হুয়াওয়ে
মেধা বিকাশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে।
সম্প্রতি ‘টেক অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি: এভরিওয়ান’স ইনক্লুডেড’ শীর্ষক এক ফোরামে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম ২.০’ এ ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে ডিজিটাল ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে প্রতিষ্ঠানটি আগামী পাঁচ বছরে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে, যা ত্রিশ লাখেরও বেশি মানুষের উপকারে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
হুয়াওয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত এই ফোরামটি যৌথভাবে আয়োজন করে হুয়াওয়ে এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। হুয়াওয়ে, আইইউসিএন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, কার্বন ডিসক্লোজার প্রজেক্ট (সিডিপি), গ্লোবাল এনাবলিং সাসটেইনেবিলিটি ইনিশিয়েটিভ (জিইএসআই) এবং সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের (এসআইআইএ) প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন এবং টেকসই, অন্তর্ভুক্তিম‚লক ও পরিবেশবান্ধব বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
এই ফোরামের সাথে মিল রেখে, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক এ অঞ্চলের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়নকে কেন্দ্র করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য ভার্চুয়াল গোলটেবিলের আয়োজন করে। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ সহ একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে এই অঞ্চলে আগামী পাঁচ বছরে ৪০ হাজারেরও বেশি আইসিটি বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের তৈরি করার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
জে চেন বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতিতে, ডিজিটাল রূপান্তর ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ডিজিটাল বিষয়ে তরুণ প্রতিভা ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। টেকসই ও সুষ্ঠু বিকাশের সুযোগ তৈরির জন্য সবাই যাতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। বৈশ্বিক মহামারির কারণে আমরা কর্মসূচিটি অনলাইনে আয়োজন করবো এবং একে আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ইউনিসেফ ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী প্রায় ২২০ কোটি মানুষের বাড়িতে এখনও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। পরিস্থিতির উন্নয়নে, যেসব দেশে হুয়াওয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেসব দেশে ডিজিটাল ক্ষেত্রে তরুণ প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০০৮ সালে, বৃত্তি, প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিযোগিতা এবং ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হুয়াওয়ে এর প্রতিভা বিকাশের কর্মসূচিগুলো পরিচালনা শুরু করে এবং প্রতিষ্ঠানটি এসব কর্মসূচিতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এ সময় থেকে হুয়াওয়ে দেড় শতাধিক দেশের ১৫ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উপকৃত করেছে।
দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে এবং ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের উৎসাহদানে একইভাবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে শুরু করা হয় ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ কর্মসূচিটি। দেশে এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে, বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন দূরবর্তী শিক্ষা পদ্ধতিতে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে রাজধানীর টিঅ্যান্ডটি হাই স্কুল ও সারাদেশের সকল শাখাসমুহে ডিজিটাল সমাধান প্রদানে স্থানীয় অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম বিজয় ডিজিটালের সাথে অংশীদারিত্ব করে। দেশে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য প্রতিভা বিকাশ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আইসিটি কম্পিটিশন, আইসিটি একাডেমি এবং বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা ও এজেন্সির সহযোগিতায় ডিজিটাল ট্রেনিং বাস। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করল হুয়াওয়ে
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় হুয়াওয়ে আসিয়ান একাডেমি চালু হয়েছে এবং ডিজিটাল ভবিষ্যতের প্রস্তুতিস্বরূপ এক লাখেরও বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করেছে। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একসাথে কাজ করেছে।
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জন্য গত ২৮ জুন থেকে ১ জুলাই বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত হওয়া মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) পাঁচটি পুরস্কার পেয়েছে।
এ বছর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) গ্লোবাল সিস্টেম ‘২০২১ গ্লোবাল মোবাইল (জিএলওএমও)’ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। হুয়াওয়ে পাঁচটি ক্ষেত্রে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। এগুলো হলো: ‘বেস্ট ইনোভেশন ফর কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’, ‘আউটস্ট্যান্ডিং মোবাইল কন্ট্রিবিউশন টু দ্য ইউএন এসডিজিস’, ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ইন ইমার্জিং মার্কেটস’, ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর দ্য কানেক্টেড ইকোনমি’, এবং ‘বেস্ট মোবাইল ইনফ্রাস্ট্রাকচার’।
আরও পড়ুন: চীনে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করল হুয়াওয়ে
১৯৯৬ সালে জিএসএমএ গ্লোবাল মোবাইল (জিএলওএমও) অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে। এ অ্যাওয়ার্ড প্রদানে বিচারক প্যানেলে থাকেন আড়াইশ’র বেশি বৈশ্বিক বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা। মোবাইল খাতে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে এ অ্যাওয়ার্ড বিবেচনা করা হয়।
হুয়াওয়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সল্যুশনের ওপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ এর জন্য টেলিমেডিসিন সমাধান নিয়ে আসে চায়না-জাপান ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল। অ্যাওয়ার্ডের এ বছরের সংস্করণে হুয়াওয়ের ফাইভজি সল্যুশনকে জিএসএমএ জিএলওএমও ‘বেস্ট ইনোভেশন ফর কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। হুয়াওয়ের এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উল্লেখিত হাসপাতালের সেবাদানের মানোন্নয়নে সহায়তা করেছে; পাশাপাশি, চীনের ৫ হাজার হাসপাতালকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নত সেবার জন্য বিকাশ থেকে অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে
এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন নিয়ে হুয়াওয়ের ডিআইএস প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট মারভিন চেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাখাতে ফাইভজি’র বিস্তৃত পরিসরের ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করেছি। বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তায় এবং ফাইভজি প্রযুক্তির নানা সুবিধা ব্যবহারে, ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে স্বাস্থ্যসেবাখাতের সংশ্লিষ্টদের সাথে নিরলস কাজ করে যাবে হুয়াওয়ে।’
এছাড়াও, বর্তমানে পুরো বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করছে। আর এমন সময়, রেইনফরেস্ট কানেকশন (আরএফসিএক্স) ও হুয়াওয়ের ‘ন্যাচার গার্ডিয়ান’ প্রকল্প প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় এবং বন উজাড় প্রতিরোধে ইতিবাচক অবদান রেখেছে। এর স্বীকৃতিস্বরুপ এ প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অবদান রাখার জন্য জিএসএমএ ২০২১ জিএলওএমও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
আরও পড়ুন: পেটেন্ট মালিকানায় রেকর্ড গড়ল হুয়াওয়ে
মানুষের ডিজিটাল জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ধারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি উন্নত বিশ্ব নির্মাণে ধারাবাহিকভাবে এর রাজস্ব নতুন করে ডিজিটাল সমাধান উদ্ভাবনের গবেষণায় বিনিয়োগ করছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের সে লক্ষ্যপূরণে এ অর্জনগুলো প্রতিষ্ঠানটির জন্য জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের দ্বিতীয় পর্বে ১২৭ শিক্ষার্থী
হুয়াওয়ে ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত ‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন’ এর দ্বিতীয় পর্বে শীর্ষ ১২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিবে। দ্বিতীয় পর্ব এ সপ্তাহে শুরু হবে।
এ বছর জানুয়ারিতে এ প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব শুরু হয়, যেখানে দেশের প্রায় ত্রিশটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চতুর্থ বর্ষের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ ছয় মাসে শিক্ষার্থীরা আইসিটি খাতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে বিভিন্ন অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত হওয়ার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
প্রথম পর্বে প্রশিক্ষণের সময়, ধারাবাহিকতা ও পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১২৭ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ পর্বে শিক্ষার্থীরা এইচসিআইএ (হুয়াওয়ে সার্টিফায়েড আইসিটি অ্যাসোসিয়েট) থেকে ১৫ দিনের অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ করবেন এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার তৃতীয় পর্বে উন্নীত হতে তাদের আরেকটি পরীক্ষা দিতে হবে।
হুয়াওয়ের টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ও টেকসই অবস্থা নিশ্চিত হওয়া নির্ভর করে। বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের মূল উদ্দেশ্য হল এ দেশের আইসিটি ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিত্তি দৃঢ় করা। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে বাংলাদেশের জন্যই কাজ করছে। বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন কিছু করতে পেরে আমরা গর্বিত।
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
এ প্রতিযোগিতার তৃতীয় ও ফাইনাল পর্ব জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্ব থেকে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীরা দল গঠন করবেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক দলে থাকবেন তিনজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক।
হুয়াওয়ে হেডকোয়ার্টার থেকে প্রশিক্ষকরা প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ দেবেন এবং পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের একটি সিমুলেশন টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। এরপর তিনটি দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে হুয়াওয়ে ল্যাপটপ অথবা হুয়াওয়ে মোবাইল ও হুয়াওয়ে স্মার্টওয়াচ কিংবা স্মার্ট ব্যান্ড প্রদান করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন দল হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের আঞ্চলিক ফাইনাল ও বৈশ্বিক ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা চীনের শেনঝেনে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে যাবে। ভবিষ্যতে তাদের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাথে কাজ করার সুযোগও থাকতে পারে।
প্রতিযোগিতাটি দু’টি ভাগে হচ্ছে – ‘প্র্যাকটিক্যাল কম্পিটিশন’ ও ‘থিওরি কম্পিটিশন’। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং প্রোগ্রাম ডিজাইন করার সক্ষমতা মূল্যায়নে তাত্ত্বিক বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা এবং হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ বছর এ প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক সুইচিং ও রাউটিং টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এবং পরবর্তীতে, বিগ ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ও ক্লাউড বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
চীনে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করল হুয়াওয়ে
চীনের ডংগুয়ানে নিজেদের সর্ববৃহৎ গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি প্রটেকশন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার উদ্বোধন করেছে হুয়াওয়ে।
বৃ্হস্পতিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিএসএমএ, এসইউএসই, ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইন্সটিটিউশনের প্রতিনিধিরা এবং সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য দেন ।
নতুন সেন্টার চালু করার পাশাপাশি হুয়াওয়ে এর প্রোডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইনও প্রকাশ করেছে। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো প্রডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইন ফ্রেমওয়ার্ক ও ব্যবস্থাপনা অনুশীলন পুরো খাতের জন্য উন্মুক্ত করে হুয়াওয়ে। এ পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির খাতজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে ক্রেতা, সাপ্লায়ার, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট নির্ধারক সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে যৌথভাবে কাজের প্রচেষ্টা গ্রহণের বিস্তৃত পদক্ষেপের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুনঃ উন্নত সেবার জন্য বিকাশ থেকে অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘একীভূত শিল্পখাত হিসেবে আমাদের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন এবং শাসন ব্যবস্থা, মানদণ্ড, প্রযুক্তি ও যাচাইকরণে নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো আদান-প্রদান করতে হবে। সাধারণ মানুষ এবং নিয়ন্ত্রকরা যেনো প্রতিদিনকার ব্যবহৃত পণ্য ও সেবার নিরাপত্তার ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারেন, আমাদের সে কারণ তৈরি করতে হবে। একসাথেই আমরা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সঠিক ভারসাম্য বজায়ে কাজ করতে পারি।’
সাইবার গভর্নেন্স নিয়ে খাত-সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতার আদান-প্রদানে, পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে একসাথে কাজ করার জন্য হুয়াওয়ে ডংগুয়ানে এর নতুন গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি প্রটেকশন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার চালু করেছে। এ সেন্টারের মাধ্যমে নানা সমাধান প্রদর্শন করা হবে ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করা হবে, যোগাযোগ ও যৌথ উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে এবং সিকিউরিটি টেস্টিং ও ভেরিফিকেশনে সহায়তা প্রদান করা হবে।
সেন্টারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্বাধীন তৃতীয় পক্ষ টেস্টিং প্রতিষ্ঠান, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং হুয়াওয়ের ক্রেতা, অংশীদার ও সাপ্লায়ারদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
জিএসএমএ’র মহাপরিচালক ম্যাটস গ্র্যানরিড হুয়াওয়ের নতুন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বলেন, ‘ফাইভজি যুগে বিদ্যমান ও নতুন সেবা প্রদান বিশেষভাবে নির্ভর করবে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলোর কানেক্টিভিটি সেবা এবং মূলত নির্ভর করবে এ প্রযুক্তি সুরক্ষা এবং এর ওপরে আস্থার ওপরে।‘ তিনি বলেন, ‘অংশীজনদের সহায়তা করতে জিএসএমএ ফাইভজি সিকিউরিটি নলেজ বেসের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে তারা নেটওয়ার্কের ঝুঁকি বুঝতে পারেন এবং এ ঝুঁকি প্রশমনে কাজ করতে পারেন। অন্যদিকে, শিল্পখাতজুড়ে নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের বিকাশ ও নিরাপত্তার উন্নয়নে শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি অ্যাসুরেন্স ফ্রেমওয়ার্ক ‘এনইএসএএস’ করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে পণ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় এক দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা, বিস্তৃত পরিসরের বাহ্যিক বিধিমালা অন্তর্ভুক্তিকরণ, কারিগরি মানদণ্ড এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় বিষয় সমন্বিত প্রডাক্ট সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ের গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি প্রটেকশন অফিসের পরিচালক শন ইয়াং বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা শুধুমাত্র আমাদের মূল সাপ্লায়ারই নয়, বরং সম্পূর্ণ খাতের সামনেই আমাদের সিকিউরিটি বেজলাইন ফ্রেমওয়ার্ক তুলে ধরেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রেতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রযুক্তি সেবা দাতা এবং টেস্টিং প্রতিষ্ঠান সহ সকল অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানাই আমাদের সাথে কাজ যুক্ত হয়ে একসাথে সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন নিয়ে আলোচনা করার ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। একসাথে আমরা ধারাবাহিকভাবে এ শিল্পখাতে পণ্যের নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করতে পারি।’
উন্নত সেবার জন্য বিকাশ থেকে অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে
শীর্ষ স্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের কাছ থেকে ‘পার্টনার রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে।
সম্প্রতি, বিকাশ লিমিটেড কর্তৃক আয়োজিত ভার্চুয়াল ‘পার্টনার রিকগনিশন প্রোগ্রাম’- এ এই পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ মোবাইল আর্থিক সেবাদান খাতে বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট ও পেমেন্ট পরিশোধ প্রক্রিয়াকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে বিকাশের কৌশলগত ও কারিগরি অংশীদার হিসেবে বিকাশের এই উন্নয়নে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করবে সেবা প্ল্যাটফর্ম
হুয়াওয়ে বিকাশকে ফিনটেক মোবাইল মানি কোর ও ইটুই সল্যুশনের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য হার্ডওয়্যার ও বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রদান করেছে যা তাদেরকে অন্যান্য ইকোসিস্টেমের সাথে নিজেদের সিস্টেমকে সুসংহত করে উন্নত মানের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।
তাই, বিকাশের উন্নয়নে এমন উন্নত মানের প্রযুক্তি সহায়তা এবং সেরা মানের সেবা প্রদানের স্বীকৃতি স্বরূপ হুয়াওয়ে এই পুরস্কার অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন:করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
উন্নত ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের মধ্যকার সফল অংশীদারিত্বেরই প্রতিফলনস্বরূপ এ স্বীকৃতি।
এ ব্যাপারে বিকাশের চিফ প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি অফিসার আজমল হুদা বলেন, “গুণগত মানকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দেই। এজন্য আমরা আমাদের সেবার সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বখ্যাত আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছি। হুয়াওয়ে আমাদের উন্নয়নের যাত্রায় বিশ্বস্ত এবং নিবেদিত অংশীদার হিসেবে আমাদের পাশে আছে। তারা আমাদের সময়োপযোগী সহায়তা এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করে, যাতে আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পারি”।
আরও পড়ুন:পাঁচটি বিকাশ নম্বরে সেন্ড মানি করা যাবে কোন খরচ ছাড়াই
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিটিও ডংজিয়ান শু বলেন, “গ্রাহক কেন্দ্রিকতা আমাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিকাশের কৌশলগত অংশীদার হিসেবেই শুধু আমরা সেরা সফটওয়্যার সল্যুশন ও প্রযুক্তি সরবরাহ করছি না; আমরা একসাথে কাজ করছি কারণ আমরা সমাজে পরিবর্তন আনতে চাই। বিকাশের এই স্বীকৃতি আমাদের আরও সুসংহত সমাধান এবং সেবা অনুসন্ধানে অনুপ্রাণিত করবে”।
বিশ্বজুড়ে এমএফএস/ডিএফএস প্রতিষ্ঠানের সেবাদানে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে মোবাইল ওয়ালেট কোর সম্পূর্ণভাবে ভার্চুয়ালাইলড ও ক্লাউড-নেটিভ সেবা প্রদান করে। হুয়াওয়ের বিস্তৃত গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটিকে বিকাশসহ বিশ্বজুড়ে এমএফএস/ডিএফএস অপারেটরদের উন্নত ও আধুনিক সেবাদানে সক্ষম করে তুলেছে।
পেটেন্ট মালিকানায় রেকর্ড গড়ল হুয়াওয়ে
গত বছরের বার্ষিক সর্বোচ্চ সংখ্যক পেটেন্ট অধিকারের রেকর্ড গড়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
দুর্গম এলাকাকে সংযুক্ত রাখতে হুয়াওয়ের রুরালস্টার প্রো সল্যুশন
বাণিজ্যিকভাবে রুরালস্টার প্রো সল্যুশন চালু করেছে হুয়াওয়ে। ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকসেস ও ব্যাকহল (আইএবি) মডেলের আওতায় এই সল্যুশনটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এটি যে কোনো দুর্গম এলাকাতে বেশ কম খরচে ভয়েস এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দিতে পারবে। সম্প্রতি চীনের গুয়াংজুতে বাণিজ্যিকভাবে এর সম্প্রসারণ করা হয়।
নাটোরে দরিদ্র প্রবীণদের মাঝে হুয়াওয়ের কম্বল বিতরণ
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে বৃহস্পতিবার পল্লীশ্রী উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে চার হাজার কম্বল বিতরণ করেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।
হুয়াওয়ের টুল ব্যবহার করে মালিকেরা অনলাইনে গাড়ি বিক্রি করতে পারবেন
হুয়াওয়ের সহায়তায় নিজেদের প্ল্যাটফর্মে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ক্লাউড কম্পিউটিং যুক্ত করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক অনলাইন গাড়ির মার্কেটপ্লেস ইউকারস।
অল-সিনারিও ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটি সমাধান নিয়ে এলো হুয়াওয়ে
অল-সিনারিও ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটি সল্যুশন নিয়ে এলো হুয়াওয়ে।