাকি আত্মগোপন!
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা মিতাপাড়া গ্রামে বর ফুলবাবু চন্দ্র বর্মনের বাড়িতে বৌ-ভাতের আয়োজন হলেও বরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বরকে অপহরণ করা হয়েছে, নাকি বর আত্মগোপন করেছেন এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শনিবার বরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বৌ-ভাতের আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে ঘুরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৮ মাসের মাথায় গৃহবধূকে ‘হত্যার’ অভিযোগ
এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের প্রভাত চন্দ্র বর্মনের ছেলে ফুলবাবু চন্দ্র বর্মন। তার দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুর গ্রামের দালালপাড়া গ্রামের হরি বর্মনের মেয়ে প্রতিমা রানী ওরফে শেফালীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
কিন্তু পরে ফুলবাবু বিয়েতে টালবাহানা শুরু করে। এ অবস্থায় ১৫ দিন পূর্বে শেফালী বিয়ের দাবিতে ফুলবাবুর বাড়িতে অনশন শুরু করে। পরে বাড়ির লোকজন শেফালীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে সালিশ বৈঠক বসেন। সেখানে উভয় পরিবারের লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে উভয়ের হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রি করার ও বিদায় আনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ, শুক্রবার বরযাত্রা ও শনিবার বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বর ফুলবাবু বিয়ের বাজার করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। বিয়ের দিন শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কনে প্রতিমা রানী শেফালীর পরিবারের লোকজন তাকে মাইক্রোবাসে করে পরিবারের ১৫/২০ জন মানুষ বরের বাড়িতে দিয়ে আসেন। শনিবার বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আমন্ত্রীতরা ও আত্মীয়-স্বজন এসে ফিরে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় বর ফুলবাবুকে কেউ অপহরণ করেছেন নাকি তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে পণ্ড
সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ হোসেন ও আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন জানান, মেয়েটি বর্তমানে ফুলবাবুর বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে জেনেছি।
সিলেটে প্রেমিকার সাথে অভিমান করে প্রেমিকের আত্মহত্যা
সিলেটের বিশ্বনাথে প্রেমিকার সাথে অভিমান করে এক প্রেমিক বিষপানে আত্মহত্যা করে মারা গেছে বলে জানা গেছে। মৃত জিল্লুর রহমান (২২) উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের চন্দ্রগ্রামের আঞ্জব আলীর ছেলে।
মোবাইল ফোনের পরিচয় গড়ায় প্রেমে। দীর্ঘদিন পর প্রেমিকাকে বিয়ের ইচ্ছে জানায় প্রেমিক। তখনই বেকে বসেন প্রেমিকা। এতে অভিমান আর ক্ষোভে বিষপান করেন প্রেমিক। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে তার।
গত রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার। এর আগে, গত বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় জিল্লুর বিষপান করলে ওইদিনই তাকে হাতপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: মায়ের সাথে পরকীয়া, প্রেমিককে হত্যা করে ছেলে
জিল্লুর রহমানের বড় ভাই মুহিবুর রহমান জানান, ‘সিলেট ও চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন জায়গায় দর্জির কাজ করতো জিল্লুর। প্রায় চার মাস পূর্বে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে দর্জির কাজে থাকাবস্থায় মুঠোফোনে ঢাকার একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয় তার। পরিচয় থেকে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে সে তাকে বিয়ের ইচ্ছে জানালে, মেয়েটি তাকে বিয়ে করতে অপারগতা জানায়। এতে রাগে-ক্ষোভে জিল্লুর গত ৪ আগস্ট পরিবারের সকলের অগোচরে বিষপান করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওইদিনই আমরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় রবিবার বিকেলে সে মারা যায়।’
আরও পড়ুন: সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রেমিকার কাছে যেয়ে যুবক আটক
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।’
বিয়ের ৮ মাসের মাথায় গৃহবধূকে ‘হত্যার’ অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রামপুর এলাকায় বিয়ের ৮মাসের মাথায় এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ।
নিহত নন্দিতা সরকার (১৮) নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পুটিমারি গ্রামের নিতাই সরকারের মেয়ে। মাত্র আটমাস আগে লোহাগড়া উপজেলার রামপুর এলাকার গোপাল রায়ের ছেলে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসায়ী মিঠুন রায়ের (২৫) সঙ্গে নন্দিতার বিয়ে হয়।
আরও পড়ুনঃ পাবনায় বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
নন্দিতার ভাই ও মামলার বাদী উজ্জ্বল সরকার জানান, বিয়ের পর তার ছোট বোনের স্বামী মিঠুন ও পরিবারের সদস্যরা যৌতুক দাবি করে নন্দিতাকে মারধরসহ মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে নন্দিতাকে নির্যাতন করত মিঠুন ও তার পরিবার।
তার অভিযোগ, গত রবিবার রাত ১১টার দিকে নন্দিতার স্বামীসহ তার পরিবারের লোকেরা নন্দিতাকে কাপড় পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর নন্দিতার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা তাকে লোহাগড়া হাসপাতালে ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ যশোরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ি আটক
এই ঘটনা উল্লেখ করে নন্দিতার ভাই উজ্জ্বল সরকার বাদী হয়ে ২ আগষ্ট লোহাগড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নন্দিতা সরকারের পরিবারের অভিযোগ নন্দিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হয়েছে। ঘটনা টের পেয়ে পাশের প্রতিবেশীরা আসলে, তারা মৃত অবস্থায় নন্দিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার মৃত ঘোষণা করলে লাশ ফেলেই সবাই পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মিলন জানান, মৃত নন্দিতা সরকারের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে নিহত ১৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে ১৭ জন বরযাত্রী নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষীণ পাঁকা এলাকায় পদ্মা নদীর তেলিখাড়ি ঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন টকি (৩০), লেচন (৪০), সাইদুর (৩৫), সজিব (১৭), জামিলা (৭০), সাহাবুল (৩০), মানাম (৩৫), বেলি (৩৫), শরিফুল (৪০), বাবলু (২৫), মৌসুমি (২৫), টিপু সুলতান (৪৫)। তারা সবাই সদর উপজেলার নারায়নপুর এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ জয়পুরহাটে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, আহত ৪
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলিমনগর ঘাট এলাকা থেকে সকালে একটি নৌকাযোগে প্রায় ৩০ জন বরযাত্রী শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বিশরশিয়া এলাকায় বিয়ে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে। শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁকা এলাকায় পদ্মা নদীর তেলিখাড়ি ঘাট এলাকায় পৌঁছে নৌকা থেকে নেমে বৃষ্টির সময় তারা ঘাটের ছাউনিতে আশ্রয় নেয়। দুপুর ১২টার দিকে ছাউনির পাশে বজ্রপাত ঘটে। এসময় ১৭ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। নিহতরে মধ্যে ৫ জন নারী।
তিনি জানান, নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জন সদর উপজেলার ও একজন শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষক মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নুর নাহার নাসু জানান, ১১ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আর বর্তমানে ১০ জন এখানে ভর্তি রয়েছে। একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আখাউড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে পণ্ড
করোনা মহামারিতে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে হেঁসে-খেলে দিন পার করছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা তার বিয়ের আয়োজন করে।
শুক্রবার দুপুরে বিয়ের খবর পেয়ে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৩ বছরের এই কিশোরীর বিয়ে পণ্ড করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার।ৃ
আরও পড়ুন: বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে লালমনিরহাটে কাজি আটক
তিনি জানান, উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তারের সাথে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুরের দুলাল মিয়ার ছেলে সজীব মিয়ার (২৩) বিয়ের আয়োজন করা হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হয়। বরযাত্রী তখনও বিয়ের আসরে পৌঁছায়নি। পরে মেয়ের বাবাকে বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তাকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আগামী ৫ বছরের আগে তিনি তার মেয়ে বিয়ে দিবেন না এই শর্তে মুচলেকা দেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে এক রাতে বন্ধ হলো ৬ বাল্য বিয়ে
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সহিদ মিয়া, মহিলা ইউপি সদস্য সাফিয়া খাতুন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪ জনের উপস্থিতিতে হিন্দু বিয়ে
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে কঠোর লকডাউনে মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছিল সনাতন ধর্মালম্বী এক তরুণীর বিয়ে। বাড়ির সামনে বিশালাকৃতির গেইট। চারদিকে জমকালো লাইটিং, ঢাক-ঢোল, গান-বাজনার সাথে নৃত্য।
এক কথায় মহা ধুমধামের সাথে চলছিল বিয়ের আনন্দ। চলমান আনন্দের মধ্যেই বুধবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তার উপস্থিতিতে যেন সবকিছু বিষাদে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ের লগ্ন শুরু হবে। বাড়ির অনতিদূরে বর পক্ষ চলে এসেছে। তাই বিয়ে বন্ধ না করে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাৎক্ষণিক বন্ধ হয় ঢাক-ঢোলসহ নৃত্যসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান ও জনসমাগম। খুলে ফেলা হয় বিয়ের গেটসহ অন্যান্য ডেকোরেশন।
অবশেষে, বর ও কনেসহ মোট চারজনের উপস্থিতিতে কনের নানার বাড়ি হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঘরের মধ্যে সম্পন্ন হয় এই শুভ বিবাহ।
বর-কনের স্বজনরা জানান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার অমল চন্দ্রের মেয়ে রুপালীকে (১৮) (ছদ্দনাম) হাজীগঞ্জের ধড্ডা তার নানার বাড়িতে এনে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর বর হাজীগঞ্জের উচ্চঙ্গা গ্রামের হারাধনের ছেলে কমল দাস।
আরও পড়ুন: ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
লকডাউনের মধ্যে এমন আয়োজন করে বিয়ের খবর পেয়ে তাই পুলিশ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি বর-কনেসহ চারজনের উপস্থিতিতে বিয়ের দেয়ার নির্দেশনা দেন বর-কনের অভিভাবকদের।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার ইউএনবিকে বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের রীতিতে লগ্ন একটা বড় বিষয়। তাই লগ্ন ঠিক রেখে ঘরের মধ্যে বিয়ের কাজ সম্পন্ন এবং চলমান কঠোর লকডাউনে জনসমাগমসহ অন্যান্য আয়োজন বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি।’
এ সময় হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ মুন্সী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাকির হোসেন লিটুসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
মেহেদীর রঙ না মুছতেই গৃহবধূর আত্মহত্যা!
সাতক্ষীরায় হাতের মেহেদীর রঙ না মুছতেই বিয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায় আঞ্জুমান আরা (১৮) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুনঃ মায়ের কাছে চিঠি লিখে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
নিহত গৃহবধূ বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেকের নাতনী ও স্থানীয় কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।
আঞ্জুমান আরার নানী ছকিনা খাতুন (৬০) জানান, আঞ্জুমানার বাবা আনারুল সরদারের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামে। সে বসন্তপুরে নানা নানীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো। কালিগঞ্জ সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় গত ২৮ জুন পারিবারিকভাবে একই এলাকার বাবর আলী ওরফে বাবু মোড়লের ছেলে সাইদুল ইসলামের (২৮) সাথে আঞ্জুমান আরার বিয়ে হয়। রবিবার (৪ জুলাই) সকালে আঞ্জুমান আরার স্বামী সাইদুল ইসলাম কাজের জন্য বাইরে চলে যান। এ সময় ঘরের আড়ার সাথে ওড়নার সাহায্যে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে আঞ্জুমান আরা।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের সাতদিনের মাথায় আত্মহত্যা
সকাল ১০ টার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আঞ্জুমান আরাকে আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের নানী জানান, নাতনী মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। এছাড়া তার স্বামী রাজমিস্ত্রির জোগাড়ি এটা নিয়ে তার মনকষ্ট ছিল। এসব কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুনঃ রাজধানীতে ভিডিও কলে এসে শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিয়ে করায় ছেলেদের হাতে খুন হলেন বাবা
সিলেটের গোলাপগঞ্জে মাকে তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে খুন করেছে তিন ছেলে । শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের পরগনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম তোঁতা মিয়া (৫৫)। তিনি উপজেলার বাঘা কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত বতাই মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ভাবির ছুরিকাঘাতে দেবর খুন
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তোতা মিয়া ১৫ দিন আগে স্ত্রী দিলারা বেগমকে তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করেছেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার তিন ছেলে মাসুম আহমদ, তামিম আহমদ ও নাজিম আহমদের সঙ্গে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তোঁতা মিয়ার ছেলেরা অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতারি আঘাত করেন। প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে ছেলেরা পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শেরপুরে সীমানা বিরোধের জেরে কৃষক খুন, আটক ৯
তোঁতা মিয়ার একাধিক প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি তোতা মিয়া তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে ছেলেদের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এছাড়া তোঁতা মিয়ার জমিজমা ভাগভাটোয়ারা নিয়েও ছেলেদের সাথে মনোমালিন্য চলছিল। এসব কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ শার্শায় ভাতিজার হাতে চাচা খুন
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছি। তোঁতা মিয়ার ছেলেদের আটকের চেষ্টা চলছে।