প্রেসিডেন্ট
মালদ্বীপ ছেড়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
পদত্যাগের দাবিতে গণবিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে বৃহস্পতিবার মালদ্বীপ ত্যাগ করেছেন।
মালদ্বীপের একজন সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাজাপাকসে বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবীয় এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে যাত্রা করেছেন।
রাজাপাকসে ও তার স্ত্রী বুধবার ভোরে শ্রীলঙ্কান বিমান বাহিনীর একটি ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বানানোর পদক্ষেপ জনসাধারণের বিক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলে।
এদিকে দেশটিতে চলমান কারফিউ শুক্রবার পর্যন্ত থাকবে বলে সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। ফলে বিক্ষোভকারীদের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে সরে যেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভে একজন নিহত, আহত ৮৪: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সংসদ ভবনে সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সংসদ ভবনে সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের দখলের বিরুদ্ধে দেশটির সংসদ ভবন সুরক্ষিত করতে বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনী অগ্রসর হয়েছে।
চরম অর্থনৈতিক মন্দার জেরে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার স্ত্রী বুধবার বিমান বাহিনীর একটি জেটে মালদ্বীপে পালিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বানানোর পদক্ষেপ জনসাধারণের বিক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলে।
গতকাল প্রবেশদ্বারে হামলা চেষ্টা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আরও প্রতিবাদ হতে পারে এমন আশঙ্কায় সবুজ সামরিক ইউনিফর্ম ও সাদাপোশাকে সেনা সদস্যরা সাঁজোয়া যানে করে সংসদ ভবনে পৌঁছায়।
কিছু বিক্ষোভকারী সহিংসতা বৃদ্ধির ভয়ে সংসদে হামলা না করার অনুরোধ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কায় নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
শ্রীলঙ্কায় নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
শ্রীলঙ্কার নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। বুধবার তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা কলম্বোয় তার কার্যালয়ে হামলা করেছে।
এর আগে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাড়ি ও অফিস দখল করে। এদিন একটি সামরিক জেটে করে গোতাবায়া মালদ্বীপ পালিয়ে যান এবং বিদেশে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেন।
দায়িত্ব পাওয়ার পর বিক্রমাসিংহে দ্রুত দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। যাতে করে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভ বন্ধ করা যায়।
তবে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিক্রমাসিংহের নিয়োগ কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে শান্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে গোতাবায়া রাজাপাকসে বুধবার পদত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ: স্পিকার
এ বিষয়ে সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি অবিলম্বে তা (পদত্যাগ)করবেন। যদি তিনি পদত্যাগ করেন তাহলে ২০ জুলাই পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহেও পদত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে নতুন সরকার গঠন হওয়া পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন।
ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের সর্বশেষ মেয়াদটি ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। গত মে মাসে রাজাপাকসে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন; এই আশায় যে অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ তার কূটনীতি ও যোগাযোগ দক্ষতা দিয়ে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবেন। কিন্তু জ্বালানি, ওষুধ ও রান্নার গ্যাসের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় এবং তেলের মজুত কমে যাওয়ায় জনগণের ধৈর্য্য কমে যায়।
দেশটি ভারত ও অন্যান্য দেশের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে। দেশটির নেতারা এখনও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে একটি বেলআউট নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছেন৷
কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভ দুই দশকের বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কাকে শাসন করা রাজাপাকসের রাজনৈতিক রাজবংশকে ভেঙে দিয়েছে। এই পরিবারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর গত মে মাসে প্রেসিডেন্টের বড় ভাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তখন তাকে একটি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ: স্পিকার
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। বুধবার লঙ্কান পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে স্পিকার বলেন, রাজাপাকসে দেশ থেকে দূরে থাকায় সংবিধান অনুযায়ী বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে পালাতে সাহায্য করার কথা অস্বীকার ভারতের
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসেকে দেশ থেকে মালদ্বীপে পালাতে সাহায্য করার গুজব প্রত্যাহার করেছে ভারত।
বুধবার টুইটারে এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, ‘ভারত সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বাইরে গোটাবায়া রাজাপাকসে ও বাসিল রাজাপাকসেকে পালাতে সহায়তা করেছে বলে মিডিয়াগুলোতে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা স্পষ্টভাবে ভিত্তিহীন ও অনুমাননির্ভর।
দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে, হাইকমিশন টুইট করেছে, ভারত শ্রীলঙ্কার জনগণকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। কারণ তারা গণতান্ত্রিক উপায় ও মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মাধ্যমে তাদের সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতি উপলব্ধি করতে চায়।
পরে, শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে ৭৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট, তার স্ত্রী এবং দুই দেহরক্ষী বুধবার ভোরে লঙ্কান এয়ার ফোর্সের জেটে প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
সশস্ত্র বাহিনী এই সিদ্ধান্তের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের শ্রীলঙ্কা ছেড়ে যাওয়ার পর এই ঘোষণা দেয়া হলো।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্টের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা চালায়।
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবি করছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন সরকার হলেই তিনি ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০ জুলাই!
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০ জুলাই!
শ্রীলঙ্কার নেতারা দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ২০ জুলাই ভোট গ্রহণের ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
সোমবার এ ব্যাপারে একটি আংশিক সমাধান এসেছে। এই পদের জন্য ১৯ জুলাই মনোনয়ন জমা দেয়া হবে এবং ২০ জুলাই পার্লামেন্টে একটি গোপন ভোট হবে৷
নতুন প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের মেয়াদের বাকি সময়ের দায়িত্ব পালন করবেন, যা ২০২৪ সালে শেষ হবে৷
তবে কে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন এবং মন্ত্রিসভা পূরণ করবেন সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: নতুন সরকার গঠনে শ্রীলঙ্কায় বিরোধী দলগুলোর বৈঠক
বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা: প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা ও দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের পর অবশেষে শনিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, নতুন সরকার গঠিত হলেই তিনি পদ ছাড়বেন।
এর কয়েক ঘণ্টা পরে পার্লামেন্টের স্পিকার বলেছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বুধবার পদত্যাগ করবেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে পুলিশ কারফিউ জারি করে বিক্ষোভ বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিরোধীদল ও আইনজীবীদের তীব্র নিন্দার মুখে এটি তুলে নেয়া হয়।
এরপর কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী কলম্বোতে প্রবেশ করে এবং রাজাপাকসের সুরক্ষিত বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এসময় সংঘর্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, উত্তাল জনতা রাজাপাকসের বাগানের পুলে ডুব দিচ্ছে। কিছু লোক বাড়ির বিছানায় শুয়েছিল, অন্যরা চা খাচ্ছে এবং প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে একটি সম্মেলন কক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করছে।
রাজাপাকসে সেসময় সেখানে ছিলেন কিনা তা পরিষ্কার জানা যায়নি।
সরকারের মুখপাত্র মোহন সমরানায়েক বলেন, প্রেসিডেন্টের গতিবিধি সম্পর্কে তার কাছে কোনও তথ্য নেই।
এছাড়া বিক্রমাসিংহের অফিস জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী সেখানে ছিলেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি, বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল
স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি রাজাপাকসেকে জানিয়েছিলেন যে সংসদীয় নেতারা দেখা করেছেন এবং তাকে অফিস ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর প্রেসিডেন্ট এ সিদ্ধান্তে (পদত্যাগে) রাজি হয়েছেন।
আবেবর্দেনা আরও বলেন, তবে ক্ষমতার মসৃণ হস্তান্তর নিশ্চিত করতে রাজাপাকসে সাময়িকভাবে (আরও কিছুদিন) থাকবেন।
আবেবর্দেনা বলেন, ‘তিনি আমাকে দেশকে জানাতে বলেছেন যে তিনি ১৩ তারিখ বুধবার পদত্যাগ করবেন। কারণ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রয়োজন আছে।’
স্পিকার আরও বলেন, ‘অতএব দেশে আর অশান্তির প্রয়োজন নেই এবং একটি মসৃণ ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য আমি দেশের স্বার্থে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিরোধী আইনপ্রণেতা রউফ হাকিম বলেছেন, সংসদের স্পিকারকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে তার নিজের আসন্ন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি বলেন নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করবেন না।
বিক্রমাসিংহে আরও বলেন, ‘এখন আমাদের দেশে জ্বালানি সংকট ও খাদ্য সংকট। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান আমাদের এখানে আসছেন এবং আইএমএফের সাথে আমাদের বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা আছে।’
আরও পড়ুন: গোতাবায়ার বাসভবনে বিক্ষোভকারীদের হামলা
গত মে মাসে রাজাপাকসে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন; এই আশায় যে অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ তার কূটনীতি ও যোগাযোগ দক্ষতা দিয়ে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবেন। কিন্তু জ্বালানি, ওষুধ ও রান্নার গ্যাসের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় এবং তেলের মজুদ কমে যাওয়ায় জনগণের ধৈর্য্য কমে যায়।
দেশটি ভারত ও অন্যান্য দেশের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে। দেশটির নেতারা এখনও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে একটি বেলআউট নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছেন৷
কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভ দুই দশকের বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কাকে শাসন করা রাজাপাকসের রাজনৈতিক রাজবংশকে ভেঙে দিয়েছে। এই পরিবারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর গত মে মাসে প্রেসিডেন্টের বড় ভাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তখন তাকে একটি নৌ ঘাঁটিতে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
শনিবার অনেক বিক্ষোভকারী বাস ও ট্রেনে করে রাজধানীতে যায় এবং অন্যরা সাইকেল ও পায়ে হেঁটে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর, অন্যরা সামান্য আহত হয়েছে।
বেসরকারী মালিকানাধীন সিরাসা টেলিভিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে বিক্ষোভ কভার করার সময় পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হয়ে চারজন সাংবাদিকসহ চ্যানেলটির অন্তত ছয়জন কর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দেশটির বিক্ষোভকারী ও ধর্মীয় নেতারা বলছেন রাজাপাকসে তার ম্যান্ডেট হারিয়েছেন এবং তার যাওয়ার সময় এসেছে।
একজন বিশিষ্ট বৌদ্ধ নেতা ওমালপে সোবিথা ভেন বলেছেন, ‘তাকে (গোতাবায়া রাজাপাকসে) সিংহলের বৌদ্ধরা ভোট দিয়েছিল, যা এখন আর বৈধ নয়।
তিনি নির্বাচনের জন্য অবিলম্বে সংসদ আয়োজনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় তীব্র সংকটের মুখে সরকারের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের
গোতাবায়ার বাসভবনে বিক্ষোভকারীদের হামলা
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে তার সরকারি বাসভবনে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী হামলা করেছে। শনিবার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে এ খবর জানা গেছে।
বিক্ষোভের সময় গোতাবায়া রাজধানী কলম্বোয় অবস্থিত তার সরকারি বাসভবনে অবস্থান করছিলেন নাকি বাইরে ছিলেন তা নিশ্চিত জানা যায়নি। মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক হাজার মানুষ সুরক্ষিত বাসভবনটির বাইরে অবস্থান করছেন।
সরকারের মুখপাত্র মোহনা সেনানায়েকে বলেন, রাজাপাকসে বাসভবনের ভেতরে না বাইরে সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য জানা নেই।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, গোতবায়ার বাসভবনের পাশে অবস্থিত তার দপ্তরে কয়েক’শ বিক্ষোভকারী জাতীয় পতাকা হাতে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় তীব্র সংকটের মুখে সরকারের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শত শত বিক্ষোভকারী ‘গোতা গো হোম’ স্লোগান দিয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এসময় ভবনের বাইরের রাস্তার ব্যারিকেড উল্টে দেয়া হয়।
নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৪ জন আহত হন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কলম্বোর হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আগের রাতের কারফিউ তুলে নেয়ার পর আশেপাশের শহরতলী থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী শনিবার সকালে রাজধানী কলম্বোয় প্রবেশ করে।
গত কয়েক মাস ধরে চলা এই বিক্ষোভে অংশ নেয়া মানুষের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর দেশের চলমান সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের দায় রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তার পদত্যাগের দাবিতে তিন মাস ধরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা
গত মাসে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘তার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। সংকট থেকে উত্তরণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা জটিল স্তরে গিয়ে ঠেকেছে। কারণ দেশটি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।’
গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে তারা বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে অপারগতার কথা জানায়। দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলারে ঋণ পরিশোদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পুলিশ শুক্রবার রাতে রাজধানী কলম্বো এবং প্রধান প্রধান শহরে কারফিউ জারি করে এবং শনিবার সকালে সেটি তুলে নেয়া হয়। যদিও দেশটির আইনপ্রণেতা ও বিরোধদলীয় রাজনীতিবিদরা কারফিউকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে আসছে।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চুং জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে বলেছেন এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের জন্য স্থান ও নিরাপত্তা দেয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
চুং এক টুইটে বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা ও বলপ্রয়োগ অর্থনীতিকে ঠিক করবে না কিংবা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পারবে না। শ্রীলঙ্কানদের এই মুহূর্তে যা (সবচেয়ে বেশি) প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে
পর্তুগিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করার আহ্বান
পর্তুগিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করতে পর্তুগাল সরকারকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যথায় নয়াদিল্লিতে পর্তুগিজ দূতাবাস থেকে ঢাকায় পর্যায়ক্রমিক কনস্যুলার পরিষেবা দেয়ার অনুরোধ করেছে ঢাকা।
বুধবার লিসবনে পর্তুগালের পার্লামেন্টে অ্যাসেম্বলি অব পর্তুগালের ভাইস প্রেসিডেন্ট আদাও হোসে ফনসেকা সিলভার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিষয়টি উত্থাপন করেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পর্তুগালের ভাইস প্রেসিডেন্ট এই ধারণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
পারস্পরিক উদ্বেগের বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বিষয়ে পর্তুগালের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: সার্বিয়া বাংলাদেশের খাদ্য সংরক্ষণ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী: এফবিসিসিআই