প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, দুই দেশের জনগণের স্বার্থে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি ব্রাজিলের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘একই সঙ্গে আমরা এই কঠিন সময়ে বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যও কাজ করতে পারি। আমরা এখনও মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য লড়ছি এবং ইউক্রেন সংকটের মুখোমুখি হয়েছি।’
আরও পড়ুন: ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আপনার অসাধারণ বিজয়ের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রাজিল পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আরও ব্যাপক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করে।
তিনি বলেন,‘দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বন্ধন সময়ের সঙ্গে আরও গভীর ও প্রশস্ত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ব্রাজিলের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সহযোগিতায় সম্মত বাংলাদেশ ও ব্রুনাই
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
ব্রাজিলে নির্বাচন: বলসোনারোকে হারিয়ে লুলা ফের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী প্রার্থী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা জনগণের ভোটে জয়ী হয়েছেন। রবিবার দ্বিতীয় ধাপের তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ভোটে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে হারিয়েছেন তিনি।
রবিবার রাত ১০টার দিকে ৯৯.৯ শতাংশ ভোট গণনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দা সিলভা পেয়েছেন ৫০.৯ শতাংশ, আর বলসোনারো পেয়েছেন ৪৯.১ শতাংশ ভোট।
ভোটের আগে প্রচারণার সময় বোলসোনারো নির্বাচনে সম্ভাব্য কারচুপির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। নির্বাচনে কারচুপি হলে তিনি পরাজয় না মেনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
৭৭ বছর বয়সী দা সিলভা ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রাজিলের ৩৫তম রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। তিনবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০০২ সালে তিনি জয়লাভ করেন এবং ২০০৬ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে লুলাকে হুন্ডি ও দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয়া হয়। লুলা রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করে ব্যর্থ হন এবং ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর লুলা ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার চেষ্টা করলে তাকে দেশের ঊর্ধ্বতন নির্বাচনী আদালত ‘ফিচা লিম্পা’ নামক আইনের আওতায় বাধা দেয়।২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে লুলাকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হয়।
জয়ের পর সাও পাওলো শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি হোটেলে বক্তৃতায় দা সিলভা বলেন, ‘আজকের এই জয় ব্রাজিলের জনগণের। এটি আমার বা ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয় নয়, যে দলগুলো আমাকে প্রচারণায় সমর্থন করেছিল। একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয় যা রাজনৈতিক দল, ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে গঠিত যাতে গণতন্ত্র বিজয়ী হয়।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ
চাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৬০
চাদের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির দুটি বড় শহরে বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়। বিষয়টি সরকারের এক মুখপাত্র ও মর্গের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে অন্তর্বর্তী নেতা মহামত ইদ্রিস দেবির ক্ষমতার দুই বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ফলে সৃষ্ট এই সহিংসতার পরে কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করে।
চাদ সরকারের মুখপাত্র আজিজ মহামত সালেহ বলেন, রাজধানী এনজামেনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই সংখ্যা ৪০ হবে।
শহরের মর্গের একজন কর্মকর্তা জানান, চাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাউন্ডুতে আরও ৩২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেন, ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় কারফিউ উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
অন্যান্য বিক্ষোভ দেশটির ডোবা ও সারাহ শহরে সংঘটিত হয়।
তিন দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পর দেবির বাবার হত্যাকাণ্ডের পর তিনি গত বছর দায়িত্ব নেন। সেসময় থেকে এটিই হচ্ছে বড় আকারের মারাত্মক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
কর্মকর্তারা বলেন, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি ইতনো ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশটির উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্রে চাদ সেনাদের সঙ্গে দেখা করার সময় বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন।
এনজামেনার প্রধান হাসপাতালে, বন্দুকের গুলিতে আহত অনেক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিতে হিমিশিম খেয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে লিবার্টি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের ওপর নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৬৪
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, বিক্ষোভকারীরা এনজামেনার রাজধানী জুড়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত ৩ টার দিকে জড়ো হতে থাকে। পুলিশ ভিড় লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লেও বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে আসতে থাকে এবং তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তখনই নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়, বিক্ষোভকারীরা কাঁদানে গ্যাসের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদের জড়ো করতে লড়াই করে।
নিহতদের মধ্যে একজন চাদ সাংবাদিক নার্সিস ওরেজে আছেন। যিনি সিইএফওড রেডিওতে কাজ করতেন এবং এক বুলেট আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত ১, আহত ১৩
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসার পরিচয়পত্র পেশ
ব্রাজিলে নিযুক্ত দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা লাপাজে অবস্থিত গ্র্যান্ড পিপলস হলে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আলবার্তো আর্সে কাতাকোরার নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা ব্রাসিলিয়াস্থ দূতাবাসে নিযুক্ত থেকে অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে বলিভিয়ার সমবর্তী দায়িত্ব পালন করবেন।
ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর পরিচয়পত্র পেশের পর প্রেসিডেন্ট আলবার্তোর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, গণহত্যা, গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান প্রেসিডেন্ট আলবার্তোকে অবহিত করেন।
ল্যাটিন আমেরিকার কিংবদন্তি নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্ব ও ফিদেল কাস্ত্রো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর হিমালয়সম তুলনা জেনে প্রেসিডেন্ট আলবার্তো আবেগতাড়িত হন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডেরর বিষয়ে অবগত হয়ে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধে ব্যর্থ হয়েছে মেটা, অ্যামনেস্টির নিন্দা
রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন ফোরামে বাংলাদেশ ও বলিভিয়ার সহযোগিতা তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান।
আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিভূত হন।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও বলিভিয়া উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন এবং অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সফরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ অংশীদার বলিভিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এবং রাষ্ট্রদূত উভয়ই সম্মত হন। বিশেষ করে ওষুধ রপ্তানি, গার্মেন্টস ও নীটওয়্যার, প্লাস্টিক ও চামড়াজাত পণ্যে সম্ভবনাময় বলিভিয়ার বাজার সম্প্রসারণে রাষ্ট্রদূত কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং বাংলাদেশের লোকশিল্পের নিদর্শন হিসেবে নকশী কাঁথা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।
এ সময় বলিভিয়ার ভাইস-মিনিস্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স এরউইন ফ্রেডি মামানি মাচাকা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বক্তৃতা দিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে: রাষ্ট্রদূত
এফবিআই: ম্যাগাজিন ও অন্যান্য নথির সঙ্গে ‘টপ সিক্রেট’ নথি মিশিয়ে রেখেছিল ট্রাম্প
চলতি বছরের শুরুর দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডা এস্টেট থেকে উদ্ধার করা ১৫টি বাক্সের মধ্যে ১৪টি শ্রেণীবদ্ধ নথি রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো ‘টপ সিক্রেট’ নথি বিভিন্ন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়েছিল। দেশটির বিচার বিভাগের অনুরোধের প্রেক্ষিতে শুক্রবার প্রকাশিত এফবিআই হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ট্রাম্পের মার-এ-লাগো এস্টেটে অভিযান চালিয়ে এসব নথি উদ্ধারের দাবি করে আমেরিকার এই গোয়েন্দা সংস্থা।
৩২-পৃষ্ঠার হলফনামা সাক্ষী ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও ‘চলমান তদন্তের অখণ্ডতা’ রক্ষা করার জন্য ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে কীভাবে শীর্ষ গোপনীয় সরকারি নথিগুলো এলামেলো করে রাখা হয়েছিল এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের কয়েক মাসব্যাপী অনুরোধ সত্ত্বেও ট্রাম্প সেগুলো হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর ফলে ২০২৪ সালে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভিত্তি স্থাপনের আগেই ট্রাম্প সম্ভবত নতুন আইনি বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলায় দায়ী ট্রাম্প
একজন এফবিআই এজেন্ট হলফনামার প্রথম পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘সরকার অননুমোদিত জায়গায় শ্রেণীবদ্ধ তথ্যের বেআইনিভাবে স্থানান্তর ও সংরক্ষণ এবং বেআইনিভাবে সেগুলো গোপন করা বা সরকারী রেকর্ড অপসারণের বিষয়ে একটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
যদিও ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলে আসছেন, নথিগুলিতে ‘গোপন’ কিছু নেই।
হলফনামায় গত ৮ আগস্ট মার-এ-লাগোতে অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১১ সেটের শ্রেণীবদ্ধ রেকর্ডের বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। বরং এর পরিবর্তে পৃথক ১৫টি বাক্সের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যা ন্যাশনাল আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানুয়ারিতে ট্রাম্পের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছিল। আর্কাইভস বিষয়টি বিচার বিভাগে পাঠিয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, এই ১৫টি বাক্সে পাওয়া অত্যন্ত সংবেদনশীল উপাদানগুলোর কারণে মার-এ-লাগোতে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন ছিল।
হলফনামায় বলা হয়েছে, শ্রেণীবিন্যাস চিহ্ন সহ ১৮৪টি নথির মধ্যে ২৫টি ‘টপ সিক্রেট’ স্তরের।
আর্কাইভের একটি চিঠির বরাত দিয়ে হলফনামায় বলা হয়, এই শ্রেণীবদ্ধ নথিগুলো কিছু সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও বিবিধ প্রিন্ট-আউট সহ অন্যান্য নথির সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে
কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গোলাম নবি আজাদ। তার এই পদত্যাগ প্রধান বিরোধী দলটির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) পাঁচ পৃষ্ঠার পদত্যাগ পত্র দলটির অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী বরারবর লেখেন তিনি।
আজাদ গান্ধী পুত্র রাহুলকে ‘শিশুসুলভ’, ‘চকচকে অপরিপক্ক’ এবং দলকে পরিচালনায় ‘অনভিজ্ঞ মানসিক রোগী’ বলে আক্রমণ করেছেন।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য রাহুলকে দায়ী করে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক দাবি করেন, ‘দল এখন এমন জায়গায়, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।’
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও চরমভাবে একটি ‘দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ ধারণায়’ চলছিলেন, যার মাধ্যমে দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধন্ত নেয়া হতো ‘রাহুল গান্ধীর মাধ্যমে কিংবা তার খারাপ নিরাপত্তারক্ষী কিংবা সহকারী ব্যক্তিদের দ্বারা।’
বিগত তিন বছরে দলটির অনেক নেতা চলে যাওয়ার পর দলটি যখন অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি তখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে, সেসময়ই আকস্মিক বের হয়ে গেলেন আজাদ।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন আজাদ। এছাড়া তিনি ২০০৫ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মহমোহন সিং-এর সংসদীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০২২ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মভূষণ’ খেতাবপ্রাপ্ত হন।
আরও পড়ুন: আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
রাহুলের বিকল্প না পেয়ে সোনিয়ার কাঁধেই কংগ্রেসের ভার
করোনা জটিলতায় হাসপাতালে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ না করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান
শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর অবৈধ বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে অবিলম্বে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার জন্য দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের শপথ নেয়ার একদিন পর শুক্রবার ভোরে কয়েক’শ সশস্ত্র সৈন্য প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে একটি বিক্ষোভ শিবিরে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করেন।
সরকারের এমন পদক্ষেপের কারণে নতুন সরকার আইনের শাসনের পরিবর্তে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করতে চায়-লঙ্কান জনগণের কাছে এমন বিপজ্জনক বার্তা যাবে বলে জানায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের মিত্র দিনেশ গুণবর্ধন
অভিযানে দুই সাংবাদিক ও দুই আইনজীবীর ওপরও সৈন্যরা হামলা করে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারী ও আইনজীবীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের উচিত উঁচু স্বরে ও স্পষ্ট বার্তা পাঠানো যে তারা এমন প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারে না যেটি জনগণের অধিকার পদদলিত করে।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের পর ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শীর্ষ নেতাদের পদত্যাগের দাবিতে শ্রীলঙ্কানরা কয়েক মাস ধরে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন। এ সংকটের কারণে ২২ মিলিয়ন মানুষের এই দ্বীপ দেশে ওষুধ, খাদ্য ও জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বিক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন। তার পরিবার গত দুই দশকের অধিকাংশ সময় শ্রীলঙ্কা শাসন করেছে। তবে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে জনরোষের কারণে পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়নপত্র গ্রহণে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কান পার্লামেন্ট
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট মঙ্গলবার দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
দেশটির প্রধান বিরোধী দলের নেতা সজিথ প্রেমাদাসা, প্রাক্তন সরকারের মন্ত্রী ডালাস আলাহাপ্পেরুমা এবং মার্কসবাদী দলের নেতা আনুরা দিসানায়েক বলেছেন তারা বুধবারের সংসদীয় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেন নি। তবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা রাজাপাকসের দল তার পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার পৃথকভাবে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে যে গত সপ্তাহে সংসদের স্পিকারের দ্বারা বিক্রমাসিংহের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগ বৈধ কিনা। যদি এটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়, তবে বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য বলে গণ্য হবেন।
দেশটির সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে গত সপ্তাহে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।পরে তিনি সংসদের স্পিকারের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইনপ্রণেতাদের বৈঠক
শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভের মধ্যেই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে।
বিক্রমাসিংহের জারি করা জরুরি ডিক্রিতে জননিরাপত্তা অধ্যাদেশের এমন ধারাগুলোকে উল্লেখ করা হয়েছে; যা তাকে জননিরাপত্তার স্বার্থে, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্রোহ দমন, দাঙ্গা বা নাগরিক উত্তেজনা বা প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে নিয়ম-কানুন আরোপ করার অনুমতি দেয়।
জরুরি নিয়ম-কানুনের অধীনে বিক্রমাসিংহে যে কাউকে আটকের অনুমোদন দিতে পারেন, যেকোন সম্পত্তির দখল নিতে পারেন এবং যেকোন জায়গা তল্লাশি করতে পারেন। এমনকি তিনি যেকোনো আইন পরিবর্তন বা স্থগিতও করতে পারেন।
বিক্রমাসিংহে এমন সময় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন যখন তার পদত্যাগের দাবিতে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। এমনকি বিক্ষোভকারীরা তার কুশপুত্তলিকা পর্যন্ত পোড়াচ্ছে।
এর আগে রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন তার পূর্বসূরী গোতাবায়া রাজাপাকসে।
আগামী দুই দিন পরেই দেশটির আইন প্রণেতারা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। শনিবার থেকে আইনপ্রণেতারা রাজাপাকসের বাকি মেয়াদের জন্য নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। মঙ্গলবার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের শুনানি হবে এবং একাধিক প্রার্থী থাকলে বুধবার আইন প্রণেতারা ভোট দেবেন।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটি একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত, যা তার রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সূত্রপাত করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইনপ্রণেতাদের বৈঠক
শ্রীলঙ্কার ২২ মিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য, সার, ওষুধ ও জ্বালানির মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানির জন্য অর্থের অভাব রয়েছে। এর ফলে দেশটির নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্ত মানুষেরাও পথে নামতে বাধ্য হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছ থেকে সাহায্য চাইছে।
কিন্তু এসব গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা এতটাই দুর্বল যে এমনকি বেলআউট পাওয়াও কঠিন হয়ে গেছে।
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং রাজাপাকসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। এপ্রিলে অনেক মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।
রাজধানী কলম্বো ছিল বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু। যেখানে বিক্ষোভকারীরা ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে দখল করে রেখেছে।
বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসে ও তার শক্তিশালী রাজনৈতিক পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ পাচারের এবং অর্থনীতির অব্যবস্থাপনা করে দেশের পতন ঘটানোর করার অভিযোগ তোলে।
তার পরিবার দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে স্বীকার করেছেন যে তার কিছু নীতি শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ে ইন্ধন জুগিয়েছে।
রাজাপাকসে বুধবার পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপে এবং পরে সিঙ্গাপুরে যান।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
ইমেইল পাঠিয়ে পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইনপ্রণেতাদের বৈঠক
শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু করতে শনিবার বৈঠক করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের জেরে গণবিক্ষোভের মুখে দেশ থেকে পালানো ও পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের মেয়াদের বাকি সময় দায়িত্ব পালন করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
এর আগের দিন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন এবং দেশটির সংসদ যতদিন পর্যন্ত গোটাবায়া রাজাপাকসের উত্তরসূরি নির্বাচন না করে তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। রাজাপাকসের মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হবে।
লঙ্কান সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন দ্রুত ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যা এক সপ্তাহের মধ্যে করা উচিত।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
নতুন প্রেসিডেন্ট একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন যাকে সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
সংসদের মহাসচিব ধম্মিকা দাসানায়েক শনিবার এক সংক্ষিপ্ত অধিবেশন চলাকালে বলেছেন, মঙ্গলবার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের ওপর শুনানি হবে এবং যদি একাধিক প্রার্থী থাকে তবে আইনপ্রণেতারা বুধবার ভোট দেবেন।
সংসদে গোটাবায়ের পদত্যাগপত্রও উচ্চস্বরে পড়ে শোনান দাসানায়েক।
শনিবার রাজধানী কলম্বোর সংসদ ভবনের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।