সেনাবাহিনী
সেনাবাহিনীর ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে চিকিৎসা সেবা প্রদান
খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুইমারা কলেজ মাঠে প্রায় পাঁচ শতাধিক দরিদ্র মানুষকে মানবিক সহায়তা হিসেবে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
একই সাথে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৬০ জন অভাবগ্রস্থ মেধাবীকে বৃত্তি হিসেবে নগদ অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তা পেল ফরিদপুরের ৫ শতাধিক অসহায় মানুষ
সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মানবিক সহায়তা ও বৃত্তি তুলে দেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু, বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আবদুল মালেক, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন।
সিনহা হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ম দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আদালতে সাক্ষ্য দিলেন ৬৫তম সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
তার জবানবন্দি শেষ হলেও আংশিক জেরা শুরু করে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হকের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, 'জামিলুল হক ছিলেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে এ মামলার দায়িত্ব নেন মো. খায়রুল ইসলাম। ইতোপূর্বে জামিলুল হকের জবানবন্দি ও অসমাপ্ত জেরা শেষ হয়। এরপর খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের একজন আইনজীবীর জেরার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালত দ্বিতীয় দিনের বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে। তার পরবর্তী জেরা হবে আগামীকাল বুধবার।
এ পর্যন্ত ৬৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ৬৫ তম সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষ হলেও জেরা বাকি রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা : পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৮, ২৯ সেপ্টেম্বর
সিনহাকে হত্যা করতে দেখেছেন ইমাম শহীদুল!
সিনহা হত্যা মামলা: ৫ম সাক্ষী হাফেজ আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারের সাহায্যে করোনার টিকা পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের ৫১৩ জন মানুষের মাঝে প্রথম করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুর্গম ইউনিয়নটিতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে এসব টিকা নিয়ে যাওয়া হয়।
টিকা কার্যক্রমে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্স এর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর চৌকস মেডিকেল টিমের সদস্যরা অংশ নেন।
করোনার গণটিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে বসবাসকারী সর্বমোট ৫১৩ জন পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠির মাঝে করোনার টিকা দেয়া হয়। দূর্গমতার কারণে অঞ্চলগুলোতে করোনার টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না বিধায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের সহযোগীতায় এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে স্কুল শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে করোনার টিকা
উক্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
দেশের যেকোনো প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর এরুপ সহযোগীতা ভবিষ্যতেও সর্বদা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ডোজের গণটিকা কার্যক্রম শুরু, একদিনে পাবে ৮০ লাখ লোক
জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতির স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো জাতীয় প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।’
চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্ট এর নিকট নতুন পতাকা হস্তান্তর এবং সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
পড়ুন: রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে বিশ্ব বাজারের নতুন চাহিদা চিহ্নিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য সম্মান ও মর্যাদা বয়ে এনেছে, যা নিঃসন্দেহে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ ৪, ১২ ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫ এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি, রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন, ১ ও ২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, সেনাবাহিনীর নিজ নিজ কমান্ডারদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন। এভিয়েশন গ্রুপ এবং এনসিও একাডেমির পাশাপাশি মুজিব রেজিমেন্ট এবং রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারির কমান্ডারদের কাছে নতুন পতাকা প্রদান করেন।
পড়ুন: স্বার্থান্বেষী মহল দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে: প্রধানমন্ত্রী
দলীয় নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পদ্মা সেতু থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় যুবক ৬ দিনের রিমান্ডে
পদ্মা সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় যুবক উপেন্দ্র বিহারের ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে মুন্সীগঞ্জে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালত ছয় দিনের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার লৌহজং থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আরফাতুল রাকিব ছয় দিনের রিমান্ড দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মানব পাচার চক্রের ‘হোতা’ টুটুলসহ গ্রেপ্তার ৮
মুন্সীগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন জানান,উপেন্দ্র বিহার ভারতের আসাম এলাকার বিন্দাশ্রী বিহারের সন্তান বলে দাবি করেছেন। পাগলবেশ অবস্থায় পদ্মা সেতুর মাওয়া সংরক্ষিত এলাকা কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। সেনাবাহিনী তাকে আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে লৌহজং পুলিশকে হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা বা পাসপোর্ট কিছুই দেখাতে পারেনি। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ বুধবার আদালতে সোপর্দ করলে বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা: গ্রেপ্তার ৩
খুলনায় ভুয়া সেনা সদস্য আটক
খুলনার খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ীগেট মিরেরডাঙ্গা আবাসিক এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয়ধারী এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মো. রাসেল শেখ (২৭) ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের কুমোড়ঘাটি গ্রামের শাখাম শেখ এর ছেলে।
পুলিশ জানায়, সে নিজেকে সেনাবাহিনী সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল।
আরও পড়ুন: চাকরি দেয়ার নাম প্রতারণা: চট্টগ্রামে ভুয়া সেনাসদস্য আটক
ভুক্তভোগী সাদ্দাম জানান, চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ আগস্ট দুই দফায় সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারক রাসেল শেখ দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা নিলেও সে চাকরি না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। সাদ্দামের মা রেবেকা বেগম সেনাবাহিনীর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে রাসেল শেখ সেনা সদস্য নয়। সে একজন প্রতারক। এ সময় রেবেকা বেগম প্রতারক এর সাথে মোবাইলে কথা বলে কৌশলে জানে সে মিরেরডাঙ্গা কেডিএ আবাসিক এলাকার মনিরুজ্জামানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)প্রবীর কুমার বিশ্বাস, উপপরিদর্শক(এসআই) হাসনুজ্জামান, এএসআই ইস্তিয়াক আহম্মেদ সঙ্গীয়ফোর্সসহ ভুক্তভোগী সাদ্দামকে নিয়ে মিরেরডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ওই বাড়িতে যায়। এ সময় সেখান থেকে সেনাবাহিনীর বুট জুতা, গেঞ্জী, নকল জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রতারণা করার গুরুত্বপূর্ণ আলামতসহ রাসেলকে থানা হেফাজতে আনে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় চাকরি দেয়ার নামে ‘প্রতারণা’, গ্রেপ্তার ৩
খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে।
সিনহা হত্যা মামলা : পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৮, ২৯ সেপ্টেম্বর
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া সাক্ষ্যগ্রহণ বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত চলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে। দিনব্যাপী মামলার অন্যতম সাক্ষী সেনা কর্মকর্তা সার্জেন্ট আয়ুব আলী, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান ও মোক্তার আহমদের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। এ নিয়ে এই পর্যন্ত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনহাকে হত্যা করতে দেখেছেন ইমাম শহীদুল!
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, বুধবার দিনব্যাপী তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে আদালত চলতি মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখে দিন ধার্য করেন।তিনি জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী বিচার কাজকে বিলম্বিত করতে আদালতে বার বার বিভিন্ন অজুহাতে দরখাস্ত দিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার আরও একটি দরখাস্ত দেন। কিন্তু দেশের একটি বড় সংস্থার গোপন নথি চাওয়ায় আদালত দরখাস্তটি নাকচ করে দেন।এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার প্রথম দফায় ১নং সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একইভাবে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর টানা চার দিনে দ্বিতীয় দফায় চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। বুধবার তৃতীয় দফার শেষদিন পর্যন্ত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: ৫ম সাক্ষী হাফেজ আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্নগত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজঘটনার ছয় দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।
জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বহালে খোলা চিঠি
জান্তা সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুনকে দায়িত্বে বহাল রাখতে সংস্থাটিকে খোলা চিঠি দিয়েছেন দেশটির ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কয়েকশ বিশিষ্ট নাগরিক।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের দাবি মেনে মোয়ে তুনকে প্রত্যাহার করা হলে এটি জাতিসংঘে দেশটির জনগণের বক্তব্য তুলে ধরায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্যদের প্রতি পাঠানো চিঠিটি সোমবার প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
আরও পড়ুন: আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান
মোয়ে তুন জাতিসংঘে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবে সংস্থাটির নয়টি সদস্য দেশ। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়াও রয়েছে।পরে আলোচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সাধারণ পরিষদকে সুপারিশ করবে এই সদস্য দেশগুলো।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সংস্থাগুলোর একটি প্রগ্রেসিভ ভয়েস। এর প্রতিষ্ঠাতা খিন ওহমার বলেন, ‘সদস্য দেশগুলো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে জাতিসংঘে মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকবে না।এছাড়া মিয়ানমারে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো জান্তাদেরও জাতিসংঘে প্রতিনিধি হিসেবে আসার আশঙ্কা রয়েছে।‘
কিয়াও মোয়ে তুন বর্তমানে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধীদের গঠিত জাতীয় ঐক্য সরকারের হয়ে জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান ফর্টিফাই রাইটসের
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক সেনা অভ্যুত্থানে সু চির সরকারকে উৎখাতের পর মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে তাদের হাতে দেশটির প্রায় এক হাজার নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও প্রায় আট হাজার জন। এছাড়া ১০৪ শিশুসহ জান্তা সরকারের হাতে আটক হয়েছেন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জন।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোনো নতুন সরকার গঠন করতে পারেনি সেনাবাহিনী।অন্যদিকে, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছে বিরোধীদের গঠিত ছায়া সরকার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিকৃত তথ্য প্রচারে বাংলাদেশের ‘ক্ষোভ’
সিনহাকে হত্যা করতে দেখেছেন ইমাম শহীদুল!
কক্সবাজারের বায়তুল নূর জামে মসজিদের ছাদ থেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যা করতে দেখেছেন ইমাম শহীদুল ইসলাম। তিনি আদালতকে এ তথ্য জানান। বুধবার সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের চতুর্থ দিনে সাক্ষী হিসেবে তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হয়েছে।
তৃতীয় দফায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হবে আগামী ২০, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর। মামলায় আরও ৭৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: ৫ম সাক্ষী হাফেজ আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
আদালত থেকে বেরিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, ঘটনাস্থলের কাছে বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম শহীদুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ আপাতত শেষ হয়েছে। শহীদুল মসজিদের ছাদ থেকে দেখা পুরো ঘটনা আদালতের কাছে তুলে ধরেছেন। এতে আমরা সন্তুষ্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সকাল ১০ টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হয় দুপুর ২ টার দিকে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিলেন আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক কামাল
আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, মসজিদের ছাদ থেকে মেরিনড্রাইভ সড়কের দূরত্ব অনেক। মাঝখানে অনেক গাছপালা আছে। এই দূরত্ব থেকে কোন ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব নয়। মূলত অশুভ অপরাধী চক্রের প্ররোচনায় কিছু সাক্ষী মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
এর আগে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
সিনহা হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিলেন আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক কামাল
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে সোমবার চতুর্থ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক কামাল হোসেন। পরে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পুলিশের গুলিতে সিনহা নিহতের সময় তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর ৬ সাক্ষীকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
তাদের মধ্যে যারা সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর হাজির হয়েছে তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে চতুর্থ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চম সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা : ২য় দিনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, আজ যিনি সাক্ষী দিয়েছেন তিনি যে সিএনজি চালক তার কোন প্রমাণ নেই। আদালতকে তিনি যা বলছেন তা এর আগে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেননি।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিনদিনে মামলার বাদী মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও ঘটনার সময় সিনহার সাথে থাকা সাবেক সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। গত রোববার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এই হত্যা মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদ আলী।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজ
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে। ঘটনার ছয় দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব পুলিশের দায়ের মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।